December 2019

রাণী রাসমণি রোডে আমরা বাঙালীর সমাবেশ

গত ১৬ই নভেম্বর কলকাতা রাণী রাসমণি রোডে আমরা বাঙালী এন. আর. সি.-র অজুহাতে বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করার প্রতিবাদে একটি সমাবেশের আয়োজন করে৷ পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার আমরা বাঙালীর কর্মী সমর্থক এই সমাবেশে যোগ দেন৷ এছাড়া অসম, ত্রিপুরা থেকেও প্রতিনিধিরা এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন৷

আড়ষায় অখণ্ড কীর্ত্তন

২রা ডিসেম্বর ঃ পুরুলিয়া জেলার আঢ়ষা খেদাড়ি গ্রামে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী হেমন্ত মাহাতর জ্যেষ্ঠা কন্যা কৃষ্ণা মাহাতর জন্ম তিথি উপলক্ষ্যে ২রা ডিসেম্বর সকাল ৭টা থেকে ছয় ঘণ্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ ‘বাবনাম কেবলম্’ এই মহানাম মন্ত্রে সকলেই এক স্বর্গীয়পরিবেশের মধ্যে দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করেন৷

কীর্ত্তন শেষে সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পর আচার্য সত্যস্বরূপানন্দ অবধূত

আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র, কীর্ত্তন, যোগসাধনা প্রভৃতি বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন৷ শেষে হেমন্ত মাহাতর জ্যেষ্ঠা কন্যা কৃষ্ণা সকলের আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন৷

রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ স্কুলের  বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

গত ১৬ই নভেম্বর  জঙ্গলমহলের রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ স্কুলের  বার্ষিক সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠান  জাঁকজমক সহকারে  সুসম্পন্ন হয়৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য-কাশীশ্বরানন্দ  অবধূত৷  প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির  আসন অলঙ্কৃত করেন যথাক্রমে মাণকপুর বিবেকানন্দ সেন্টিনারী কলেজের অধ্যাপক ডাঃ সৌমিত্র কুণ্ডু  ও ডঃ শান্তুনু  মিস্ত্রী৷ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রারা প্রভাত সঙ্গীত, নৃত্য, সংস্কৃত শ্লোক, ইংরেজী রাইমস, বাংলা ছড়া ও কবিতা, আনন্দবাণী প্রভৃতি পরিবেশন  করে উপস্থিত দর্শকদের  সবাইকে মুগ্দ  করে দেন৷ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের রচিত ‘নিসপেক্টর আসছেন’ গল্প অবলম্বনে নাটিকা পরিবেশন করেও  তারা দর্শকদের বিশেষ প্রশংসা

বাংলাদেশে লবণের অগ্ণিমূল্য

ডাকা (ঢাকা, বাংলাদেশ) ঃ কয়েকদিন ধরে হু-হু করে লবণের দাম বাড়ছে৷ হঠাৎ কী হ’ল, গুজব ছাড়িয়ে  পড়েছে যে বাংলাদেশে লবণের  ভাণ্ডার  শেষ হয়ে আসছে৷ বাজারে আর লবণ মিলবে না৷ জনসাধারণ উদ্বিগ্ণ হয়ে বেশী করে লবণ কেনবার জন্যে দোকানে ভীড় জমাচ্ছে৷ এই সুযোগে ব্যবসায়ীরাও লবণের দাম বাড়িয়ে  চলেছে৷

এই অবস্থায় প্রশাসন নড়ে  চড়ে  উঠেছে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে এটা অমূলক গুজব৷ এটা অসাধু ব্যবসায়ীদের কাজ৷ পুলিশ গুজব রটনাকারী ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ এই ভাবে  অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় ও মুনাফা লুঠে৷

বিচিত্র সংবাদ ---ঘোড়ার চা-পানের  নেশা

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম মেট্রোয় একটি খবর বেরিয়েছে ঘোড়া মশাইয়ের  সকালে চা না হলে চলবে না৷ আস্তাবল থেকে উঠতেই  চাইবে না৷ বড় এক  কাপের এক কাপ  চা দিলে তা খেয়ে এবার  যেকোনো কাজের জন্যে প্রস্তুত৷

ঘোড়াটির নাম জেক৷ লন্ডনের মাউণ্টেন পুলিশের  ঘোড়া ২০ বছর বয়সী এই জার্সে সাইড কাউন্টি পুলিশের  ঘোড়া কোনো এক  সময়ে তার প্রভুর চায়ের  কাপে  মুখ  দিয়ে  চায়ের  স্বাদ পেয়ে গেছল৷ তারপর থেকেই  চা- না হলে  তার চলে না৷ এখন সবাই তাকে আদর করে চা খাওয়ায়৷

হাওড়ায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১০ই নভেম্বর হাওড়ার রাণীহাটিতে হাওড়া জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রী সুব্রত সাহার বাড়ীতে অখণ্ড ‘বাবানাম কেবলম্’ মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী  কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ অনবদ্য নান্দনিক পরিবেশে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মার্গী ভাই-বোনেরা কীর্ত্তনে আপ্লুত হন৷ কীর্ত্তন শেষে স্বাধ্যায় করেন সবিতা দাস৷ কীর্ত্তন মাহাত্ম্য ও আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর মনোজ্ঞ আলোচনা করেন শ্রীসুব্রত সাহা, মহাব্রত দেব, বকুল রায় ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ পরিশেষে রাণীহাটী আনন্দমার্গ শিশুসদনের ছাত্রদের হাতে বই ও খাতা তুলে দেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷

শ্যামপুরে তত্ত্বসভা

২৪শে নভেম্বর হাওড়া জেলার শ্যামপুর ২ নং ব্লকের সুলতানপুরে একটি তত্ত্বসভার আয়োজন করেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী স্বতন্ত্র বৈতালিক৷ সভায় আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রীসুব্রত সাহা৷ তিনি সাংঘটনিক পর্যালোচনাও করেন৷

খেজুর / খেজুরের তাজা রস/ খেজুর গুড়

তালীবর্গের অন্যতম গাছ হচ্ছে খেজুর৷ সংস্কৃত ‘খর্জুর’ শব্দ থেকে বাংলায় তদ্ভব ‘খাজুর’ বা ‘খেজুর’ এসেছে৷ খেজুর গাছের সঙ্গে ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকেরা দীর্ঘকাল ধরেই পরিচিত৷ ভারতীয় বা ইন্ডিকা বর্গীয় খেজুরের মোটামুটি চারটি শাখা আছে–১) গাঙ্গেয় (গ্যাঞ্জেলাইটিস), ২) রাজস্থানী, ৩) গুজরাতী, ৪) দক্ষিণী (ডেকানাইটিস)৷ এদের মধ্যে স্বাদে–গুণে গুজরাতী খেজুর সর্বোৎকৃষ্ট৷ রাজস্থানী খেজুরও উন্নত মানের৷ দক্ষিণী খেজুর সাধারণ মানের৷ আর গাঙ্গেয় খেজুরের শাঁস বলতে কিছুই নেই৷ কিন্তু এই গ্যাঞ্জেলাইটিস্ প্রজাতির খেজুরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গাছগুলো একেবারে রসে টইটম্বুর৷ এই গাছগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে রস ও তাড়ি (শুদ্ধ বৈয়াকরণি

হাট/ঘাট

বাংলায় আর একটা কথা রয়েছে ‘হাট’৷ সংস্কৃত ‘হট্ট’ শব্দ থেকে ‘হাট’ শব্দটি এসেছে৷ যেমন পাশাপাশি সাজানো অনেকগুলি হাট, সংসৃক্তে ‘হট্টমালা’৷ ‘হট্টমালার গল্প’ তোমরা অনেকেই নিশ্চয় পড়েছ৷ সংসৃক্তে বড় বড় হাটকে বলে ‘হট্টিক’৷ হট্টূ + ‘ষ্ণিক্’ প্রত্যয় করে ‘হট্টিক’৷ যদিও বৈয়াকরণিক বিচারে ‘হট্টিক’ মানে ছোট হাট  হওয়া উচিত কিন্তু আসলে বড় হাট অর্থেই ‘হট্টিক’ শব্দটি ব্যবহার করা হ’ত৷ ‘হট্ট’–এর তদ্ভব বাংলা হচ্ছে ‘হাট’৷ যেমন রাজারহাট, বাগেরহাট, মাঝেরহাট প্রভৃতি৷ ‘হট্টিক’ শব্দের বাংলা ‘হাটি’৷ যেমন ‘নবহট্টিক’ থেকে ‘নৈহাটি’, ‘নলহট্টিক’ থেকে ‘নলহাটি’, ‘গুবাকহট্টিক’ থেকে ‘গৌহাটি’  (গুয়াহাটি) প্রভৃতি৷ দক্ষিণ বাংলায় হাটকে

শীতের রোগ থেকে বাঁচতে কী কী করবেন

ধীমান রায়

শীতকালে বাড়ীর তৈরী হালকা রান্না খাবার শরীরের পক্ষে ভাল৷ শরীরের জন্যে যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটা খান৷ অল্প অল্প করে বারে বারে খিদে পেলে খান৷ নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান৷ দুপুরের খাবার বিকেলে, বিকেলের খাবার সন্ধ্যায় বা রাতের খাবার অধিক রাতে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেবে৷ শীতে বিভিন্ন ফাস্ট ফুড তেল মশলা জাতীয় খাবার ও ফ্যাটিফুড জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় বা না খাওয়া যায় ততই ভাল৷ এতে শরীর সুস্থ থাকবে৷ বিভিন্ন মশলা জাতীয় খাবার রোগব্যাধী সৃষ্টি করে৷ একটা কথা মনে রাখতে হবে পেটের শত্রু হ’ল জিভ৷ মানুষ সাধারণত শরীরের জন্যে ভেবেচিন্তে খাবার খায় না৷ জিভের স্বাদের জন্য খায়৷ ফলে হজমের নানা সমস্যায় ভোগে৷