December 2019

বেলুনে  কমবে গরম

বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে অনেক আলোচনা, অনেক গবেষণা হচ্ছে৷ এ নিয়ে বিশ্বের বিজ্ঞানী মহল বেশ চিন্তিত৷ তবে এরই মধ্যে আশার কথা শোণাল আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা৷ তারা বেলুনের মাধ্যমে সূর্যের তাপ প্রতিরোধ করার পরিকল্পনা করছেন৷ তাদের এই পরকিল্পনার নাম স্ট্র্যাটোস্ফেরিক কণ্ট্রোলড পারটারবেশন এক্সপেরিমেণ্ট৷

সন্ত্রাসবাদী নয় বিপ্লববাদী

অষ্টমশ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে ক্ষুদিরামকে সন্ত্রাসবাদী বলা হয়েছিল৷ এই নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিতর্ক বাধে৷ ক্ষুদিরামকে কেন সন্ত্রাসবাদী বলা হয়েছে এই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ণ তোলে৷ চাপে পড়ে  শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষাবিদ ও বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের একটি সিলেবাস রিভিউ কমিটি গঠন করে দেন৷ কমিটির পক্ষ থেকে শিক্ষা  দপ্তরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় সন্ত্রাসবাদী নয়, বিপ্লববাদী কার্যকলাপ বলে অভিহিত করা হোক৷ প্রস্তাব এখন শিক্ষা দপ্তরে গৃহীত হওয়ার অপেক্ষায়৷

অশান্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চল, অগ্ণিগর্ভ অসম, ত্রিপুরা - নাগরিকত্ব বিভাজনের বিল পাশ সংসদে

সংখ্যাধিক্যের জোরে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হ’ল সিটিজেনশিপ্ এ্যামেণ্ডমেণ্ট বিল৷ ধর্মমতের ভিত্তিতে তৈরী এই বিল দেশের অখণ্ডতাকে বিপন্ন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায়৷ তিনি বলেন, বাঙালী বিদ্বেষী কেন্দ্রীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য বাঙালী জনগোষ্ঠীকেই নির্মূল করে দেওয়া৷ বাঙালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে ও বাঙলাকে শোষণের স্থায়ী বন্দোবস্ত করতেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিভাজনের বিল এনেছে৷ তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক৷ অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশছোঁয়া৷ এই পরিস্থিতিকে চাপা দিতেই নাগরিকত্

উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আক্রান্ত বাঙালীরা

অশান্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিপন্ন বাঙালীরা৷ অসম, ত্রিপুরার বেশ কিছু অঞ্চলে সিটিজেনশীপ অ্যামেণ্ডমেণ্ট বিল বিরোধী আন্দোলনকারীদের কোপ বাঙালীদের ওপর পড়ছে৷ অসমের আমবাগানে বাঙালীদের দোকান, বাড়ীঘর ভাঙচুর ও অগ্ণিসংযোগ করা হয়৷ তবে বাঙালীরা সংঘবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানোয় হামলাকারীরা পিছু হটে৷

মোহনপুরে প্রাউট তত্ত্বসভা

গত ৮ই ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোহনপুরে প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের স্থানীয় শাখার পক্ষ থেকে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বর্তমান সামাজিক-অর্থনৈতিক সঙ্কট ও পরিত্রাণের পথ৷ উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় শিক্ষিত যুবক ও বুদ্ধিজীবী বিশিষ্ট জনেরা৷

বিশ্বের জনপ্রিয়তম শহরের তালিকায় কলকাতা

মহানগর কলিকাতা, মিছিলনগরী কলিকাতা, ক্রিকেটের নন্দনকানন, এই শহরে অবস্থিত৷ ভারতের সাংসৃকতিক শহর কলিকাতা৷ আন্দোলনের শহর কলিকাতা৷ সতীদাহের মত নৃশংস কু-প্রথা রোধে, বাল্যবিবাহ রোধে, এই শহর থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন রামমোহন, বিদ্যাসাগর৷ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের দুই আদর্শ পুরুষ দেশবন্ধু, সুভাষচন্দ্র এই শহর থেকে গর্জে উঠেছিলেন৷

সম্প্রতি ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনাল স্টেটাসের এক রিপোর্টে প্রকাশ বিশ্বের পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তম একশোটি শহরের মধ্যে কলিকাতার স্থান ৭৬তম, তবে অচিরেই তা ৭৪তম স্থানে উঠে আসবে৷

নীটের প্রসপেক্টাসে বাংলা নেই, ক্ষুব্ধ ‘আমরা বাঙালী’

মুখে যতই বাঙলা প্রেম দেখাক বিজেপির রক্তে বাঙালী বিদ্বেষের বীজ লুকিয়ে আছে৷ ১৮ সাংসদ দিল্লী গিয়ে হিন্দীর দাস হয়ে বসে থাকেন৷ বাঙলার প্রতি বঞ্চনারপ্রতিবাদে একটা কথাও বলেন না৷ নীটের প্রসপেক্টাস অসমীয়া, ওড়িয়া ভাষায় প্রকাশ হচ্ছে অথচ বাঙলায় হয় না৷ এরপর কোন বিজেপি নেতা বাঙলার উন্নয়ন নিয়ে কোন কথা বললে মুখে আলকাতরা লেপে দেওয়া উচিত৷ নীটের প্রসপেক্টাসে বাংলা না থাকায় এই ভাষাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায়৷

‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব’ নামকরণের তাৎপর্য

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার তাঁর নোতুন সামাজিক-অর্থনৈতিক তত্ত্বের নামকরণ করেছেন ‘Progressive Utilization Theory’’ ( এরই সংক্ষিপ্ত রূপ PROUT) প্রাউট৷ এর  বাংলা হল প্রগতিশীল  উপযোগ তত্ত্ব৷ প্রশ্ণ জাগতে পারে প্রাক্তন প্রবক্তা তাঁর  তত্ত্বের  নাম এরূপ রাখলেন কেন?

সারকথা যুদ্ধায় কৃত নিশ্চয়

জগতে যেসব বস্তুকে আমরা নিত্য বলে মানি তাদের নিত্যতাপ্রদানকারীও  পরমপুরুষ৷ বস্তু হ’ল প্রতিফলিত সত্তা–রিফ্লেক্টেড এণ্ঢিটি৷ চেতন বস্তুর মনঃশক্তিও তাঁর থেকেই এসেছে৷ তিনি সকলের প্রয়োজনের পূর্তি ঘটান–পিঁপড়ে থেকে হাতী পর্যন্ত, ছোট ছোট জীব থেকে সমুদ্রের বড় বড় জানোয়ার পর্যন্ত সকলের৷ এতই উদার তিনি৷ সেইজন্যেই তিনি জগতের কর্তা, অধিকর্তা, প্রভু৷ এই রকম উদারতা লাভ করতে পারলে তুমিও তিনি হয়ে যাবে৷

শোষণের বহুবিধ রূপ

লোকে প্রায়ই বলে থাকে যে বিশেষ কোনো ব্যষ্টি অথবা বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের লোকেরা ভীষণভাবে শোষিত হচ্ছে৷ শোষণ বলতে তারা এটাই ক্ষোঝে যে এইসব লোকেরা অর্থনৈতিক  স্তরে শোষিত হচ্ছে৷ কিন্তু যদি আমরা এই বিষয়টির গভীরে প্রবেশ করি তাহলে আমরা উপলব্ধি করব যে শোষণ শুধুমাত্র অর্থনৈতিক স্তরেই সংঘটিত হচ্ছে না, মানবাস্তিত্বের অন্যান্য স্তরেও বিভিন্ন রূপে বিচিত্র ভাবে তার অস্তিত্ব রয়েছে৷ যখন আধিভৌতিক স্তরে (physical stratum) শোষণ হয় তখন সেটা যে সব ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক হবে এমন নয় এটা প্রায়ই সামাজিক ও অনেক ক্ষেত্রে অপ্রত্যক্ষভাবে সামাজিক হয়ে থাকে৷ দৃষ্টান্ত–স্বরূপ বলা যায় কায়েমী স্বার্থবাহকেরা কোনো একটা পর্যায়ে জনমা