November 2020

‘ইডিয়পস মেদিনী’

প্রাণী বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত  হ’ল মেদিনীপুরের নাম৷ কেশপুর সুকুমার সেন মহাবিদ্যালয়ের জীববিদ্যার অধ্যাপক সুমন প্রতিহার ও ছাত্র চন্দন দন্ডপাট নয়াগ্রাম সন্নিহিত  জঙ্গলে গত আগষ্ট মাসে অনুসন্ধান করে একটি নূতন প্রজাতির মাকড়সার খোঁজ পান৷ ইডিয়পস গণের এই মাকড়সাটি দেখতে লাল রঙের৷ দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ মিলিমিটার ৷ আন্তর্জাতিক আরকানলোজি জার্র্নল ‘সারকেট’-এর গত নভেম্বর সংখ্যায় নূতন প্রজাতির মাকড়সার গবেষণা পত্রটি প্রকাশ পায়৷ ২রা নভেম্বর ওয়ার্ল্ড স্পাইডার ক্যাটালগে নূতন প্রজাতির মাকড়সাটি নথিভুক্ত হয়৷ মেদিনীপুরে পাওয়া গেছে বলে এই মাকড়সাটির নাম দেওয়া হয় ‘ইডিয়পস মেদিনী’৷

অন-লাইন আলোচনা সভায় প্রভাত সঙ্গীত ও নব্যমানবতাবাদ

গত ৩১শে অক্টোবর মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজী বিভাগের উদ্যোগে অন-লাইনে মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার  প্রবর্ত্তিত  নব্যমানবতাবাদ বিষয়ের ওপর একটি মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যক্ষ ডঃ ভাগ্যশ্রী বার্র্ম ও আনন্দমার্গের বিদগ্দজনের সংস্থা রেনেসাঁ ইয়ূনিবার্সালের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ  অবধূত আলোচ্য বিষয়ে ওপর মননশীল বক্তব্য রাখেন৷

শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে ছয়দিনব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হ’ল

মার্গগুরু শ্রীশ্রী আন্দমূর্ত্তিজীর পাঞ্চভৌতিক  দেহের ৩০তম মহাপ্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গত ২১শে অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ছয়দিনব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ডকীর্ত্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হল৷ ২১শে অক্টোবর মহাপ্রয়াণ দিবসে বিকেল ৩-৩০ ঘটিকায় মার্গগুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে আনন্দমার্গীরা কলকাতাস্থিত ‘পরম শ্রদ্ধেয় ‘বাবা’র (শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর) স্মৃতিসৌধে এই অখণ্ডকীর্ত্তন শুরু করেন৷ কোভিড-১৯ ও সেই কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে লক-ডাউন ও সরকারী বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরী করার পরিপ্রেক্ষিতে সব জায়গা থেকে আনন্দমার্গীদের পক্ষে এই মহাপ্রয়াণ অনুষ্ঠানে যোগদান করা সম

ধরা ছোঁয়ার বাইরে আলুর দাম! সংশোধনী আইনের কোপ মধ্যবিত্তের ভাঁড়ারে

আলুর দম, আলুর পোস্ত, আলুভাজা, আলুভাতে বাঙালীকে ভুলিয়ে ছাড়বে কেন্দ্রীয় সরকারের অত্যাবশ্যক পণ্য সংশোধনী আইন৷ প্রধানমন্ত্রী যতই কর্ষক বন্ধু সেজে ঘুরে বেড়ান, কিন্তু তাঁর সরকারের অত্যাবশ্যক  পণ্য সংশোধনী আইনের সুযোগ নিয়ে মুনাফা লুটছে মুনাফাখোর মজুতদাররাই৷ নূতন সংশোধনী আইনে অত্যাবশ্যক পণ্যের আওতায় আলু নেই৷ ফলে যতখুশি  আলু মজুত করার কোন আইনি বাধা নেই৷ একশ্রেণীর অসৎ ব্যবসায়ী এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আলু মজুত করে রাখছে৷ হিমঘর থেকে আলু বাজারে আসছে লাগাম ছাড়া দামে৷ মজুত আলু উদ্ধার  করার কোনো আইনি ক্ষমতা এখন সরকারের হাতে নেই৷ সরকারের অবস্থা এখন হিমঘরের পাহারাদারের মত৷ আলুর এই আকাশ ছোঁয়া দামে কর্ষকের কোন লা

বিজ্ঞানের অন্তহীন আড়ম্বরে মনের তৃপ্তি মেটেনা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

খবরের কাগজহীন কয়েকটা দিন নিঃসঙ্গ কেটে গেল৷ কোভিড-১৯ এর কোপে শারদ উৎসবের আড়ম্বর অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়৷ তবু আড়ম্বর না থাকলেও আয়োজন তো ছিল৷ তাই কর্মীরা সবাই গৃহমুখে৷ কয়েকটা দিন পাশে এক গুরুভাই ছাড়া কেউ ছিল না৷

সর্বোত্তম মানসিক আভোগ

একটি শ্লোকে আছে,

                                ‘‘তৃণাদপি সুনীচেন তরোরিব সহিষ্ণুনা৷

                                অমানীনং মানদেন কীর্ত্তনিয়ঃ সদা হরিঃ৷৷’’

অর্থকে সচল রাখো

অর্থের মূল্য বেড়ে চলে তার চলমানতায় অর্থাৎ টাকা যত হাত ঘুরতে থাকে ততই তার মূল্য বাড়তে থাকে৷ টাকা যত সিন্ধুকে ন্ধ থাকবে তত মরচে পড়বে, ছাতা ধরবে, তার মূল্য তত কমে যেতে থাকবে৷ এইটাই অর্থনীতির মৌলিক কথা৷ এই জনকল্যাণের কথা ভেবে কৌশীদ ব্যবস্থা রাখতে হয় ও জনগণের সামগ্রিক আর্থিক উন্নতির কথা ভাবতে গেলে কৌশীদ ব্যবস্থা অপরিহার্য হয়ে যায়৷keep the wagons moving এর মতkeep coins (money) moving- কথাটা সমভাবে সত্য৷ তবে কৌশীদকে এ ব্যাপারে দু’টি জিনিসের দিকে নজর রাখতে হবে৷ একটা হচ্ছে কৌশীদ ব্যবস্থা এমন যেন না হয় যার রাক্ষুসী ক্ষুধায় সাধারণ মানুষের জীবন কুশীদ যোগাতেই বিপর্যস্ত হয়ে না পড়ে......পৃথিবীর অধিকাংশ দে

মহিলাদের প্রতি পাশবিক অত্যাচারের বিজ্ঞানসম্মত সমীক্ষা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

দেশে মহিলাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার কেন বাড়ছে? কেন মেয়েদের ওপর বলাৎকার করে নৃশংস খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে?

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

শুভ বিজয়ার প্রীতি, শুভেচ্ছা ও নমস্কার জানাই সকলকে৷ দুর্গা ও লক্ষ্মী পুজো ভালোয় ভালোয় শেষ হল৷ বাঙলার মানুষকে ধন্যবাদ জানাই৷ হাইকোর্টের নির্দেশ,চিকিৎসকদের পরামর্শ ও প্রশাসনের চেষ্টায় প্যাণ্ডেল মুখী মানুষের স্রোত এবার ছিল অনেক কম৷ পুজোয় এত কম সংখ্যক  লোক বাইরে বেরিয়েছে যা অন্ততঃ এর আগে কখনও দেখা যায় নি৷ অনেকে অনেক কারণ বলতেই পারেন, কিন্তু আমি এটাকে বলব বাঙলার মানুষ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন৷ এক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে সমস্ত বাঙালীই সচেতন ভাবেই পুজোয় ভিড় এড়িয়ে গেছেন৷ যারা বেরিয়েছিলেন তাদের জন্য সংক্রমণের গ্রাফ কতটা উধর্বমুখী হবে তা অচিরেই বোঝা যাবে৷ তবে এখনও পর্যন্ত তেমন উদ্বেগের খবর নেই বলে স্বাস্

শারদ শুভেচ্ছা নয়   শারদ শপথ

মনোজ দেব

প্রথা মেনে শারদ শুভেচ্ছা নয় ---প্রথা ভেঙে শারদ শপথ---আন্তরিকতার সঙ্গে মেঘালয়ের হতভাগ্য বাঙালীদের কথা ভেবে অসমের ডিটেনশনক্যাম্পের মৃত্যু পথ যাত্রী, অসহায় বাঙালীদের কথা ভেবে, বরাক বাঙলা ও  মিজো সীমান্তের নির্যাতিত বাঙালীদের কথা ভেবে---বাঙালীর প্রিয় উৎসবের দিনগুলিতেও যারা আতঙ্ক অনাহার ও অনিদ্রায় জীবন কাটাচ্ছে৷

বিদেশী শ্বেতাঙ্গ সাম্রাজ্যবাদী ও স্বদেশী বাদামী শাসক-শোষক সকলের লক্ষ্য একটাই---বাংলার অবলুপ্তি, বাঙালীর বিনাস, শুধু বাঙলার ভৌগোলিক সীমানা চায় সম্পদের অবাধ লুন্ঠনের জন্য৷