ভারতবাসী ও বিবেক-চেতনা

লেখক
হরিগোপাল দেবনাথ

বর্তমান পৃথিবীতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ৷ রাষ্ট্র-শাসন পদ্ধতি নিয়ে বিচার করতে গিয়ে এ যাবৎ মানুষের উদ্ভাবিত যে-সব প্রক্রিয়া সমূহ রয়েছে, তাদের মধ্যে তুলনামূলক বিচারে গণতন্ত্রকেই সবার সেরা পদ্ধতি বলে সর্বজন গ্রাহ্য অভিমত৷ তবে, আধুনিক বিচার-বিশ্লেষকদের মধ্যে এ নিয়ে সমালোচনার যে ঝড় উঠেছে সে কথা অস্বীকার করারও উপায় নেই৷ বিশেষ করে পৃথিবীর বুকেই ঘটে চলা অবস্থা-পর্যবেক্ষণে সমালোচকগণ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকেই জোরালো সব যুক্তিসমূহ যা’ দেখিয়ে চলেছেন সেগুলোও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই তাচ্ছিল্য ভরে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া চলে না৷ তদানীন্তনকালে পরাধীন ভারতবাসীর উপর বিদেশী শোষকদের শোষণ-অত্যাচার আর শাসনের নামে তাদের প্রবল-পরাক্রান্ত স্বৈরাচারসহ দমন, অবদমন ও প্রদমনের  নজির প্রত্যক্ষ করে, আর তারও চেয়ে বিপন্ন, অসহায়, নিরীহ, অভুক্ত অনশনক্লিষ্ট ভারতবাসীর চরম বঞ্চনা, হতাশা, হাহাকারে ব্যতিচিত্তে স্বামী বিবেকানন্দ আশ্বাসবাণী শুণিয়েছিলেন যে,ভারতে শূদ্র-বিপ্লব অবশ্যম্ভাবী৷ কিন্তু তার পরেও দীর্ঘকাল অতিবাহিত হয়ে গেছে---ভারতে তেমন কোন জন-বিস্ফোরণ ঘটে যায়নি৷ অবশ্য, কেন জন-বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়নি এরও পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে আর, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক যতরকমের কারণই থাক না কেন, মনস্তাত্ত্বিক, কারণটাকেই সর্বাগ্রে স্থান দিতে হবে৷ কারণ সামাজিক নিপীড়ন অন্যায় জুলুমবাজি, ঘৃনা -অবহেলা চলছে  এইটুকু অনুভব শক্তি যদি জনসাধারণের চিত্তমাঝে জেগে না ওঠে, তাহলে, সমাজ চেতনা জেগে -না-ওঠা পর্যন্ত গড্ডালিকা প্রবাহেই ভেসে চলতে অধিকতর পছন্দ করে৷

দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার মানবসমাজে চিরাচরিত প্রথাই বলতে হবে৷ একজন মানুস যদি বহুলোককে ঠকায়, ন্যায্য-প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রাখে বা অন্যদের মুখের গ্রাসও কেড়ে নেয়,সেই পীড়ণ আর অন্যায়টা মুখ বুজে সহ্য করে যাওয়ার মধ্যে আর যাই থাক বা না থাকুক, অন্ততঃ সেই পীড়িত লোকগুলোর আত্মসম্মান বা আত্মমর্যাদা বোধের স্ফূরণ ঘটেনি তাই বলতে হবে৷ তদ্রূপ কোন জনগোষ্ঠী যদি অপর একটা জনগোষ্ঠীকে অন্যায়ভাবে লাঞ্ছনা-নিপীড়ণের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ও সেই জনগোষ্ঠীটার উপর নির্মমভাবে শোষণের ষ্টীম-রোলার চালায় জনগোষ্ঠীটার ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার,অর্থনৈতিক অধিকার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-সম্পর্কীয় অধিকার ইত্যাদি কেড়ে নেয় বা ক্ষুণ্ণ্ করে দেয় তাহলে শোষিত, উপেক্ষিত ও অবদমিত জনগোষ্ঠীর মানুষগুলো ধীরে ধীরে মানবিক মর্যাদা খুইয়ে বসবে ও এভাবেই একদিন জগৎ থেকে লোপও পেয়ে যেতে পারে৷ পৃথিবীতে এভাবে অনেক সভ্যতা বিলুপ্ত হয়েছে মানবগোষ্ঠীরও অধঃপতন যে ঘটে নি তাও নয়৷ আবার, যারা মানুষের দেহ ও মন নিয়ে মানুষের সমাজে নেতৃস্থানীয় পিঁড়ি পেতে বসেছেন, তাদের স্বভাবগত দোষেই ওরা নরপিশাচ নরদানবদের পর্যায়ে নেমে গেছে৷ তাই, ওদের কলা-কৌশল ও ছলচাতুরী দিয়ে ওরা মানুষের রক্তমোক্ষণকেই ওদের জীবনের সারবস্তু বলে স্থির করে নিয়েছে৷ সুতরাং রাজনীতি করে সমাজ-শাসনের দায়িত্ব পালনই হোক, কিংবা সরকারী আমলাগিরি থেকে মুটে---মজুরগিরি যা-ই ওদের পেশা হোক না কেন, নেশা হিসেবে ওদের জীবিকা ---ঠগবাজি, প্রবঞ্চনা, প্রতারণা, মিথ্যাচার, কপটাচারিতা,মানুষে মানুষে বিভেদ-সৃষ্টি করে আখেরে ফায়দা তুলে নেওয়া৷

বাঁচার জন্যে মানুষের অবশ্য অর্থের প্রয়োজন৷ কিন্তু সেই উপার্জনটুকু একটা লোকের পরিবার প্রতিপালনের জন্যে যতটুকু প্রয়োজন, তার বেশী অবশ্যই নয়৷ সর্বদাই প্রতিটা মানুষের মনে রাখা দরকার যে, অর্থের মূল্য নির্ধারিত হয় তার যথোপযুক্ত ব্যবহারে৷ বইয়ের ভেতরে লেখা বিদ্যার সার্থকতা যেমন সেই বিদ্যার প্রকৃত উপযোগ গ্রহণের মাধ্যমে, তদ্রূপ অর্থের প্রকৃত উপযোগটাও নির্ভর করছে তার ব্যবহারের উপর৷ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মানুষ যেক্ষেত্রে অপরিগ্রহ নীতিকে (অর্থাৎ জীবনধারনের জন্যে প্রয়োজনে অতিরিক্ত জাগতিক ভোগের দ্রব্যগ্রহণে অনীহা) লঙ্ঘন করছে, সেখানেই শোষণের সূত্রপাত ঘটে থাকে৷ কিন্তু এইটুকু সত্যকে না বুঝতে পেরে মানুষের ভোগস্পৃহা যখন লেলিহান হয়ে ওঠে, তখনই শোষণের শুরু হয়৷ এরই ফলে লোভী, স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক ও হীনমনোবৃত্তিসম্পন্ন্ মুষ্টিমেয় মানুষগুলো অদম্য কামনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শোষকে পরিণত হয় ও পুঁজিবাদী বা ক্যাপিটালিষ্ট হয়ে ওঠে আর অপরদিকে এদের অনিবার্য শোষণের ও প্রবঞ্চনার কারণেই অন্যেরা দরিদ্রে পরিণত হয়---সমাজে বিভেদ-বৈষম্য সৃষ্টি হয়৷ অর্থাৎ অর্থই তখন যত অনর্থের ও বিশৃঙ্খলার কারণ হয়ে ওঠে৷

মানব সমাজের দিকে তাকালেই আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই যে, বর্তমান বিশ্বের পুঁজিবাদীরা নিজেদের অর্থ প্রাচুর্যের ও ভোগ্য সম্পদের মাত্রাধিক্য ঘটাতে গিয়ে বিলাসের জৌলুস দেখাতে গিয়ে অন্যদের দুর্র্ভেগের কারণ ঘটায় নিজেদের প্রাণশক্তি বাড়াতে চেয়ে অন্যদের প্রাণরস নিংড়ে নেয়৷ ভারতের বর্তমান জাতীয় সম্পদের ৫১.৫৩ শতাংশ ভাগ কুক্ষিগত রয়েছে মাত্র মোট লোকসংখ্যার ১ শতাংশ লোকের হাতে৷ কিছুদিন আগে সংবাদপত্র মাধ্যমে জানতে পেরেছিলুম যে আমাদের দেশের মুকেশ আম্বানীজীর ১মিনিটের উপার্জন নাকি একজন রেগা-শ্রমিকের দু’বছরের উপার্জনের সমতুল্য৷ অথচ ওই আম্বানিজী আর জনৈক রেগা-শ্রমিক দু’জনেই কিন্তু একই পরমেশ্বরের প্রিয় সন্তান---বৈষম্যেটার জন্যে অন্যতম দায়ী আমাদের  পুঁজিবাদী অর্থনীতি আর সমাজব্যবস্থা৷ সংবাদ মাধ্যমেই আরো জানা গেছে যে, গত বছরের লকডাউন পরিস্থিতিতে আমাদের গৃহমন্ত্রী অমিতজীর মূলধন নাকি ৩০০ গুণ আর জনৈকি জয়শাহের ক্যাপিটেল ১৬০০ গুণ বেড়েছে৷ এই বৃদ্ধির হার যে শুধু দু’জনেরই প্রত্যেকের দক্ষতার কারণে ভাগ্যের জোরে বেড়েছে, তা কি সম্পূর্ণটাই বিশ্বাসযোগ্য৷ মনে হয়, এ যুক্তি বিশ্বাসযোগ্য হলেও হতে পারত যদি উক্ত দুই করিতকর্মাদের সম্বন্ধে এরূপ অভাবনীয় মূলধন বৃদ্ধির কৃতিত্বের কথা আগে কখনও প্রকাশ পেত৷ তাই, আমি রীতিমত তাজ্জব বনে গিয়েই দু’জনের কথা মনে গেঁথে রেখেছি৷ আমার দৃষ্টিতে দু’জনেই কৃতীপুরুষও মাতাপিতার আদর্শ সন্তান হতেও পারেন, তবে আদর্শ মানুষ বলে স্বীকারোক্তি করোটা প্রাণান্তকর মনে হচ্ছে৷ কারণ আর কিছুই নয়---লক-ডাউনের পরিস্থিতিতে  পরিযায়ী শ্রমিকরা ট্রেনের ভাড়া যোগাড় করতে না পেরে, হাঁটা পথে দূরের রাস্তা অতিক্রম করতে গিয়ে  ক্লান্ত অবস্থায় গভীর রাতে রেললাইনে ঘুমিয়ে পড়ে গিয়ে অবশেষে ট্রেন-পিষ্ট হয়ে একেবারেই মরজগতের উধের্ব পাড়ী দিতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ অথচ আমাদের জাতীয় সম্পদের প্রায় ৭৭শতাংশ সম্পদ যে ১০ শতাংশ ধনীলোকেদের হাতে রয়েছে,তাদের কারোরই মন গলে নি পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণে কিংবা আমপান বিধবস্ত পশ্চিমবাঙলার মানুষের  দুর্গতি মোকাবিলার কাজে৷ পশ্চিম বাঙলাকে ‘সোনার বাঙলা’ বানাবার বর্তমান কারিগর বা বাস্তুকারদের সেই সময়ে কারোর জন্ম হয়েছিল বলে জানতে পারিনি৷

দেশটার বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়   বলে সম্ভবতঃ আর.বি.আইয়ের কর্তৃপক্ষই অভিমত প্রকাশ করে জনৈক কর্মকর্তা বিদায় নিয়েছিলেন৷ অথচ ২৮ জন পুঁজিপতি মহাজন (যাদের সিংহভাগই গুজরাটী বলে অনুমান) দেশের ব্যাংকগুলো ফাঁকা করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লোন নিয়ে বর্তমানে বেপাত্তা হয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন৷ আর আমাদের জনগণ নেতারা ব্যস্ত রয়েছেন রাজ্যে রাজ্যে বোটে জেতার টুর্র্ণমেন্ট খেলায় স্মৃতি মন্দির আর স্টেডিয়ামে নিজেদের নাম খোদাই করে চিরস্মরণীয় করে রাখতে৷ কিন্তু, এভাবে কিছু লোকের মনে চির---অমর হওয়া সম্ভব কি না জানি না, তবে হলপ করেই বলতে পারি জগদ্‌বাসীর মনের খাতায় ওইসব সুবিধাবাদীদের নাম কখনও অমরত্ব লাভে জয়ী হবার নয়৷ ওরাই পূর্বে ঘোষণা করেছিলেন রাতের আঁধারে দেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া কালো টাকা তুলে আনবেন আর কালো টাকা--- পাচারকারীদের লোক সমক্ষে টেনে আনবে, কিন্তু কিছুই করেন নি৷ খুব সম্ভবতঃ আঁধারে দেখার মত দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন৷ তা যদিও বা মেনে নেওয়া চলে, তবুও ব্যাংকের লোনগুলো তো আর রাতে নেওয়া হয়নি৷ তাহলে, পুঁজিপতি হার্র্মদরা কী করে গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে পারছেন৷ আর যা-ই হোক দুর্নীতি দমাবেন, কালো টাকা উদ্ধার করবেন কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেবেন এসবের প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রত্যেকটি খেলাপ করেছেন৷

এঁরাই আবার লজ্জার মাথা খেয়ে বাঙলার মানুষকে জলজ্যান্ত অবস্থায় প্রতারণার বুলি শুণিয়েছিলেন ‘সোনার বাঙলা’ বানাবেন বলে৷ সুখের কথা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ওদের ভাঁওতাটা ধরে ফেলেছিল৷

পুঁজিবাদী দুর্নীতিগ্রস্ত, লোভী ও শোষণ-বৃত্তিটাই ওদের চারিত্রিক-বৈশিষ্ট্য হবে,এটাই তো স্বাভাবিক৷ সুতরাং ওরা সর্বদাই চেয়েছেন, চাইছেন ও চাইবেন, যাতে ওদের পছন্দসই ও বাছাই করা ক্রীড়নকরাই সরকার বানাতে পারে৷ এর প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার তো৷ একমাত্র জনসাধারণ তথা নির্বাচকমণ্ডলী অর্থাৎ বোটারগণ৷ বোটের ক্ষেত্রে পুঁজিবাদী জল্লাদ চাইবে---বুথ দখল, বোট রিগিং, ছাপ্পা বোট,  ইভি-মেশিনে হঠকারিতা, বোটারদের প্রলুদ্ধ করা, ঘুষ দেওয়া, হুমকি-প্রদর্শন ও ভয় দেখানো ইত্যাদি কারসাজিতে বোট আদায় করে  নেওয়া৷ তবে, এসবের মোক্ষম জবাব দিতে পারেন একমাত্র নির্বাচক মণ্ডলী৷ তাই, প্রকৃত অর্থেই নির্বাচনকে যথাযথ করতে হলে---(১) বোট-প্রার্থী ও বোট-দাতাদাত্রী সবাইকেই মূলতঃ নীতিনিষ্ঠ, সমাজ-সচেতন হতেই হবে (২) প্রশাসনকেও হতে হবে দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায় পরায়ণ (৩) নির্বাচন-পরিচালন-কর্তৃপক্ষকেও হওয়া চাই নীতিবাদী,সত্যনিষ্ঠ, ন্যায়-পরায়ণ, রাজনীতির-নিরপেক্ষ দৃষ্টিক্ষম ব্যষ্টিবর্গের কর্ত্তৃত্বধিকার৷ কিন্তু, পুঁজিবাদের পিঞ্জরার ভেতরে বসে সে সব কতটুকু আশানুরূপ হবে, সেটি শুধু কার্যক্ষেত্রেই প্রমাণিত হওয়া সম্ভব৷

পরিশেষে বলব---সাম্যবাদ তথা মার্কসবাদ তথা কম্যুনিজম ও পুঁজিবাদ তথা ক্যাপিটালিজম---উভয়ই জড়ভিত্তিক ভোগবাদী দর্শন৷ জড়বস্তুকে পাওয়ার সীমাহীন এষণাই জন্ম দিয়েছে পুঁজিবাদ৷ ভোগ্য-সম্পদ, জমি-জমা, টাকা---পয়সা, ব্যাংক-ব্যালান্স, ধাতব---অধাতব পণ্যসামগ্রী---এসব আহরণ করা আর যশ-ক্ষমতা-প্রতিষ্ঠা-প্রতিপত্তি লাভের জন্যেই মানুষকে ক্ষ্যাপা জীবের মত ছুটতে হয়৷ এ থেকেই পুঁজিবাদের জন্ম৷ পুঁজিবাই আবার মানুষকে ভিখিরি বানায়৷ তাই, পুঁজিবাদ মানবতা বিরোধী বলেই সমাজ থেকে এর উচ্ছেদ প্রয়োজন৷ কিন্তু, সাম্যবাদ বা মার্কসবাদ বৈয়ষ্টিক অবাধ পুঁজিবাদের মত না হলেও সেটিও হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ৷ কারণ, মার্কসবাদী তথা সাম্যবাদী ব্যবস্থাতেও সেই জড়ভাগের প্রতি মানুষ ছুটতে হয়৷ এছাড়া, জড়বাদীরা ঈশ্বরে বিশ্বাসী নয় বলে, মানবিকতা বিবেক চেতনা ও এদের হারিয়ে যায় ও মনুষ্যত্ব লোপ পেয়ে পশুতে পরিণত হয়৷ তাই, সাম্যবাদও সমানভাবেই বর্জনীয়৷