April 2021

রাজ্যে বিজ্ঞানচর্র্চয় জোরপূর্বক হিন্দীর অনুপ্রবেশ

ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স---বাঙলায় বিজ্ঞান গবেষণার জন্য ডঃ মহেন্দ্রলাল সরকার তৈরী করেছিলেন এই প্রতিষ্ঠানটি৷ বর্তমানে এই বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন৷ এখানে শিক্ষাকর্মীদের ৯০ শতাংশ বাঙালী৷

সম্প্রতি কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের রেজিস্টার পূর্বাশা বন্দোপাধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান প্রতিষ্ঠানের চিঠিপত্রসহ নানা কাজে হিন্দী ব্যবহার করতে হবে৷ নোট, সার্ভিস বুক, ফাইল স্বাক্ষর সবকিছু হিন্দীতে লিখতে হবে৷ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারী ভাষাদপ্তর খতিয়ে দেখেছে প্রতিষ্ঠানটিতে আশানুরূপ হিন্দীর ব্যবহার হচ্ছে না৷

করোনা বাইরাস সংক্রমনের প্রেক্ষীতে মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব

সত্যসন্ধ দেব

করোনার উর্দ্ধগতি অনেকটাই কমে এসেছিল৷ জীবন যাত্রাও স্বাভাবিক৷ টিকাকরণের কাজও শুরু হয়েছে৷ ঠিক এই সময় করোনার গতি আবার উর্দ্ধমুখী হচ্ছে৷

এই প্রসঙ্গে বলি কেবল করোনা বাইরাস নয়,  ইদানিংকালে নানান্‌ ধরণের  মারাত্মক বাইরাস  জনিত মারণ রোগ বৈজ্ঞানিকদের ভাবিয়ে তুলেছে৷ কেননা এই ভাইরাস বাহিত  নানান্‌ ধরণের  মারণরোগের  মাঝে মাঝেই প্রাদুর্ভাব  হচ্ছে৷ চিকিৎসা  বিজ্ঞানী এইসব বাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন৷ এই ভয়ঙ্কর বাইরাসকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় বৈজ্ঞানিকদের কাছে এটাই এখন বড় সমস্যা৷

চার প্রকারের সেবা

মানুষের করণীয় কী? জীবন একটা ব্রত৷ আমি বলেছি মানুষের জীবন একটা আদর্শের ধারাপ্রবাহ বিশেষ৷ অর্থাৎ মানব জীবন একটা ব্রত–জীবন মানেই ব্রত অস্তিত্ব মানেই ব্রত৷ ‘‘আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ’’–মানুষ যা–ই করুক না কেন, তা করা উচিত আত্মমোক্ষের জন্যে–তার নিজের মোক্ষের জন্যে, আর করা উচিত সমগ্র বিশ্বের উন্নতির জন্যে৷ মানুষের এই দু’টো কাজ করতে হবে অর্থাৎ মানুষের ব্রত হচ্ছে এই দু’টো কাজ৷

ব্লক–ভিত্তিক পরিকল্পনা

প্রাউটের যে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা মেসিনারি, তা মুখ্যতঃ কাজ করবে কেন্দ্রীয় স্তরে, রাজ্য স্তরে, জেলা স্তরে ও ব্লক স্তরে (অবশ্য ওয়ার্লড গব্ণমেন্ট প্রতিষ্ঠার পরে গ্লোব্যাল স্তরেও এই পরিকল্পনা মেসিনারী কাজ করবে)৷ ব্লক স্তরে যে পরিকল্পনা মেসিনারি কাজ করবে, প্রাউটের অর্থনীতিতে তাই হবে সর্বনিম্ন পরিকল্পনা সংস্থা৷ অর্থনৈতিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের জন্যে পরিকল্পনাকে নীচের থেকে ওপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে৷ সেটাই হচ্ছে নীতি৷২ অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে হতে হবে ব্লক ভিত্তিক৷৭

ধর্মমতের সংকীর্ণ গণ্ডী অতিক্রম করে মানবধর্মের আদর্শে উদ্ধুদ্ধ হোক মানুষ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের জালে জড়িয়ে আঁতুড় ঘর থেকে শশ্মানঘাট পর্যন্ত শোষনের জাল বোনা হয়েছে৷ অপ্রয়োজনীয় সামাজিক আচরণের বোঝাকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু  মোটেই ঠিক নয়৷

আদর্শ নেতা হতে গেলে কী প্রয়োজন

এইচ.এন.মাহাত

 অতীতে ভারতের রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা একটি সঠিক আদর্শের মধ্যে দিয়ে চলার চেষ্টা করতো-সেটা ভুল বা ঠিক হোক৷ আমরা ভারতের স্বাধীনতায় আত্মবলিদানের মত সংগ্রামী বিপ্লবীদেরও দেখছি৷ আবার এই বিপ্লবীদের মধ্যেও মিরজাফর বা বিশ্বাসঘাতকেরও  দেখেছি৷ এদের সংখ্যাটি খুবই নগণ্য ছিলো৷ আমরা প্রফুল্ল চাকী বা ক্ষুদিরামের মত কিশোর বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ দেখেছি তেমনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রেরণা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু’র মত নিষ্ঠাবান দেশভক্তি আমাদের কাছে অতিবিরল সম্পদ৷ তাই এইসব শ্রদ্ধাস্পদ প্রাতঃস্মরণীয় ব্যষ্টিদের জীবনাদর্শই অনুসরণযোগ্য৷

ত্রিপুরার রাজনীতিঃ রাজ্যের ‘‘এডিসি’’ বিষ-লতায় মুকুল এসেছে

হরিগোপাল দেবনাথ

পৃথিবী গ্রহের বুকে সুদীর্ঘকাল ধরে যে প্রাণী-জগৎ বিরাজমান, সেই প্রাণী জগতে মন-প্রধান জীবরূপে শীর্ষস্থান অধিকার করে রয়েছে মানুষ৷ উচ্চ-মননশীলতার অধিকারী বলেই আর তারও চেয়ে আরও বড় কারণ বিশ্বশ্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি বলেও মানুষ বিচারশীল ও বুদ্ধিমান জীববলেই জগতে খ্যাত৷ কিন্তু, কথাটি শ্রুতি কটু ও অপ্রিয় হলেও সর্বাংশেই নিখুঁত, সত্যি যে, মানুষের রচিত মনুষ্য-সমাজে বৃহদংশের মানুষরা---নির্বিচারে শোষিত,বঞ্চিত, নিপীড়িত,লাঞ্ছিত একশ্রেণীর দুষ্টবুদ্ধিবিশিষ্ট,হীনবৃত্তি সম্পন্ন,আত্মকেন্দ্রিক,স্বার্থপর,ভোগলোলুপ,  ক্ষুদ্রাংশের মানুষদেরই দ্বারা৷ সামাজিক-অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই শ্রেণীর মানুষদের বৈশ্য-শ্রেণী তথা

শাসক দায়িত্বহীন বেচারাম  জনগণ দুঃখীরাম - এ কেমন গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে ভারতের বুকে কেন্দ্রে যে শাসন চলছে সেটা হলো বিজেপি দলের শাসন৷ অনেক আশা করেই হয়তো বোটারগন কংগ্রেস দলের শাসন পালটিয়ে এদের আনেন কেন্দ্রে৷ এবার এঁরা কেন্দ্রে এসেছেন দ্বিতীয়বার৷ প্রথম বারের শাসনেই এঁরা বেশ কিছুটা হিন্দুত্ববাদী মানসিকতাকে চাঙ্গা করে তোলে, তাতে দ্বিতীয়বারে তাঁরা পুনরায় শাসনে আসেন৷ যদিও তাঁদের শাসনে দেশ আর্থিক, সামাজিক দিক থেকে দারুণভাবে পিছিয়ে পড়ে,তাতে জনগণের বিশেষ করে কোটি কোটি হতদরিদ্র ভারতবাসীর দৈনন্দিন জীবন যাপনের পথ দুর্বিসহ হয়ে পড়ে৷ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণের অবস্থাটা তলানিতে চলে যায়৷ চরম দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি,চরম বেকার সমস্যায় মানুষ ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে৷ বিমুদ্রাকরণটাই দেশকে

বোলপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ২১শে মার্চ বোলপুর নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী রাধারাণী পালের বাসগৃহে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিনঘন্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ মহামন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তন উপলক্ষ্যে রাধারাণী পালের বাসগৃহে বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মার্গী ভাই-বোনেরা সমবেত হয়েছিলেন৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর মার্গগুরুদেবের রচনা পাঠ করে শোনানো হয় উপস্থিত ভক্তমণ্ডলীদের৷ এরপর কীর্ত্তন মাহাত্ম্য ও আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর আলোচনা করেন ভুক্তিপ্রধান কেশব সিন্‌হা, জিতেন্দ্রনাথ মণ্ডল, শিউড়ি ডিট.এস আচার্য দেবপমানন্দ অবধূত, আচার্য কমের্র্শনন্দ অবধূত ও আচার্য মিতক্ষরানন্দ অবধূত৷

নারায়ণ পল্লীতে স্বাস্থ্য শিবির

গত ২৪শে মার্চ কলকাতার নারায়ণপল্লীতে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিমের মহিলা শাখার  পক্ষ থেকে একটি চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ ওই শিবিরে প্রায় ৮০ জন দুঃস্থ মানুষের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় অভিজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা ও প্রয়োজনীয় ঔষধও দেওয়া হয়৷