April 2021

বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে আমরা বাঙালী

প্রথম দফার নির্বাচনে প্রচার শেষ করলেন ‘আমরা বাঙালী’র প্রার্থীরা৷ প্রথম দফার নির্বাচনে জঙ্গলমহল ও পূর্বমেদিনীপুরে  দশটি কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে৷ কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী বকুলচন্দ্র রায় জানান ‘আমরা বাঙালী’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে মানুষকে অবগত করতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়ে প্রচারে নেমেছেন৷

কোচবিহার জেলার  আট কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী

১ নং মেঘলীগঞ্জ (তপঃ) কেন্দ্রে শ্রীমতী চীনু রায় বর্মন৷

২ নং মাথাভাঙ্গা (তপঃ) কেন্দ্রে রতন বর্মন৷

৩ নং কোচবিহার উত্তর (তপঃ) কেন্দ্রে  গোপাল রায়৷

পক্ষাঘাত (প্যারালিসিস)

মানুষের দেহরূপী যন্ত্রের আপাতঃ নিয়ন্তা তার মস্তিষ্ক৷ সংজ্ঞা ও আজ্ঞা নাড়ীর সাহায্যে মস্তিষ্কই বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে ভাব গ্রহণ ও সঞ্চালন করে’ থাকে৷ এই মস্তিষ্করূপী স্নায়ুকেন্দ্র আবার দক্ষিণ ও বাম ভেদে মোটামুটি দু’টি অংশে বিভক্ত৷ দক্ষিণ মস্তিষ্কস্থ স্নায়ুপুঞ্জ দেহের বাম অংশ বা বাম পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করে ও বাম মস্তিষ্ক স্নায়ুপুঞ্জ দেহের দক্ষিণ অংশ বা দক্ষিণ পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করে৷ রক্তের চাপে বা অন্য কোন কারণে মস্তিষ্কের কোন একটি অংশের স্নায়ুপুঞ্জ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে’ পড়লে সেই অংশ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত দেহাংশ বা পক্ষ নিষ্ক্রিয় হয়ে’ পড়ে৷ দেহাংশবিশেষের এই যে নিষ্ক্রিয়তা একেই বলা হয় পক্ষাঘাত বা পক্ষবধ র

পূজনীয়

শর্মিলা রীত

তোমাদের জন্য দেখেছিলাম এই পৃথিবীর আলো,

মা বাবার একটি সন্তান মানে, হাজার তারার আলো৷

আঁতুড় ঘরে তোমার গায়ের গন্ধ ছিল-

সব থেকে চেনা ও প্রিয়..

ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা আর আদর দিয়ে ভরা...

বাবার কাছে সব আবদার

শুধু শাষণ একটু কড়া৷

আজ তোমার সন্তান হয়েছে অনেক বড়ো,

দারুণ শীতে আর বলে না, মাগো জড়িয়ে আমায় ধরো৷

তোমার সন্তান হয়েছে আজ কেউ-

অফিসার, ডাক্তার কিংবা উকিল,

তোমরা হয়েছ বৃদ্ধ-

তাই ঘরে রাখা হয়েছে মুশকিল৷

যে বাবা তার সন্তানদের জন্য-

করত কঠোর পরিশ্রম

তাই কি তার আশ্রয় আজ শুধুই বৃদ্ধাশ্রম?

তোমার আগমণে

সুকুমার রায়

আজি তোমার শুভ জনমদিনে

দোলায় ভুবন তোমার আগমণে

কতকাল পর এসেছিলে ধরায়

মোহনসাজে তুমি চিন্ময়৷

তন্দ্রাঘোরে বাজল ধবনী হৃদয়ে

স্পন্দিত মন তোমার পথ চেয়ে৷

উঠেছিল ঢেউ নন্দন কাননে

সুশোভিত ধরা বন্দিত মননে৷

 

তোমার জনমদিনে শুভপ্রাতে

শুনে চরণধবনী ধূলির ধরনীতে

ফুঠেছিল ফুল বন-উপবনে

তোমার চরণে নিবেদিত মনে৷

মৃদুছন্দ তালে সুরভিত পবনে

স্বাগত জানাতে বিনম্রবদনে৷

পূর্ণশশি যবে অপরূপ সাজে

ধরণীর শোভা যে প্রদীপ্ত বেশে৷

 

সোনালী ভোর

কৌশিক খাটুয়া

রঙ যদি নাহি থাকে অঙ্গে

থাকে যেন মনেরই সঙ্গে,

যে রঙে রঞ্জিত প্রভু তুমি,

সেই রঙে রাঙায়েছ বনভূমি৷

গোধূলি ও ঊষা রাঙা

অরুণ রাগে,

মধুপ গুঞ্জরিত সদা ফুল পরাগে৷

 

শৃঙ্খলা

দাদাঠাকুর

জীবনে সফল হবার জন্যে শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান৷ ঘরে, স্কুলে, খেলার মাঠে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দিলেই অশান্তি ঘটে৷ যে ছেলে–মেয়েরা শৃঙ্খলা মানে না, তারা জীবনে কখনও বড় হতে পারে না, তাদের কেউ ভালবাসে না৷ তাই আমাদের জীবনে সর্বক্ষেত্রে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে৷

১৷ তুমি তোমার ক্লাশে কখনও গণ্ডগোল করবে না, সবসময় শান্ত হয়ে থাকবে৷

২৷ কেউ কিছু লোকের মধ্যে বসে কিছু বলতে থাকলে তখন তুমি চুপ করে থাকবে৷ তার কথা বলা শেষ হলেই তুমি কথা বলবে৷

৩৷ তোমারা সবাই ছুটির পরে ক্লাশ থেকে এক সঙ্গে বেরোবে না, এক একজন করে বের হবে৷

৪৷ তোমরা কখনও তোমাদের জামা, প্যাণ্ট নোংরা করবে না৷

উলুবেড়ে লোক্যাল

অনেকে ভাবে, বিতর্ক মানে তর্কসংক্রান্ত বা তর্কযুক্ত জিনিস৷ কথাটি আংশিকভাবে সত্য৷ বিশেষ ধরনের তর্ককে ‘বিতর্ক’ বলা হয়৷ কিন্তু এটাই ‘বিতর্ক’ শব্দের শেষ কথা নয়৷ ‘বিতর্ক’ মানে অতি জল্পন (অহেতুক বকবক করা)৷ এই বকবক করার সঙ্গে যদি বদ্মেজাজ বা প্রগল্ভতা সংযুক্ত থাকে তবে তা ‘বিতর্ক’ পর্যায়ভুক্ত–‘কষায়’ পর্যায়ভুক্ত হবে না৷ নীচে কয়েকটা বিভিন্ন স্বাদের বিতর্কের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি–

মায়েরই তো খাচ্ছি

কিছু মানুষ আছে যাদের কুকার্য ধরা পড়বার ভয়ে তারা তাদের সেই কুকার্যের সমর্থনে যুক্তি খোঁজে৷ তারা ‘খল’ পর্যায়ভুক্ত৷

আমি একজন চাটুজ্জে–গিণ্ণীকে জানতুম৷ তিনি দুর্গা পূজার সময় প্রায়ই পূজামণ্ডপে তো থাকতেনই, যেখানে ভোগ রান্না হত সেখানেও তাঁকে খুব বেশী ঘোরাফেরা করতে দেখা যেত৷ একবার তিনি শাড়ীর নীচে লুকিয়ে কী যেন একটা নিয়ে যাবার সময় স্বেচ্ছাসেবকের হাতে ধরা পড়লেন৷ স্বেচ্ছাসেবকদের সাহসই হল না তাঁর জিনিসটা তল্লাসী করার৷ তারা পূজা কমিটির সেক্রেটারী জনৈক ঘোষ মশায়কে ডাকলেন৷

ঘোষ মশায় আমাকে বললেন–কী করা যায় বলুন তো

বাংলা বানান প্রসঙ্গে

‘অপসংস্কৃতি’ শব্দটি ভুল, হবে ‘অসংস্কৃতি’

‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ  ক্তিন্ ঞ্চ সংস্কৃতি যার মানে যা মানুষকে সূক্ষ্মত্বের দিকে, রুচিবোধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়) মানেই ‘কৃতি’–র উন্নতাবস্থায় অধিরোহণ৷ ‘অপ’ মানে অবনত অবস্থা৷ একসঙ্গে দু’টো চলবে কি করে এ সোণার পাথর বাটি হয়ে গেল যে আবার ‘অপকৃতি’–র মানে ‘কুকার্য’ও হয়৷ তাই সংস্কৃতির বিপরীত শব্দ হিসেবে বরং ‘অসংস্কৃতি’ শব্দটা চলতে পারে৷ কেননা ‘সম্’ উপসর্গ সাধারণতঃ ভাল বা শুভ অর্থে প্রযোজ্য হয়৷ তাই ‘অপসংস্কৃতি’ শব্দটি অশুদ্ধ৷

‘ছাত্রী’ শব্দটি ভুল, হবে ‘ছাত্রা’