December 2019

একটি প্রশ্ণ

বিভাংশু মাইতি

জন্মের সময় গায়ে কোন নামাবলী ছিল না

হিন্দু-মুসলমানের বা বিজেপি-কংগ্রেসের৷

মরার পরেও নিদাগ দেহটা পড়েছিল

চিতায় ওঠার অপেক্ষায়.....

তবু, জীবনভর দুলতে থাকল

সম্প্রদায়ের দোলায়, ইচ্ছায় অনিচ্ছায়

মনের তরী ভাসতে ভাসতে ডুবে গেল

হিংসার ঘূর্ণাবর্ত্তে বিদ্বেষ সিন্ধুতে৷

সংকীর্ণ রাজনীতির যূপকাষ্ঠে

অবলীলায় বলি হবে আর কত

তরতাজা জীবন্ত যৌবন

আর কত কাল কেঁদে কাটাবে

তার অসহায় আত্মীয়স্বজন৷

গৃধ্র মানুষ! আর কতদিন

তোমার ভাইয়ের রক্ত দিয়ে

রাজনীতির তিলক কাটবে

আর কতদিন আমরা বুক বাঁধবো

জাগো বাঙালী জাগো

অমিতাভ মাইতি

ভাবো এবার ভাবো

বাঙালীস্তানের কথা ভাবো

জাগো এবার জাগো

যেথায় যত বাঙালী সব জাগো৷

কর ব্যর্থ কর

বাঙালী নাশের চক্রান্ত ব্যর্থ কর

দাঁড়াও রুখে দাঁড়াও

ঠেকাও সব আক্রমণ ঠেকাও৷

নাও ছিনিয়ে নাও

আপন অধিকার কেড়ে নাও

জাগো বাঙালী জাগো

প্রভাতের নতুন রঙে-রাঙো৷

শ্রেষ্ঠ শিল্প

কবি রামদাস বিশ্বাস

অসংখ্য শিল্পতে ভরা এই বিশ্ব

সাধনায় রত আছে অগণিত শিষ্য৷

কাঠ শিল্প বেত্র শিল্প মৃৎ শিল্প নামে

শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার সব ধরাধামে৷

চর্ম শিল্প, বংশ শিল্প, পাট শিল্প বস্ত্র শিল্প

বাটিক শিল্প, কাঁথা শিল্প, কারু শিল্প, চারু শিল্প৷

সাহিত্য নাটকাদি যাত্রা কবিগান

গ্রামে গ্রামে লোটো পালা আছে তরজা গান৷

যত রকম শিল্প আছে এই বিশ্ব মাঝেতে

সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্প সঙ্গীত গুণে এবং কাজেতে৷

সঙ্গীত শুরু হয় নন্দন বিজ্ঞানে

নন্দিত নন্দন ধায় মহিমের পানে৷

মহিম ছুটে চলে অসীমের টানে

যে জন শিল্পী ভবে সেই তাকে জানে৷

আছো তাই সবই পাই

শিবরাম চক্রবর্তী

তুমি আছো হৃদয় জুড়ে

গেলে দূরে মন যায় পুড়ে৷

তুমি আছো গানের সুরে

ভাব-ভাষায় বিভোর করে৷

তুমি আছো সর্বস্থানে

ব্রহ্মজ্ঞ জনে কেবল জানে৷

তুমি আছো রাতের কালোয়

দিনের বেলায় শুধুই আলোয়৷

তুমি আছো জড় চেতনে

সর্বজনের মন মরণে৷

তুমি আছো বরাভয়ে

রাখতে সবারে নির্ভয়ে

তুমি আছো সৃষ্টি-সঙ্গীতে

আবার আছো লয়ের ভিতে৷

তুমি আছো তারই ফলে

মন আনন্দে নেচে চলে৷

কুবুদ্ধির খপ্পরে সুবুদ্ধি রায়

ব্যাঞ্জনের বর্গীয় বর্ণমালার আদিকে ‘ক ’বর্গের প্রথম বর্ণ ‘ক’, অন্তে ‘প’ বর্গের শেষ অক্ষর ‘ম’৷ এখন প্রশ্ণ হ’ল কেন আগে ‘ক’ আর শেষে ‘ম’? এ জগৎ সৃষ্টি-স্থিতি-লয়াত্মক৷ সৃষ্টির বীজ ‘অ’৷ তাই স্বরবর্ণের যত অক্ষর আছে তাদের সবার আগে ‘অ’৷ আগে সৃষ্টি, তবে তো অন্য কিছু৷ তারপরে পালনের বীজ ‘উ’ আর প্রণাশের বীজ ‘ম’৷ তাই সৃষ্ট জগৎ এই ‘অ-উ-ম’ তিন ধবনিতে বিধৃত৷ এই তিন ধবনির মিলিত নাম ‘ওম্’ (অ+ ড+ ম= ওম্)৷

অসীমানন্দ স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতা

গত ৯ই নভেম্বর আনন্দনগর এস.এস.এ.সি. ফুটবল মাঠে ‘অসীমানন্দ স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়৷ মোট ৮টি দলকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতা হয়৷ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় আনন্দনগর এস.এস.এ.সি. ফুটবল দল৷ রানার্স হয় এস.এস.এ.সি. ডামরুঘুটু৷

আনন্দ প্রচেতা গার্লস্ ফুটবল টুর্ণামেণ্ট

গত ১৬ই নভেম্বর আনন্দনগরে আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের ফুটবল মাঠে আনন্দপ্রচেতা গার্লস্ ফুটবল টুর্ণামেণ্ট অনুষ্ঠিত হয়৷ ফাইনালে কে.এম.এফ.সি. জয়পুর ও কুসুমটিকরির মিলন সংঘের মধ্যে খেলায় ৪-২ গোলে কে. এম. এফ. সি. জয় হয়৷

বাঙলার মেয়ে মেহুলি ঘোষ সোনা জিতলেন

কাঠমাণ্ডুতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে (স্যাগ)-র ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জিতলেন বাঙলার মেয়ে মেহুলি ঘোষ৷ মহিলদের এই ইভেণ্টে তাঁর স্কোর ২৫৩.৩৷ আগে অপূর্বি চালিণ্ডা ২৫২.৯ পয়েণ্ট করে এই ইভেণ্টে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন৷ সেই অর্থে মেহুলী বিশ্বরেকর্ড ভাঙ্গলেন৷ কিন্তু যেহেতু আন্তর্জাতিক শুটিং সংস্থা সাউথ এশিয়ান গেমসের রেকর্ডকে মান্যতা দেয় না৷ যাই হোক ঊণিশ বয়সী মেহুলি এই প্রতিযোগিতার সেরা হয়ে আনন্দিত৷ তিনি প্রাক্তন অলিম্পিয়ান জয়দীপ কর্মকারের ছাত্রী৷ উল্লেখ্য ২০১৮-তে বিশ্ব এয়ার রাইফেল চ্যাম্পিয়নশীপে রূপো পেয়েছিলেন৷  আগামী দিনে বাঙালী মেয়েরা আন্তর্জাতিক স্তরে এগিয়ে যাবে এই আশা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিস

ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় ‘আমরা বাঙালী’

পশ্চিম রাঢ়ের এক বৃহদাংশ নিয়ে গঠিত হয়েছে বর্তমান ঝাড়খণ্ড রাজ্য৷ সাবেক বিহারের ছোটনাগপুর কমিশনের পাঁচটি জেলা (রাঁচী, পালামৌ, হাজারীবাগ, মানভূম ও সিংভূম) তৎসহ তৎকালীন সাঁওতাল পরগণা জেলাকে নিয়ে ইংরেজী সন ২০০০ খ্রীষ্টাব্দে ঝাড়খণ্ড রাজ্যটি গঠিত হয়েছে৷ এই ছয়টি জেলার মধ্যে মানভূম ও সিংভূম জেলার এমন কোনও মানুষ নেই যিনি বাংলা মোটেই বোঝেন না বা বাংলায় কথা বলতে পারেন না অর্থাৎ এই দুটি জেলার প্রত্যেকটি মানুষ বাংলায় কথা বলেন৷ সাঁওতাল পরগণা জেলায় প্রায় ২৫০ বছর আগে মধ্যপ্রদেশের বস্তার জেলা থেকে আগত সাঁওতাল জনগোষ্ঠী বাদে প্রত্যেকেই বাংলায় কথা বলেন৷ এছাড়াও রাঁচী জেলার পূর্বাংশে অবস্থিত সিল্লী, সোনাহাতু, বুন্

বন্যপ্রাণী বাঁচাতে প্রকৃতি প্রেমিকদের ওপর কোপ

মানুষের লোভ ও লালসার শিকার হয়ে বিপন্ন বন্যপ্রাণী৷ নির্বিচারে অরণ্য ধবংসের ফলে বন্যপ্রাণী আশ্রয় ও খাদ্য উভয় সংকটে পড়েছে৷ বিজ্ঞানীদের অনুমান এইভাবে চলতে থাকলে আগামী একশ’ বছরের মধ্যে বহু বন্যপ্রাণী পৃথিবী থেকে লুপ্ত হয়ে যাবে৷

কোস্টারিকার অরণ্যে প্রাণী বৈচিত্র্য বিশ্বের মানচিত্রে আলাদা স্থান করে নিয়েছে৷ কিন্তু মানুষের আগ্রাসন দিন দিন যেভাবে বাড়ছে, তাতে কোস্টারিকার গ্রীণ বৈচিত্র্যও বিপন্ন৷ তাই দেশের সরকার প্রাণী বৈচিত্র্য বাঁচিয়ে রাখতে বনাঞ্চলে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে৷ শুধু তাই নয়, অরণ্যের ভিতর দিয়ে যে সমস্ত রাস্তা গিয়েছে সেই সব রাস্তা দিয়েও সাধারণ মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করেছে৷