February 2024

আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

গত ২৭শে জানুয়ারী বাগনান চালিধাউরিয়া আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শ্রী অমিয় পাত্র৷ সহযোগিতায় ছিলেন জেলার ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা, দীপ্তি বিশ্বাস, চাঁদমোহন পাল, অবধূতিকা আনন্দ কর্মব্রতা আচার্যা ও অবধূতিকা আনন্দ  দূ্যতিময়া আচার্যা প্রমুখ৷

স্কুলের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দরসধারা আচার্যা প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করে প্রতিযোগিতার সূচনা করেন৷ প্রতিযোগিতা শেষে সফল প্রতিযোগিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়৷ গত ২২শে জানুয়ারী মগরা আনন্দমার্গ স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়৷

আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা

স্কুল অফ বৈদিক স্টাডিজ, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা ও আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বুদ্ধিজীবী সংস্থা রেনেসাঁ ইউনিবার্সাল ও রেনেসাঁ শিল্পী ও লেখক সমিতি, ‘বৈদিক ঐতিহ্য’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ বৈদিক স্টাডিজের সেমিনার হলে ৩০ ও ৩১শে জানুয়ারি,২০২৪৷ বৈদিক মঙ্গলাচরণ ও প্রভাত সংগীতের মধ্য দিয়ে সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ সেমিনারের উদ্বোধন করেন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়, যিনি উদ্বোধনী অধিবেশনের প্রধান অতিথি ছিলেন৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ভাস্করনাথ ভট্টাচার্য ও সেমিনারের আহ্বায়ক৷ মূল বক্তব্য রাখেন ড.

প্রতিশ্রুতির বহর আছে---অর্থের হদিশ নেই রামভরসার বাজেটে উপেক্ষিত মধ্যবিত্ত

অর্থমন্ত্রী বাজেট বত্তৃণতা দিলেন প্রায় এক ঘন্টা, বাজেটের কথা ছিল মাত্র ছয় মিনিট, বাকি সময় নিজের দলের দশবছরের সাফল্যের ঢাক পিটিয়ে গেলেন, যার অনেকটাই অসার৷

বাজেটের ছয় মিনিটের সারকথা---উন্নয়নের যাবতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ২০৪৭ সালের দিকে তাকিয়ে --- এমনটাই জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ অর্থমন্ত্রীর কথায় এই বাজেট ভবিষ্যতের স্বপ্ণ দেখার বাজেট৷

মেমারি ও শিলচরে সেমিনার

গত ২,৩ ও ৪ঠা ফেব্রুয়ারী বর্ধমান জেলার মেমারি আনন্দমার্গ স্কুলে ও অসম শিলচরে আনন্দমার্গ আশ্রমে আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ তিনদিনের এই আলোচনা সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল---আদর্শ মানুষের জীবনচর্চা কেমন হওয়া উচিত, বুদ্ধির মুক্তি, প্রত্যাহার যোগ ও পরমাগতি, পাপস্য কারণত্রয়ম্‌৷ আলোচনা সভায় মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত, সহযোগিতায় ছিলেন আচার্য কৃষ্ণপ্রসুনানন্দ অবধূত৷

গণতন্ত্র রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রতিক্রিয়া

চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল৷ স্বয়ং রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল৷ এই নিয়ে বিরোধীপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়৷ গত ৫ই ফেব্রুয়ারী সুপ্রিমকোর্টে এই মামলার শুনানী ছিল৷ সুপ্রিম কোর্ট এইদিন মেয়র নির্বাচন নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়৷ মেয়র নির্বাচনে ব্যালট পেপার নষ্ট করে দিয়েছিলেন স্বয়ং রিটার্নিং অফিসার৷

নীলকন্ঠ করেছেন পৃথিবীরে নির্বিষ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

‘আজ অর্থনীতি বস্তাপচা তত্ত্ব কথার কচকচানি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ একে অধিকতর বাস্তবমুখী করতে হবে ৷’--- অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগ ভৌমিক বিজ্ঞান, আর একে সর্বজীবের তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত করতে হবে৷

বৈষয়িক ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য স্থাপনের মধ্য দিয়ে পরাগতির দিকে এগিয়ে চলা

আমি অবশ্যই বর্তমান কালকে অস্বীকার বা অবহেলা করতে পারি না। এর অর্থ আমাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আমি কোথায় আছি আর ঠিক বর্তমানে আমাকে কী করতে হবে। কিন্তু বর্তমান কাকে বলব? আমরা জানি বর্তমান, অতীত আর ভবিষ্যতকে নিয়ে কাল তিনটি। এই তিন ধরনের কাল আসলে কী বস্তুতঃ বর্তমান কাল বলে ঠিক কোন কিছু নেই। আমি যখন কিছু বলি, তুমি ততক্ষণাৎ তা শুণতে পাও না। কিছুটা বিরতির পরে তুমি সেটা শুণতে পাও। তাহলে সেই বিরতিটা কী শব্দ বায়ুর দ্বারা বাহিত হয়ে কাণে পৌঁছতে যে সময় লাগে সেটাই বিরতি। আর যখন তা তুমি শোণ সেটা আমার কাছে কিন্তু অতীত, আর তোমার কাছে তা ভবিষ্যৎ কেননা অল্পক্ষণ পরে তুমি তা শুণতে পাচ্ছ

ভাবজড়তা থেকে সাবধান

সংরচনাগত অখণ্ডতার ব্যাপারে ৰলা যেতে পারে, সর্বোৎকৃষ্ট আকৃতি হচ্ছে ডিম্বাকৃতি৷ লাতিন ‘ওবাম’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে ডিম৷ তাই ‘ওবাল’ শব্দের অর্থ ডিমের মত অর্থাৎ পুরোপুরি না হলেও কিছুটা ডিমের মত৷ পুরোপুরি ডিম্বাকৃতি নয়, তৰে প্রায় ডিম্বাকৃতি৷ সকল জ্যোতিষ্কই এই আকৃতির৷ সংস্কৃতে তাই বিশ্বকে ৰলা হয় ব্রহ্মাণ্ড৷ ‘অণ্ড’ মানে ডিম৷ সংস্কৃত ‘অণ্ড’ শব্দ থেকে উর্দু ‘অল্ডা’ শব্দটি এসেছে৷ এখন, আমাদের এই বিশ্বটা খুৰই বড় কিন্তু অনন্ত নয় ও এর আকৃতিটা দেখতে ডিম্বাকার, অর্থাৎ এর একটা সীমারেখা আছে৷

নীলকন্ঠ দিবসের নির্ঘোষ আনন্দমার্গ অপ্রতিরোধ্য

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১২ই ফেব্রুয়ারী ‘নীলকণ্ঠ’ দিবস৷ আনন্দমার্গের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন৷ আজ থেকে ৫১ বছর আগে ১৯৭৩ সালের ঘটনা৷ পটনার বাঁকিপুর সেন্ড্রাল জেলে মিথ্যা অভিযোগে বন্দী মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূত্তিজীক্ হত্যার উদ্দেশ্যে ওষুধের নামে প্রাণঘাতী মারাত্মক বিষ প্রয়োগ করা হয়৷ কিন্তু মার্গগুরুদেব সেই বিষকে আত্মস্থ করে তাঁর প্রতিক্রিয়া নষ্ট করে দেন৷

মার্গগুরুদেব এই বিষ প্রয়োগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করেন৷ সরকার তাঁর দাবীতে কর্ণপাত করেনি৷ এরপর ১লা এপ্রিল (১৯৭৩) তিনি এই দাবীতে অমরণ অনশন শুরু করেন৷ এই ঐতিহাসিক অনশন চলেছিল পাঁচ বছর চার মাস দুই দিন৷

বোট কেন্দ্রীক একপেশে অন্তবর্তী বাজেট গণতন্ত্রকেই লজ্জা দেয়

প্রভাত খাঁ

কেন্দ্র সরকার মাত্র তিন মাসের মাসের জন্য যে অন্তর্বর্তী বাজেট (ব্যয়মাত্রিকা) পেশ করেছে সেটাকে বলা যায় এক ধরণের আগামী লোকসভার বোট যেটা ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হবে সেটার দিকে লক্ষ্য রেখেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মাননীয়া নির্মলা দেবীর শেষ বাজেট পেশ৷ এই বাজেটটাও সেই অতীতের বাজেটে যে কল্পিত ঘোষনা বছরে ২কোটি বেকারের চাকরী তারই বোটমুখী৷ কারণ এই টুকরো বাজেটে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তিনকোটি মহিলাকে লাখপতি দিদি হওয়ার সুযোগ দেওয়ার ঘোষনা! মনে রাখা দরকার এটা একটি বৃহত্তর দলতান্ত্রিক সরকার যেটি কেন্দ্রীয় সরকার তার পক্ষে কি লজ্জাজনক নয়? যে দেশে শোষিত ও বঞ্চিত মহিলাদের সংখ্যা কোটি কোটি!