April 2021

রাঢ়ে নারী স্বাধীনতা

(মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর শব্দ চয়নিকা–২৬ খণ্ড গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে ‘নারীর মর্যাদা’ বিষয়ক অনেক কিছুই বলেছেন৷ ওই গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ সংকলিত করে প্রকাশ করা হচ্ছে৷     –সম্পাদক)

নববর্ষ করি স্পর্শ

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

আমরা বাঙালী ভালই জানি

বাঙালীস্তানের নববর্ষ,

আনন্দের সে এক মূর্ছনায়

বাঙালীর মন করে স্পর্শ৷

আমরা বাঙালী এই সময়

মনে প্রাণে বাঙালী তাই,

বাংলা ও বাঙালীর ভাবের

পোশাক পরে ঘুরে বেড়াই৷

আমরা বাঙালী অতিগর্বে

সবারে আজ বলতে চাই,

নোতুন বছর এলেই দেখ

ভাল মন্দ সব কেমন খাই৷

আমরা বাঙালী এই দিনটির

অপেক্ষাতে অতীত ভুলে,

নোতুনকেই করতে বরণ

নেচে চলি দু হাত তুলে৷

আমরা বাঙালী যে কোন রূপে

খুশির নববর্ষটারে

পরবাসে থাকলেও কেউ

সেথায়ও একে বরণ করে৷

পাখীর সন্দেশ

কৌশিক খাটুয়া

মোরা পাখীগণ ঘুরিয়া ভূবন

ভরেছি অনেক তথ্য,

ছন্দে ছন্দে প্রকাশ করি

যাহা কিছু দেখি সত্য৷

মানুষের মাঝে স্বার্থ, দ্বন্দ্ব,

কোথায় আত্মীয়তা,

বিশ্ব ভ্রমিয়া এসব মোদের

তিক্ত অভিজ্ঞতা৷

মুষ্টিমেয় দানবের হতবুদ্ধিতে

মানুষ নয়কো খুশি,

মানুষের মাঝে গড়ে অবরোধ

ভাগ্যকে কেন দূষি?

বর্ণবিদ্বেষ, শোষন, পীড়ন

নানান দুরভিসন্ধি,

গৃহযুদ্ধের ভয়াবহতায়

মানুষেরা গৃহবন্দি৷

শিক্ষা–স্বাস্থ্য নয়কো সবার

রয়েছে ক্রয়মূল্য,

এহেন সমাজে নারীর মর্যাদা

ভোগ্যপণ্যের তুল্য৷

গাজনে মড়া খেলা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

 এককালে চৈত্রমাসের গাজন ছিল সারা বাংলার একটি জনপ্রিয় উৎসব৷ গাজনের নায়ক হচ্ছেন শিব৷ ভূত প্রেত নিয়ে শিব শ্মশানে থাকেন৷ তাই তাঁর উৎসবে একটু ভৌতিক ব্যাপার স্যাপার থাকবে এ আর আশ্চর্য কি৷

এখন গাজন উৎসব অনেক পরিচ্ছন্ন হয়েছে৷ সেকালের মত গাজনে মড়াখেলার অনুষ্ঠান আর হয় না৷

বাঙলার ক্লাব ক্রিকেটে থার্ড অ্যাম্পায়ার

সাধারণত প্রতিটি ক্রিকেট খেলাতেই সঠিক জাজমেন্ট দেওয়ার জন্য একজন অতিরিক্ত অ্যাম্পায়ার রাখার সিদ্ধান্ত বহুকাল প্রচলিত আছে যাকে আমরা থার্ড আম্পায়ার বলে থাকি৷ কিন্তু সর্বক্ষেত্রে তা ছিল না৷ অর্থাৎ ক্লাব ক্রিকেটের ক্ষেত্রে দুজন আম্পায়ারই এতদিন ছিল, কিন্তু এবার বাঙলার ক্লাব ক্রিকেটেও নিয়ে আসা হল থার্ড আম্পায়ার অর্র্থৎ তৃতীয় আম্পায়ার৷ এর আগে সি.এবি পরিচালিত ঘরোয়া ক্রিকেটে  তৃতীয় আম্পায়ার থাকতেন না৷ কিন্তু গত সোমবার জে.সি মুখোপাধ্যায় ট্রফির দুই সেমিফাইনালেই ছিলেন তৃতীয় আম্পায়ার৷ ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয় ইষ্টবেঙ্গল মোহনবাগান৷

কুরকুড়ি আনন্দমার্গ স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

গত ২রা এপ্রিল বীরভূম জেলার কুরকুড়ি আনন্দমার্গ এক মনোরম নান্দনিক পরিবেশে বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রারা আবৃত্তি, নৃত্য,সঙ্গীত ও নানা সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি পরিবেশনের  মাধ্যমে উপস্থিত দর্শক বৃন্দকে মুগ্দ করে রেখেছিল কয়েকঘন্টা৷

ম্যারাথন নির্বাচনে প্রথম দফার বোট গ্রহণের প্রস্তুতি তুঙ্গে

রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্ব শুরু হতে আর মাত্র ২৪ ঘন্টা বাকি৷ প্রকাশ্যে প্রচার পর্ব শেষ৷ রাজ্যে এবার লড়াই মূলত তৃণমূল, বিজেপি৷ রয়েছে বাম কংগ্রেস জোট, ‘আমরা বাঙালী ও আর কয়েকটি দল৷

বঙ্গে বাড়ছে করোনা

করোনার প্রকোপ অনেকটাই কমে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গে৷ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একটা সময় ১৫০-এর নীচে নেমে এসেছিল৷ স্কুল কলেজ বাদ দিলে আর সবকিছুই এখন স্বাভাবিক৷ মানুষের মধ্যেও করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কমছে৷ ট্রেনে বাসে অনেকেই মাক্‌স ব্যবহার করছে না৷ নির্বাচনী প্রচারে জনসমাবেশে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাও স্বাস্থ্য দপ্তরের বিধি নিষেধ মান্যতা দিচ্ছেন না৷ এই অবস্থায় রাজ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়ছে৷ ১৫০-এর নীচে থেকে ৪০০-এর ওপর উঠে এসেছে৷ গত বুধবার রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬২ জন৷ যা  স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তা-ব্যাষ্টিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে৷

গণতন্ত্রের আড়ালে গোষ্ঠীতন্ত্রের শাসনে  জর্জরিত দেশ - প্রাউটের সদ্‌বিপ্রতন্ত্রই মুশকিল আসান

রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনের আগে প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন--- জনগণ যাতে শান্তিতে বোট দিতে পারেন  রাজনৈতিক দলের নেতাদের তার দায়িত্ব নেওয়া উচিত৷ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে প্রত্যেকেরই মর্যাদা দেওয়া উচিত৷ মানুষ যাতে শান্তিতে ও নির্বাধায় ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোর সেটা দেখা উচিত৷

অসমে ভাষিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’

নির্বাচনের আগেই ভাষিক আগ্রাসনের খাড়া এল৷ ১৭মার্চ সেবা একটি সার্কুলারের মাধ্যমে আসামে অসমিয়া ভাষাটিকে মাধ্যমিক স্তরে অবশ্যপাঠ্য করে দেবার সুচতুর প্রয়াস নিয়েছে৷ খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে বরাক এবং বড়ো অঞ্চলকে এর বাইরে রাখার কথা বলেও অন অসমিয়াদের জন্য ইলেকটিভ অসমিয়া বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হল এতে৷ রাজ্যভাষা আইনের সংশোধনী যেখানে বাংলা ভাষার রক্ষাকবচ অর্থাৎ ধারা''5 এরSafeguard of the use of  Bengali language in the District of Cachar'' বলে যে সংস্থান রাখা হয়েছিল এটাকে তার জায়গায় রেখেই এই ভাষিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার এই যে প্রথম পদক্ষেপ তা স্পষ্ট৷ ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে  রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্ত এক প্র