November 2020

আগরতলায় ছাত্র-যুবসমাজের বিক্ষোভ

গত ১লা নভেম্বর বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের ত্রিপুরা রাজ্যকমিটির পক্ষ থেকে বেকারদের কর্মসংস্থানের দাবীতে ও চিটফাণ্ড ষড়যন্ত্রের শিকার যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়৷ বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন  ছাত্র সমাজের  সচিব শ্রী বিপ্লব দাস, কল্যাণ পাল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

বরাক উপত্যকা ও মিজোরামে সীমান্ত বিরোধ চরমে

দক্ষিণ অসমের বরাক বাঙলার কাছার করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলার মিজোরাম সীমান্তে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে৷ মিজোরাম পুলিশ বলপূর্বক বেআইনিভাবে বরাক বাঙলার  বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করেছে৷ ‘আমরা বাঙালী’ দলের অসম রাজ্য কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন--- মিজোরাম সরকারের পুলিশ ও এম.জেড.পির মতো সংঘটন এই বেআইনি দখলের কাজে লিপ্ত৷ বরাক উপত্যকায় যাদেরকে ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে উচ্ছেদ করেছে তারা সবাই ভারতীয় বাঙালী৷ বরাক উপত্যকায় মিজোরাম সীমান্তে বসবাসকারী এই বাঙালীরা দীর্ঘদিন ধরে প্রহরীর মতো অসমের সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত রাখছেন৷ কিন্তু সরকার তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ যেহেতু বাঙালীরা উৎখা

আমতায় ‘আমরা বাঙালী’র পথসভা

সম্প্রতি হাওড়া জেলার আমতা বাসস্ট্যাণ্ডে বাঙলা ভাঙার চক্রান্ত গোর্খাল্যাণ্ড ও হত্যার  অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও কলকাতায় বিমলগুরুং-এর  প্রকাশ্যে আসার প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’ হাওড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় বক্তারা হুঁসিয়ারী দিয়ে বলে আবার বাঙলা ভাঙার চক্রান্ত হলে সারাদেশে আগুন জলবে৷ সভায়  বক্তব্য রাখেন  কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায়, অর্ণব কুণ্ডু, ভারতী কুণ্ডু, অমর চ্যাটার্জী, জয়ন্ত শীল, গোপা শীল, কৌস্তব সাহা প্রমুখ বক্তা৷

 হাওড়ার রাণীহাটীতে ‘আমরা বাঙালী’র স্বাস্থ্য শিবির

আমরা বাঙালী’ পাঁচলা ব্লক কমিটি রাণীহাটিতে  একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে৷ অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে শতাধিক মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা  হয় ও প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হয়, শিবিরের আয়োজন করেছিলেন শেখ কালো, প্রদীপ খাঁড়া প্রমুখ কর্মীবৃন্দ৷

কমলা হ্যারিস

 ইয়ূনিবার্সিটি অব ক্যালির্ফোনিয়ায় বার্কলেতে বায়ো-টেকনোলজি নিয়ে পড়তে গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর অখ্যাত এক গ্রামের মেয়ে শ্যামলা গোপালন ১৯৫৯ সালে৷ সেখানেই তার সাথে পরিচয় অর্থনীতিতে পি.এইচ.ডি করতে আসা জ্যামাইকান ছাত্র ডোনাল্ড হ্যারিসের৷ আমেরিকায় তখন কালো মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াই চরমে৷ একটি স্টুডেন্ট ফোরামে হ্যারিসের বত্তৃণতায় মুগ্দ ভারতীয়  মেয়েটি, তারপর দু’জনের পরিচয়, প্রেম, বিবাহ৷ তাদেরই কন্যা কমলা হ্যারিস ২০২০-তে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত৷

স্ব-নির্ভরতার বাগাড়ম্বর নয় আর্থিক স্ব-নির্ভর হতে চাই বাস্তবমুখী পরিকল্পনা

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত উত্তরবঙ্গ সফরকালে এক সাক্ষাৎকারে বলেন স্বনির্ভরতা নিয়ে অনেক বাগাড়ম্বর হচ্ছে, কিন্তু স্বনির্ভর হতে যে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা প্রয়োজন সে সম্পর্কে সরকার ও অর্থনীতিবিদ সকলেই নীরব৷ তিনি বলেন দেশের বর্তমান সরকার কথায় ও কাজে বিপরীতধর্মী৷ মুখে স্ব-নির্ভরতার কথা বলছেন, কিন্তু সরকার নিয়ন্ত্রিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছেন৷ পুঁজিবাদী মনস্তত্ত্ব হলো অধিক থেকে অধিকতর,অধিকতম মুনাফা৷ আর অর্থনীতির মূলকথা, স্বনির্ভরতার মূলকথা সর্বজনের সার্বিক বিকাশ৷ পুঁজিবাদী পরিকাঠামোয় যা কোনভাবেই সম্ভব নয়৷ মানুষ আর্থিকভাবে স্বনিভর

গ্রাম স্ব-নির্ভর হলে দেশ স্ব-নির্ভর হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

স্বাধীনতারপর সাত দশক পার হয়ে গেলেও সর্বসাধারণের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে, সামগ্রিকভাবে দেশের হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নের জন্যে কোন বলিষ্ঠ ও বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে ওঠেনি৷ এর একমাত্র কারণ ভারতবর্ষের রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে দেশীয় পুঁজিপতিরা, অর্থনীতিবিদ্ ও নেতারা শিখণ্ডী মাত্র৷

‘কৃষ্ণ’ নামের একাধিক ব্যাখ্যা

আজ গীতার একটা শ্লোক নিয়ে আলোচনা করব৷ শ্লোকটাকে গাইডিং বা কন্ট্রোলিং শ্লোকও বলতে পার৷ ব্যাখ্যাটা বিস্তৃত ভাবেই করব৷ ধৃতরাষ্ট্রঃ উবাচ (ধৃতরাষ্ট্র বললেন) –

‘‘ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেতা যুযুৎসবঃ৷

মামকাঃ পাণ্ডবাশ্চৈব কিমকুর্বত সঞ্জয়৷৷’’

পুঁজিবাদ ও সাম্যবাদ (কম্যুনিজম) – এদের মূলগত ত্রুটি

সাম্যবাদ ও পুঁজিবাদ মূলতঃ জড়বাদী দর্শন৷ উভয়েই জাগতিক আসক্তির মানসিকতাকে বাড়িয়ে দেয়৷ যার ফলে মানুষ অন্ধভাবে অর্থ, নাম, যশ, ক্ষমতা, প্রতিষ্ঠা ও প্রভাব–প্রতিপত্তির জন্যে ক্ষ্যাপা কুকুরের মত ছুটে চলে৷

সামঞ্জস্যপূর্ণ ত্রিস্তরীয় উন্নতিই প্রকৃত উন্নতি

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

মানুষের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয়---শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক৷ মানুষের উন্নতি মানে এই ত্রিস্তরীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি৷ এই সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি যদি না থাকে তাহলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে৷ বর্তমানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাত ধরে বা আধুনিকতার ছাপ মেরে যে বিপুল উন্নতির বড়াই আমরা করি এই তথাকথিত উন্নতি যে অনেক জটিল প্রশ্ণের সম্মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না৷