February 2021

প্রতিশ্রুতির ফানুষ উড়িয়ে বাঙলায় পরিবর্তন যাত্রা - প্রতিশ্রুতির ফানুষ চুপসে পেট্রল নববই পার

রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে সোনার  বাঙ লা গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে পরিবর্তন যাত্রায় সামিল হচ্ছেন একঝাঁক পরিযায়ী নেতা৷ বঙ্গ সংসৃকতির বিপরীত মুখে চলে রাজ্যে দলবদল শুরু হয়েছে ভোটের মুখে রাজ্য শাসক দল ছেড়ে কেন্দ্রীয় শাসক দলের দিকে৷  বঙ্গ বিজয়ের স্বপ্ণে বিভোর হয়ে প্রতিশ্রুতির ঝুড়ি মাথায় নিয়ে বঙ্গে হাজির একদল পরিযায়ী নেতা৷ বিজেপির, বঙ্গ বিগ্রেডের ওপর আস্থা নেই কেন্দ্রীয় নেতাদের৷

মহাসমারোহে নীলকণ্ঠ দিবস পালন

৯৭৩ সালের এই ১২ ফেব্রুয়ারী তারিখে পাপশক্তির ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আধ্যাত্মিক শক্তিবলে মারাত্মক বিষকে আত্মস্থ করেছিলেন৷ পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে সমুদ্রোত্থিত মারাত্মক বিষকে শিব কন্ঠে ধারণ করে ওই মারাত্মক বিষের বিষক্রিয়াকে ব্যর্থ করে’ ‘নীলকন্ঠ’ রূপে পরিচিত হয়েছিলেন, তেমনি শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীকেও হত্যা করার জন্যে তাঁর প্রতি প্রয়োগ করা বিষের মারাত্মক বিষক্রিয়াকে আধ্যাত্মিক শক্তি বলে ব্যর্থ করে দিয়েছিলেন৷ প্রমাণ করেছিলেন অত্যুৎকৃষ্ট আদর্শের অনির্বাণ দীপশিখা আনন্দমার্গকে ধবংস করা যাবে না৷

শিলিগুড়ি ও  আগরতলায় সেমিনার

গত ১২,১৩,১৪ই ফেব্রুয়ারী পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি দক্ষিণ ভারতনগরে আনন্দমার্গ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনদিনের একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত আলোচনাসভায় আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক,সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ এখানে প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য সুতীর্র্থনন্দ অবধূত৷

বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় মানুষের কাছে আনন্দমার্গ জীবনাদর্শের গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বাড়ছে৷ তাই সাংঘটনিক বিষয়ে আলোচনায় মানুষের কাছে আনন্দমার্গের জীবনাদর্শ পৌঁছে দিতে পরবর্তী পঞ্চায়েত  স্তর পর্যন্ত আলোচনা সভার কর্মসূচী নেওয়া হয়৷

আনন্দমার্গোক্ত অষ্টাঙ্গিক যোগসাধনা

...বৈবহারিক ক্ষেত্রে কোন জিনিস কতটা সার্থক সেটা বিচার করে মন৷ পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে কোন ব্যবস্থাপত্র কতখানি মানিয়ে চলতে পারে সে বিচারও করে মন৷ খেয়ে পরে শান্তিতে থাকা–এগুলোও করা হয় মানসিক তৃপ্তির জন্যে৷ আর সব চাইতে বড় কথা, যে কোন মতবাদ সম্বন্ধেই বলা হোক না কেন, সমর্থনশাস্ত্র মননশীলতার ওপরই নির্ভরশীল৷ মানসিক ব্যাধি বা আধ্যাত্মিক ব্যাধিমাত্রই মায়াবাদ নয়৷ মাটির পৃথিবীর সঙ্গে, মানুষের মনের সঙ্গে যোগসূত্র রেখেও আধ্যাত্ম দর্শন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে৷ আনন্দমার্গ তেমনি একটা দর্শন৷

সদ্বিপ্র বোর্ড

আগে আমি বহুবার বলেছি যে যাঁরা আধ্যাত্মিক নীতিবাদ তথা ‘‘যম–নিয়ম’’ পালন করেন আর যাঁরা পরম চৈতন্য সত্তার প্রতি অনুরক্ত তাঁরাই হলেন সদ্বিপ্র৷ মানুষ সদ্বিপ্রকে চিনে নেবে তাঁর আদর্শ আচরণ, নিঃস্বার্থ সেবা, কর্ত্তব্যপরায়ণতা আর নৈতিক দৃঢ়তার মধ্যে দিয়ে৷ একমাত্র সদ্বিপ্ররাই নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা করতে পারে আর সকলকে সর্বাত্মক প্রগতির পথে নিয়ে চলতে পারে৷ এই সদ্বিপ্ররা–যারা সঠিক জীবনাদর্শকে অনুসরণ করে আর যথাযথ সাধনা পদ্ধতির অনুশীলন করে–তারাই ভবিষ্যতে মানবসমাজের নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত থাকবে৷

বাংলা ভাষার প্রতি অবদমন বন্ধ হোক

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷ ওই হীনম্মন্যতা বোধ ওই জনগোষ্ঠীর মনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়৷ তাই তাদের ভাষায় অবদমিত, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে সবসময় কাজকর্ম করতে হয় তারা ধীরে ধীরে যেমন মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা তাদের নৈতিক উদ্যম ও প্রতিবাদ করার শ

সমাজের বৃহত্তম স্বার্থেই আদর্শহীন রাজনীতি বর্জনীয়

এইচ.এন.মাহাতে

কংগ্রেস আমলে মানসিক ও আর্থিক শোষণ লাগাম ছাড়া হওয়ায় মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে শুরু হলো ‘ফুড ফর ওয়ার্ক’৷ এটা এক ধরনের কাজের নামে খাদ্যের মেলা৷

অন্যদিকে সিপিএমের রাজনৈতিক শ্লোগান হলো ‘ঋণ করে ঘি খেয়ে যাও৷’ তাই তাদের আমলে শুরু হলো মাঠে ঘাটে ক্যাম্প করে জনসাধারণকে কাজের  পরিকল্পনা না দিয়ে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার ঋণের মেলা৷ তাদের নেতারা বলতেন ওই ঋণের টাকা মকুব হয়ে যাবে৷ বাস্তবে কিন্তু ঘটনা ঘটেছে উল্টো অর্থাৎ ঋণ গ্রহিতার উপর টাকা আদায়ের জন্য ব্যাঙ্ক বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করলে অনেকেই জমি ঘটি বাটি  বিক্রয় করেও ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়৷

পশ্চিমবাঙলা রক্ষার দায় ঐক্যবদ্ধ হিন্দু ও মুসলমান ভাই ও বোনেদের

প্রভাত খাঁ

অতীতের সেই ভারতবর্ষ আজ আর নেই! সেই মহান ভারতবর্ষকে তিনখণ্ড করে আজ পাকিস্তান  ভারত ও বাংলাদেশ হয়েছে৷ মাঝে ভারত যুক্তরাষ্ট্র যেন আজ ডানা কাটা পক্ষী বিশেষ!

অসমে বিনাশর্তে নাগরিকত্ব প্রদানের দাবী‘আমরা বাঙালী’র

গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী শিবসাগরে এসে বলে গেলেন, অসমচুক্তি অসম রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে ও তারা ক্ষমতায় এলে অসমে নাগরিকত্ত্ব আইন প্রয়োগ করা হবে না৷ ‘‘আমরা বাঙালী’’ অসম রাজ্য কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্থ রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন--- ‘‘অসম চুক্তি’’ শুধু অসম নয়, সারা উত্তরপূর্বাঞ্চলকে বাঙালী বিদ্বেষী করে তুলেছে৷ নাগরিকপঞ্জী থেকে শুরু করে ডি-ভোটার, ডিটেনশন ক্যাম্প সবকিছু এই কালা চুক্তির ফসল৷

মার্গীয় বিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহ

গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী আগরতলা উত্তর যোগেন্দ্রনগরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী উত্তম দেবনাথ ও রিনা দেবনাথের পুত্র পার্থসারথির সহিত গনকি খোয়াই নিবাসী বাবুল তেলেঙ্গা ও সুপ্রিয়া দত্তের (তেলেঙ্গা) কন্যা সুরভি তেলেঙ্গার বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গের চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী৷