November 2021

আত্মনির্ভর নয় পুঁজিবাদ নির্ভর সরকার

বেসরকারী করণের তালিকায় ১৩টি বিমান বন্দর৷ রাজকোষ পূর্ণ করতে সরকারী সম্পত্তি বিক্রির উৎসবে মেতেছে মোদি সরকার৷ আচ্ছাদিনের আত্মনির্ভর সরকার দিনদিন পুঁজিবাদ নির্ভর হচ্ছে৷ ব্যাঙ্ক, বিমা, বন্দরের পর মোদি সরকারের বেসরকারী করণের তালিকায় এবার দেশের বিমানবন্দর৷ প্রাথমিক পর্যায়ে এই তালিকায় আছে ১৩টি বন্দর৷ দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১২টি বন্দর বেসরকারীকরণের তালিকায় আসবে৷

নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে বাঙাল

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

ঘ) মহামতি গোখলে বাঙালীর মেধাবৃত্তিতে বিস্মিত হয়ে বলে ছিলেন--- ‘হোয়াট্‌ বেঙ্গল থিংক্‌স টুডে, ইণ্ডিয়া উইল্‌ থিংক টুমরো৷ তাঁর সহজ কথাটা হল--- বাঙালী বুদ্ধিমান জাতি৷ এই বুদ্ধিমত্তাও প্রকৃতির দান৷ বাঙলার মাটিতে উৎপন্ন শাক সবজি ও ভাত বাঙালীর প্রধান খাদ্য৷ অনেকের পাতে মাছও প্রিয়৷ পুষ্টি বিজ্ঞানীদের একটি সমীক্ষায় প্রকাশ যে ভোজন রসিক বাঙালীর প্রধান-খাদ্যের তালিকাটি বুদ্ধির পুষ্টির সহায়ক৷ অর্থাৎ বাঙালীর খাদ্যাভ্যাস বাঙালীর বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশের সাহায্য করে৷ এই সঙ্গে অতিরিক্ত অবসরের সুযোগে অতিরিক্ত মনন ক্রিয়ায় অন্তর্মুখী ঘাত প্রতিঘাতে বাঙালীর বুদ্ধিবৃত্তি শানিত হয়েছে৷

সৎসঙ্গেন ভবেন্মুক্তি

                ভগবান শংকরাচার্য বলেছিলেন–

                ‘‘ত্যজ দুর্জনসংসর্গং ভজ সাধু সমাগমম্৷

                কুরুপুণ্যম্ অহোরাত্রম্ স্মরনিত্যম্ অনিত্যতাম্৷৷’’

প্রাউটের অর্থনীতি–ব্যবস্থার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের ওপর নিম্নে আলোকপাত করা হচ্ছে

নূ্যনতম প্রয়োজন ও ক্রয়ক্ষমতার গ্যারান্টী ঃ

প্রাউট প্রতিটি মানুষকে জীবন–ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন–অন্ন, বস্ত্র, আবাস, চিকিৎসা ও শিক্ষা–প্রদানের নিশ্চিততার (গ্যারান্টী) পক্ষপাতী৷ নূ্যনতম প্রয়োজনপূর্তির গ্যারান্টী দানের পর যে উদ্বৃত্ত সম্পদ থাকবে তা যাঁরা বিশেষ দক্ষতার অধিকারী বা বিশেষ গুণ–সম্পন্ন যেমন চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়র বৈজ্ঞানিক প্রভৃতির মধ্যে বন্টন করতে হবে, কারণ সমাজের সামূহিক উন্নয়নে এঁদের বিশিষ্ট ভূমিকা রয়েছে৷

বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয়ে প্রকৃত উন্নতি সম্ভব

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মানুষের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয়---শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক৷ মানুষের উন্নতি মানে এই ত্রিস্তরীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি৷ এই সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি যদি না থাকে তাহলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে৷ বর্তমানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাত ধরে বা আধুনিকতার ছাপ মেরে যে বিপুল উন্নতির বড়াই আমরা করি এই তথাকথিত উন্নতি যে অনেক জটিল প্রশ্ণের সম্মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না৷

গণ–অর্থনীতিকে সার্থক করে তুলতে হবে সমবায়ের মাধ্যমে

প্রভাত খাঁ

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করা হয়৷

আজ এই দুটিই উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

বাঙালীস্তান কি একদিন হবেই

জহরলাল সাহা

অসমের বাঙালীদের দুর্দশা, নির্য্যাতন, হত্যা আর কত সহ্য করা যায়? অথচ ১৮৭৪ সালে বাঙলার অঞ্চল বৃহৎ, এই অজুহাতে তৎকালীন ইংরেজ সরকার এই এলাকার উত্তর পূর্বাংশ যথা ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, মিকির পাহাড়ের সমতল অংশ, বড়পেটা, লামডিং, হোজাই, লংকা ইত্যাদি এলাকা কামরূপ-জেলার সাথে জুড়ে দিয়ে অসম প্রদেশ ঘটন করে৷ শুধু তা-ই নয়!

ভারতের অধ্যাত্মবাদকে অস্বীকার করে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার দেশকে ধবংস করছে

নিরপেক্ষ

বর্তমানে আমরা ভারত ভারত বলে চিৎকার করি কিন্তু  আসল ভারত হলো অখণ্ড ভারতবর্ষ যাঁকে আমাদের স্বার্থান্ধ মেকী দেশ নেতাগণ ইংরেজের কূটচালে খণ্ড খণ্ড করে ধবংস করে দিয়েছে৷ যে পাকিস্তান সৃষ্টি হয় সেটি হলো ইংরেজ ও আমেরিকার পকেটের খণ্ডিত ভারতবর্ষ যার জন্মই হয় ভারত ভূখণ্ডের সর্বনাশ করে ঐ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সেবাদাস হওয়া আর চিরকালের মতো ভারতবর্ষের আদর্শও লক্ষ্যকে বিনষ্ট করা৷ সেটাই পাক সরকার করে চলেছে৷ কিন্তু আমরা জানি যে পাকিস্তানের সচেতন জনগণ সবাই ইমরানের মতো নেতাকে মেনে নেননি আর পাকিস্তানের সামরিক বিভাগও গোয়েন্দা দফতরের সংকীর্ণ আচরণ ও নীতিকেও পছন্দ করেন না৷ বিশেষ করে সেখানকার সৎনীতিবাদী মহান নরনারীগণও

‘আমরা বাঙালী’র স্মারকলিপি প্রদান

সম্প্রতি বাংলাদেশ রাষ্ট্রে সংখ্যালঘুদের উপর উগ্রপন্থী সন্ত্রাসবাদী দ্বারা খুন, জখম, লুটপাটের প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’ দল৷ ২১শে অক্টোবর, ‘আমরা বাঙালী’ দলের কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা সহ ৩ প্রতিনিধি দল কলকাতার পাকসার্কাসের বাংলাদেশ হাইকমিশনার মারফৎ বাংলাদেশের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ সভায় বক্তব্য রাখেন---বিকাশ বিশ্বাস, জয়ন্ত দাশ, তপোময় বিশ্বাস, অরূপ মজুমদার সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাঙালী মহিলা সমাজ সচিব প্রণতি পাল, মোহন অধিকারী কলকাতা জেলা সচিব হিতাংশু ব্যানার্জী, গোপাল রায় চৌধুরি, মিন্টু বিশ্বাস, সঞ্জয় প্রামাণিক, স