যুগ আজ অনেক এগিয়ে গেছে,
অধিকারে আর নাইকো ভয়৷
অধিকার কেউ দেবে না মোরে,
ছিনিয়ে নিতে হবে তারে
স্বাধীনতাটাও আমার চাই,
স্বেচ্ছাচারকে দেব না ঠাঁই৷
ধন্য হব নারী বলে,
এগিয়ে যাব সামনে চলে৷
বিগত কয়েকটি ম্যাচে ছন্দহীন ফুটবল খেলেছে মোহনবাগান৷ তবে আই লীগে নবাগত ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ফুটবল উপহার দিয়েছে সবুজ-মেরুন দল৷ দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিলেন স্পেনীয় তারকা ফ্রান গনজালেজ৷ তিনি মোহনবাগানকে ফিরিয়ে আনলেন জয়ের পথে৷ চার্চিল ব্রাদাসের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন এই স্পেনীয়৷ মোহনবাগান - ট্রাউয়ের বল গড়ানার আগেই মণিপুরের ক্লাবের টিডি গনজালেজের প্রশংসা করেছিলেন কারণ তিনি গনজালেজের খেলার সম্বন্ধে পূর্ব পরিচিত ছিলেন৷ ডগলাসের ট্রাউকে ০-৪ গোলে বিধবস্ত করে কিবু ভিকুনাকে স্বস্তি দিল বাগান শিবির৷ বেশি দিন হয়নি ডগলাস ট্রাউয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন৷ বড় বাজেটের দলও নয় তাঁর৷ দলটা এখনও
বাঙলা ও বাঙালীর সংস্কৃতি রক্ষায় এগিয়ে এসেছে বাঙালী মহিলা সমাজ৷ তাদের একটি ব্যানার নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ বাঙালী মহিলা সমাজ একটি ব্যানারে লিখেছে---‘নারীদেহ প্রদর্শনকারী উত্তেজক পোষাকের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ করতে হবে৷’ ওই ব্যানারের পাশে অতি আধুনিক অজ্ঞাত পরিচয় কেউ বা কারা পাল্টা একটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেয় যাতে লেখা--- ‘মধ্যযুগীয় হাম্বা, পোষাক ধর্ষণের কারণ নয়৷’ আমি প্রথমেই বলতে চাই বাঙালী মহিলা সমাজের ওই ব্যানারে কোথাও লেখা নেই---‘পোষাক ধর্ষণের কারণ৷’ অনেকে মনে করছেন, এই ব্যানারের বক্তব্য ব্যষ্টি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ৷ তাদের উদ্দেশ্যে বলি এখানে ব্যবসাদারদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে এই ধরণের পোষ
গত ৭ই ডিসেম্বর এশিয়ান গেমসের সাঁতারে ২০০ মিটার বাটারফ্লাই-এ সোনা জিতেছেন কোলাঘাটের সুপ্রিয় মণ্ডল৷ এক মৎসজীবীর সন্তান সুপ্রিয়৷ বাবা সুকুমার মন্ডল জানান যেহেতু মৎসজীবী পরিবারে জন্ম তাই প্রথম থেকেই সাঁতারে হাতেখড়ি তাঁর এইসূত্রে৷ এরপর কোলাঘাটের সুইমিং সেন্টারে তাঁর ট্রেনিং শুরু৷ বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে ডলফিন অ্যাকোয়াটিকে অনুশীলনরত সুপ্রিয়৷ চাকরিও করেন রেলওয়েতে৷ নেপালের এই অবিশ্বাস্য জয়ের পরে পরেই আগামী বছরের মার্চ মাসে সিঙ্গাপুরে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের প্রতিযোগিতা৷ দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা সুপ্রিয় উন্নতিতে খুবই গর্বিত সুপ্রিয়েক সুকলের শিক্ষকেরাও৷
গত ৬ই ডিসেম্বর এন.আর.সি., দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বিভাজনের বিল সিটিজেনশীপ অ্যামেণ্ডমেণ্ট বিলের প্রতিবাদে আমরা বাঙালী কর্মী-সমর্থকরা শ্যামবাজারে একটি বিক্ষোভ সভা করে৷ সভায় কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায়, কলকাতার জেলা সচিব গোপাল রায় চউধুরী, মহিলা সমাজের গোপা শীল, নমিতা দাশ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷
গত ৮ই ডিসেম্বর ‘আমরা বাঙালী’র আলিপুরদুয়ার জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সম্মেলনে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনীতির বেহাল দশা, এন.আর.সি. বিষয়গুলির ওপর আলোচনা হয়৷ দলের নীতি ও কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়৷ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ছিলেন উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দলেন রায়৷ সম্মেলনে নতুন জেলা কমিটিও গঠিত হয়৷ জেলা সচিব নির্বাচিত হন খগেন্দ্রনাথ রায়৷ মহিলা সমাজের সচিব নির্বাচিত হন শ্রীমতী বীথিকা দাস৷ সম্মেলনে বর্তমান সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বক্তব্য রাখেন কোচবিহার জেলা সচিব প্রসন্ন কুমার রায় ও সন্তোষ মোদক৷
জলবায়ু ও পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ে গ্রেটা থুনবার্গের খ্যাতি বিশ্বজোড়া৷ তাঁর সংগ্রামকে স্বীকৃতি দিতে নরডিক কাউন্সিল গ্রেটাকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে নরডিক রাষ্ট্রগুলি অনেক বেশী সচেতন৷ ডেনমার্ক, নরওয়ে, আইসল্যাণ্ড ও গ্রেটার নিজের দেশ সুইডেন প্রভৃতি নরডিক রাষ্ট্রগুলি পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বে অগ্রবর্তী হলেও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে তারা বেহিসাবী৷ এরই প্রতিবাদে গ্রেটা নরডিক কাউন্সিলের কাছ থেকে পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন৷ তাঁর নিজের দেশ সম্পর্কে গ্রেটার মন্তব্য---এরা এমনভাবে জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার করছে যেন পৃথিবীতে চারটি গ্রহের সমান জীবাশ্ম জ্বালানি ভরা আছে!
১৭-১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত হ’ল প্রাণীজ পুষ্টি বিষয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন৷ নিউটাউন বিশ্ব বাঙলা কনভেনশন সেণ্টারে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ বেলগাছিয়া প্রাণী ও মৎসবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ গবাদি পশুর পুষ্টিকর খাদ্য, স্বাস্থ্য বিষয়ে সম্মেলনে আলোচনা হয়৷ আমেরিকা, থাইল্যাণ্ড, নেদারল্যাণ্ড, সার্বিয়া, কেনিয়া, চীন ও বাঙলাদেশের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন৷
পরিবেশ রক্ষায় চেতনা জাগাতে কলিকাতা থেকে সাইকেলে চড়ে ঢাকা রওনা দিলেন ১৪ জন ছাত্র---শিক্ষক৷ মহারাণী কাশীশ্বরী কলেজের ১৪ জন ছাত্র-শিক্ষক সাইকেলে চড়ে বনগাঁ, যশোর হয়ে ঢাকা পৌঁছাবে৷ কলেজের অধ্যক্ষা সীমা চক্রবর্ত্তী বলেন সবুজায়ন রক্ষায় নতুন করে গাছ লাগাতে সকলকে বার্তা দিতে এই সাইকেল র্যালি৷
আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের ১০৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী অন্তর্ভুক্ত হবে৷ আগামী জানুয়ারী মাস থেকেই প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে যাতে পড়ানো যায় তার ব্যবস্থা হচ্ছে৷ হাইস্কুলগুলোর ওপর থেকে অতিরিক্ত চাপ কমাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে শিক্ষা দপ্তর থেকে জানানো হয়৷