November 2020

জিম্বাবোয়ে আনন্দমার্গ

বর্তমানে যেসব সামাজিক ব্যাধিতে সমাজ আক্রান্ত  তার অন্যতম কারণ শিক্ষার অভাব৷ প্রকৃত শিক্ষার অভাবেই ছাত্রযুব সমাজ নানা ধরনের অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ে৷ জাত-পাত ও সম্প্রদায়গত  বিভেদের অন্যতম কারণ শিক্ষার অভাব অথবা অশিক্ষা৷ আনন্দমার্গ দর্শনের প্রবর্তক আনন্দমূর্ত্তিজী শিক্ষা জগতকে নোতুন দিশা দেখান নব্যমানবতাবাদী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করে৷ সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই শিক্ষা ব্যবস্থায় আকৃষ্ট হয়েছেন৷ ছবিতে জিম্বাবোয়েতে আনন্দমার্গ পরিচালিত একটি স্কুল

বাবার স্মৃতিসৌধে মহাপ্রয়াণ দিবস পালন

গত২১শে অক্টোবর মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে পরমারাধ্য বাবার স্মৃতিসৌধে তিনঘণ্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পার্থিব দেহের মহাপ্রয়াণ ঘটে৷ সেই উপলক্ষ্যে এই দিনটি মহাপ্রয়াণ দিবস হিসাবে পালিত হয়৷

নির্মল গ্রাম গড়তে গার্লস ভলেন্টিয়ার্স-এর উদ্যোগ

গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে ও  গ্রামকে জঞ্জালমুক্ত করতে গত ১৮ই অক্টোবর গার্লস ভলেন্টিয়ার্সের কর্মীরা আনন্দনগরে ভুচুংডি গ্রামে স্বচ্ছতা অভিযোগ চালায়৷ বর্ষায় বেড়ে ওঠা ঘাস ও অবাঞ্জিত ঝোপ-জঙ্গল কেটে গ্রামের রাস্তাঘাট-পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে দেয়৷ ১৫ই অক্টোবর ডামরুঘুটু গ্রামে স্বচ্ছতা অভিযান ও গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে গার্লস ভলেন্টিয়ার্স৷

হাওড়ায় অখণ্ড কীর্ত্তন

হাওড়া জেলার রাণীহাটী আনন্দমার্গ শিশুসদনে তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছিল, গত ৮ই অক্টোবর কীর্ত্তন দিবস উপলক্ষ্যে ও গত ২১শে অক্টোবর মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে এখানে তিনঘণ্টা ‘বাবা নাম কেবলম্’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা ও মহাব্রতদেব অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন৷ অনুষ্ঠান শেষে ৫০ জন দুঃস্থ মহিলাকে শাড়ী দেওয়া হয়৷

দক্ষিণচাঁদচক, শিবপুর চ্যাটার্জী হাট আনন্দমার্গ স্কুলে, শ্যামপুর সুলতানপুর, বালিয়া, গঙ্গাধরপুর ইয়ূনিটে কীর্ত্তন, বস্ত্রবিতরণ প্রভৃতি নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে  ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে দিনটি  পালিত হয়৷

হাওড়ায় স্বাস্থ্য শিবির

হাওড়া জেলার বাগনান হরিনারায়ণপুর গ্রামে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টীমের হাওড়া শাখার পক্ষ থেকে একটি চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ প্রায় শতাধিক গ্রামবাসীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয় ও প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হয়৷ শিবিরের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় আনন্দমার্গী ও জেলার প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সলের ভুক্তিপ্রধান অমর চট্টোপাধ্যায়৷

 হাওড়ার পাঁচলা ব্লকের গঙ্গাধরপুর গ্রামের আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সল রিলিফ টীমের পক্ষ থেকে একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সচেতন করা হয় ও প্রায় দুইশত মানুষকে চিকিৎসা করা  হয় ও প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হয়৷

শিলিগুড়ি এ্যামার্টের ত্রাণকার্য

গত সাত মাস নিয়মিত শিলিগুড়ি শহরে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সল রিলিফটিম ও মহিলা শাখার পক্ষ থেকে খাদ্য ও বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পথবাসী মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে৷ আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সল রিলিফটীমের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও অনেক সমাজসেবী সংঘটন বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে এ্যামার্টের পাশে  এসে দাঁড়িয়েছে৷

বরাক বাঙলায় উপেক্ষিত বাংলা ভাষা সংস্কৃতি

অসমের বরাক উপত্যকায় স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে বহিরাগত ভাষাকে ভাড়া করে এনে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে৷ বরাকভ্যালির ভূমিপুত্র ও মূল বাসিন্দা বাঙালী৷ এখানকার বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর ভাষা বাংলা৷ সেই ভাষাকে উপেক্ষা করার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র দেখছে ‘আমরা বাঙালী’৷

এব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ‘আমরা বাঙালী’ দলের অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্ত ৷ তিনি বলেন--- বরাক উপতক্যার কিছু মানুষ নিজস্ব কৃষি-সংস্কৃতি ঐতিহ্য ইতিহাস  উপেক্ষা করে ভাড়া করা ভাষা সংস্কৃতির  প্রচার ও প্রসার করছে৷ এই ধরণের আত্মঘাতী কর্মসূচী অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজজনক৷

মার্গীয় পদ্ধতিতে বিবাহ

ঝাড়খণ্ডের গুমলা গ্রামের রন্তু লোহারের কন্যা খুসবু লোহার সহিত পুরুলিয়া জয়পুর গ্রামের ফাল্গুনি কুমারের পুত্র পরিমল কুমারের বিবাহ মার্গীয় বিধিতে সম্পন্ন হয়৷

আনন্দনগরে স্বাস্থ্য শিবির

গত ১০ই অক্টোবর প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সলের  আনন্দনগর শাখার উদ্যোগে ডামরুঘুটু গ্রামে একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল হুগলির চঁুচড়া থেকে অভিজ্ঞ ডাক্তার মৃণালকান্তি রায় গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ও প্রয়োজনমত ঔষধ দেওয়া হয়৷

২০শে অক্টোবর শারদোৎসব উপলক্ষ্যে গ্রামের ছেলেমেয়েদের নূতন বস্ত্র দেওয়া হয় প্রাউট বিভাগের পক্ষ থেকে৷

আনন্দনগরে যোগসাধনা শিবির

আনন্দনগরে বিভিন্ন গ্রামে একদিনের যোগ  সাধনা শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে করোনার কোপ পড়লেও অন্যান্য রোগের প্রকোপ অনেকটা কমেছে৷ এর কারণ মানুষ অনেকটা স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ম মেনে চলছে৷