February 2020

করোনায় আক্রান্ত  হতে পারে অর্ধেকের বেশী মানুষ

বিশ্বের প্রথম সারির গবেষক হংকংয়ের গ্যাব্রিয়েল লিউং৷ তিনি ভাইরাস নিয়ে সাধারণতঃ গবেষণা করে থাকেন৷ নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে তিনি সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে৷ এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৯৯ শতাংশ চীনের, কিন্তু যে ১ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত মানুষ বিশ্বের অন্যন্য দেশে ছড়িয়ে আছে তাদের মাধ্যমেই সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ তিনি বলেন অবিলম্বে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে করোনা ভাইরাস৷

এন আর সি তথ্য উধাও

অসম সরকারের ওয়েব সাইট থেকে নাগরিকপঞ্জীর সমস্ত তথ্য উধাও হয়ে গেছে৷ গত প্রায় দু’মাস ধরে নাগরিকপঞ্জীর কোন তথ্যই ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে না৷ বিরোধীদের অভিযোগ সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই সমস্ত তথ্য সরিয়ে দিয়েছে৷ এন.আর.সি. কর্তৃপক্ষ জানান আশঙ্কার কোন কারণ নেই, প্রযুক্তিগত ত্রুটির ফলে এটা হয়েছে৷ সব তথ্য সংরক্ষিত আছে৷

আনন্দমার্গের অত্যুৎকৃষ্ট আদর্শের দীপশিখা জ্বালিয়ে রাখতে  মহাসমারোহে নীলকণ্ঠ দিবস পালন

নিজস্ব সংবাদাতা ঃ ১৯৭৩ সালের এই ১২ ফেব্রুয়ারী তারিখে পাপশক্তির ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আধ্যাত্মিক শক্তিবলে মারাত্মক বিষকে আত্মস্থ করেছিলেন৷ পৌরানিক কাহিনী অনুসারে সমুদ্রোত্থিত মারাত্মক বিষকে শিব কন্ঠে ধারণ করে ওই মারাত্মক বিষের বিষক্রিয়াকে ব্যর্থ করে’ ‘নীলকন্ঠ’ রূপে পরিচিত হয়েছিলেন, তেমনি শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীকেও হত্যা করার জন্যে তাঁর প্রতি প্রয়োগ করা বিষের মারাত্মক বিষক্রিয়াকে আধ্যাত্মিক শক্তি বলে ব্যর্থ করে দিয়েছিলেন৷ প্রমাণ করেছিলেন অত্যুৎকৃষ্ট আদর্শের অনির্বাণ দীপশিখা আনন্দমার্গকে ধবংস করা যাবে না৷

গত ১২ই ফেব্রুয়ারী কলকাতায় আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রম সহ বিশ্বের সর্বত্র  মহাসমারোহে ‘নীলকন্ঠ দিবস’ পালিত হয়৷ 

এই উপলক্ষ্যে এদিন কলকাতা ও পাশ্ববর্তী এলাকার  আনন্দমার্গীরা কেন্দ্রীয় আশ্রমে মিলিত হয়ে বিকেল ৩টে থেকে ৬টা পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন করেন৷ এর পর মিলিত সাধনা  ও স্বাধ্যায়ের  পর  আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত কীভাবে মার্গগুরু  শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীকে বারে  বারে হত্যা করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল তার বিস্তারিত ইতিহাস বর্ণনা করেন৷  শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী যে সমাজের সমস্ত প্রকার অন্যায় ও শোষণের অবসান ঘটিয়ে সমাজে ন্যায়, সত্য ও ধর্মের প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী, তা জানতে পেরে কায়েমী স্বার্থবাদীরা বারে বারে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে৷ ১৯৬৭ সালে আনন্দনগরে,১৯৭০ সালে কোচবিহারেও তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল৷ এতে

কলকাতায় আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ৭,৮ ৯ ফেব্রুয়ারী কলকাতায় আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় আশ্রমের জাগৃতি ভবনে আনন্দমার্গের সেমিার অনুষ্ঠিত হয়৷ এটি হ’ল প্রথম ডায়োসিস স্তরীয় সেমিনার৷ এই সেমিনারে আলোচ্য বিষয় ছিল সাধনা ও মধুবিদ্যা, জাগ্রত বিবেক, ভক্তি ও কৃপা ও প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্র৷ এই সেমিনারে মুখ্য প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত, আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ অভিষা আচার্যা প্রমুখ৷

কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ থেকে আনন্দমার্গীরা এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন৷

চিরন্তন প্রেরণার উৎস–নীলকণ্ঠ দিবস

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে, যখনই কোনো মহাপুরুষ প্রচলিত ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের বিরোধিতা করেছেন, সামাজিক–র্থনৈতিক নানান শোষণ ও অবিচারের প্রতিবাদ করেছেন, শোষণমুক্ত সমাজের আদর্শ তুলে ধরেছেন, তখনই তাঁর বিরুদ্ধে শোষকশ্রেণী বা কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী ও তাদের স্তাবকরা নানা ভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, এমন কি তাঁদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যে নানান্ভাবে চেষ্টা চালিয়েছে৷

তাই সক্রেটিসকে হেমলগ বিষ পান করানো হয়েছিল,  যীশুখৃষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল–এমনি অজস্র উদাহরণ ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে৷

নীলকণ্ঠ দিবসের তাৎপর্য

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

জগৎগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তাঁর একটি বাণীতে বলেছেন ---

‘‘ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই মানুষ ধার্মিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বা অন্য কোন ক্ষেত্রে স্পষ্ট কথা বলেছে, সন্দেহের নিরসন করেছে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, তখনই তার বিরুদ্ধে পাপ শক্তি ষড়যন্ত্র করেছে, বিষ প্রয়োগ করেছে, অপপ্রচার করেছে, ক্ষেপে মরিয়া হয়ে উঠেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে৷ নিষ্ঠুর ভাবে আঘাতের পর আঘাত হেনেছে, কিন্তু সেই আঘাতই আবার প্রত্যাহত হয়ে তারই কাছে ফিরে গেছে৷ নিজের আঘাতের প্রত্যাঘাতেই পাপশক্তি বিনষ্ট হয়েছে৷ তোমরা জেনে রেখো, ইতিহাসের অমোঘ বিধানে পাপ শক্তিকে বিধবস্ত হতেই হবে৷’’

লক্ষ্যহীন, অর্থহীন আয়-ব্যয় মাত্রিকা

প্রভাত খাঁ

কেন্দ্রীয় সরকারের এবারে আয়-ব্যয় মাত্রিকায় এমন কোন পথ নির্দেশনা নেই যাতে বর্তমান চরম আর্থিক দুরাবস্থার সুরাহা হতে পারে৷

উল্লেখ্য এই বিজেপি সরকার যে জি.এস.টি নামক এক কর কাঠামো ১৩০ কোটি জনগণের ঘাড়ে চাপিয়েছে সেটাই অদ্যাবধি সাধারণ মানুষ-এর বোধগম্য হয়নি৷ বরং তার কারণে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দিন দিন বেড়ে চলেছে৷ তার সদুত্তর জনগণ পাচ্ছেন না বিক্রেতাদের কাছ থেকে৷ ‘‘একটাই উত্তর দাম বাড়ছে’’৷

নীলকণ্ঠ দিবস ও প্রাউট কি ও কেন

অনন্যা সেনগুপ্ত

আমরা জানি সদাশিবকে নীলকণ্ঠ বলা হয়৷ কারণ সমুদ্র মন্থনের সময় যে গরল অর্থাৎ বিষ উঠেছিল তিনি তা নিজ কণ্ঠে ধারণ করে জগৎকে বাঁচিয়েছিলেন৷ বিষ ধারণের ফলে তাঁর কণ্ঠ নীল হয়ে যায়৷ সেই থেকে শিবের এক নাম নীলকণ্ঠ হয়৷

রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি ফাঁকা বুলি - নিলাম হচ্ছে পাঁচগ্রাম কাগজ কল

শিলচর : বন্ধ হয়ে পড়ে আছে পাঁচগ্রাম কাগজ কল৷ কর্মীরা তিন বছর বেতন পাচ্ছে না৷ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন পেপার মিলের জমি সরকার অধিগ্রহণ করবে ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেবে৷ রাজ্য সরকার পাঁচগ্রাম ও জাগী রোডে দুটি কারখানা অধিগ্রহণ করার কথা দিয়েছিল কিন্তু লাভ লোকসানের অঙ্ক কষে সরকার পিছিয়ে আসে৷ ঠিকাদার ও শ্রমিকদের পাওনা মেটাতে যে অর্থের প্রয়োজন কারখানা অধিগ্রহণ করে সে টাকা পাওয়া যাবে না৷