দ্বিতীয় ধরনের কপটাচরণও আমরা খুব ৰেশী দেখে থাকি৷ এই ধরনের কপটাচরণের একটা গল্প মনে পড়ল৷ একবার এক বেতো রোগী চিকিৎসার জন্যে এক হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে এসেছে৷ ডাক্তার তার মুখ থেকে রোগবিবরণী শোনার পর তাকে জিজ্ঞেস করলেন–‘‘প্যাটের মদ্দি যন্ত্রণা অয়?’’
রোগী বললে–কই না তো ডাক্তারবাবু, আমার পেটের মধ্যে তো কোনো যন্ত্রণা হয় না৷ ডাক্তার দাৰড়ানি দিয়ে বললেন–অয়, অয়, জান্তি দ্ব্ত্রুব্ধন্গ্গ পারো না৷
তারপর ডাক্তার আবার শুধোলেন–দাঁতের মাড়িতে ব্যাদনা অয়?
রোগী–কই না তো ডাক্তারবাবু, আমার দাঁতের মাড়িতে কোনো বেদনা তো হয় না৷
ডাক্তার আর একটা রাম–দাৰড়ানি দিয়ে বললেন– অয়, অয়, জ.ান্তি পারো না৷
ডাক্তার আবার শুধোলেন–পায়ের বুড়া আঙ্গুলে ম্যালেরিয়া অয়?
রোগী–কই না তো ডাক্তারবাবু, আমার পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে কিংবা অন্য কোনো আঙ্গুলে ম্যালেরিয়া তো হয় না৷
ডাক্তার ধমকানি দিয়ে বললেন–অয়, অয়, জ.ান্তি পারো না৷
এবার ডাক্তার রোগীটিকে শুধোলেন–কর্ণমূলে টাইপয়েড হয়?
রোগী–কই না তো ডাক্তারবাবু৷ আমার কানের গোড়াতে বা কানের অন্য কোনো অংশে তো টাইফয়েড হয় না৷
এবার ডাক্তার প্রচণ্ড রাম–ধমকানি দিয়ে বললেন–অয়, অয়, জ.ান্তি পারো না৷
এবার রোগী বললে–তাহলে ডাক্তারবাবু, আমার ব্যামো যখন সেরে যাবে তখনও তো আমি জান্তি পারব না আমার ব্যামো সারল কি না৷