April 2021

সৎ কী ও অসৎ কী?

‘সৎ’ কী ও ‘অসৎ’ কী– এ সম্পর্কে যে বিচারৰোধ তাকে সদাসৎ বিবেক বলে, যা ‘সৎ’–কে ‘অসৎ’ থেকে ও ‘অসৎ’–কে ‘সৎ’ থেকে পৃথক করে দেয়৷ ‘সৎ’ কী? লৌকিক ভাষায় ‘সৎ’ মানে ভালো– সৎ ব্যষ্টি, সজ্জন ব্যষ্টি৷ আর আধ্যাত্মিক অর্থে ‘সৎ’ মানে অপরিণামী সত্তা– যাতে কোনো পরিবর্তন হয় না৷ আর ‘অসৎ’ মানে যা পরিণামী, যার অবস্থান্তর ঘটে৷ ‘সৎ’ বস্তু একই, বাদবাকী সব অসৎ৷ ‘অসৎ’ মানে খারাপ নয়, পরিবর্তনশীল৷

সমাজের কল্যাণে সকল শ্রেণীর মানুষের উপযোগ গ্রহণ

সমাজের উন্নতি বা প্রগতি ব্যষ্টি–বিশেষের একক প্রচেষ্টায় হয় না, বা হতে পারে না৷ কেউ দেয় মস্তিষ্ক, কেউ দেয় হাত, কেউ পা৷ তাই সুবিচার করতে গেলে পা–কে হীন আর মাথাই সর্বস্ব অথবা মাথাটার কোন দাম নেই–বুদ্ধিজীবী মাত্রেই শোষক, আর যারা গায়ে গতরে খেটে চলেছে তারাই সবকিছু–এই দুই প্রকার চিন্তাধারাই সমান বিপজ্জনক৷ আসল কথাটা হচ্ছে কে নিজের সামর্থ্য কতখানি কাজে লাগিয়েছে সেইটাই বিচার করে’ দেখা৷ সমুদ্র বাঁধতে গিয়ে হনুমানের পর্বত বয়ে আনা, আর কাঠবেড়ালীর নুড়ি বয়ে আনা তত্ত্বগত বিচারে তুল্যমূল্য৷ কারও আন্তরিকতাতেই আমরা সন্দেহ রাখতে পারি না, অবজ্ঞাও করতে পারি না৷ নিজের সম্পদ যে যথাযথভাবে খাটায়নি সে যদি, যে নিজের সম্প

সমাজের সামনে তিন বিপদ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আজ দেশের সামনে, শুধু দেশের সামনে কেন, পুরো সমাজের সামনে ৩টি বৃহত্তম বিপদ৷ একটি হ’ল পুঁজিবাদ, দুই হ’ল জড়বাদ, আর তিন হ’ল গোঁড়া সাম্প্রদায়িকতা বা যাকে বলা হয় মৌলবাদ৷

প্রকৃত আত্মবিকাশের পথ আধ্যাত্মিকতা

সত্যসন্ধ দেব

আজ একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল ভারতেও অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারে আবদ্ধ মানুষ ভাবে গঙ্গাস্নানে পাপক্ষয়  ও পুণ্য সঞ্চয় হবে বা গোরুর লেজ ধরে ভববৈতরণী পার হওয়া যাবে  এখন দেখা যাক্, পাপ–পুণ্য কী? ব্যাসদেব বলেছেন, ‘‘অষ্টাদশ পুরাণেষু ব্যাসস্য বচনাদ্বয়ম্, পরোপকারায় পুণ্যায় পাপায় পরপীড়নম্৷’’ অষ্টাদশ পুরাণে ব্যাসদেবের শিক্ষা হ’ল পরোপকার পুণ্য ও পরপীড়ন পাপ৷

মুনীঋষিরা এও বলেছেন কর্মের ফল ভুগতেই হয়৷ সৎকর্মের সুফল ও অসৎকর্মের কুফল – দুইপ্রকার ফলেরই ভোগ হয়৷

বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে

মনোজ দেব

পরিবেশগত ভাবে বাঙালী মুক্ত–চিত্তের অধিকারী৷ জাত–পাতের লড়াই গৌড়বঙ্গে বড় একটা ছিল না৷ তন্ত্র–ভিত্তিক শৈব সংস্কৃতি বাঙালীর চেতনা–মননকে পুষ্ট করেছে৷ পেশাভিত্তিক সামাজিক–র্থনৈতিক জীবন শুরু হবার বহু পূর্ব থেকেই সকল বাঙালীর সাধারণ পেশা ছিল তিনটে – মাছ ধরা, তাঁত বোনা ও চাষ করা৷ তাই উঁচু–নিচু–জাত–পাত ছিলনা৷ কাল হল আর্যাবর্তের ব্রাহ্মাণ্য সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ৷ পরবর্তীকালে বল্লাল সেনের বল্লালী দাওয়াই–কৌলিন্য প্রথা ও ‘বিভেদ কর, শাসন কর’ নীতি বাঙালীর মুক্ত চিত্তের মেরুদন্ড ভেঙে দিল৷ আরো পরবর্তী কালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের ‘বিভাজন ও শাসন’ নীতি বাঙালীর অনৈক্যকে সুদূর প্রসারী করেছে৷ স্বাধীনোত্তর কালে অচেতন

শফরী ফড়ফড়ায়তে

হরিগোপাল দেবনাথ

  বিগত  ২০১৩ এর লোকসভা নির্বাচনে  আমাদের ‘‘স্বচ্ছ ভারতের অচ্ছা দিন’’ আনবার অগ্রদূত মোদীজী সরকারের প্রতিভূরা দেশবাসীদের উদ্দেশ্যে যে-সব প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছিলেন সে-সবের ছিটে ফোঁটাও রক্ষা করতে পারেন নি বরং দিনে দিনে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অভাব অভিযোগ, দুর্র্যেগ, দুর্ভোগ ও নানাবিধ সমস্যা বেড়েছে বৈ কমেনি৷ তদুপরি, গত বছরটি গেছে  করোনা-বাইরাস-কবলিত এক দুর্র্যেগপূর্ণ কাল, যারফলে  আপামর ভারতবাসীর জীবন-জীবিকার  উপর চরম আঘাতও নেমে এসেছিল৷  শুধু ২০১৪ নিয়েই কেন বলব?

চাই ‘‘আমরা বাঙালী’ ভাবাবেগ

আনন্দমোহন দেব

‘‘যে কোনো সমাজে বা সমাজ সংরচনায় সদস্যদের মধ্যে একতা একান্ত অপরিহার্য৷  তা না হলে সামাজিক সংরচনা বিপর্যস্ত হতে বাধ্য৷ সমাজ সদস্যদের অত্যধিক বৈয়ষ্টিক স্বার্থকেন্দ্রিকতার ফলে একতার  অভাব অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভিত্তিক দল সৃষ্টি, অন্যের কার্যধারা বোঝার মত মানসিক উদারতার  অভাব --- এগুলো শুধু কোন সমাজের  অধঃপতনেরই  সূচনা করে না, এগুলো ওই সমাজকে  ধরা পৃষ্ঠ থেকে  একেবারে নিশ্চিহ্ণ করে দেয়৷ এই  পৃথিবীর ইতিহাসে বহুদল ও সাম্রাজ্যের  অবলুপ্তির দৃষ্টান্ত বিরল নয়৷’’ (শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার) তাই সুষ্ঠু সমাজ বা সমাজ ব্যবস্থার জন্য সদস্যদের একতা অপরিহার্য৷ বর্ত্তমানে আমাদের বাঙলায় এই একতার অভাব৷ এইভাবে চলতে দিত

মেদিনীপুরে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন

পূর্ব মেদিনীপুর ভুক্তির উদ্যোগে কাকগেছিয়া সুপার স্টার ক্লাবের পরিচালনায় তমলুক উপভুক্তিতে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্ম শতবর্ষ উদ্‌যাপন করা হয় গত ৪ঠা এপ্রিল , রবিবার৷ অনুষ্ঠান শুরু হয় ভোর ৪টায় প্রভাতফেরী দিয়ে৷ এরপর ৬ঘন্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ অখণ্ড কীর্ত্তনে নারী-পুরুষ ভেদ ব্যতিরেকে সমস্ত গ্রামবাসীরা- -উৎসাহের সঙ্গে যোগদানের মাধ্যমে কীর্ত্তনের আনন্দ উপভোগ করেন৷ এরই ফাঁকে একটি বর্ণাঢ্য নগর কীর্ত্তনের মাধ্যমে গ্রাম পদক্ষিণ করে আনন্দমূর্ত্তিজীর শিক্ষা মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়৷ এই অনুষ্ঠানে শতাধিক মার্গী ছাড়াও কাকগেছিয়া ভাণ্ডারবেড়িয়া , উদয়পুর, যোগীখোপ  ও গৌরাঙ্গপুর গ্রামের ৪০০০ এর উপর গ্রাম

ওড়িশায় আনন্দমার্গের নোতুন স্কুল

গত ৫ই এপ্রিল ওড়িয়া বারকোটে একটি নোতুন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের উদ্বোধন করেন৷ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লী সেক্টরের সচিব আচার্য বিশ্বত্মানন্দ অবধূত, ওড়িশার দায়িত্বপ্রাপ্ত আচার্য চিরঞ্জীবানন্দ অবধূত৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

খোয়াই জেলার কল্যাণপুর ব্লকের রতিয়া নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী পরলোকগত মনীন্দ্রমোহন ভৌমিকের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান মার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর আনন্দমার্গের সমাজ শাস্ত্র বিষয়ে বক্তব্য রাখেন দানেশ পাল ও মহীন্দ্র গোপ, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিচালনা করে আচার্য বিশ্বগানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠান শেষে বেশকিছু  দুঃস্থ মানুষকে বস্ত্র বিতরন করা হয়৷