প্রবন্ধ

‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব’ নামকরণের তাৎপর্য

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার তাঁর নোতুন সামাজিক-অর্থনৈতিক তত্ত্বের নামকরণ করেছেন ‘Progressive Utilization Theory’’ ( এরই সংক্ষিপ্ত রূপ PROUT) প্রাউট৷ এর  বাংলা হল প্রগতিশীল  উপযোগ তত্ত্ব৷ প্রশ্ণ জাগতে পারে প্রাক্তন প্রবক্তা তাঁর  তত্ত্বের  নাম এরূপ রাখলেন কেন?

প্রগতি না অধোগতি

কল্যাণী ঘোষ

আধুনিকতার নামে বর্তমানে শিশু, বালিকা, কিশোরী ও যুবতীদের বেশভূষায় যেভাবে পরিবর্ত্তন আনা হচ্ছে তা অতীব নিন্দনীয়৷ কিন্তু যাঁরা এই পরিবর্ত্তন আনছেন তাঁরা কি সত্যিই মানুষ পদবাচ্য? অর্থকরী দিকটাই তাঁরা ভেবে এ কাজে নেমেছেন, কিন্তু এর মন্দ প্রতিফলন সমাজের মানুষকে কতখানি অধোগতির পাঁকে নিমজ্জিত করছে সে খেয়াল তাঁদের আছে কি? তাঁরাও তো মানুষ? তাঁদেরও বিবেক চেতনা থাকা উচিত নয় কি? অর্থের হাতছানি দিয়ে কতকগুলো মানুষকে কতখানি পশুত্বে পর্যবসিত করতে পারে তার নজির এঁরা রেখেই চলেছেন.....৷ বেশভূষার ওপরে এক জন মানুষের মানসিকতার অনেকটাই নির্ভর করে৷ তাই নয় কি?

জঘন্য অপরাধের প্রতিবাদ  হচ্ছে, কিন্তু  মূল শিকড়ের সন্ধান হচ্ছে কই?

সত্যসন্ধ দেব

হায়দ্রাবাদে এক তরুণী পশু চিকিৎসককে  বলাৎকার করে খুনের ঘটনায় সারাদেশ উত্তাল৷ উত্তাল সংসদও৷ ঘটনাটি  ঘটেছে তেলেঙ্গানাতে৷ গত ২৮ শে নভেম্বর রাতে  তেলেঙ্গানার  শাদনগরে  একটি কালভার্টের নীচে  অর্দ্ধদগ্ধ ওই তরুণী চিকিৎসকের  দেহ পুলিশ উদ্ধার করে৷

অভিযুক্ত   মহম্মদ ওরফে আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন  ও চেন্না কেশাভুলু টোলপ্লাজা থেকে  ওই তরুণীকে  টানতে টানতে  ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার ওপর গণ বলাৎকার করে  তারপর খুন করে ও পরে ট্রাকে করে  এক নির্জন  কালভার্টের নীচে  ফেলে দিয়ে জ্বালিয়ে  দেওয়া হয়েছিল৷ এই চরম নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সারা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ  শুরু হয়েছে৷

কৃষি প্রধান দেশে কুটির শিল্পই বাঁচার পথ অন্য কোন বিকল্প নেই

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে সমগ্র ভারতীয়দের বিশেষ করে বাঙলার বাঙালী সমাজে সর্ব প্রথম জানা উচিত  অতীতের ত্রিভুজাকৃতির ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক,অর্থনৈতিক রাজনৈতিক , সামাজিক  দৃষ্টিভঙ্গী কেমন ছিল, তার সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক শত বছরের বাহিরের শাসকদের আমলে সেই দৃষ্টিভঙ্গী কেমন পরিবর্তন হয়েছে, আর বর্তমানে এদেশের সাধারণ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কেমন ধরণের শাসনব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশকে শাসন করছেন৷ যদি তুলনামূলক আলোচনা  করার যায় তাহলে বর্তমান ও সামগ্রিক সমস্যাগুলির সমাধান করতে দেশীয় শাসকদের ও জনগণের অনেকখানি সুবিধা হবে৷

ভদ্রবেশী বর্বরতা উঠিছে জাগি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধাননন্দ অবধূত

 এই মুহূর্ত্তে সারা দেশে আলোড়িত হচ্ছে হায়দ্রাবাদে ঘটে যাওয়া একটি অমানবিক আচরণের প্রতিবাদে, বিক্ষোভ আছড়ে পড়ছে হায়দ্রাবাদ ছাড়িয়ে সারা দেশে৷ বাদ যায়নি রাজধানী শহর দিল্লীও৷ দিল্লীর নির্ভয়া কাণ্ডের পর হায়দ্রাবাদ, মাঝের সময়গুলিতে এতটা তোলপাড় না হলেও এই ধরণের ঘটনা কিন্তু ঘটেছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে৷ বিক্ষোভ আন্দোলনও চলবে৷ এটা যেন একটা রেবাজ হয়ে গেছে৷ নির্ভয়া কাণ্ডের মত ঘটনা ঘটবে৷ মানুষ ক্ষোভে পথে নামবে৷ রাজপথে মোমবাতি জ্বলবে৷ অপরাধীর কঠোর সাজার দাবী উঠবে৷ জনপ্রতিনিধিরা গণতন্ত্রের দেবালয় সংসদে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দেবে, তারপর যথাপূর্বম্....৷

ব্যার্থতা ঢাকতে সরকারী তথ্যকেই ধামা দিচ্ছে সরকার

মনোজ দেব

জাতীয় নমুনা সমীক্ষা সংস্থার সমীক্ষা ২০১৭-১৮ পর প্রতিবেদন  কেন্দ্রীয় সরকার  বাতিল করে দিল৷ গত প্রায় ৭০ বছর  ধরে  এই সংস্থাটি  জাতীয় নমুনা সমীক্ষা প্রকাশ  করে আসছে৷ ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত  জাতীয় নমুনা সমীক্ষা সংস্থা স্বাধীনভাবেই কাজ  করে৷ এই সংস্থানটি প্রতিষ্ঠিত হবার  পর থেকেই প্রতিবছর জাতীয় নমুনা সমীক্ষা প্রকাশ করে৷  মোদী সরকারের আগে কোন  সরকার এই সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট খারিজ করেনি৷ কিন্তু  মোদী সরকার এই সংস্থার  ২০১৭-১৮-এর পরিবার ভিত্তিক ভোগ ব্যায়  সার্ভে রিপোর্ট বাতিল করে দেয়৷

কৃত্রিম হিন্দী ভাষা নয় সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক হোক

সুকুমার সরকার

‘হিন্দী, হিন্দু, হিন্দুস্তান’---এই শ্লোগান তুলে সংঘ পরিবার ও সংঘ পরিবারের বিজেপি সরকার ভারতীয় রাজ্য-রাজনীতির আকাশ তোলপাড় করে তুলেছেন৷  তখন বিজেপিরই একজন সাংসদ বালুরঘাটের সুকান্ত মজুমদার সংস্কৃত ভাষায় শপথ বাক্য পাঠ করে বলেছেন, ‘সংস্কৃত ভাষা নব্য ভারতীয় ভাষাগুলির জননী স্বরূপা৷ তারই দৃষ্টান্ত সকলের অনুসরণীয় হওয়া উচিত৷’

বর্তমান অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র পথ ‘প্রাউট’

সত্য দেব 

অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইউরোপের বুকে ঝড় উঠেছিল, রাজতন্ত্র ও অভিজাততন্ত্র থেকে মুক্তি চাই৷ রুশো, ভলতেয়ার প্রভৃতি দার্শনিক ছিলেন এই ঝড়ের পুরোভাগে৷ তাঁদের সাথে এগিয়ে এলেন আরও একজন চিন্তানায়ক–তিনি হচ্ছে অ্যাডাম স্মিথ৷ তিনি দাবী তুললেন–মানুষকে অর্থনৈতিক জগতেও সমস্ত বিধিনিষেধের বন্ধন থেকে মুক্তি দিতে হবে৷ তাই এই দাবী–বিখ্যাত ‘Laissez faire’  স্লোগানের মধ্য দিয়ে মূর্ত্ত হয়ে উঠল৷ তিনি বললেন, মানুষ নিজের স্বার্থ (এখানে–অর্থনৈতিক স্বার্থের কথাই দ্রুত বলা হচ্ছে) নিজেই ভাল করে বোঝে, তাই এ ব্যাপারে তাকে পূর্ণ–স্বাধীনতা দিলে–সে যেমন দ্রুত নিজেকে আর্থিক উন্নতি করতে পারবে, তেমনি ব্যষ্টির আর্থিক উন্নতি সমাজেরও আর

ক্ষুদার্থ ভারতে জোর-জবরদস্তিমূলক নীতির বদল ও এর যথার্থ সমাধান

শ্রী রঞ্জিত বিশ্বাস

ভাত দেবার মুরোদ নাই কিল মারার গোঁসাই’---ঠিক এমনই নিদারুণ শাসন ব্যবস্থা চলছে বর্তমান ভারতে৷ একদিকে কর্মচারীদের ছাঁটাই, কর্মসংস্থান বন্ধ, সারা বিশ্বের মধ্যে বেকারত্বের দিক থেকে ভারতের শীর্ষ স্থান লাভ৷ ক্ষুধার্ত ভারত হিসেবে সারা বিশ্বের মধ্যে ১০২ নম্বরে স্থান পাওয়া এবং সর্বোপরি বর্তমানে যে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক মন্দা ভারতে নেমে এসেছে সেই দিশাহীন পরিস্থিতিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে যে জবরদস্তিমূলক নীতির ফরমান ভারত সরকার চালু করছে তা এই দেশের অন্তিম যাত্রাকেই ত্বরান্বিত করছে তাতে কোন ধরণের সন্দেহ নেই৷