February 2024

আনন্দনগরে কম্বল বিতরণ

৬ই জানুয়ারী’২৪ আনন্দমার্গ মহিলা কলেজ, উমানিবাস,আনন্দনগর প্রাঙ্গণে  আনন্দমার্গ ইউনিভার্সাল রিলিফ টীম (মহিলা) পক্ষ থেকে দুঃস্থ মানুষদের কম্বল বিতরণ করা হয়৷

কাঁথিতে তিন ঘন্টা ব্যাপী বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন

কাঁথি, ২৩ শে জানুয়ারী, কাঁথি ইউনিটের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী তথা কাঁথি ইউনিটের সম্পাদক সম্মানীয় শুভেন্দু ঘোষ মহাশয়ের ব্যবস্থাপনায় আজ মনোহরচকস্থিত তার নিজ বাসভবনে তিন ঘন্টা ব্যাপী অখন্ড বাবা নাম কেবলম অষ্টাক্ষরী সিদ্ধ মন্ত্র কীর্ত্তন ‘‘বাবা নাম কেবলম’’ পরিবেশিত হয়৷ কীর্ত্তন পরিবেশন করেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ভজহরি বর্মন, শুভেন্দু ঘোষ, শুদ্ধসত্ব মাহাত, কাকলী জানা, দীনেশ প্রধান, সোমা সিন্‌হা, বিদ্যাসাগর মাহাত, পূর্ণেন্দু খান্ডা প্রমূখ৷ কীর্ত্তনান্তে মিলিত ঈশ্বরপ্রণিধান (সাধনা), গুরু পূজা, স্বাধ্যায় ও আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়৷ আধ্যাত্মিক আলোচনায় বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় কীর্ত্তন এর প্রাসঙ্গিকতা ও অষ্টাদশ প

আনন্দমার্গ হাইস্কুলে বিবেকানন্দ জন্মজয়ন্তী উদযাপন

১২ই জানুয়ারী’২৪ আনন্দমার্গ হাইস্কুল, আনন্দনগরে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬০ তম জন্মজয়ন্তী কবিতা, সঙ্গীত, গল্প, বক্তব্য ও ছেলেদের সায়েন্স ওলম্পিয়াড পরীক্ষার শংসাপত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে৷ শেষে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আচার্য প্রজ্ঞানানন্দ অবধূত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন৷

পারিবারিক সকলকে নিয়ে আনন্দনগর ভ্রমণ

হুগলী জেলার মগরার আদর্শ-মার্গী স্বর্গীয় গোবিন্দ প্রসাদ পালের তিন কন্যার পরিবারের সকলেই ২৬---২৯শে জানুয়ারী’২৪ আনন্দনগর ভ্রমণে আসেন৷ আনন্দনগরের দর্শনীয় স্থান ও সেবামূলক প্রকল্পগুলি যথা বাবা মেমোরিয়াল ও জল সংরক্ষণ প্রকল্প (ড্যাম),পসকা (পরিবেশ সংবর্দন কানন), রোটাণ্ডা(অডিটোরিয়াম হল), তন্ত্রপীঠ, কপিল গুহা, অস্থিহিল ও ডায়নোসরের ফসিল, বাঁশগড়ের  মালটা-মোসাম্বির বাগান, আপেল-নাশপাতি-ব্রেড ফ্রুটের গাছ, আভা সেবা সদন চিকিৎসা কেন্দ্র, উমা নিবাসের গার্ল হোম ও মহিলা বিভাগের অন্যান্য সেবা মূলক প্রকল্প ও মধ্য আনন্দনগরের শিশু সদন পরিদর্শন করেন৷ শিশু সদনের ছেলেদের স্কুল ব্যাগ বিতরণ করেন৷

মেধান্বেষন ও বৃত্তি পরীক্ষা

৩রা মার্চ,২৪ আনন্দনগর ডায়োসিসের তথা জয়পুর ও কৌটশিলা থানার যতসব পঞ্চম  ও নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রাদের আমন্ত্রণ জানানো যাচ্ছে যে ‘স্বর্গীয় শম্ভুনারায়ণ রায়’ স্মৃতি মেধান্বেষণ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আনন্দমার্গ হাইস্কুলে সময় দুপুর ১২টায়৷ উত্তির্ণ পঞ্চম শ্রেণীর প্রথম কুড়িজনকে ও নবম শ্রেণীর প্রথম দশ জনকে প্রত্যেককে দুহাজার ও তিন হাজার টাকা ও শংসাপত্র প্রদান করা হবে৷ পরিচালনায় আনন্দমার্গ গুরুকুল, আনন্দনগর৷

নীলকন্ঠ দিবসের শপথ–শোষণ ও দুর্নীতির বিষমুক্ত সমাজ

পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে, যখনই কোনো মহাপুরুষ প্রচলিত ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের বিরোধিতা করেছেন, সামাজিক–র্থনৈতিক নানান শোষণ ও অবিচারের প্রতিবাদ করেছেন, শোষণমুক্ত সমাজের আদর্শ তুলে ধরেছেন, তখনই তাঁর বিরুদ্ধে শোষকশ্রেণী বা কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী ও তাদের স্তাবকরা নানা ভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, এমন কি তাঁদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যে নানান্ভাবে চেষ্টা চালিয়েছে৷

তাই সক্রেটিসকে হেমলগ বিষ পান করানো হয়েছিল, যীশুখৃষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল–এমনি অজস্র উদাহরণ ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে৷

নদীয়া জেলার এলাঙ্গী গ্রামে কীর্ত্তন অনুষ্ঠান

গত ২৬শে জানুয়ারী ২৪ শুক্রবার নদীয়া জেলার ভুক্তি কমিটির সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন ব্লক থেকে আগত শতাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার অন্তর্গত বাংলাদেশ সীমান্তে এলাঙ্গী গ্রামে নদীয়া জেলার ভূক্তি প্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস ও শ্রীমতী কল্পনা বিশ্বাস এর বাসগৃহে সকাল ১০টা থেকে ১ টা পর্যন্ত তিন ঘন্টা ব্যাপী মানব মুক্তির মহমন্ত্র ‘‘বাবা নাম্‌ কেবলম্‌’’ অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন ডাঃবৃন্দাবন বিশ্বাস,কাজল সরকার, কাকলী মন্ডল,অনুপ্রিয়া দেব, ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা প্রমুখ৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা,গুরুপুজা হয়৷ স্বাধ্যায় করেন---মনোতোষ মজুমদার৷ কীর্ত্তনের মধুরানন্দে গ্রামের দূর-দু

অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন ও শিশুর নামকরণ

৭ই জানুয়ারী’২৪ এই প্রথম কল্যাণপুর গ্রামে শ্রীমতী শিখা মাহাতোর বাসভবনে শ্রীপিন্দ্রনাথ মাহাতোর ব্যবস্থাপনায় মানসিক শান্তির জন্যে ৬ঘণ্টা অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম নাম সংকীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, স্বাধ্যায় ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

 আর আজকের দিনেই জিওদারু গ্রাম নিবাসী ভাস্কর ও সুজাতা মাহাতোর প্রথম কন্যা সন্তানের আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধানুযায়ী নাম করণ ও এই উপলক্ষ্যে তিন ঘণ্টা অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ নবাগতা শিশুর নাম রাখা হয় ‘‘চয়নিকা’’৷

আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ২৪শে জানুয়ারী নদীয়া জেলার চাপড়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী পারুলবালা বড়াল পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর৷ তিনি অত্যন্ত ভক্তিমতি ও নিষ্ঠাবান আনন্দমার্গী ছিলেন৷ গত ২৯শে জানুয়ারী পারুলবালা বড়ালের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীবিধিতে অনুষ্ঠিত হয় উত্তর কলিকাতা টালাপার্ক নিবাসী পারুলবালার কন্যা অঞ্জু সরকার ও জামাতা মনোজ সরকারের বাসগৃহে৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত ও ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ অভিষা আচার্যা৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দ অভিষা আচার্যা৷ উপস্থিত ছিলেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও পারুলবালা বড়ালের কন্যা, জামাতা ও আত্মীয়-স্

কয়েকজন স্মরণীয়া মহিলা

কর্কটী রাক্ষসী

শিব তাঁর বৈদ্যক শাস্ত্র কাকে প্রথম শিখিয়েছিলেন তা’ এখন আর হলপ করে ৰলা যায় না৷ তবে যদ্দূর মনে হয়, তিনি প্রথমে তা’ শিখিয়েছিলেন কর্কটী রাক্ষসী নাম্নী জনৈকা অনার্য কন্যাকে৷ অনেকে সেকালে তাচ্ছিল্য করে অনার্যদের কখনো দানব, কখনো দৈত্য, কখনো রাক্ষস ইত্যাদিতে অভিহিত করত৷ সেকালের ভারতে কেবলমাত্র এই কর্কটী রাক্ষসীই বিসূচিকা (ওলাওঠা বা কলেরা) ও কর্কট রোগের (ক্যান্সার রোগ) চিকিৎসা করতে পারতেন৷ পরে ডগমা–প্রেষিত মানুষেরা তাঁকে হত্যা করে৷          (‘‘গণবতীসূত’’

          ‘শব্দ–চয়নিকা’, ১৬শ পর্ব)