February 2024

বাঙালীর জাতিসত্ত্বা ভাষা, লিপি ও কৃষ্টি কি হারিয়ে যেতে বসেছে

জে.ডি. মণ্ডল

(পূর্ব প্রকাশিতের পর )

বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের বিশালত্ব ঃ-

গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-দামোদর-ময়ূরাক্ষী ইত্যাদি নদী ব-দ্বীপ অঞ্চলে গড়ে ওঠা বাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চলের মোট আয়তন ছিল---১৮৭২ সালে-২,৪৮,২৩১ বর্গ মাইল অর্থাৎ ৪,৩৫,৪৭১ বর্গ কিমি৷ (সূত্র ঃ বৃটেনিকা এনসাইক্লোপিডিয়া নবম সংস্ককরণ, তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ-৫৬৪)৷

বর্ত্তমানে ওই অঞ্চলের লোকসংখ্যা হবে আনুমানিক ৪০ কোটি৷ অঞ্চলটা হলো---

মাইক্রোবাইটামের প্রভাবে প্রভাবিত একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

আজকের প্রবন্ধটির আলোচ্য বিষয় হ’ল---প্রাকৃতিক বিপর্যয় ‘খরা’ সৃষ্টিতে মাইক্রোবাইটামের প্রভাব৷ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের অভিমতানুসারে খরা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হ’ল মাইক্রোবাইটাম৷ কিন্তু ‘খরা’ কাকে বলে? ‘খরা’ Drought) হ’ল একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়৷ দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হলে যে প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাকে খরা বলে৷ এখন খরা কেন হয় ও কি কি কারণে ঘটে?

বিধবংসী: দাবানল চিলিতে

গত দু’দিন ধরে দাবানল ছড়িয়েছে মধ্য চিলির ভালপারাইসো এলাকায়৷ সেই আগুন সর্বগ্রাসীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের শহরগুলিতে৷ ইতিমধ্যে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের৷ দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা বলছিলেন, ‘‘রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকা ৫টি দগ্দ দেহ উদ্ধারের পরেই বুঝেছিলাম আসলে সংখ্যাটা অনেক বেশি৷ এ বার তা হুহু করে বাড়তে চলেছে৷’’ মধ্য চিলির শান্ত সৈকত শহর ভিনিয়া দেল মার৷ এখানকার বিখ্যাত মিউজিক ফেস্টিভ্যালের সময় ছাড়াও সারা বছরই পর্যটকের আনাগোনা লেগে থাকে৷ সম্প্রতি চিলির সেই শান্ত শহর জ্বলছে দাবানলে৷

কাশ্মীরে তুষারধস

বাঙলা থেকে শীত বিদায় নিতে চলেছে৷ তবে উত্তর ভারতে এখনও ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছে কনকনে আবহাওয়া৷ চলছে তুষারপাতের মরসুম৷ গত সোমবারও উত্তরের তিনটি রাজ্যে ভারী বৃষ্টি এবং ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি করেছিল ৷ জম্মু ও কাশ্মীরে হতে পারে তুষারধস৷ মৌসম ভবনের তরফে সেখানকার বাসিন্দাদের খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে৷ মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গত সোমবার হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং সিকিমের উঁচু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে৷ সেই সঙ্গে ভারী তুষারপাতের সম্ভাবনাও ছিল ৷ তিন রাজ্যে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ এ ছাড়া, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভাবে বরফ পরে অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন এলা

পরলোকে শৈলেন রায়

গত ২রা জানুয়ারী ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির প্রাক্তন সচিব শৈলেন রায় পরলোক গমন করেন৷ তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন৷ তিনি দীর্ঘদিন ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ কমিউনিষ্ট জমানায় বাঙালী জনগোষ্ঠীর ওপর আঘাতের বিরুদ্ধে যখন ‘আমরা বাঙালী’ রুখে দাঁড়িয়েছিল শ্রী শৈলেন রায়ও তাঁদের সক্রীয়ভাবে সহযোগিতা করতেন৷ তিনি একজন নিষ্ঠাবান ও আদর্শবান আনন্দমার্গী ছিলেন৷ কোনরকম কুসংস্কার ও ভাবজড়তাকে প্রশ্রয় দিতেন না৷

ভাতিণ্ডার সরকারি ‘স্মার্ট’ স্কুলে একজন ছাত্র, একজন শিক্ষক! তবু বন্ধ হয়নি স্কুল

মহা সমারোহে চালু হয়েছিল ‘স্মার্ট স্কুল’৷ রঙিন ঝলমলে টেবিল-চেয়ার, প্রজেক্টর মেশিন, পড়াশোনার অন্য সরঞ্জাম সবই রয়েছে৷ এমনকি, অত্যাধুনিক লাইব্রেরিও রয়েছে৷ আছে মিড ডে মিলের ব্যবস্থাও৷ তবু নেই ছাত্রছাত্রী৷ এক জন মাত্র পড়ুয়া, কিন্তু তা বলে স্কুল তো আর বন্ধ করে দেওয়া যায় না!

গোবরডাঙ্গায় সাহিত্য সভা

গোবরডাঙ্গা সেবা ফার্মাস সমিতির উদ্যোগে এক সাহিত্যসভা অনুষ্ঠিত হয় সমিতির তৃতীয় তলের সভাঘরে গত ২৭শে জানুয়ারী,২৪ বৈকাল ৩টা থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত৷ সাহিত্য সভায় পৌরহিত করেন প্রবীন সাহিত্যিক ‘ঋতুপর্ণা বিশ্বাস’৷ উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাংবাদিক পাঁচুগোপাল হাজরা, সাংবাদিক গোবিন্দচন্দ্র বিশ্বাস, নীরেশ ভৌমিক, পলাশ মণ্ডল৷ ধীরাজকান্তি রায়, সুধীন গোলদার, প্রবীর হালদার সহ অনেকে৷ প্রায় ৭০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন সভায়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন কথাবার্র্ত পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক পাঁচুগোপাল হাজরা৷

সর্দিগর্মী – চূর্ণ–নিম্বু ও আমপোড়ার শরৰৎ

সর্দিগর্মীর ঔষধ (হ’ল) চূর্ণ–নিম্বু (চূর্ণ–নেৰু)৷ আগে বলা হয়েছে কোন একটা পাত্রে খানিকটা চূণ তার দ্বিগুণ জলে ভালভাবে গুলে নিতে হয়৷ তারপর তাকে থিতিয়ে যেতে দিতে হয় অর্থাৎ তাকে থিতু (‘থিতু’ শব্দ ‘স্থিতু’ শব্দ থেকে আসছে) অবস্থায় খানিকক্ষণ থাকতে দিতে হয়৷ চূণের জল থিতিয়ে গেলে চামচে করে ওপরের চূর্ণ–রহিত জল আস্তে আস্তে তুলে একটা পাত্রে ঢ়েলে নিতে হয়৷ এই চূণের জলে পাতিনেবুর ট্যাবা নেৰুর রস মিশিয়ে খুব অল্প মিছরি (নামে মাত্র) গুঁড়ো দিয়ে খেলে সর্দি–গর্মী ঙ্মগরমকালে ‘লু’ লেগে যাওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা–গরমে জ্বর হয়ে গায়ের তাপমাত্রা এক লাফে চরমে উঠে যাওয়াৰ প্রশমিত হয়৷ তাছাড়া কাঁচা ৰেলের শরৰৎ, আমপোড়ার শরৰৎ সর

তেঁতুল

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তেঁতুল প্রায় সব গ্রীষ্মপ্রধান দেশে জন্মে থাকে৷ প্রজাতিও অনেক, অতি ৰৃহৎ থেকে অতি ক্ষুদ্র নানান ধরনের–লাল–ফিকে হলদে–বেগুনী প্রভৃতি নানা রঙের৷ কোন তেঁতুল অত্যন্ত টক, আবার কোন তেঁতুল মধুর চেয়েও মিষ্টি৷ এই মধু তেঁতুল* দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দ্বীপে জন্মে থাকে৷

লিচুরও ইতিকথা আছে

লিচু ভারতে এসেছিল সম্ভবতঃ বৌদ্ধযুগে৷ ভারত ও চীন উভয়েরই দেশজ ফল হচ্ছে অংশুফলম৷ ফলটির অনেক নামের মধ্যে একটি নাম হচ্ছে অংশুফল্৷ এই আঁশফল গাছের পাতা দেখতে লিচু পাতার মত নয়–কিছুটা গোলাকার.......লিচুর চেয়ে একট ছোটও৷ গাছ কিন্তু লিচু গাছের চেয়ে অনেক বড় হয়.....বট, পাকুড়, অশ্বত্থের মত হয়ে যায় বীজ লিচুর চেয়ে কিছুটা ছোট কিছুটা চ্যাপ্ঢা হয়৷ ফল মিষ্টি হলেও তাতে উৎকট ঝাঁঝ ও গন্ধ থাকে৷ ছোটরা ভালবেসে খেলেও বড়রা পছন্দ করেন না৷ এই আঁশফল বাংলার একটি সাবেকি ফল–ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়৷ চীন এই আঁশফল নিয়ে চর্চা বা গবেষণা করে তৈরী করেছিল লিচু৷ বর্তমান পৃথিবীতে চীনের লিচুই সবচেয়ে বড় আকারের, অধিক রসযুক্ত ও সুস্বাদু৷ চী