March 2020

অমর দধীচি লহ প্রণাম

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

যাঁরা মানবতার জন্যে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁরা হলেন দধীচি৷ বাংলা ভাষায় যে শহীদ শব্দটি ব্যবহার করা হয় এর উৎস সন্ধান করলে আমরা দেখবো, মধ্যযুগে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে অন্য ধর্মাবলম্বীদের লড়াইয়ে যে সমস্ত মুসলিম মৃত্যু বরণ করতেন তাঁদের আরবী ভাষায় বলা হতো শহীদ৷ আর এই যুদ্ধের পরে যাঁরা জয়ী হয়ে ফিরে আসতেন তাঁদের বলা হতো গাজী৷ তেমনি খ্রীষ্ট ধর্মের হয়ে লড়াইতে যাঁরা প্রাণ বিসর্জন করতেন তাঁদের বলা হতো মার্ট্যার Martyr)৷ শহীদ ওMartyr শব্দ দুটির সঙ্গে তাই বিশেষ বিশেষ রিলিজিয়ন বা মতবাদের স্বার্থে লড়াইয়ের সম্পর্ক জড়িত৷ যদিও বর্তমানে এই দুটি শব্দ ব্যাপক অর্থে প্রযুক্ত হয়৷

রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত

প্রভাত খাঁ

পৃথিবীর বুকে যত স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছে মূলত তা  পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তির জন্য৷ বাংলাদেশ স্বাধীন হয় কিন্তু মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার  আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই৷ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণই পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের চেয়ে সংখ্যায় বেশী ছিলেন৷ তাই তাঁদের মাতৃভাষা বাংলাই রাষ্ট্রভাষা হওয়াটা যুক্তিযুক্ত৷ কিন্তু  মিঃ জিন্নার দল সেটিকে  মান্যতা দেননি৷ ঊর্দ্দুভাষাকেই জোর করে রাষ্ট্রভাষা করা হয়৷ এই কারণে পূর্ব পাকিস্তানে ২১শে ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ সালে ঢাকায় জনগণ সমবেত হন তীব্র প্রতিবাদে৷ এই প্রতিবাদে পাকিস্তানী পুলিশের গুলিতে  তরতাজা পাঁচজন তরুণ প্রাণ হারান৷ তাঁদের নাম যথাক্রমে সর্বশ্রী রফিক, বর

ভারতের উদ্বাস্তু সমস্যা ও বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করার সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত

এইচ এন মাহাত

একদা দেশটির নাম ছিল ভারবর্ষ৷ হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী দালালদের দৌলতে ভারতের স্বাধীনতার নামে যে রাষ্ট্র আমরা পেলাম তার নাম হলো শুধুমাত্র ভারত৷ এই ভারতের স্বাধীনতার জন্যে সব থেকে বেশী রক্ত দিয়েছে বাঙালী, আর আজ সেই বাঙালী জাতিকেই ৭০ বছর পর প্রমাণ দিতে হবে তাঁরা কী ভারতীয়?

আনন্দমার্গীয় প্রথায় বিবাহ

উত্তর ২৪ পরগণার পশ্চিম কোদালিয়া ঘোলা গ্রামের বাসিন্দা শ্রীযুক্ত বিনয় রায় ও শ্রীমতী বিনতা রায়ের পুত্র প্রভাস বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় পূর্ব মেদিনীপুর সুরানানকা গ্রামের কল্যাণীয়া রেণুকার সহিত৷ গত ২৬শে ফেব্রুয়ারী নিউ ব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুলে মার্গীয় বিধিতে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷

নিউ ব্যারাকপুরে সেমিনার

গত ২৩ ও ২৪শে ফেব্রুয়ারী নিউ ব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুলে দুদিনের একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্যারাকপুর ডায়োসিসের বিভিন্ন ব্লক থেকে শতাধিক মার্গী ভাইবোন এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন৷ সেমিনারে প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত৷

বাংলা বানান প্রসঙ্গে

জ্ঞানভিক্ষু

প্রাউট–প্রবক্তা মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ভাষাতত্ত্ব ও ব্যাকরণ বিজ্ঞানের ওপরও বহু অমূল্য পুস্তক রচনা করেছেন, যা কলকাতা, ঢাকা, কল্যাণী প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অধ্যাপক সহ বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক ও জ্ঞানী গুণীজনের দ্বারা বহুল প্রশংসিত৷ তাঁর রচিত ‘প্রভাতরঞ্জনের ব্যাকরণ বিজ্ঞানে’ তিনি বহু প্রচলিত বাংলা বানানের ভুলত্রুটি বা অর্থবিচ্যুতি দেখিয়ে সে সবের সংস্কার সাধনেও সচেষ্ট হয়েছেন৷ এ ধরনের কিছু বাংলা বানান সম্পর্কে তাঁর অভিমত তাঁর ভাষাতেই প্রকাশ করা হচ্ছে ঃ

ইয়ূথ/ইয়ূনিয়ন/ইয়ূনিটি......

পৃথিবীর চারটি মৌলিক জনগোষ্ঠী

পৃথিবীতে মৌলিক জনগোষ্ঠী আছে চারটি–ককেশীয়, মঙ্গোলীয়, অষ্ট্রিক ও নিগ্রো৷ অনেকে অবশ্য সেমিটিক জনগোষ্ঠীকে এর মধ্যে ফেলতে চান না৷ তাদের মতে সেমেটিকরা আলাদা জনগোষ্টী, এরা মধ্যপ্রাচ্যের লোক৷ আবার কারো কারো মতে এরা ককেশীয় ও নিগ্রোদের বিমিশ্রণ৷ ককেশীয়দের তিনটি শাখা রয়েছে–(১) নর্ডিক (Nordic), (২) এ্যালপাইন (Alpine), (৩) ভূমধ্যসাগরীয়৷ ‘নর্ডিক’ কথাটার অর্থ হচ্ছে ‘উত্তুরে’৷ লাতিন ‘নর্ড’ (Nord) কথাটা থেকে ‘নর্ডিক’ শব্দটি এসেছে৷ এ্যালপাইনরা বেশী উত্তরেও নয়, আবার বেশী দক্ষিণেও নয় অর্থাৎ এরা মধ্যদেশীয়, আল্প্স্ পর্বতের সানুদেশের বাসিন্দা৷

অগ্ণিকন্যা

পথিক বর

সন্ধ্যায় পড়তে বসেছে ভাইবোনেরা৷ দাদা মধু ছোট বোন রাণীকে বলল---শুনেছিস, শহরের দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার পড়েছে৷ ডাকাত ধরিয়ে দিতে পারলে দশ হাজার টাকা পাওয়া যাবে৷

একুশের আশ্বাস

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

একুশে ফেব্রুয়ারী---

তোমার উজ্জ্বল স্মৃতি বাঙালীর মর্মে গাঁথা

তুমি শোষিতের রুক্ষ্ম অন্তরে ফল্গুর সরসতা৷

নিপীড়িত, বঞ্চিত বুকে জাগায়েছো আশা

তোমার পরশে মানুষ পেয়েছে মুখের ভাষা৷৷

 

বাঙলার মাটি ভাষা-শহীদের রক্তে রাঙা

তারাই ভেঙ্গেছে পরাধীনতার শিকল, শোষণ যন্ত্রণা৷

একুশের বলিদান গেয়েছে জীবনের জয়গান

পৃথিবীর কুর্ণিশে---

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’-এর সম্মান৷৷

 

মানব-ওষ্ঠে যতদিন রবে কথা, ধমনীতে শোণিত

একুশের আশ্বাস-বাণী সতত হবে উচ্চারিত৷

অমর একুশের আহ্ববানে মাতিবে