November 2021

বাঙলার প্রাণধর্ম রক্ষা করতে হবে

মনোজ দেব

‘‘একই ভৌগোলিক পরিবেশে, একই ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক আবেষ্টনীর মধ্যে যাদের জন্ম ও লালন-পালন, সেই জনগোষ্ঠী অপর জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্নতর গোষ্ঠীগত বৈশিষ্ট্য অর্জন করে৷ পরবর্তীকালের এই গোষ্ঠীগত বৈশিষ্টগুলোর সমগ্র জনগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ ভাবধারার সঙ্গে এমনভাবে মিশে যায় যে এতে করে একটা জাতীয় স্বভাব তৈরী হয়৷ তা দিয়েই একটা গোটা জাতির মানস-প্রবণতা, বাহ্যিক আচরণ, জীবন ও সমাজের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি---এককথায় একটি বিশেষ জাতীয় দৃষ্টিকোণ গড়ে ওঠে---যা সেই জাতিকে অন্য জাতি থেকে এক পৃথক বৈশিষ্ট্য দান করে৷

মিষ্টিসিজম্ ও যোগ

সূক্ষ্ম নন্দনতত্ত্বের ওপর আধারিত নান্দনিক অভীপ্সা যখন একটা নির্দিষ্ট উচ্চ মানে পৌঁছে যায় তাকে বলে মিষ্টিসিজম্৷ আর এই মিষ্টিসিজম্ যখন মানবীয় গরিমা মহিমার শীর্ষে বা শ্রেষ্ঠত্বের পর্যায়ে চলে আসে তাকে বলে আধ্যাত্মিকতা (spirituality)৷ এখন মিষ্টিসিজম্ কী? মিষ্টিসিজম্ হ’ল সীমার সঙ্গে অসীমের, ক্ষুদ্র ‘আমি’র সঙ্গে ৰৃহৎ ‘আমি’র বা আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সম্পর্ক নির্ণয়ের এক নিরন্তর প্রয়াস৷

প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র

এ পৃথিবীতে পুরোপুরি স্ব–নির্ভর কেউ নয়৷ প্রত্যেকেই কোন না কোন ভাবে অন্যের ওপর নির্ভরশীল৷ প্রত্যেকেই নিজের অপূর্ণতা অন্যের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে পূরণ করে’ নেয়৷ যখনই কোন বিরাট জনগোষ্ঠী এইভাবে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে নিজেদের অপূর্ণতা পূর্ণ করার চেষ্টা করে, তখনই তাকে আমরা ‘সমাজ’ বলে’ থাকি৷ সামবায়িক প্রচেষ্টার দ্বারা সমস্ত সমস্যার সমাধানের মধ্যেই যথার্থ সমাজ প্রতিষ্ঠার তাৎপর্য্য৷ 

গণতন্ত্রের নামে ধনিকতন্ত্র

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়তে চান৷ তিনি তাঁর এই সংকল্পের কথা দেশে বিদেশে সর্বত্র ব্যক্ত করেছেন ও বিদেশী কোম্পানীগুলিকে এদেশে ঢালাও অহ্বান জানিয়েছেন তাঁর এই সংকল্প পূরণ করতে৷ তিনি বলেছেন, ইন্টারনেটের সুবিধা আমজনতাকে পাইয়ে দেওয়া হবে৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরকারী পরিষেবাকে জনসাধারণের হাতের মুঠোয় আনবেন তিনি৷  ইন্টারনেটের মাধ্যমে উন্নত শিক্ষণ ও উন্নত চিকিৎসাকে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেবার সুভাষিত  বাণী তিনি সবাইকে শুনিয়েছেন৷ বিদেশী ইলেক্ট্রনিক  কোম্পানীগুলি তাঁর এই মহৎ সংকল্পের ভূয়সী  প্রশংসা করেছেন৷

‘ভোট’ নয়, ‘বোট’

পত্রিকা সম্পাদক

আমরা এই পত্রিকায় Vote’কে বোট  লিখছি এই  কারণে  যে ইংরেজী V’ শব্দটির  যথার্থ উচ্চারণ বাংলার  অন্তস্থ-‘ব’৷ কিন্তু  বর্তমান  বাংলা বর্ণমালায়  বর্গীয় - ব ও অন্তঃস্থ ‘ব’ একইভাবে  লেখা হয়--- যা  যুক্তিসঙ্গত  নয়৷  কারণ  বর্গীয় ‘ব’ --- অর্র্থৎ (প,ফ -এর  পর যে ব’ তার উচ্চারণ  ইংরেজী B’ -এর  মতো৷ তাই  মহান দার্শনিক  শ্রী প্রভাতরঞ্জন  সরকারের  অভিমত, বর্গীয় ‘ব’--- কে  ‘ৰ’ -এইভাবে  লেখা উচিত, আর  অন্তঃস্থ  ‘ব’  কে ‘ব’ যেমন  লেখা হয়  সেভাবেই  লেখা উচিত৷ 

সুস্থ শরীর সুস্থমন নেশামুক্ত আদর্শ জীবন

আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত

বর্তমান যুগটা হ’ল হাইটেক যুগ৷ এই হাইটেক যুগেও আমাদের সমাজ সংসার আজ হাজারো সমস্যার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে৷ ব্যষ্টি তথা সমষ্টি জীবন সর্বত্রই চলছে চরম অরাজকতা–চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা৷ এক ভয়ঙ্কর জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে চলছি ধীরে ধীরে হয়তো ধংসেরই দিকে....৷

অর্থনৈতিক শোষণমুক্তির পথ হ’ল সমবায় আন্দোলন

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে অতি পুরাতন শব্দ সমবায়ের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতাটা উঠে আসছে পত্রপত্রিকাতে৷ উপনিষদের সেই ‘সংগচ্ছধ্বং’–এর মধ্যেই নিহীত আছে সমবায়৷ কথা প্রসঙ্গে বলতেই হয়–এক সময়ে এদেশে ‘সোণার বাংলা’ কথাটা খুবই প্রচলিত ছিল৷ যখন সাত সমুদ্র তের নদীর পার হতে এদেশে ইংরেজ বণিকরা আসেনি, যখন সারা বাঙলায় প্রায় প্রতিটি গ্রামই স্বয়ং সম্পূর্ণ ছিল সব দিক থেকে৷ তখন গ্রামের জনসাধারণকে কোন কিছুর জন্যে বাইরের দিকে তাকাতে হত না বা নির্ভরশীল হতে হত না৷ বড় বড় পরিবারগুলি ছিল একান্নবর্ত্তী পরিবার৷ সেই পরিবারের যা যা প্রয়োজন তারা তা কুটির শিল্পের মাধ্যমেই পূরণ করে নিত৷ ক্ষেত খামারে যা ফসল উঠতো তার দ্বারা ও কুটির শিল্পের মধ্য দ

দেশের নেতাদের সু-বুদ্ধি কবে হবে?

নিরপেক্ষ

মাটিতে  জন্ম নিয়েছি বলেই তো মাটি আমাদের  রক্তে মিশে গেছে৷ কারণ এই মাটিই আমাদের  অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা , চিকিৎসা ও বাসস্থানের  সকল ব্যবস্থা করছে৷ তাইতো সংস্কৃতে বলা হয়, ‘‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্র্গদপি  গরীয়সী৷’’ তাই যে মানুষ  যেখানে  জন্মগ্রহণ করে তার কর্ত্তব্য  হলো সেই মাটি  ও সেই এলাকার  মানুষদের প্রতি  তার কৃতজ্ঞ থাকা  ও তাদের কল্যাণে আত্মনিয়োগ  করা৷

নৈহাটিতে ‘আমরা বাঙালী’র সম্মেলন’

গত ৩রা অক্টোবর নৈহাটিতে ‘আমরা বাঙালী’ উত্তর ২৪পরগণা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় নৈহাটি শহরে৷ সম্মেলনে  মহকুমার কর্মীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব শ্রী জয়ন্ত দাশ, ছাত্রনেতা তপোময় বিশ্বাস, সমতটের সংঘটন সচিব অরূপ মজুমদার প্রমুখ৷ উদ্বোধনী ভাষনে শ্রী জয়ন্ত দাশ বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন ও কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক বাঙালী বিদ্বেষী নীতির সমালোচনা করে কর্মীদের বলেন--- আমাদের এসব বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটি বাঙালী বিদ্বেষী পদক্ষেপের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামতে হবে৷ যেভাবে  পূর্ব রেল বাঙালী হকার উচ্ছেদের পরিকল্পনা নিয়েছ

উপনির্বাচনের ফলে ইঙ্গিতঃ বঙ্গে বিজেপি ডুবছে

সোনার বাঙলার স্বপ্ণ দেখিয়ে ২০০ আসন জেতার আবাজ তুলে পশ্চিমবঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রশক্তি, অর্থশক্তি ও সাংঘটনিক শক্তি নিয়ে৷ কিন্তু দুশো দূরস্ত, একশ পার হয়নি৷ আশির নীচে থামতে হয়েছে৷ কয়েকমাস পরে তিন বিধানসভার একটি উপনির্বাচন ও দুটি স্থগিত বিধানসভার সাধারন নির্বাচনের ফলে বিজেপি আরও ডুবেছে৷ ভবানিপুর বিধানসভার ফলে কয়েক মাসের ব্যবধানে অনেকটাই নীচে নেমেছে বিজেপি৷ সাধারণ নির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হলেও ভোটের ব্যবধান ছিল ২৮ হাজারের মতো৷ উপনির্বাচনে সেই ব্যবধান বেড়ে ৫৮ হাজার৷ ২০২১-এর নির্র্বচনে ভবানিপুরে ৮টি ওয়ার্ডের দুটিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি৷ এবার উপনির্বাচনে ৮টিতেই এগিয়ে