‘‘গোলোক বৃন্দাবন’’

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

গ্রামে যাত্রাগান চলছে৷ গীতাভিনয় (সেকালে ভাল ৰাঙলায় যাত্রাকে ‘গীতাভিনয়’ বলা হত৷) হচ্ছে জমিদার বাড়ীর সামনেকার প্রকাণ্ড মাঠে৷ যার যা পার্ট সে পার্ট তো সে করছেই উপরন্তু সবাইকার চেষ্টা কোনোক্রমে জমিদারৰাৰুকে কিছুটা সন্তুষ্ট করে দিয়ে কিছু বখ্শিস আদায় করা৷ এই ধরনের ব্যাপার সেকালকার ৰাঙলায় খুব চলত৷ যার এলেম (মূল শব্দটি ‘ইল্ম্’ যার থেকে ‘আলিম্’ শব্দটি এসেছে৷) তেমন নেই সেও জমিদারের খোশামোদ করে দিয়ে বখশিসের ব্যবস্থা করে নিত৷ সেই যে গল্পে আছে না–

জাড়া গ্রামের ভোলা ময়রার সঙ্গে জনৈক জগুঠাকুরের কবির লড়াই হচ্ছে জাড়া গ্রামের জমিদার মধুসূদন বাঁড়ুজ্জের বাড়ীতে৷ জগুঠাকুর দেখলে, ভোলা ময়রার সঙ্গে সে এঁটে উঠবে না৷ তাই সে ঠিক করলে জমিদারৰাৰুকে খোশামোদ করেই  দু’পয়সার ব্যবস্থা করে নেবে৷ পালার বাইরে গিয়েই ধুন ধরলে–

‘‘এ এক বৃন্দাবন রে ভাই

এ এক বৃন্দাবন৷

হেথায় বাঁশী বাজান

লীলা করেন শ্রীমধুসূদন৷৷’’

ভোলা ময়রার নাকি তা সহ্য হয়নি৷ সে সঙ্গে সঙ্গে উত্তরে বলেছিল–

‘‘কেমন করে’ বললি জগা

জাড়া গোলোক বৃন্দাবন৷

হেথা তুলসীমঞ্চ কোথায় পেলি

সবই দেখি বাঁশের বন৷

বংশীধ্বনি শুনলি কোথায়

ওরে মশায় করে ভনভন৷

কবি গা’বি পয়সা পাবি

অত খোশামোদের কী কারণ’’৷৷

গুরুসদয় দত্ত

কণিকা দেবনাথ

‘‘ছুটব খেলব হাসব, সবায় ভালোবাসব,

গুরুজনকে মানব, লিখব পড়ব জানব

জীবে দয়া দানব, সত্য কথা বলব৷

সত্যপথে চলব, হাতে জিনিস গড়ব৷

শক্ত শরীর করব, দলের হয়ে লড়ব

গায়ে খেটে বাঁচব, আনন্দেতে নাচব৷’’