November 2021

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে অখণ্ড কীর্ত্তন

২১শে অক্টোবর মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পার্থিব দেহের মহাপ্রয়াণ দিবস৷ ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার সময় কলকাতাস্থিত মার্গগুরুভবন ‘মধুকোরকে’ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীরা শোক বিহ্বল হয়ে পড়েন৷ সব দেশ থেকেই আনন্দমার্গীরা তাঁদের পরমারাধ্য গুরুকে দেখার জন্যে ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার জন্যে কলকাতা আসতে থাকেন৷ তখন সারা বিশ্বের আনন্দমার্গের অনুগামীদের কথা ভেবে আশ্রম কর্তৃপক্ষ মার্গগুরুদেবের পাঞ্চভৌতিক দেহকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত সংরক্ষিত করে রাখেন৷ আর এই কয়দিন ধরেই সমবেত আনন্দমার্গীরা অবিরাম ‘বাবানাম কেবলম্’ সিদ্ধ মহামন্ত্র কীর্ত্তন করতে থাক

বাঙলাদেশে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সৃষ্টির চক্রান্ত নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় সমিতির প্রতিবাদ

শিলচর ঃবাংলাদেশের কুমিল্লা শহরে দুর্গা পূজায় কথিত ‘কোরান শরীফ অবমাননা’র ঘটনার রেশ ধরে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পূজা মণ্ডপে ও মন্দিরে হামলা-ভাংচুর ও হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার  আর প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানিয়েছে নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় সমিতি, অসমের  কেন্দ্রীয় কমিটি৷ সংঘটনের পক্ষ থেকে সে দেশের বুদ্ধিজীবী, সচেতন নাগরিক, সমস্ত বিরোধী দল যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে  প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এতে তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়৷ সি.আর.পি.সি.সি, অসমের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্র্তয় বলা হয় যে, ‘কুমিল্লা শহরের একটি পূজা মণ্ডপে রাতের আঁধ

নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে বাঙালী

একর্ষি

বাঙালী চরিত্রে বদনাম-লেপা-কালি নিয়ে কবি সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী দার্শনিক ঐতিহাসিক এমনকি পণ্ডিতদেরও মুখরোচক সমালোচনার অন্ত নেই৷ বাঙালী নিজের দোষের কাঁদুনি নিজেই গায়৷ আর মজা পায় অবাঙালীরা, বিদেশীরাও---মওকা বুঝে তারা তো দিন রাত বাঙালীর নিন্দে-অপবাদ-বাপান্ত করে চলেছে৷ আত্মসমালোচকরা বিশ্বাস করেন---আত্মসমালোচনায় মহত্ত্ব আছে, ক’জন পারে নিজের দোষ ধরতে? প্রবাদ বাক্য তো বলে--- মানুষ নিজের দোষ নিজে দেখতে পায়না৷ যেমন চোখের মাঝে কী আছে তা চোখ দেখতে পায়না৷ বাঙালী উদার, নিরপেক্ষ, নির্ভীক ও স্পষ্টবক্তা বলেই তাঁর সাদা কথায় কাদা নেই!

ভক্তিরেব গরীয়সী

মানসপট আর মনের ময়লা

নির্গুণ ব্রহ্মের কোনো রূপ নেই৷ তিনি নিরাকার৷ এই ব্রহ্মই সগুণ ব্রহ্মরূপে (যা নির্গুণ ব্রহ্মের কার্যান্বিত রূপ), প্রকৃতির সহায়তায় ব্রহ্মভাবের জন্ম দেন, সেই সগুণ ব্রহ্ম প্রতিটি ধূলিকণায় ব্যাপ্ত আছেন৷ আমার মানসপটের ওপর ব্রহ্মের প্রতিচ্ছায়া পড়ছে, আর এই প্রতিচ্ছায়া কিরকম ভালভাবে পড়বে তা নির্ভর করে আমারই সংস্কারের ওপর৷ মানসপট যত ময়লাযুক্ত হবে, তার ওপর ততখানিই খারাপ প্রতিফলন পড়বে৷ সাধনার দ্বারা আমরা মনের এই ময়লাকে পরিষ্কার করি৷

বাণিজ্যে সমবায়

ব্যবসায় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা দিয়ে কেবল করধার্যের ক্ষেত্রে কঠোরতা করা যে সাফল্যজনক হয় না তা’ অধিকাংশ রাষ্ট্রেরই জানা আােছ৷ আজকের পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রেই বিক্রয়কর, ক্রয়কর, আয়কর, অতিলাভ কর প্রভৃতি ৰাৰদ সরকারের যা’ আয় হ’য়ে থাকে তা’ ন্যায্য–প্রাপ্যের এটি অতিক্ষুদ্র ভগ্ণাংশ মাত্র৷ কর আদায়কারী কর্মচারীদের চাইতে কর যারা ফাঁকি দেয় তারা অনেক ৰেশী ৰুদ্ধিমান, অনেক ৰেশী অভিজ্ঞ৷ সমস্বার্থের ভিত্তিতে তারা ৰেশ একতাৰদ্ধও ৰটে, কিন্তু কর আদায়কারীরা একতাৰদ্ধ নয়, তাদের মধ্যে ৰখরা নিয়ে সংষর্ঘ থাকে, তাদের মধ্যে নীতিগত ভেদ থাকে, তাদের মধ্যে বিশ্বাস–ঘাতকতা থাকে, তাই অতিরিক্ত কর–ধার্য করে’ বৈশ্য

স্পর্শমণি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

‘‘পরিত্রানায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষৃকতাম্‌৷

ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে৷’’

মানবতা যখন এক অত্যন্ত বেদনাদায়ক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে, ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতি অর্থনীতি রাষ্ট্রনীতি-সমাজ জীবনের সর্বস্তরে যখন গ্লানি দেখা দেয়, সর্বস্তরেই অধর্মের প্রার্দুভাব দেখা দেয়, সেই অধর্মের হাত থেকে গ্লানির হাত থেকে  পরিত্রাণ পাওয়া মানুষের সাধ্যের বাইরে, তখনই পরমপুরুষকে অবতীর্ণ হতে হয় ধরাধামে অধর্মের হাত থেকে অশুভ শক্তির হাত থেকে সমাজকে পরিত্রাণ করতে৷

ভগবান শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী, কীর্ত্তন কথা ও কিছু অজ্ঞাত কাহিনি

সমর পাল

১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে বিহারের জামালপুরে পিতা লক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ও মাতা আভারাণী সরকারের কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রভাতরঞ্জন সরকার৷ সেই হিসেবে ২০২১ সাল তাঁর জন্ম শত বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে বিবিধ অনুষ্ঠানসূচীর মাধ্যমে৷

এখন কথা হলো প্রভাতরঞ্জন সরকার কেন ‘‘আনন্দমূর্ত্তি’? সমকালের মহা সত্যস্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ তাঁর ঈশ্বর ভাবনা তথা জীবন-দেবতার কথা জানাতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ‘আনন্দমূরতি’ কথাটি উল্লেখ করে গেছেন৷

শাসনের দোসর শোষণ---পরিণতি স্বৈরাচারিতা

হরিগোপাল দেবনাথ

পৃথিবী গ্রহে মানব-সভ্যতার অগ্রগতির ক্ষেত্রে পরিবার-ঘটন, সমাজ-সংরচনা, রাষ্ট্র-নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ, রাষ্ট্র পরিচালনের জন্যে সংবিধান-রচনা ও সরকার তথা রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা ইত্যাদি বিষয়সমূহ নিঃসন্দেহে অতি গুরুত্বপূর্ণ৷ আবার রাষ্ট্র তথা দেশ পরিচালনার জন্যে এ যাবৎ মানুষের উদ্ভাবিত বা আবিষৃকত যে-সব ব্যবস্থাপনা রয়েছে, সে সবের মধ্যে--- মোরবিব তথা সর্দার-প্রথা, সামন্তপ্রথা বা ফিউডালিজ্‌ম তথা জমিদারি প্রথা,রাজতন্ত্র (রাজা-বাদশাহ্‌-নবাব-সুলতানী শাসন ব্যবস্থা), আমলাতন্ত্র, সামরিকতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, অটোক্র্যাসী বা স্বৈরতন্ত্র ইত্যাদি ব্যবস্থাপনা সমূহের অভিজ্ঞতা মানুষ লাভ করে নিয়ে

বর্ত্তমান কেন্দ্র সরকারের শাসননীতি সবই মহান ভারতবর্ষের আদর্শের পরিপন্থী

প্রভাত খাঁ

মহাকাল থেমে নেই, তাই পা পা করে আমরা ১৫ই আগষ্টকে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করলুম এ বছর৷ যাঁরা ইংরেজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অখণ্ড ভারতবর্ষকে খণ্ড বিখণ্ড করে মেকী রাজনৈতিক স্বাধীনতায় দেশজননীকে হিন্দুস্তান ও পাকিস্তান হিসাবে রূপ নেয়৷ তাঁরা কতো বড়ো ভুল করে গেছেন সেটা কী একবার এদেশের বর্ত্তমান রাষ্ট্র নেতারা স্মরণ করেন৷ ভারতবর্ষ কোনদিনই মেকী জাতপাতকে স্বীকার করেনি ও আজও করে না৷ কিন্তু আজ যাঁরা দেশ শাসনের দায়িত্বে তাঁরা কিন্তু সেই সম্প্রদায় জাতপাতকেই মান্যতা দিয়ে মহান সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে মানেন বলে বলে মনেই হয় না৷ কিন্তু জহরলাল নেহেরু এটাকে মেনে চলতেন৷ আমরা আশ্চর্য হয়ে গেলুম বর্ত্তমান প্রধ

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের অবস্থা উদ্বেগজনক

সম্প্রতি বিশ্ব ক্ষুধাসূচকের এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷ প্রতিবেদনে ভারতের স্থান ১০১ নম্বরে৷ ২০২০ সালে ভারতের স্থান ছিল-৯৪৷ অর্থাৎ এক বছরে ভারত আরও সাত ধাপ নীচে  নেমেছে৷ ভারতের উপরে রয়েছে পাকিস্তান ৯২ নম্বরে, বাংলাদেশ ৭৬ নম্বরে, নেপাল-৭৬ নম্বরে,মায়ানমার ৭১ নম্বরে৷