November 2020

দুরাচারী শাসকের হাত থেকে মুক্তির পথ প্রাউট

এইচ.এন. মাহাত

সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিম বাঙলার বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন একবার বিজেপি সরকার এলে সোনার বাঙলা তৈরী করবেন৷ আবার অপর দিকে বাঙালী মানেই বিদেশী বাংলাদেশী, বহিরাগত৷ তাদেরকে দেশ থেকে তাড়াতে হবে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের এই দ্বিচারিতা ও বাঙলার প্রতি বিমাতৃসুলভ মানসিকতার জন্য বিভিন্ন ভাবে বাঙলার অর্থনীতিকে পঙ্গু করার চক্রান্ত  করে চলেছে৷ তাছাড়াও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি ভারতের মধ্যে প্রাচীন হওয়ার পরেও তাকে স্বীকৃতি  দেয়নি৷ প্রধানমন্ত্রী গুজরাটী হওয়ায় যে গুজরাটের ভাষা ভারতের মুষ্টিমেয় কয়েক হাজার মানুষ জানে সেই ভাষাকে উচ্চ শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে স্বীকার করেছে অথচ বাংলাকে  এখন

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

দিদি আনন্দ অরুন্ধুতী আমাকে জানিয়েছিলেন আমাদের দেশে ফলের গাছ বেশি করে লাগালে দেশের বাচ্চারা নানান ধরনের প্যাকেটজাত খাবার ছেড়ে অধিক পরিমানে ফল খাবে ও এতে তাদের পুষ্টি হবে৷ তিনি আমাকে এই বিষয়টা জানিয়েছিলেন আম্ফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কী কী ধরনের গাছ লাগানো  উচিত, এ সম্বন্ধে আমার পূর্বেকার  লেখার পরিপ্রেক্ষিতে৷ দিদির এই প্রস্তাবে আমি সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করি৷ আমাদের দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধ -এক বিরাট সংখ্যক মানুষ অপুষ্টির শিকার৷ ফল থেকে বেশিরভাগই শতহস্ত দূরে৷ তার অন্যতম একটা প্রধান কারণ  হল ফলের অতিরিক্ত মূল্য৷ কৃষিপ্রধান আমাদের এই রাজ্য তথা দেশের মাটি এতটাই উর্বর যে এখানে নানান ধরণের ফল ও ফসল সহজে

ডাকাতে কালী

প্রণবকান্তি  দাশগুপ্ত

বাংলাদেশে এককালে ডাকাতদের দৌরাত্ম্য ছিল অপ্রতিহত৷ মাথায় ঝাঁকড়া ঝাঁকড়া চুল, লাল চোখ, মুখে মুখোশ, হাতে তৈলাক্ত লম্বা লাঠি, কারো হাতে ধারালো রামদা বা কুঠার, রাতের অন্ধকারে ‘হারে রে রে’ শব্দে ডাকাতি করে রণপায়েপালিয়ে যাওয়া---সেকালের সেইসব ডাকাতদের কথা মনে পড়লে কার না গা ছমছম করে৷

সেইসব ডাকাতরাই আবার খুব কালী মায়ের ভক্ত হত৷ ডাকাতির  কাজে শক্তি চাই৷ তাই শক্তির পুজো৷ তাদের আরাধ্য কালীরা আজো অনেক জায়গায়  ডাকাতে কালী নামে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে৷

গণ–অর্থনীতিকে সার্থক করে তুলতে হবে সমবায়ের মাধ্যমে

প্রভাত খাঁ

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করা হয়৷

আজ এই দুটিই উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

ভেঙে পড়েছে  যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলনের ডাক ‘আমরা বাঙালী’র

দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকায় বরাকের  ১১ হাজার হেক্টর জমি মিজোরাম জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে৷ এর প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’ ও অন্যান্য সংঘটন--- বন্ধ,  আন্দোলন করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে জানিয়েও কোন ফল হয়নি৷

দূর্গা পূজায় সামলেছে , কালী পূজোয় কি হবে!

দূর্গা পূজোর সময় মানুষের ভিড়ে যেভাবে  সংক্রমণ বৃদ্ধির আশংকা করেছিল স্বাস্থদপ্তর ও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ মহল , পূজোর পর ১৪ দিন অতিক্রান্ত হলেও সেরকম কিছু ঘটেনি৷ বরং বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা কমের দিকে৷ গত কয়েকদিন  সুস্থতার হারও বাড়ছে৷

বাঙালী নির্যাতন বন্ধের দাবীতে মেঘালয় ভবনে ‘আমরা বাঙালী’র বিক্ষোভ

গত সাত-আট মাস ধরে মেঘালয়ে বাঙালীদের ওপর চলছে চরম নির্যাতন৷ যার নেতৃত্বে আছে খাসী স্টুডেন্ট ইয়ূনিয়ন৷ বাঙালী মাত্রই বাংলাদেশী বিদেশী প্রচার করে বাঙালীদের ওপর দৈহিক নির্যাতন,অর্থনৈতিক অবরোধ, ব্যবসা বানিজ্যসহ জীবন-জীবিকার সমস্ত পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷

পরলোকে সুনীল কুমার সাধু

গত ৯ই নভেম্বর বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী সুনীল কুমার সাধু পরলোক গমন করেন৷ তিনি দীর্ঘদিন পশ্চিমমেদিনীপুর জেলার সিলদা আনন্দমার্গ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর৷ তিনি স্ত্রী-পুত্র-কন্যা-আত্মীয়-পরিজন ও বহুসহকর্মীদের রেখে গেছেন৷ তাঁর অকস্মাৎ পরলোক গমনে আত্মীয় পরিজন ও পরিচিত মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷

মার্গীয়বিধিতে সমীর কুমার মণ্ডলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়

গত ৫ই নভেম্বর কান্দির বিশিষ্ট আনন্দমার্গী পরলোকগত সমীর কুমার মণ্ডলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান মার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ওই দিন সকাল থেকে স্থানীয় মার্গী ভাইবোনেরা সমীর মণ্ডলের বাসগৃহে উপস্থিত হন৷ এরপর শোকস্তব্ধ ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন ও ঈশ্বর প্রণিধানের পর ‘আনন্দমার্গে চর্যাচয’ বিধি মতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সুসম্পন্ন হয়৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য বিশ্বত্তোরনন্দ অবধূত ও আচার্য অরূপরতন ব্রহ্মচারী৷

শোক বিহ্বল পরিবেশে সমীরণের প্রতি শ্রদ্ধাপ্রকাশ

শ্রদ্ধা থেকেই শ্রাদ্ধ শব্দটা এসেছে৷ তাই শ্রাদ্ধের দিন পরলোকগত প্রিয়জনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের দিন৷ আদর্শ আনন্দমার্গী ও আমরা বাঙালী দলের একনিষ্ট কর্মী সমীরণ আচার্যের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান মার্গীয় বিধিতে সম্পন্ন হয় খোয়াই জেলার চেবরীতে সমীরণের নিজ বাসভবনে গত ১০ই নভেম্বর৷ গত ৩১শে অক্টোবর সমীরণ আচার্য হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোক  গমন করেন৷