February 2024

সঙ্গীতের মাধ্যমে রোগারোগ (Music therapy)

(সঙ্গীতের আবাজ) কাণের মধ্যে দিয়ে স্নায়ুকোষে(brain) পৌঁছায়৷ সেখান থেকে এই তরঙ্গ(vibration) শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ও বিশেষ চক্রকে প্রাণবন্ত (activise) করে দেয় (এর ফলে রোগ দূরীকরণে সহায়তা হয়)৷ প্রভাত সঙ্গীতের মাধ্যমে নিম্নলিখিত রোগগুলির উপশম হয় ঃ–

নিম পাতার আত্মকথা

কৌশিক খাটুয়া

হতে পারি আমি স্বাদে বেজায় তিক্ত

তবু আমারে দেখিয়া হয়োনা তোমরা ক্ষিপ্ত,

জন্ম থেকেই জন-হিতার্থে লিপ্ত

সেই ভাবনায় কল্যান কাজে উদ্দীপ্ত৷

স্বাদ-পরিবারে মোরা পাঁচটি ভাই

মিষ্টি, নোনতা, ঝাল, অম্ল ও তিক্ত,

জনপ্রিয়তায় নাই মোর কোনো ঠাঁই

কিছু লোকে কয় অকথ্য অতিরিক্ত!

শিশুরা আমায় দেখেনা সুনজরে

তাদের কাছে চিরকাল আমি ব্রাত্য,

শৈশব থেকে যৌবনে পা দিলে

তারাই প্রচার করে আমার মাহাত্ম!

‘‘সূক্তো’’ দিয়ে দুপুরের প্রিয় আহার

‘‘নিম’’ যার এক অপরিহার্য উপাদান,

নিম-বেগুনের মনি-কাঞ্চন যোগ

অব্যক্ত অনুভূতি

আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত

(ভেরোনা, ইটালী)

 

তোমারই পথে চলি

তোমারে পাব বলে ,

ক্লান্ত নহি আমি তোমারই কৃপাবলে৷

 

স্বপনে ধরা দিলে তুমি প্রিয়তম,

আনন্দমূরতি বরাভয়ে অনুপম,

নির্বিকার চিত্তে আমি তাকিয়ে রই

অব্যক্ত কৃপা লভি আমি ক্ষুদ্রতম৷

 

গুরুসকাশে দেখি তোমার উপস্থিতি ,

ধ্যানেতে তুমিই ইষ্ট রহো নিরবধি,

থেকো সাথে সাথে মোহন মূরতি,

জীবন তব তরেই সঁপেছি প্রণতি৷

 

সকল জীবের সেবায়

লাগাও তব কাজে,

তোমাকে যেন পাই

সকলেরই মাঝে৷

 

তোমার গরিমা ভূলিবার নহে,

কবি নবীনচন্দ্র

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

(জন্ম ঃ ২৭শে মাঘ)

 

বিষাদের স্মৃতি ঘেরা পলাশীর ক্ষেত্র৷

স্মরণে অশ্রুতে আজো ভরে দুই নেত্র৷

বাঙালীর ভাগ্যের সকরুণ ছবি---

পলাশীর যুদ্ধে তুমি এঁকে গেছো কবি৷

মরেনি মোহনলাল--- আজো আছে বেঁচে

ভারতমাতার লাগি প্রাণ দেয় যেচে৷

পৃথিবী নিষ্ঠুর অতি সংগ্রামে মগন,

বলেছিলে তাই তুমি হইবে স্থাপন---

এক জাতি এক ধর্ম--- নীতির শাসন---

সমগ্র মানব প্রজা, রাজা নারায়ণ৷

মাঘের বাতাসে আজ বড় খুশি জাগে,

প্রণমি তোমায় মোরা শ্রদ্ধা-অনুরাগে৷৷

 

একটু হাসো

পত্রিকা প্রতিনিধি

এক ব্যষ্টি পুকুরে স্নান করতে নামার আগে দেখলেন ঘাটের পাশে একটা বোর্ডে লেখা আছে, ‘এখানে কাপড়–জামা চুরি থেকে সাবধান’৷

ওই ব্যষ্টি জামা কাপড় ছেড়ে পাড়ে রেখে স্নান করতে পুকুরে নামবার সময় একটা কাগজে লিখে রাখলেন–‘বিশ্ব হেভিওয়েট মুষ্টিযোদ্ধা’৷

 কিছুক্ষণ পরে স্নান করে উঠে দেখেন সেখানে কোন কাপড়–জামা নেই৷ কিন্তু যেখানে কাপড় রেখেছিলেন সেখানে একটা কাগজে লেখা আছে–‘এক হাজার মিটার দৌড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ান’৷

একটি ছেলে তার মাকে বলল–‘মা তুমি আমাকে কত ভালবাসো, কোটি টাকার চেয়ে বেশী’

মা বলল–‘তোকে আমি কোটি কোটি টাকার চেয়েও বেশী ভালবাসি’৷

আলোকে যে কেটে কেটে দেয় তার জন্যে ছো+ ড করে ‘ছ’ শব্দ ব্যবহার করা যায়৷ এই ‘ছ’ শব্দের একটা অর্থ হ’ল ‘ছায়া’ যা আলোকে কেটে কেটে দেয়৷ যেহেতু ‘রাহু’ আর ‘কেতু’ এই দুটি হচ্ছে পৃথিবীরই দুই ধরণের ছায়া (ছায়া ও উপচ্ছায়া--umbra and penumbra), এই দু’টিকে ‘ছায়াগ্রহ’ বা ‘ছ’ ৰলা হয়৷ পৌরাণিক গল্প অনুযায়ী রাহু-কেতু ছিল একটি দানব৷ সে লুকিয়ে লুকিয়ে অমৃত খেয়ে ফেলেছিল৷ তাই বিষ্ণু চক্রের সাহায্যে তার মাথা কেটে দেন৷ অমৃত ভক্ষণ করায় তার মৃত্যু হ’ল না বটে, তবে ধড় ও মাথা দু’টো অংশ পৃথকভাবে বেঁচে রইল৷ মাথাটার নাম ‘রাহু’ umbra) ও ধড়টার নাম ‘কেতু’ penumbra)৷ পৌরাণিক গল্প অনুযায়ী সূর্যের স্ত্রীর নাম ‘ছায়া’৷ তার জন্যেও ‘ছ’

ধরা আর সরা

দেশজ শব্দে ‘ট’যথাযথভাবেই বজায় থাকে৷ আর ‘ড’ বা ‘ড়’ মৌলিক শব্দ হিসেবেই থেকে যায়৷ যেমন, আজ ভুলোর সঙ্গে ভোঁদার আড়ি হয়ে গেল৷ ওরা বলছে, ওরা আর একসঙ্গে মার্ৰেল খেলবে না, একটা পেয়ারাও আর কামড়াকামড়ি করে খাবে না৷ গোপনে কান পেতে শোনাকেও আড়িপাতা বলে৷ এটিও বাংলা দেশজ শব্দ৷

উলুবেড়ে লোক্যাল

অনেকে ভাবে, বিতর্ক মানে তর্কসংক্রান্ত বা তর্কযুক্ত জিনিস৷ কথাটি আংশিকভাবে সত্য৷ বিশেষ ধরনের তর্ককে ‘বিতর্ক’ বলা হয়৷ কিন্তু এটাই ‘বিতর্ক’ শব্দের শেষ কথা নয়৷ ‘বিতর্ক’ মানে অতি জল্পন (অহেতুক বকবক করা)৷ এই বকবক করার সঙ্গে যদি বদ্মেজাজ বা প্রগল্ভতা সংযুক্ত থাকে তবে তা ‘বিতর্ক’ পর্যায়ভুক্ত–‘কষায়’ পর্যায়ভুক্ত হবে না৷ নীচে কয়েকটা বিভিন্ন স্বাদের বিতর্কের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি একজন হাওড়া ইষ্টিশনে গেছে৷ একটু দেরী হয়ে গেছে৷ একজন ভদ্রবেশধারী মানুষকে জিজ্ঞেস করলে–দাদা, উলুবেড়ে লোক্যাল ছেড়ে গেছে ভদ্রলোক মুখ ঝামটা দিয়ে খেঁকিয়ে বলে উঠলেন–উলুবেড়ে লোক্যালের খবর রাখা কি আমার ডিউটি আমাকে কি টাইম–টেবল পেয়েছেন আশ্চর্

২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ হবে আমেরিকায় কোন মাঠে বিশ্বকাপের ম্যাচ হবে তা জানাল ফিফা

২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ চলবে ৩৯ দিন ধরে৷ প্রতিযোগিতা হবে আমেরিকায়৷ সেখানকার কোন কোন মাঠে বিশ্বকাপের কতগুলি ম্যাচ হবে তা জানিয়ে দিয়েছে ফিফা৷ জানিয়েছে শুরু ও ফাইনালের দিনও৷

বিশ্বকাপের মাঠ ও সেখানে ম্যাচের তালিকা:

আটলান্টা গ্রুপ পর্বের ৫টি ম্যাচ, রাউন্ড অফ ৩২-এর ১টি ম্যাচ, রাউন্ড অফ ১৬-এর ১টি ম্যাচ, সেমিফাইনালের ১টি ম্যাচ৷ বস্টন গ্রুপ পর্বের ৫টি ম্যাচ, রাউন্ড অফ ৩২-এর ১টি ম্যাচ, কোয়ার্টার ফাইনালের ১টি ম্যাচ৷ ডালাস গ্রুপ পর্বের ৫টি ম্যাচ, রাউন্ড অফ ৩২-এর ২টি ম্যাচ, রাউন্ড অফ ১৬-এর ১টি ম্যাচ, সেমিফাইনালের ১টি ম্যাচ৷ গুয়াডালারাজা গ্রুপ পর্বের ৪টি ম্যাচ৷ হিউস্টন গ্রুপ পর্বের ৫টি ম্যাচ, রাউন্ড অফ ৩২-এর ১টি ম্যাচ, রাউন্ড অফ ১৬-এর ১টি ম্যাচ৷ কানসাস সিটি গ্রুপ পর্বের ৪টি ম্যাচ, রাউন্ড অফ ৩২-এর ১টি ম্যাচ, কোয়ার্টার ফাইনালের ১টি ম্যাচ৷ লস অ্যাঞ্জেলস গ্রুপ পর্বের ৫টি ম্যাচ, রাউন্ড অফ ৩২-এর ২টি ম্যাচ, কোয়ার্টার