July 2020

চীনা দূতাবাসের সামনে ‘আমরা বাঙালী’র বিক্ষোভ

৩রা জুলাই  ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে চীনা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ সভা করে, সম্প্রতি লাদাখ সীমানা চীনা কম্যুনিষ্ট সরকারের আগ্রাসন ও ২০জন ভারতীয় জোয়ানকে হত্যার প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী বিক্ষোভ দেখায়৷ নিহত ২০ সেনার দুজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা৷

ভারতীয় রেল ১০৯টি রুটে প্যাসেঞ্জার ট্রেন বেসরকারী করণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

গত ২রা জুলাই এই সিদ্ধান্ত রেলমন্ত্রক নিয়েছে৷ রেলের সার্বিক উন্নয়নে৷ গতি বৃদ্ধি হবে ও প্রায় ১৪০ মাইল বেগে রেলগাড়ি চলবে৷ এর উন্নয়নে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা  বিনিয়োগ করা হবে৷ এতে বিরোধী দলগুলি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ লোকসভা বন্ধ , সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ এখন প্রশ্ণ বেসরকারী করণে নিশ্চয় ধনী গোষ্ঠী এর মালিক হবে৷ তা হলে গরীব দেশের জনগণের উপর আর্থিক কোটা নিশ্চয়ই বেশি পড়বে৷ টিকিটের দাম অবশ্যই  আকাশ ছোঁয়া হবে৷ যেটি তাঁদের নাগালের বাহিরে যাবে৷

প্রাচীন বাঙলার খাদ্যাভাস প্রসঙ্গে

বাংলায় ‘গাছা’, ‘গাছি’, ‘গাছিয়া’, (‘গেছে’)–এইসব নামে প্রচুর স্থান রয়েছে৷ বাংলা ভাষায় এই ‘গাছ’ কথাটার উৎস জানা দরকার৷ গাছের সংস্কৃত প্রতিশব্দ ‘বৃক্ষ’ কিন্তু তাই বলে বাংলা ‘গাছ’ শব্দটা সংস্কৃত ‘বৃক্ষ’ থেকে আসে নি বা ‘গাছ’ শব্দটার মূল কোন সংস্কৃত শব্দ নেই৷ ‘গাছ’ শব্দটা এসেছে মাগধী প্রাকৃত ‘গ্রৎস’ শব্দ থেকে৷ ‘গ্রৎস’ মানে যে নড়াচড়া করে না৷ গ্রৎস> অর্দ্ধমাগধীতে ‘গচ্ছ’ > পুরোনো বাংলায় ‘গচ্ছা’ > বর্তমান বাংলায় ‘গাছ’৷ বারশ’ বছরের পুরোনো বাংলা কবিতায় আছে–

‘‘ওগগ্র ভত্তা রম্ভা পত্তা গাইক্ক ঘিত্তা দুগ্ধ সজত্তা৷

নালি গচ্ছা মুল্লা মচ্ছা দীজ্জই কন্তা খাএ পুণ্যবন্তা৷’’

৭ই জুলাই ১৯৩১--- ফাঁসির ঠিক আগে প্রতুষ্যে দীনেশ তাঁর বৌদিকে শেষ চিঠি লিখলেন

বৌদি,

               এইমাত্র তোমার চিঠিখানা পাইলাম৷ আমার জীবন কাহিনী জানাইবার সুযোগ আর হইল না৷ কি-ই বা জানাইব বল তো? আমার সকল কথাই তো তোমাদের বুকে চিরকাল আঁকা থাকিবে তুচ্ছ কালির আঁচর  কি তাহাকে আরও উজ্জ্বল করিয়া তুলিতে পারিবে? আমার যত অপরাধ ক্ষমা করিবে এ জন্মের মতো বিদায়! ভালোবাসা ও প্রণাম জানিবে---

চিঠিটা শ্বেতাঙ্গ সাজেন্টের হাতে তুলে দিয়ে দীনেশ ধীর বলিষ্ট পদক্ষেপে এগিয়ে চলল ফাঁসির মঞ্চের দিকে৷

তুমি যে......

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

জীবন তরী, লড়াই গুরু

দমকা হাওয়া, বুক দুরু–দুরু

ভ্রষ্ট জনের দুষ্ট কর্ম

নষ্ট করে সমাজ ধর্ম

ঝঞ্ঝা–শনি, আঁধার রাতে

নিঃশঙক মানুষ এগিয়ে যাবেই–

তুমি যে গো রয়েছো সাথে৷

আসবে যাবে জীবন মরণ

সকল সময় তোমার শরণ

মত্ত যতই দুঃশাসন–নাচার

সত্য–ধর্ম সদা হাতিয়ার

নবারুণ রাঙা নবীন প্রভাতে

উদ্বেল মানুষ নোতুন আবেগে

তুমি যে গো রয়েছো সাথে৷৷

সেরা দশ

জয়তী দেবনাথ

রেজাল্ট রেজাল্ট বুকটাতে

                                             সেই কি ধুক-পুক!

সকালবেলা থেকেই যেন

                                             শুকনো চোখ মুখ!!

ঘুম ভাঙাতে লাগত আগে

                                             এলার্ম ডাকাডাকি---

সেখানে আজ স্টুডেন্টরা যেন

                                             কাকভোরের পাখি!!

রেজাল্ট পেয়ে চোখে মুখে

                                             সেই কি সুখের জ্যোতি!!

রেজাল্ট হাতে গর্বে বাবার

পাটোয়ারী বুদ্ধি

‘ক্রথ্’ ধাতুর অর্থ হ’ল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কাউকে হত্যা করা৷ দেবোদ্দেশ্যে বা ধর্মের নামে পশুহত্যা এই পর্যায়ে পড়ে৷ ক্রথ্  অচ্ ঞ্চ ক্রথ৷ ‘ক্রথ’ মানে যাকে হত্যা করা হচ্ছে৷ ক্রথ্  ল্যুট্ ঞ্চ ক্রথন মানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হত্যা করা, ধর্মের নামে হত্যা করা, অথবা যাকে হত্যা করা হচ্ছে৷ কেউ যদি ভাবে ধর্মের নামে পশু–হত্যা করলে উভয় পক্ষেরই লাভ অর্থাৎ মানুষের লাভ দুটো ঃ তার লোল জিহ্বা পাবে নিরীহ পশুর মাংস আর অর্জন করবে পুণ্য আর ওই নিরীহ হতভাগ্য পশু, যে জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল করেছিল মানুষ নামে জীবকে বিশ্বাস করে, সে পাবে পশুজীবন থেকে মুক্তি–এ ধরনের জিনিসগুলি ভাবের ঘরে চুরি ছাড়া কিছুই নয়৷ সম্ভবতঃ মানুষ জা

এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়া অনিশ্চিত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য আপাতত এই সপ্তাহের মধ্যেই জানা যেতে পারে৷ অস্ট্রেলীয় প্রচার মাধ্যমের  খবর অনুযায়ী, এই বছর আর হবে না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ৷ তা পিছিয়ে  যাচ্ছে৷

অষ্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররাও মোটামুটি জেনে গিয়েছেন, তাঁর আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে হবে না৷ যে কারণে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নাররা এখন নিজেদের ইংল্যাণ্ড সফরের জন্য তৈরী করছেন৷ যেখানে ওয়ান ডে ও টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে অস্ট্রেলিয়াকে৷

চারমাস পর নতুন ভাবে ফিরেছে ক্রিকেট

কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে যে এই বছরের   মার্চ মাস থেকে শুরু জুন মাস পর্যন্ত কোনো ক্রিকেট খেলার আয়োজন হয়েনি৷ প্রায় চার মাসের জন্য বন্ধ ছিল বাইশ গজের লড়াই৷ অবশেষে  আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হয়েছে৷ গত ৮ জুলাই থেকে সাউদাম্পটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নামবে ইংল্যাণ্ড৷ মাঠে থাকবেন না কোনও দর্শক৷ রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে খেলা হলেও শোনা যাবে ‘নকল শব্দ’৷ বাজবে গান৷ ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহার করা হবে সেই সব শব্দ৷ বোলারের আগুনে ডেলিভারি ব্যাটস্ম্যানের উইকেট উপড়ে ফেললে বা বোলারকে ব্যাটসম্যান গ্যালারিতে ফেললে শোনা যাবে উল্লাসের গগনভেদী শব্দ আবার ক্যাচ পড়লে শোনা য

বাংলা বানান প্রসঙ্গে

শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

সোচ্চার নয়, সরব

আজকাল বহু শিক্ষিত মানুষও ‘সরব’ (vocal) বোঝাতে গিয়ে ‘সোচ্চার’ কথাটা প্রায়শঃ লিখে থাকেন বা বলে থাকেন৷ শব্দটা আগাপাস্তলা ভুল৷ উচ্চারূণ>উচ্চার৷ ‘উচ্চার’ মানে ‘বিষ্ঠা’৷ ‘ঔচ্চার’ মানে ‘বিষ্ঠা সম্বন্ধীয়’৷ উচ্চারেণ সহ ইত্যর্থে ‘সোচ্চার’ (তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস) যার মানে হচ্ছে যিনি মলত্যাগ করেছেন কিন্তু এখনও জলশৌচ করেননি৷ মলত্যাগকালে কোঁথ দেওয়াকেও ‘উচ্চার’ বলা হয়৷ অতএব ‘সোচ্চার’ শব্দের আরেকটি মানে হ’ল যে মলত্যাগ করবার জন্যে কোঁথ দিচ্ছে৷ কেবল সংস্কৃত বা বাংলা ব্যাকরণেই নয়, বাংলা ভাষায় অন্য ভাষার যে সব শব্দ আছে সেগুলো একটু মানে বুঝে ব্যবহার করলে ভাল হয়৷