February 2020

মার্গগুরুর পদার্পণ দিবস

হাওড়ার  উলুবেড়িয়াতে ১৬ই জানুয়ারী ১৯৭১ সালে জগৎগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ দিবস উপলক্ষ্যে সাধন, ভজন,কীর্ত্তন নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছিল৷ কম্বল বিতরন, দীক্ষাগ্রহণ ও হয়েছিল৷ পৌরহিত্য করেন হুগলী ডায়োসিস সচিব আচার্য সুবিকানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠান  পরিচালনা করেন আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানে  সঙ্গীত পরিচালনা করেন  ডি.এস.এল দিদি আনন্দ রূপলীলা আচার্যা ও বকুল রায় উক্তদিনের তাৎপর্য্য ব্যাখ্যা করেন৷

শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ১৯শে জানুয়ারী প্রবীন  আনন্দমার্গী নিশীথ রীতের মাতৃদেবী তারাবালা দেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান লিলুয়ার খালিয়ায়  বাসভবনে মার্গীয় বিধি অনুযায়ী সুসম্পন্ন হয়৷ পৌরোহিত্য করেন আচার্য্য সুবিকাশানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের তাৎপর্য্য ব্যাখ্যা করেন ভূক্তিপ্রধান  সুব্রত সাহা ও সুবিকাশানন্দ অবধূত ও গান কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন মহাব্রত দেব৷ উক্ত অনুষ্ঠানে শীত বস্ত্র  দুঃস্থ মানুষদের হাতে তুলে দেন নিশীথ রিত৷

আমতায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৬ই জানুয়ারী সকল ৯টা ৩০মিনিট থেকে ১২.৩০ পর্যন্ত ‘াা নাম কেবলম্’ অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয় আমতা আনন্দমার্গ স্কুলে৷

কীর্ত্তন শেষে কীর্ত্তনের মাহাত্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন  আচার্য সুবিকাশানন্দ  অবধূত ও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রীলক্ষ্মীকান্ত হাজরা৷

কাঞ্চনপুরে নির্যাতীত বাঙালীদের পাশে ‘আমরা বাঙালী’

আগরতলা, উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে উপজাতি আক্রমণে সর্বস্বান্ত হয়ে ঘরবাড়ী ছেড়ে আনন্দবাজার থানার একটি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ৯৩টি বাঙালী পরিবার৷ সেখানে তারা খুবই বিপন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে৷ খাদ্য নেই, অসুস্থদের চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই, ৯৩টি পরিবারের ৩১৭ জন মানুষ এই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন৷ এরা সবাই হিন্দু বাঙালী৷ ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে বিজেপি নেতারা বাঙলাদেশের হিন্দুদের দুঃখে বিগলিত হয়ে পড়ে৷ আজ তারা বলুক ত্রিপুরার বিজেপি সরকার এই বিপন্ন হিন্দুদের পাশে নেই কেন?

কলকাতা বইমেলাতে আমরা বাঙালীর মৌন মিছিল

গত ৩০শে জানুয়ারী  ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের বেশ কিছু কর্মী ও সমর্থক বইমেলা প্রাঙ্গণে নাগরিক সংশোধনী আইন বিরোধী পোষ্টার ও ব্যানার নিয়ে মৌন মিছিল করে৷ মিছিল মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে বুক সেলার্স অ্যাণ্ড গিল্ড-এর অফিসের সামনে শেষ হয়৷ মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ, তপোময় বিশ্বাস, অরূপ মজুমদার, সোমা ভট্টাচার্য প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷ (ছবি ঃ ইণ্টারনেট)

গত ২রা ফেব্রুয়ারীও বইমেলা প্রাঙ্গণে এন.আর.সি. ও নাগরিক সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে  আমরা বাঙালী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷

দিল্লীতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি ও তার প্রতিক্রিয়া

সি.এ.এ. ও এন.আর.সি.-র বিরুদ্ধে সারা দেশ জুড়ে আন্দোলন অব্যাহত৷ দিল্লীর জামিয়া মিলিয়ার পর শাহিনবাগেও সি.এ.এ. বিরোধীর ধর্না মঞ্চের সামনে গুলি চলল৷ এদেশে হিন্দু ছাড়া আর কারোর থাকা চলবে না৷---জোর গলায় এই দাবী করে বিক্ষোভকারীদের সামনে শূন্যে গুলি ছুঁড়ল এক যুবক৷ পুলিশ তাকে কোন বাধা দিতে আসেনি৷

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে এইভাবে দমন করার পেছনে শাসকগোষ্ঠীর যে হাত আছে তা আনুপূর্বিক ঘটনা প্রবাহ থেকে স্বততঃই প্রমাণিত হয়, প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেউ এই পিস্তলধারীর নিন্দা করেননি৷ বরং সরকার পক্ষের বিভিন্ন নেতৃবর্গ এই যুবকদের প্রশংসাই করেছে৷

বিভিন্ন স্থানে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৯শে জানুয়ারী পুরুলিয়া জেলার আড়ষা পোষ্ট  অফিস মোড়ে বাঘেশ্বর কুমারের বাড়ীতে তিন ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবানাম কেবলম্’ অখণ্ড মহাসংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল ৯টা থেকে ১২ পর্যন্ত এই কীর্র্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনার পর স্বাধ্যায় করেন আচার্য লীলাধীশানন্দ অবধূত৷ এরপর আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গ কী ও আনন্দমার্গের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন৷ এরপর অবধূতিকা আনন্দসুমিতা আচার্যা কীর্ত্তনের মাহাত্ম্য ও ‘বাবানাম কেবলম্’ কীর্ত্তনের ‘বাবা’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত ব্যাখ্যা দেন৷ সবশেষে আচার্য সত্যস্বরূপানন্দ অবধূত উপস্থিত ভক্তমণ্ডলীর কাছে আনন্দমার্গের সর্বানুসূ্যত দর্শনকে

স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম-জয়ন্তী পালন

গত ১২ই জানুয়ারী পুরুলিয়া জেলার জয়পুর ব্লকের পুন্দাগ নেতাজী মোড়ে ‘আমরা বাঙালী’ পুন্দাগ আঞ্চলিক কমিটির পক্ষথেকে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম-জয়ন্তী পালন করা হয়৷ বিবেকানন্দের মূর্ত্তিতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ৷ উপস্থিত ছিলেন বনমালী মাহাত, বিভূতি দত্ত, নাগেশ্বর মাহাত, শক্তি গরাই, ঠাকুরদাস কিসকু, অঞ্জলী গরাই,  দশরথ টুডু প্রমুখ৷

যোয়ান

পরিচয় ঃ যদিও ভাবারূূার্থে গন্ধপত্র, গন্ধপত্রী, গন্ধপত্রা তিনই এক........তিনেরই মানে যার পাতায় গন্ধ আছে, কিন্তু যোগারূূার্থে তারা পৃথক৷ মেথী (মধুগন্ধী বা মেথিকা) বা যোয়ান (যমানী বা যমানিকা যা থেকে হিন্দীতে জমাইন) সুগন্ধী পত্রের জন্যে প্রাচীনকাল থেকে আদৃত৷ পাকস্থলীতে যম অর্থাৎ সংযম অর্থাৎ ন্তুপ্সুব্ধব্জপ্সপ্ত আনে বলেই একে যমানী বা যমানিকা বলা হয়৷ যমানিঞ্ছযঞাঁইঞ্ছ যোয়ান৷ হিন্দীতে ‘জ’ দিয়ে লিখতে হবে৷ বাংলায় লিখতে হবে ‘য’–দিয়ে৷  অনেকে বলেন নাম যমানী বা যমানিকা কিনা, তাই যমকে দূরে ঠেকিয়ে রাখে৷ যোয়ান একটি শীতের রবি ফসল৷ এর জন্যে আলাদা করে জমি নির্দিষ্ট করে রাখা যেতে পারে৷ আবার আলুর খেতে রন্ধনী (রা

প্রাগৈতিহাসিক সমাজ

প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষ–সমাজে নারীর স্থান ছিল অন্যান্য যে কোন জীবের স্বাধীন নারীর মতই৷ পুরুষেরা যেমন প্রকৃতির কোলে নেচে গেয়ে হেসে খেলে জীবন কাটিয়ে দিত নারীরাও তা–ই করত৷ এই অবস্থা চলেছিল যখন মানুষ সমাজ বলতে কোন কিছুই গড়েনি তখন তো বটেই, তার পরেও মাতৃশাসনের যুগেও৷ কিন্তু যখনই পিতৃশাসিত সমাজ ব্যবস্থা এল তখনই নারীর অধিকার ক্রমশঃ সঙ্কুচিত করা হতে থাকল৷ গোড়ার দিকে ঠিক করা হ’ল মেয়েরা ততটুকু স্বাধীনতা ভোগ করবে যতটুকু বিবাহের পরে তার শ্বশুরকুল তাকে ভোগ করতে দেবে বা বিবাহের পূর্বে পিতৃকুল তাকে যে সুযোগটুকু দেবে৷