February 2020

ভক্তিরেব গরীয়সী

মানসপট আর মনের ময়লা

নির্গুণ ব্রহ্মের কোনো রূপ নেই৷ তিনি নিরাকার৷ এই ব্রহ্মই সগুণ ব্রহ্মরূপে (যা নির্গুণ ব্রহ্মের কার্যান্বিত রূপ), প্রকৃতির সহায়তায় ব্রহ্মভাবের জন্ম দেন, সেই সগুণ ব্রহ্ম প্রতিটি ধূলিকণায় ব্যাপ্ত আছেন৷ আমার মানসপটের ওপর ব্রহ্মের প্রতিচ্ছায়া পড়ছে, আর এই প্রতিচ্ছায়া কিরকম ভালভাবে পড়বে তা নির্ভর করে আমারই সংস্কারের ওপর৷ মানসপট যত মলযুক্ত হবে, তার ওপর ততখানিই খারাপ প্রতিফলন পড়বে৷ সাধনার দ্বারা আমরা মনের এই ময়লাকে পরিষ্কার করি৷

শোষণমুক্ত বিশ্বায়ন

দুটি অঞ্চল উন্নয়নের প্রায় সমস্তরে এসে পৌঁছলে তাদের পক্ষে এক–সঙ্গে মিলিত হয়ে বৃহত্তর সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে’ তোলা সম্ভব৷

দুই বা ততোধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চল একসঙ্গে মিলিত হতে পারে যদি কয়েকটি শর্ত পূরণ হয়৷ শর্তগুলি হ’ল–

দিশাহীন কেন্দ্রীয় আয়-ব্যয় মাত্রিকা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

গত ১লা ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২০-২০২১ আর্থিক বৎসরের জন্যে আয়-ব্যয় মাত্রিকা (বাজেট) প্রকাশ করলেন৷ বর্তমানে দেশে যে অভূতপূর্ব আর্থিক মন্দা চলছে এই সমস্যার সুরাহার জন্যে কেন্দ্র কি পরিকল্পনা নিচ্ছেন তারই প্রকাশ ঘটেছে এই আয়-ব্যয় মাত্রিকায়৷

দীপ নিভিবে না

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

এন আর সি-র কালো ধোঁয়া, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের অন্ধগলি, রাষ্ট্রহীনতার আশঙ্কা, রাজনৈতিক তঞ্চকতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক সাম্প্রদয়িক বিভেদ, সাংসৃকতিক অবক্ষয়, শিক্ষার পবিত্র অঙ্গণে উচ্ছৃঙ্খলতা, সাহিত্যের নামে অশ্লীলতা, ধর্মের নামে বেলেল্লাপনা, সোনার বাঙলার স্বপ্ণ দেখিয়ে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদীর অনুপ্রবেশ, আদর্শহীন ভোট সর্বস্ব রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় পররাজ্যবাসীদের তোষণ--- বাঙালীর জীবনে সূর্যোদয়ের সকালটাও কালো অন্ধকারে ঢেকে দেয়৷

হায় গণতন্ত্রই আজ দলীয় স্বার্থে ক্ষতবিক্ষত হয়ে চলেছে

প্রভাত খাঁ

২৬শে নভেম্বর হলো পবিত্র  সংবিধান দিবস এই দিনে মহান্ দেশনেতা বি.আর. আম্বেদকর বিভিন্ন দেশের সংবিধানের সারমর্মগুলি গ্রহণ করে ভারতের মৌলিক আদর্শকে সামনে রেখে ভারতের সংবিধান রচনা করেছিলেন৷ এটি একটি অভিনব সংবিধান যা সর্বাপেক্ষা বৃহত্তম সংবিধান বলে পরিচিত৷

এই পবিত্র দিবসে  কেন্দ্রের সেন্ট্রাল হলে বর্তমান সরকার উভয়কক্ষের  প্রতিনিধিদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে  মহান দিনটিকে স্মরণ করেন৷ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং উপস্থিত ছিলেন৷

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাননীয় নরেন্দ্র মোদী সংবিধানকে পবিত্র বই’’ হিসাবে  ঘোষণা করেন৷

বাঙালী আর কবে বুঝবে?

আগরতলা থেকে শঙ্কর দাশ

কাঞ্চনপুর প্রমাণ করে দিল বাঙালী বাঙালীই৷ তার হিন্দু-মুসলমান কোন জাত বিভেদ নেই৷ হিন্দু হয়েও একদল নিজ দেশ বা রাজ্যে আক্রান্ত হিন্দুদের পাশে আজ দুই মাসে দাঁড়াতে পারলেন না, অথচ কথায় কথায় বাঙলাদেশের হিন্দুদের দুর্দশার জন্য বিগলিত হয়ে ওঠে৷ বাঙালী এই ভণ্ডদের চিনতে শিখুন৷ একটু বোঝার চেষ্টা করুন৷ কিভাবে শোষক হিন্দী সাম্রাজ্যবাদ হিন্দুত্ববাদের সেণ্টিমেণ্ট দিয়ে বাঙালীর বিরুদ্ধে বাঙালীকে ব্যবহার করছে৷

কেন বাঙালী জাতির ওপর হিন্দী সাম্রাজ্যবাদের আঘাত

এইচ.এন. মাহাতো

বাঙালী জাতিসত্ত্বাকে কেন বার বার প্রথমে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ পরবর্তীতে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদ আঘাতে ক্ষত -বিক্ষত করে চলেছে৷ এর কারণগুলো কখনো  ভেবে দেখেছেন কি? আজকের আলোচনায় কয়েকটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি৷

প্রথমতঃ ভারতের আধ্যাত্মিকতাকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়৷ (১) অন্তর্মুখী, (২) বহির্মুখী৷

অথ সরিত কথা

জয়ন্তী চক্রবর্তী

পৃথিবীর ৩ভাগ জল, একভাগ স্থল ৷ তবু এই এক ভাগের তৃষ্ণাও মেটাবার মত যথেষ্ট জল আজ আর এই নীল গ্রহে নেই৷ বিবেচনাহীন অপচয়ই তার একমাত্র কারণ৷ আমরা নদীর তীরে বসতি শুরু করেছি তারপর জীবন যাপনের যাবতীয় বর্জ্র্য ছঁুড়ে দিয়েছি নদীরই জলে৷ নদীর তীরে কলকারখানা করেছি, বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য ফেলে ফেলে দূষিত করে দিয়েছি মায়ের দুধের মত পবিত্র মধুর অমৃত সমান জলধারাকে৷ যত্রতত্র বাঁধ দিয়ে উন্নয়নের নামে ডেকে এনেছি নদীর মৃত্যুকে৷ অপরিনামদর্শী এই আমরাই আবার নদী কে মাতা বলি, দেবী বলি, পাঁঠা বলি দিয়ে গঙ্গা পূজো করি৷ গঙ্গা তীরে ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করি, প্লাস্টিকে মোড়া শাড়ি ছুঁড়ে দিই গঙ্গাজলে---মাতা পরবেন৷ অশিক্ষা,

প্রজাতন্ত্রের সত্তর বছর পেরিয়ে.......

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০২০ সনের ২৬শে জানুয়ারী ভারতের ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবস সমগ্র ভারতবর্ষে যথাযোগ্য শ্রদ্ধা, সম্মান  ও সমারোহ সহযোগে নিষ্পন্ন হল৷ ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় ও ভারতকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতবর্ষের সংবিধানে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে,‘‘প্রজা’’ বা নাগরিক সমুদায়কে৷ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলির সুরক্ষা ও রাষ্ট্র নির্মাণে নাগরিকগণের দায়িত্ব তথা কর্ত্তব্য সমূহ সুনির্দিষ্ট করাই ছিল সংবিধান প্রণেতাগণের  মূল লক্ষ্য৷ তৎকালীন ভারত বর্ষে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের সুবিধার্থে সংরক্ষ

মাইক্রোবাইটামের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার মাইক্রোবাইটাম সম্পর্কে বহু তথ্য দিয়েছেন৷ এই তথ্যগুলির মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হ’ল৷

(১) অতীতে পজেটিব মাইক্রোবাইটার বিরাট প্রয়োজন হয়নি৷ এই প্রথম সাধারণ মানুষের আধ্যাত্মিক প্রগতির জন্য মাইক্রোবাইটামকে প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ বলা বাহুল্য এই পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ব্যাপক ব্যবহার পৃথিবীর বুকে প্রথম প্রয়োজন ও ব্যবহার করার জন্য শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন৷