October 2020

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

খবরের কাগজে গতানুগতিক খবরের আড়ালে কিছু অনুপ্রেরণামূলক খবর মাঝে মধ্যেই বেরোয় যেগুলো আমার মত অনেকের মনেই বেশ আশার সঞ্চার করে৷ এমনই একটি খবর বেরিয়েছিল ১৭ই সেপ্ঢেম্বর ‘‘একটি বহুল প্রচারিত’’ সংবাদপত্রের (পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম পাতায়) ১৬ নং পৃষ্ঠায়৷ ‘চাকরি ছেড়ে জৈব কেঁচো সার তৈরি করে নজর কেড়েছেন কাঁথির সুনন্দন---এই শিরোনামে খবরটিতে আমার চোখ আটকে গেল৷ খবরটি পড়ে জানতে পারলাম চাকরির এই দুর্মূল্য বাজারে বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের প্রত্যন্ত চণ্ডীভেটি গ্রামের বছর চল্লিশের সুনন্দন শাসমল এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন৷ তাঁর এই প্রচেষ্টাকে প্রথমেই সাধুবাদ জানাই৷ যথেষ্ট মনের জোর না থাকলে

বাঙালী জনজাতি ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে উন্নত ত্রিপুরা গড়ে উঠবে

এইচ. এন. মাহাতো

বাবরি মসজিদ ধবংস যখন হয়েছিল তখনের পরিস্থিতি আর আজকের অবস্থা অন্যরকম৷ বর্তমান বিজেপি দল কেন্দ্রে সরকার ক্ষমতা দখল করার পর থেকে বিচার ব্যবস্থা, একশ্রেণীর মিডিয়া, আমলা সরকারের ইচ্ছেধীন, হাতের পুতুল৷ যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে, তারা অনেক সংগ্রাম করে অসময়ে বিজেপি দলটিকে বাঁচিয়ে রেখেছিল৷ তাঁরা আজ বিজেপিতে অপাংতেয়৷

অস্পৃশ্য

রত্নেন্দু দাশ

আমার এক ছাত্র আমাকে জিজ্ঞেস করছিল, স্যার!! কিছু মানুষ আছে যারা ছোঁয়াচে , তাদের ঘরে যদি আমরা যাই আমাদের সামনেই কি কি করে,  এতে আমরা অপমান অনুভব করি৷ এমনটা কেন? সত্যি তো প্রশ্নগুলো খুব সুন্দর৷ আসলে কিছু মানুষ আছে যারা শুচিতার অর্থই জানে না ভালো করে৷ যারা বাহ্যিক শৌচ পালন করে তারা জানে না আভ্যন্তরীণ শৌচও আছে ও সেই শৌচও পালন করা উচিত৷

কর্ষক প্রধান বাঙলার ইতিকর্তব্যতা

একর্ষি

বিশ্বেপপগ্য কৃষি অঞ্চলগুলির মধ্যে বাঙলার কৃষিক্ষেত্রগুলি অন্যতম৷ বাঙলা তথা ভারতের জাতীয় আয়ের সিংহভাগ আসে কৃষি থেকে৷ আজও দেশের সিংহভাগ মানুষ রুজি-রোজগারের জন্যে কৃষির সঙ্গে যুক্ত৷ প্রাচীনকালে এদেশের রাজারা কৃষির উন্নতির জন্যে চিন্তাভাবনা করতেন ও বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করতেন৷ ব্রিটিশ শাসকরা সর্বাধিক রাজস্ব আদায় সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করলেও কৃষির উন্নতির জন্যে কিছু করেননি৷ এ নিয়ে স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে কর্ষক আন্দোলনও কম হয়নি৷ স্বাধীনোত্তর কালে কৃষি বিদ্যালয় স্থাপন, সেচ ব্যবস্থার প্রচলন, রাসায়নিক সারের ব্যবহার, উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার, জমিদারি প্রথার বিলোপ, বর্গা আইন প্রচলন, আধুনিক প্রযুক্তির ব

বেহালায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৫ই অক্টোবর বেহালার ক্ষুদিরামপল্লীতে  বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী লক্ষ্মণ মণ্ডলের বাড়ীতে ১২ঘন্টাব্যাপী অখণ্ড ‘াা নাম কেবলম্ মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ স্থানীয় মার্গী ভাই-বোন ও তিলজলা আশ্রমের সন্ন্যাসী দাদা-দিদিরা এই মহতী কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর রচনা থেকে পাঠ করে শোনান আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত৷ এরপর বিভিন্ন দাদা-দিদিরা কীর্ত্তনের মাহাত্ম্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন৷

 

শিলচরে ‘আমরা বাঙালী’র বিক্ষোভ --- হুমকি

গত ৭ই অক্টোবর মেঘালয়ে, বাঙালী জনগোষ্ঠীর  ওপর অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’ অসম রাজ্য কমিটি শিলচর শহরে শহীদ ক্ষুদিরামের মূর্ত্তির পাদদেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ বেলা সাড়ে বারটা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়৷  বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দাবী ওঠে--- অবিলম্বে মেঘালয়ে বাঙালীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে ও নির্যাতনকারী দুষৃকতিদের শাস্তি দিতে হবে৷ নতুবা অসম মেঘালয় সীমান্তে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুমকি দেন ‘আমরা বাঙালী’রনেতৃবৃন্দ৷ আমরা বাঙালীর অসম রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন, মেঘালয়ে ইস্ট খাসি হিলস জেলার সোহরা সাব-ডিভিশনের শেল্লা  থানার ইছামতি ভোলাগঞ্জ প্রভৃতি স্থানে বাঙালীরা অমানবিক নির্

গোর্খাল্যাণ্ড--- ভোল পাল্টালো কেন্দ্র

রাজ্য সরকারকে বিব্রত করতে গিয়ে দার্জিলিং নিয়ে কেন্দ্রের এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা৷ ৪ঠা অক্টোবর  কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ‘গোর্খাল্যাণ্ড’ বিষয়ে আলোচনার জন্যে একটি বৈঠক ডাকে৷ এই বৈঠকে রাজ্যসরকারকে না জানিয়ে দার্জিলিঙের জেলাশাসককে ডাকা হয়৷ বৈঠকে গোর্খামুক্তি মোর্চার ক্ষমতাসীন নেতাদেরও ডাকা হয়নি৷ বৈঠক নিয়ে রাজ্যসরকার ক্ষুদ্ধ  হয়৷ গোর্খাল্যাণ্ড ইস্যু নিয়ে বিজেপি বাঙলা ভাগের চক্রান্ত করছে বলে প্রতিবাদে মুখর হয় ‘আমরা বাঙালী’৷ নানা দিকের চাপে বিভ্রান্ত হয়ে ৫ই অক্টোবর আর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বৈঠক বাতিল বলে ঘোষনা করা হয়৷ পরে বাতিল শব্দটি  বাতিল করে অনির্দিষ্টকালের 

বানেশ্বরে স্বাস্থ্য শিবির

আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টীমের মহিলা শাখার উদ্যোগে কোচবিহার জেলার বানেশ্বরের হোলাঙ্গীর কুঠিতে গত ৩রা অক্টোবর একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের স্থানীয় শাখার কর্মীবৃন্দ৷ অবধূতিকা আনন্দরসপ্রজ্ঞা আচার্যা জানান গ্রামের ৮০০ মানুষকে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় ও প্রয়োজন মত ঔষধও দেওয়া হয়৷

 

কীর্ত্তন দিবসের পঞ্চাশবর্ষ পূর্তি

‘‘ঊচ্চৈঃস্বরে পরমপুরুষের নামগান করাকে কীর্ত্তন বলা হয়৷’’ মানুষের জীবভাবকে পরমপুরুষের শাশ্বতভাবের  সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে একাকার করে দেওয়াই হলো মোহনবিজ্ঞান৷ কীর্ত্তন এই মোহন বিজ্ঞানের অন্তর্গত৷ তাই পরমপুরুষের কাছে পৌঁছাবার সহজতম রাস্তা হলো কীর্ত্তন৷

১৯৭০ সালের ৮ই অক্টোবর রাঁচীর কাছে আমঝোরিয়া ফরেষ্ট রেস্ট হাউসে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী সিদ্ধ অষ্টাক্ষরী মহামন্ত্রসহ কীর্ত্তন প্রবর্ত্তন করেন৷ তারপর তাঁর বিভিন্ন প্রবচনে কীর্ত্তনের প্রয়োজন, তার প্রভাব ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন৷

জেঠাইবাড়ীতে বস্ত্র বিতরণ

আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টীমের কাঁথি শাখার পক্ষ থেকে ৭ই অক্টোবর কাঁথি জেঠাইবাড়ীতে দুইশতাধিক দুঃস্থ মানুষের হাতে পরণের বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়৷ হুগলী জেলার তারকেশ্বর জুডো ক্যারাটে অ্যাকাডেমির কাছ থেকে এই বস্ত্র সংগ্রহ করা হয়৷