প্রভাত সঙ্গীত প্রসঙ্গে

লেখক
কৌশিক খাটুয়া

জীবজগতের মঙ্গলার্থে

যে গান হয়েছে রচিত,

ভাব-ভাষা-সুর-ছন্দ ও তালে

অজস্র তারা খচিত৷

কোন তারকা বেশি উজ্জ্বল

প্রথমে খুঁজিয়া হয়েছি পাগল

অযথা সময় বৃথা ব্যায়

কেন মোর তরে সব রচিত

সর্বস্তরের মানবসমাজে,

গুনীজনে বহু চর্চিত৷

বিশ্ব যখন নিদ্রা মগন

প্রভাত সঙ্গীতে হয় জাগরণ,

এত সম্ভার দিলে উপহার

তাহাতে ভ্রমিনু আমরন,

ছন্দ ও সুর বোঝেন বিজ্ঞ

প্রাজ্ঞ সমাজ, সঙ্গীতজ্ঞ,

আমারতো শুধু গান-সমুদ্রে

নিত্য অবগাহন,

তোমার গানের ডালি নিয়ে

আমি তোমায় করেছি স্মরণ৷

অব্যক্ত মোর মনের কথাটি

লিখিত রয়েছে গানের ভাষায়,

নিরাশ মনের  অন্তরালে

প্রদীপ্ত হই সুপ্ত আশায়৷

নীলসায়রের কনক কমল

ভরিয়ে দিয়েছে শিশু মহল,

বৈচিত্র্যের সমাহারে,

সমৃদ্ধ হয় ঋতু পর্যায়,

অনুভবে পাই ষড় ঋতু

উষ্ণ-শীতল, উদাসী হাওয়ায়৷

মুখ-নিঃসৃত যে অমৃতবাণী

সুর-মিশ্রণে আনে মূর্চ্ছনা,

সে বাণী তোমায় নিবেদন করে

তারপর শুরু পূজা-অর্চনা৷

ভক্ত-ভগবানের প্রেম-বন্ধন

নিবিড় করেছে প্রাণ-স্পন্দন

কেন আগমন কোথায় গমন

তুমি দাও তার দিক-নিদর্শন,

তোমার ভাষায় সুরের মায়ায়

পেয়েছি আলোর বিবরণ৷

শোষণ-বঞ্চনা-হাহাকার নয়

সোনালী ভোরের আশ্বাস,

মেঘ-উদ্বেগ দুই কেটে যায়

মনে প্রাণে করি বিশ্বাস৷

একতার বাণী গানে গানে আনি

প্রীতি ভরা থাক নিখিল সমাজ,

পৃথক কোথায় বল

সুখ-সন্ধানে তৃপ্তি বিরাজ?

গানের ভাষায় বর্ণিত হলো

ভাগবত দর্শন,

গানের ভাষায় করুণাময়ের

আশীর্বাদ বর্ষন৷

তোমার প্রীতিতে ভরা আছে ধরা

ভরা আছে যত চন্দ্র, সূর্য্য, তারা,

তব সঙ্গীত তোমায় শুনাই,

তুমি শ্রোতা, রচয়িতা, তুমি সুমহান,

সঙ্গীতে আছো, অন্তরে আছো৷

আছো বিশ্ব ব্যাপীয়া, তোমায় প্রণাম৷