October 2020

গত ২৫শে সেপ্ঢেম্বর কোচবিহারেও একটি চিকিৎসা শিবির করা হয়৷

হাওড়া ঃ গত ১৬ই সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিমের হাওড়া শাখার পক্ষ থেকে পাঁচলা ব্লকের গঙ্গাধরপুর গ্রামে একটি চিকিৎসা শিবির করা হয়৷ এখানে দুই শতাধিক মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় ও প্রয়োজনমত ঔষধ দেওয়া হয়৷

 

বাঙালী জীবনে আঘাত যত বেশী আসবে  বাঙালী জীবনে একতা ততই বৃদ্ধি পাবে

গোবিন্দ মজুমদার

বর্তমানে বাঙলার বাঙালীরা একেবারে খাদের কিনারায় এসে গেছে, পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে৷ এর পেছনে রয়েছে ঐতিহাসিক সামাজিক আর্থিক কারণ ও সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র৷ এগুলির কারণ খঁুজে বের না করতে পারলে তথাকথিত গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে বাঘের পিঠে সওয়ার হতে হবে৷ দুর্বল হবে গণতন্ত্রের ভিত্তি৷ আজ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও ধর্মীয় ফ্যাসীবাদী আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে কারা শত্রু কারা মিত্র৷ আর একাজ করতে হবে মানব সমাজের গভীরের মারণ অসুখকে দূরীভূত করার জন্যে৷

হাওড়ায় ‘আমরা বাঙালী’রসভা

গত ২৭শে সেপ্ঢেম্বর ‘আমরা বাঙালী’ হাওড়া জেলার পক্ষ থেকে রাণীহাটি ও ধূলাগড়ে সংসদে গোর্খাল্যাণ্ডের দাবী তোলার প্রতিবাদে দুটি বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সভায় বক্তব্য রাখেন---কৌস্তব সাহা, অর্নব কুন্ডু, জয়ন্ত শীল, গোপা শীল ও কেন্দ্রীয় কমিটির সচিব বকুলচন্দ্র রায়৷ বক্তারা কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করে বলেন আবার বাঙলা ভাগের চেষ্টা হলে পরিণতি খারাপ হবে৷

 

আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে নারীর স্থান

সম্পতি আমাকে একটি দুরূহ সমস্যার সম্মুখীন হ’তে হয়েছিল৷ সমস্যাটা বা প্রশ্নটা হয়তো কিছুটা দুরূহ কিন্তু উত্তরটা খুবই সরল৷ প্রশ্ন ছিল, মহিলারা মুক্তি–মোক্ষের অধিকারী কি না৷

কিছুদিন আগে তোমাদের বলেছিলুম যে তন্ত্রে বলা হয়েছে, ‘‘দেহভৃৎ মুক্তো ভবতি নাত্র সংশয়ঃ’’৷ আত্মজ্ঞান লাভের নূ্যনতম যোগ্যতা হ’ল এই যে সাধককে মানুষের শরীর পেতে হবে৷ এটাই হ’ল তার নূ্যনতম যোগ্যতা৷ কৈ, এখানে তো উল্লেখ করা হয়নি যে সে সাধক নারী বা পুরুষ হবে৷ এর থেকে এটাই পরিষ্কার যে নারী–পুরুষ উভয়েই মুক্তি–মোক্ষ লাভের সমান অধিকারী৷           

জলের বিশুদ্ধতা

জলম্, নীরম, তোয়ম্, উদকম, কম্বলম, পানীয়াম–জলের এই ক’টি হল পর্যায়বাচক শব্দ৷ জল শব্দটিকে তৎসম রূপেই বাংলায় ব্যবহার করি৷ যার মানে– any kind of water (যে কোন প্রকারের জল)৷ ‘নীর’ মানে সেই জল যা অন্যকে দেওয়া যায় ‘তোয়’ মানে যে জল উপচে পড়ে ‘উদক’ মানে যে জল খুঁড়ে পাওয়া যায় ‘কম্বল’ মানে যে জল ওপর থেকে পড়ে ‘পানীয়’ মানে যে জল পান করবার যোগ্য, খাল–বিল–নালার জল নয়৷ বাংলা ভাষায় ‘জল’ ও ‘পানী’ দুটো শব্দই চলে৷ জল শব্দটি তৎসম, আর পানী শব্দ ‘পানীয়ম’–এর তদ্ভব রূপ৷ ‘জল’ মানে যে কোন জল–ড্রেনের জল, পুকুরের জল, ফিল্টার করা কলের জল–সবই৷ তবে স্তুব্জনুন্সনুন্ধ ভ্র্ত্রব্ধন্দ্বব্জ বললে তার জন্যে বাংলা হবে পানীয় জল বা পান

পরমাশ্রয়

বিভাংশু মাইতি

 

 

সপ্তসিন্ধু উদক ঢালিয়া

                                                ধৌত করে যার শ্রীচরণ

কোটি সূর্য প্রদীপ জ্বালিয়া

                                                নতশিরে যারে করিছে বরণ

মহাবিশ্বের মহাধিপতি

                                                তিনিই শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি

সকল জীবনের পরমাগতি

                                                তাঁকেই সতত কোটি প্রণতি৷

 

বিহগ-মৃগ-বন লতা-পাতা

                                                ফুল-পল্লব গাহে তারই গাথা

সেই দিনগুলো

জয়তী দেবনাথ

ছোট্টবেলার সেই মজাটা যে

এখন আর নাই৷

ইচ্ছে বড়ো ওইদিনে

আবার ফিরে যাই৷৷

 

দিনগুলো তখন একটু

অন্যরকম ছিলো৷

আজ যে দেখি অনেক কিছুর

মানে বদলে গেল৷৷

 

একই আছি সেই আমি

একই জল হাওয়া৷

তবুও কেন বদলে গেল

চাওয়া---না চাওয়া৷৷

 

আগের সেই গ্রীষ্ম বর্ষা

এখন আর নাই৷

শরৎ আর হেমন্তও

বদলে গেছে তাই৷৷

 

শীত বসন্তের সেই মজাটা

কেমনে ফিরে পাই?

সত্যি! আমার ইচ্ছে হয়

সেথায় ফিরে যাই!!

 

স্মৃতির অন্তরালে-‘‘জনৈক বঙ্গ মহিলা’’

কণিকা দেবনাথ

‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে

  আসে নাই কেহ অবনী পরে,

  সকলের তরে সকলে আমরা

  প্রত্যেকে আমরা পরের তরে৷’’

আজ থেকে প্রায় ১৪০ বছর আগে এক বঙ্গললনার কলমে রূপ পেয়েছিল সমসমাজতত্বের ভাবনা৷ সেই সময় বাঙলা দেশে নারী শিক্ষা খুবই দুর্লভ৷ নারীজাতিকে গৃহকোণে আবদ্ধ রাখাই সামাজিক প্রথা৷ অবশ্য তারও ৫০ বছর আগে রাজা রামমোহন রায় হিন্দু সমাজের নিষ্ঠুরতম প্রথা সতীদাহ নিষিদ্ধ করেন ও নবজাগরণের দীপ জ্বেলে দিয়ে যান৷ গোঁড়া হিন্দু সমাজপতিরা তখনও ক্রোধে ফঁুসছে৷ কুসংস্কারের কুহেলিকা ছিন্ন করে বেরিয়ে আসার মানবিকতা তাদের ছিল না৷

মহাপুরুষের লক্ষণ

যে ধরণের ভাবা উচিত নয় কেউ সেই ধরণের ভেবে থাকলে  তাদের জন্যে ঠাট্টা করে ‘স’ শব্দ  ব্যহৃত হয়ে থাকে৷ এই ‘স’ শব্দ প্রসঙ্গে আমার আবার আক্ল্মন্দ সিং - এর কথা মনে পড়ে গেল৷ একবার পরপর কয়েকদিন ধরেই আক্ল্মন্দের দেখাসাক্ষাৎ পাচ্ছিলুম না৷ তারপর একদিন হঠাৎ মীরজাপুর বাজারে মাদুর কিনতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল৷ তাকে বললুম, ‘হ্যাঁরে আক্ল্মন্দ, এতদিন তোর দেখা পাচ্ছিলুম না কেন!’ সে ললে ‘দারুণ ব্যস্ত ছিলুম’৷

আমি বললুম, ‘ব্যস্ত! ব্যস্ত তুই তো কখনও থাকিস না’৷ সে বললে---‘ব্যস্ত মানে, আমার গুরুজী এসেছিলেন৷ তাঁকে নিয়ে সমুদ্রের  তীরে রোজ বেড়াতে যেতুম কি না’৷     

‘নোতুন পৃথিবী’ বানান ‘নোতুন’ কেন?

 ‘‘সংস্কৃতে ‘নব’ শব্দের দু’টি অর্থ–একটি মানে ‘নয়’ (৯), দ্বিতীয় মানে নূতন৷ ‘নয়’ (৯) শব্দের বিশেষণে ‘নবম’ (ninth) নূতন অর্থে Comparative degree- েত নবতর, কিন্তু Superlative degree েত নবতম ও নবতন৷ যেখানে কারও সঙ্গে তুলনা না করে বলা হচ্ছে এটি সবচেয়ে নূতন, সেখানে ‘নবতন’ আর যেখানে অনেকের সঙ্গে তুলনা করে’ বলা হচ্ছে, এটি সবচেয়ে নূতন সেখানে ‘নবতম’৷ নবতম > নওতন > নওতুন > নোতুন৷ ভালভাবে মনে রাখা দরকার যে, ‘নূতন’ ও ‘নোতুন’ এক নয়৷ ‘নূতন’ একটি তৎসম শব্দ যার ইংরেজী প্রতিশব্দ new আর ‘নোতুন’ একটি তদ্ভব শব্দ যার মানে যা সবচেয়ে নূতন৷ যেমন অনেকের সঙ্গে তুলনা করে যদি বলি যে এটি সবচেয়ে পুরোনো  তার জন্যে