রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

সংহতি ও সমৃদ্ধির ভারত

এইচ.এন. মাহাতো

ভারতীয় বলতে আমরা বুঝি কোন একটি জাতিগত সাদৃশ্য বা কোন একটি ধর্মীয় মতবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত জনগোষ্ঠী নয়৷ ভাষাগত ও সাংসৃকতিকগত ভাবে ৪৪টি জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভারত ভূমি৷

চিন ও নেপালের যুদ্ধং দেহি মনোভাব ভারতের জনগণকে টলাতে পারবে না

প্রভাত খাঁ

ভারতের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল ও চিনভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে৷ শুধু তাই নয়, গত ১৬ই জুন সংবাদে  প্রকাশ লাদাখে ভারত ও চীন সেনা সংঘর্ষ হয়৷ এতে ভারতের প্রায় ২০ জন সেনা ও অফিসার প্রাণ দিয়েছেন ও আহত হয়েছেন অনেকে ৷ অন্যদিকে চীনের বেশ কিছু সেনা প্রাণ দিয়েছেন ও আহত হয়েছেন৷ এই ঘটনার মূল কারণ হলো গালওয়ান উপতক্যা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলা কালে গত সোমবার রাতে সেনাদের মধ্যে লড়াই হয়৷ মনে পড়ে ১৯৬২ সালে চিন হঠাৎ ভারত আক্রমন করে,তাতে ভারতের  অনেক সেনা নিহত ও আহত হন৷  ১৯৭৫ সালে আবার চীন ভারত সংঘর্ষ হয় তাতে  দু’পক্ষের সেনা নিহত হন ও আহত হন৷ এবার ২০২০ সালে ১৫ই জুন লাদাখে ভারতীয়

বিশ্বমানবতার মহামিলন যজ্ঞের আর এক নাম--- যোগ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

২১শে জুনকে রাষ্ট্রসংঘ যোগদিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে৷ শিক্ষক দিবস, নারীদিবস, মাতৃদিবস, শ্রমিক দিবস, পরিবেশ দিবস এইভাবে রাষ্ট্রসংঘ থেকে বিভিন্ন দিবস ঘোষণা  করা হয়---সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে সর্ব সাধারণকে সচেতন করে তোলার জন্যে৷ তেমনি  ‘‘যোগের’’ মহত্ত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলার উদ্দেশ্যে যোগ দিবস ঘোষণা করা হয়েছে৷  শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার জন্যে যোগের অসাধারণ গুরুত্বের কথা জাত-পাত সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই বর্তমানে স্বীকার করেন৷ যোগাসন  ও কিছু কিছু প্রাণায়মের দ্বারা বিভিন্ন রোগ নিরাময় যে সম্ভব তা চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেন৷ তাই রাষ্ট্র সংঘের উদ্যোগে দেশে এদিন যোগ সচে

ছাড় বজায় রেখেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল

পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লকডাউনের মেয়াদ ছিল ৩০শে জুন৷ করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লক ডাউনের  মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১শে জুলাই পর্যন্ত করা হল, ২৪শে জুন নবান্নে সর্বদল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান৷ তবে সুস্থতার হারও বৃদ্ধি পাওয়ায় আনলক-১ এ যে সব ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা বজায় থাকবে৷

শহীদ সৈনিকদের ‘আমরা বাঙালী’র শ্রদ্ধাজ্ঞ জ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর দাবী নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করবে

পথিক বর

গোটা বিশ্ব যখন জেনে গেছে চীনাগ্রাসনে ভারতের ২০জন সেনা শহীদ হয়েছে৷ লাদাখ সীমান্তে ভারত ভূখণ্ডে চীনের জোরপূর্বক প্রবেশের কারণেই এই সংঘর্ষ বাধে---এমনটাই দেশবাসী জেনেছে ৷ সেই সময় সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এক বেসামাল কথা বলে বসেন ৷ তিনি বলেন--- ‘‘ওখানে (লাদাখ) আমাদের সীমান্ত পেরিয়ে কেউ ঢুকে আসেনি ৷ ওখানে আমাদের এলাকায় কেউ ঢুকেও বসে নেই ৷’’ প্রধানমন্ত্রীর এই কথায় শুধু দেশের বিরোধী দল নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে বাধ্য ৷

বাঙলীর ঐতিহাসিক ভুল

মনোরঞ্জন বিশ্বাস

   ১ । বাঙালী বিদ্বেষী হিন্দীসাম্রাজ্যবাদের দুলাল ও দালাল আর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের দালাল নেতৃত্বকে বিশ্বাস করা ।

  ২ ।  ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ  হলেও অখণ্ড বাঙলার  আন্দোলন বন্ধ করা । কেননা তখন  থেকেই বাঙলার অঙ্গচ্ছেদ  শুরু ।

  ৩ ।  ১৯৪৭ সালের বাঙলা ভাগ মেনে  নেওয়া । বাঙলার তৎকালীন  নেতৃত্ব  সাম্রাজ্যবাদের কুটকৌশল ও ষড়যন্ত্র ধরতে পারেনি ।

  ৪ ।   ব্রিটিশের বাঙালী  রেজিমেন্ট  ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে গর্জে না ওঠা ও স্বাধীনতোত্তর কালে বাঙালী রেজিমেন্ট গডার দাবিতে মরণপণ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে না পড়া ।

৫ ।   বাঙলায় সর্বস্তরে বাংলা ভাষা আবশ্যিক ও বাধ্যতামূলক  না করা  ।

ফল গাছ রোপণে জোর দিতে হবে

বিশ্বদেব  মুখোপাধ্যায়

 অবধূতিকা আনন্দ অরুন্ধতী দিদি আমাকে জানিয়েছিলেন আমাদের দেশে ফলের গাছ বেশি করে লাগালে দেশের বাচ্চারা নানান ধরনের প্যাকেটজাত খাবার ছেড়ে অধিক পরিমানে ফল খাবে ও এতে তাদের পুষ্টি হবে । তিনি আমাকে এই বিষয়টা জানিয়েছিলেন আম্পান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কী কী ধরনের গাছ লাগানো উচিত, এ সম্বন্ধে আমার পূর্বেকার লেখার পরিপ্রেক্ষিতে । দিদির এই প্রস্তাবে আমি সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করি । আমাদের দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধ -এক বিরাট সংখ্যক মানুষ অপুষ্টির শিকার । ফল থেকে বেশিরভাগই শতহস্ত দূরে । তার অন্যতম  একটা প্রধান কারণ হল ফলের অতিরিক্ত মূল্য । কৃষিপ্রধান আমাদের এই রাজ্য তথা দেশের মাটি এতটাই উর্বর যে এখানে নানান

অথ 'করোনা এক্সপ্রেস’ কথা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত ৯/৬/২০২০ তারিখে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি দলের শীর্ষ নেতা শ্রীযুক্ত অমিত শাহ মহাশয় কয়েক শত কোটি টাকা খরচ করে "ভার্চুয়াল সভা"করলেন দলের নেতা নেত্রী, কর্মী,সমর্থকদের সঙ্গে । উদ্দেশ্য ছিল আগামী দিনে যে সকল রাজ‍্যে, বিশেষতঃ ২০২১ সালে পশ্চিম বঙ্গের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে জোরদার প্রচারের জন্যে কেন্দ্রের বিজেপি তথা এনডিএ সরকারের ছয় বছরের শাসনকালের সাফল্যগুলি তুলে ধরা । সেখানে তিনি মূলত: পশ্চিম বঙ্গের খারাপ অবস্থার প্রতি আক্রমন করতে গিয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনকে "করোনা এক্সপ্রেস" বলে' লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের অপমান করে

ভারত ভূমিতে নেপালের আগ্রাসন

এইচ এন মাহাতো

ভারত ভূমির লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ, কালা পানি নেপালের অন্তর্ভুক্ত করে নেপাল সরকার তাদের নতুন মানচিত্র নেপাল আইনসভার নিম্নকক্ষে পাস করিয়েছে,  উচ্চকক্ষেও আলোচনার জন্য গৃহীত হয়েছে ।  ভারতের বিরুদ্ধে এটাই তাদের প্রথম পদক্ষেপ নয় । এর সূত্রপাত ভারতের ভূমিতে নেপালীদের বিনা বাধায় ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান ও গোর্খা বাহিনীকে এখনো জিইয়ে রাখা । আমরা জানি ইংরেজ সরকার বাঙালী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের  কব্জায় আনতে গোর্খা বাহিনীকে বারবার ব্যবহার করেছে । সেই দেশদ্রোহী রেজিমেন্টকে এখনো রেখেছে, পাশাপাশি বেঙ্গল রেজিমেন্টেকে স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে দিয়ে বাঙালী বিদ্বেষী কাজ করেছিলো তৎকালীন ভারত সরকার । আজ তার পরিন

পরিযায়ী শ্রমিক বনাম আত্মনির্ভর  ভারত

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

 বর্তমান করোনা মহামারী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষের রাজনীতির উন্মুক্ত আকাশে একটি সুন্দর শব্দবন্ধ " পরিযায়ী পাখী"দের মত বাধাবন্ধহীন ভাবে ভেসে বেড়াচ্ছে---তা হলো "পরিযায়ী শ্রমিক "। আমরা এতদিন স্থানীয় শ্রমিক ও বহিরাগত শ্রমিক দের নাম শুনেছি। কিন্তু করোনা-পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ দুই মাসাধিককাল সারাদেশে লকডাউনের ফলে রুজি-রোজগার হারিয়ে নিজেদের গ্রামে, রাজ্যে ও স্থায়ী ঠিকানায় ফিরে যেতে ব্যাকুল ভিনরাজ্যের হাজার হাজার শ্রমিক ট্রেন বাস ইত্যাদি গণপরিবহন না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত শত মাইল পথ পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে পাড়ি দেওয়ার অসমসাহসিক অভিযানে নাবতে বাধ্য হয়েছেন। হাজার হাজার পথচলা শ্রমিকদের সারি দেখেই হয়তো