সংবাদ দর্পণ

লোকসভা বোটে উত্তরবঙ্গে আমরা বাঙালীর চার প্রার্থী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বাঙালীর মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে সরকারী-বেসরকারী সর্বস্তরে চালু, ব্লক ভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ১০০ভাগ বাঙালীর কর্মসংস্থানের নিশ্চিততা,ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বাঙালী রেজিমেন্ট পুনর্গঠন সহ বাঙালীর অধিকার আদায়ের দাবীতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ,ত্রিপুরা,ঝাড়খন্ডের মতন বাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চলে ১৫ টির বেশি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠন৷  এবছর রাজ্যে ৮ দফায় নির্বাচন হতে চলেছে৷  ইতিমধ্যে ১৯এপ্রিল ও ২৬শে এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থীদের সমর্থনে ব্যাপকভাবে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে সংগঠন৷ জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের  ‘আমরা বাঙালী’র মনোনীত প্রার্থী নীরোদ চন্দ্র অধিকারীর সমর্থনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রাজগঞ্জ, নিউ জলপাইগুড়ি, গাজলডোবা, বেলাকোবা,আমবাড়ী, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ির মতন অঞ্চলে প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে৷ কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’ মনোনীত প্রার্থী সুবোধ বর্মনের সমর্থনে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা,ঘুঘুমারি, দিনহাটার মতন অঞ্চলে প্রচার অভিযান চলছে৷ দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’ র পক্ষ থেকে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খুশীরঞ্জন মণ্ডল, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’ র পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নরোত্তম সাহা৷ কলকাতা থেকে আগত ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে  তপোময় বিশ্বাস, অরুপ মজুমদার,নিতাই মণ্ডল প্রচারের দায়িত্বে আছেন৷এছাড়াও স্থানীয়ভাবে জলপাইগুড়িতে হরেন্দ্রনাথ রায়, মুক্তালাল রায়, গৌতম রায়, বাবলু সরকার কোচবিহারে হরিদাস মোদক, গজেন্দ্রনাথ বর্মন, সুনীল প্রামানিক দার্জিলিং তথা শিলিগুড়িতে অভিজিৎ দাশ, হারাধন ভৌমিকবালুরঘাটে অনাথ বর্মন, রজনী রায় সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ প্রচারের দায়িত্বে রয়েছেন৷

 

কলকাতায় জলসত্র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কলিকাতাসহ গোটা রাজ্যে চলছে তাপপ্রবাহ৷ সকাল ৯টার পরই রাস্তায় বেরনো অসম্ভব হয়ে পড়ে৷ তবুও মানুষকে পথে বেরোতেই হয় নানা কাজে৷ পথ চলতি তাপ-ক্লান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলান্টিয়ার্স সোসাল সার্বিস ও গার্লস বলান্টিয়ার্সের কর্মীরা গত ১লা বৈশাখ থেকে প্রত্যহ বেলা ১০টা থেকে অপরাহ্ণ ৪টা পর্যন্ত পূর্ব কলকাতায় আনন্দপুর থানা এলাকায় পথ চলতি মানুষের হাতে ঠাণ্ডা পানীয় জল তুলে দিচ্ছেন৷

লকেটের কিউ আর কোড! কিশোরকে ফেরাল বাবা-মায়ের কাছে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গলায় ঝোলানো লকেটে কিউআর কোড৷ আর সেই কিউআর কোডই হারানো পুত্রকে ফিরিয়ে দিল মুম্বইয়ে এক দম্পতির কাছে৷

কিশোরের নাম বিনায়ক কোলি৷ সে বিশেষ ভাবে সক্ষম৷ মুম্বইয়ের ওরলি এলাকার বাসিন্দা বিনায়ক৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলায় বাড়ির বাইরে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল সে৷ আশপাশের এলাকায় খুঁজে না পেয়ে উদ্বিগ্ণ পরিবার কোলাবা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে৷ কিশোরকে খুঁজতে একটি দল গঠন করে কোলাবা থানা৷

শুক্রবার সকালে এক বাস কনডাক্টর পুলিশ কন্েন্টালরুমে ফোন করেন৷ পুলিশকে তিনি জানান, বাসে একটি কিশোর একা বসে রয়েছে৷ সে নাম, ঠিকানা কিছুই বলতে পারছে না৷ বাস কন্ডাক্টরের কাছ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ সেখানে গিয়ে তারা দেখে, কনডাক্টর কিশোরকে বসিয়ে রেখেছেন৷ কিশোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়৷ তাকে জিজ্ঞাসা করেও যখন প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ, তখনই বিনায়কের গলার লকেটের উপর নজর পড়ে এক পুলিশকর্মীর৷ সেই লকেটটি ভাল করে খতিয়ে দেখতেই পুলিশকর্মীরা দেখেন, তাতে একটি কিউআর কোড লাগানো রয়েছে৷

তদন্তকারী এক আধিকারিক সেই লকেটের কিউআর কোড স্ক্যান করতেই কিশোরের বাড়ির ঠিকানা, নাম, বাবার নাম সব তথ্য পেয়ে যান৷ তার পরই কোলাবা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ সেখানেই বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিনায়ককে৷

বিনায়কের দিদি শ্রদ্ধা বলেন, ‘‘আমার ভাই খেলতে খেলতে একটি বাসে উঠে পড়েছিল৷ বাসে চড়তে ওর খুব ভাল লাগে৷ তাই কাউকে না বলেই বাসে উটে পড়েছিল৷ কিন্তু ওর লকেটে যে কিউআর কোড ছিল, সেটার জন্যই ভাইকে ফিরে পেলাম৷’’

আমেরিকার পর এবার চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে চলেছেন একজন জাপানি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা আমেরিকা সফরে গিয়েছেন৷ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে করা সাংবাদিক বৈঠকেই এই ঘোষণা করেছেন বাইডেন৷ জাপানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাসার চন্দ্র অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নাসার ভবিষ্যতের অভিযানে দু’জন জাপানি মহাকাশচারী থাকবেন৷ তাঁদের মধ্যে এক জন হবেন চাঁদে পা রাখা প্রথম ব্যক্তি, যিনি আমেরিকান নন৷’’২০২৬ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ ‘আর্টেমিস’ অভিযানের তোড়জোড় চলছে জোরকদমে৷ তার মাঝেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দিলেন, নাসার অভিযানের সঙ্গে চাঁদে পা রাখতে চলেছেন ভিন্‌দেশীরাও৷ এত দিন পর্যন্ত শুধু আমেরিকার নাগরিকেরাই চাঁদে পা রেখেছেন৷ এ বার নাসার হাত ধরেই সেই কৃতিত্ব পাবে অন্য এক দেশও৷ প্রথম ‘ভিন্‌দেশি’ (নন-আমেরিকান) হিসাবে চাঁদে পা রাখবেন এক জাপানি৷

বাইডেনের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী৷ সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, নাসার আর্টেমিস অভিযানে শামিল হওয়ার মতো একটি আস্ত রোভার তৈরি করে দেবে তাঁর দেশ৷

বস্তুত, চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন আমেরিকার মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন এডুইন অলড্রিনও৷ ১৯৬৯ সালের জুলাই থেকে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নাসার অ্যাপোলো অভিযানের শরিক হিসাবে মোট ১২ জন মহাকাশচারী চাঁদে গিয়েছেন৷ তাঁরা প্রত্যেকেই আমেরিকান৷ এখনও পর্যন্ত আমেরিকার বাইরের কোনও দেশের চাঁদে পা রাখার কৃতিত্ব নেই৷ ২০২৬ সালে নাসার আর্টেমিস অভিযান যদি সফল হয়, তবে এক জাপানি হবেন চাঁদে পা রাখা প্রথম মহাকাশচারী, যিনি আমেরিকান নন৷

চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে চিনেরও৷ ২০৩০ সালের মধ্যে তারাও এই কৃতিত্বের অধিকারী হবে বলে দাবি করেছে৷ আর্টেমিস অভিযানকে সফল করতে নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা৷ সম্প্রতি তারা চাঁদে নিজস্ব মহাকাশযানও পাঠিয়েছে৷ গত জানুয়ারিতেই চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে জাপানের ‘স্লিম’৷ এর মাধ্যমে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন এবং ভারতের পর জাপান চাঁদে পৌঁছতে পারা পঞ্চম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে৷ এ বার সেই দেশের নাগরিকই চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছেন৷

তিলজলা ও নোড়াদহে বর্ষবরণ উৎসব পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত রবিবার ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন  ১লা বৈশাখ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কলিকাতায় কেন্দ্রীয় জাগৃতি ভবনে ‘নববর্ষ বরণ’ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়৷ উৎসবের অঙ্গ হিসাবে সর্বপ্রথম সকাল ৭-০০টা থেকে ১০-০০টা পর্যন্ত *বাবা নাম কেবলম* মহামন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে সাধনা, সাধ্যায়,বর্ণার্ঘদান ইত্যাদি চলে৷ স্বাধ্যায়ে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর রচিত গ্রন্থ থেকে নববর্ষ সম্পর্কে প্রদত্ত প্রবচনটি পাঠ করেন শ্রদ্ধেয় আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত৷ অত:পর উপস্থিত ভক্তমন্ডলী মার্গগুরুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন৷

পরবর্তী পর্যায়ে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে স্বাগত ভাষণ দেন সমাজ সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা৷ তিনি তাঁর বক্তব্যে বাঙালী ও বাংলা ভাষার সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে প্রতিটি বাঙালী ভাইবোনকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানান৷ তিনি সুদূর ইতালি থেকে আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত দাদার পাঠানো নববর্ষ উপলক্ষে রচিত একটি কবিতা পাঠ করেন৷ এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় ও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে৷ শ্রদ্ধেয় দাদা আচার্য প্রিয়শিবানন্দ অবধূত, আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা, শ্রী মোহনলাল অধিকারী প্রমুখ প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ নরেন্দ্রপুর শিশু সদনের শিশুশিল্পীবৃন্দ প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে কয়েকটি নৃত্য পরিবেশন করে৷ স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা৷ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শ্রী হিতাংশু ব্যানার্জী৷ বিভিন্ন বিভাগের সহায়তায় ছিলেন শ্রীমতী সুনন্দা সাহা, প্রণতি পাল, সর্বশ্রী মোহনলাল অধিকারী, সুবোধরঞ্জন কর, নিরঞ্জন সাহা, হিরন্ময় পাঁজা,অমর চ্যাটার্জী,ত্রিলোক নাথ মন্ডল প্রমুখ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি দর্শক মন্ডলী ও শ্রোতামন্ডলী দ্বারা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়৷

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর সংক্ষিপ্ত কীর্ত্তন, সাধনা ও গুরুপূজার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়৷ অত:পর প্রায় তিন শতাধিক ভক্তমন্ডলী দ্বিপ্রাহরিক মিলিত আহারে অংশগ্রহণ করেন৷

নববর্ষের সামগ্রিক অনুষ্ঠানের রূপায়নে সক্রিয় সহযোগিতায় ছিলেন আমরা বাঙালী, প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্সাল ও কলিকাতা ভুক্তি কমিটির সদস্য সদস্যাগণ৷’ আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির’ পক্ষ থেকে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা, নমস্কার ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা৷

নোড়াদহ: ১লা বৈশাখেনোড়াদহ গ্রামে শ্রী সুভাষ বৈরাগী মহাশয়ের বাড়ীতে প্রতি বৎসরের মত এবছরেও সকাল ছ’টা থেকে দুপুর বারটা পর্যন্ত অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হ’ল৷ কীর্ত্তনের শেষে বক্তব্য রাখেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত, আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত  ও অবধূতিকা আনন্দ অণ্বেষা আচার্যা৷ সকল বক্তাগণই কীর্ত্তনের গুরুত্ব ও উপকারিতার ওপরে আলোকপাত করেন৷

বক্তাগণ নববর্ষের বিষয়ে জানান যে, এ দিন সঙ্কল্প নেওয়ার দিন৷ সারা বছর আমরা যেন সমাজ সেবা করি৷ অতীতের ভুল-ভ্রান্তি শুধরে নিয়ে আমরা যেন শুভ কাজে সময় দিই৷ আমরা যেন আধ্যাত্মিকতার চর্চা আরও বেশী করে করি৷

সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুভাষ বৈরাগীর কন্যা তনিমা বৈরাগী৷ তিনি আশা করেন প্রতি বছরে এই নববর্ষের দিনে যেন আমরা সকলে কীর্ত্তনানুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করি৷ সব শেষে দুটি প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের পরে মিলিত প্রসাদ গ্রহণ করা হয়৷

মেঘালয়ে বাঙালী হত্যা চলছেই নির্বিকার রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার ক্ষুব্ধ আমরা বাঙালী দায়ী করলো খাসি ছাত্র সংস্থাকে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেঘালয়ে আবার বাঙালী খুন৷ গত  ১০ই এপ্রিল শিলং-এর মাওলাইতে একদল দুষৃকতি বাঙালী শ্রমিকদের উপর হামলা করে মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে৷ দুষৃকতিদের আক্রমণে তিনজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়৷ তাদের মধ্যে  অর্জুন রায় নামের ৫২ বছর বয়সি এক শ্রমিক হাসপাতালে মারা যায়৷ কয়েকদিন আগেই মেঘালয়ের খাসি ছাত্র সংস্থার সিএএ বিরোধী এক মিছিলের পর এক বাঙালীকে খুন করে৷ এর প্রতিবাদে ২রা এপ্রিল আমরা বাঙালী সংস্থা কলিকাতায় মেঘালয় ভবনে এক স্মারকপত্র দিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দুষৃকতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও খাসি ছাত্র সংস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবী জানায়৷ কিন্তু সরকার নির্বিকার৷ তাই দুষৃকতিরা আবার এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটাতে  সাহস পেল৷

আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় যুব সচিব তপোময় বিশ্বাস শিলিগুড়িতে দলীয় প্রার্থীর প্রচার সভায় বলেন এই হত্যা কাণ্ডে খাসি ছাত্র সংস্থা জড়িত৷ সরকার যদি কোন ব্যবস্থা না নেয়, দুষৃকতিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে খাসি ছাত্র সংস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলে আমরা বাঙালী পথে নামতে বাধ্য হবে৷ শ্রী বিশ্বাস হুমকির সুরে বলেন দীর্ঘদিন ধরেই মেঘালয় সহ সমস্ত উত্তরপূর্বাঞ্চলে বাঙালীদের উপর অত্যাচার চলছে, সরকার যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয়, আমরা বাঙালী সংঘটনই ব্যবস্থা নেবে৷

৭৭ বছরে স্বদেশী শাসনের জগদ্দল পাথর বুকে নিয়ে আর কতদিন চলবে দেশবাসী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রীপ্রভাত খাঁ বাঙলা নববর্ষের দিন শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---স্বদেশী শাসনের ৭৭ বছরের শোষণ বিদেশী ব্রিটিশের শোষণকে ছাড়িয়ে গেছে৷ ধনী দরিদ্র্যের মধ্যে  অর্থনৈতিক বৈষম্য, জাতিবিদ্বেষ দেশকে চরম অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷ শাসকদলের স্বৈরাচারি ভূমিকার সমালোচনা করছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের স্বামী৷

শ্রী খাঁ বলেন--- আজ বাংলা নববর্ষের দিন৷ তাই বাঙলার কথা  বিশেষ করে বলতে হচ্ছে তথা কথিত স্বাধীনতার ঊষালগ্ণ থেকেই বাঙলার উপর কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক আচরণ, শোষণ বঞ্চনা নিপীড়ণ চলছেই৷ কিন্তু ২০২১শে হাজার হাজার কোটি টাকা ঢেলে, সাংঘটনিক প্রশাসনিক সবরকম শক্তি প্রয়োগ করেও বাঙলা দখলে ব্যর্থ হয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বাঙলার প্রতি চরম বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করছে৷ বাঙলার প্রাপ্য টাকা  বাঙলাকে  দিচ্ছে না৷ স্বাধীনতার পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা পুঁজিবাদী শোষণ ও গত ৩৪ বছরের জড়বাদী তাণ্ডব বাঙলার সমাজ জীবনকে বিধবস্ত করে দিয়েছে৷ অর্থনীতি, রাজনীতি-শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি সর্বস্ব আজ পুঁজিবাদের কালো হাত কুক্ষিগত করে নিয়েছে৷ বাঙলার রাজনৈতিক নেতারা তাদের হাতের পুতুল মাত্র৷

শ্রী খাঁ প্রাউটিষ্টদের ডাক দিয়ে বলেন--- আজ  প্রাউটিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে বাঙলা তথা সমগ্র দেশকে বাঁচাতে৷ প্রাউটের সদ্‌বিপ্র নেতৃত্বকেই দেশের হাল ধরতে হবে৷ এই বাঙলা নববর্ষের দিন বাঙালী জনগোষ্ঠীর কাছে নবজাগরণের দিন হোক৷ সব ভেদ, বিভেদ, বিদ্বেষ ভুলে বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, রুখে দাঁড়াতে হবে সর্বপ্রকার শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে৷ গড়ে তুলতে সর্বপ্রকার শোষণমুক্ত বাঙলা৷ এখান থেকে প্রেরণা পাবে ভারতের অন্য প্রদেশের শোষিত জনগোষ্ঠীগুলি৷ পরিশেষে শ্রী খাঁ বলেন--- প্রাউটিষ্টদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই গড়ে উঠবে বাঙলা, ভারত ও এক নোতুন পৃথিবী স্বদেশী শাসনের জগদ্দল পাথর সরিয়ে৷

ভারতের সংবিধান ঃ  নীতি ও প্রয়োগের বিরোধ

সংবাদদাতা
পত্রিকা প্রতিনিদধি
সময়

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারত ব্রিটিশের কবল থেকে মুক্ত হয়৷ এরপর ভারতের রাষ্ট্রনীতি কী হবে, কীভাবে আমাদের দেশের শাসন ব্যবস্থা চলবে তা নির্ধারণের জন্যে ডঃ বি.আর. আম্বেদকরের নেতৃত্বে এক কমিটি তৈরী করা হয়, তার ওপর ভারতের সংবিধান  লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ সংবিধান হল সেই নির্দেশক পুস্তক যাতে রাষ্টের আচরণ বিধি, আইন ও আদর্শ লিপিবদ্ধ থাকবে৷ যথারীতি ওই কমিটি তাদের লিখিত সংবিধান তৈরী করে ও ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়৷ এই সংবিধানে দেশের প্রতিটি মানুষের জাগতিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের অধিকার স্বীকৃত আছে৷ দেশের প্রতিটি মানুষের সমানাধিকার, স্বাধীনতার অধিকারও মেনে নেওয়া হয়েছে৷ প্রতিটি মানুষের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অধিকারও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে৷ সংবিধানের নীতি ও আদর্শ তো আপাতত শুনতে খুবই ভাল৷ কিন্তু বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে কী? এইটেই মূল প্রশ্ণ৷

সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ বর্তমানে ভারতে আর্থিক বৈষম্য ব্রিটিশ আমলের থেকেও বেশী৷ ওই প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে---দেশে ধনকুবেরদের রাজ চলছে৷ দেশের ৪০ শতাংশ সম্পদ গ্রাস করে নিয়েছে মুষ্টিমেয় ধনকুবেররা৷ সাধারণ মানুষের অর্থাৎ নীচের দিকের পঞ্চাশ শতাংশ  মানুষের গড় আয় বছরে ৭১ হাজার টাকা সেখানে সব থেকে ধনী দশ হাজার ব্যষ্টির গড় আয় বছরে ৪৮ কোটি টাকা৷

বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেদনে প্রকাশ ভারতে ১৫ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভোগে৷ বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে ভারতের স্থান প্রতিবেশী দেশগুলোর থেকেও অনেক নীচে৷ সাধারণ মানুষের আয় কমলেও বেকারত্ব বাড়লেও ধনকুবেরদের আয় কয়েক গুণ করে বেড়েছে৷

এরই নাম কি সমানাধিকার? একদিকে অনাহারে মৃত্যুর মিছিল অন্যদিকে বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধি৷  সংবিধানের আপাতমধুর প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে  এদেশের রাষ্ট্রনেতা বা রাষ্ট্রনেত্রীবর্গ পুঁজিপতিদের তোষণ করেছেন ও সাধারণ গরীব মানুষদের প্রতি শোষণও অবাধে হয়ে যেতে দিয়েছেন৷ সে শোষণ বন্ধ করার চেষ্টা তো করেননি, বরং সেই শোষণ আরও বেশি করে যাতে চলে তারই ব্যবস্থা করেছেন৷

কেন এমনটা হচ্ছে? এর মূল কারণ হল ভারতের যে  স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে , এই স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশদের তাড়ানোর মূল লক্ষ্য ছিল৷ কিন্তু জনগণের অর্থনৈতিক শোষণমুক্তির কোন আদর্শ নেতাদের সামনে ছিল না৷ যদিও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ও এম.এন রায় এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছিলেন৷ কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তরকরণ যাদের হাতে হয়েছিল তারা কেউ এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেননি৷ ফলে স্বাধীনতা লাভের ফলে দেশে যে নোতুন সরকার তৈরীর হয়েছে তার মূল নিয়ন্ত্রণ ভার যাদের হাতে থেকেছে তারা আর কেউ নয় সেই দেশীয় পুঁজিপতি গোষ্ঠী৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরক্ষে বিদেশী পুঁজিপতিগোষ্ঠীও৷ দেশের নেতা নেত্রীরা পুতুল নাচের মতো জনসমক্ষে অভিনয় করে গেছেন কিন্তু তারা এক অদৃশ্য সুতোর দ্বারা পুঁজিপতিদের হাতে নিয়ন্ত্রিত হয়েছেন৷ নির্বাচনী বণ্ড সামনে আশায় বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়েছে৷ কারণ পুঁজিপতিরা বিনাস্বার্থে অর্থ বিনিয়োগ করে না৷ আর বলাবাহুল্য শুধু ভারতকে নয়, সারা বিশ্বের পুঁজিপতিরা এক সূত্রেই গাঁথা ছিল৷ অর্থনৈতিক মূল নীতি হিসাবে ‘অর্থনৈতিক কেন্দ্রীকরণ’ নীতি সব দেশেই অব্যাহত থাকল৷ যে সমস্ত দেশ কমুউনিষ্ট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল বা নোতুন করে কমিউনিষ্ট শাসন কায়েম হলো (যেমন চিনে) সে সমস্ত দেশেও অর্থনৈতিক কেন্দ্রীকরণ নীতি অব্যাহত রইল বা চালু হল৷ তাই কমিউনিষ্ট দেশগুলি অর্থনৈতিক দিক থেকে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক পুঁজিবাদী নীতিই অনুসরণ করতে থাকল৷

অকম্যুনিষ্ট  দেশগুলিতে যেমন দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে  মুষ্টিমেয় পুঁজিপতি গোষ্ঠী. কম্যুনিষ্ট দেশগুলিতে  দেশের  অর্থনৈতিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে থাকল শাসন ক্ষমতায় আসীন রাজনৈতিক পার্টির নেতা নেত্রীরা৷ জনগণের হাতে অর্থনৈতিক শক্তি বন্টিত  হ’ল না৷ ফলে  জনগণের শৃঙ্খল মুক্তি ঘটল না৷

তাছাড়া, ব্লকভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কথাও স্বাধীনতার পর কেউ ভাবল না৷ কেন্দ্রের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীতে বিশেষ বিশেষ নেতা-নেত্রী পার্টি বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করাটাই অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সঞ্চালিকা  শক্তি থেকে গেল৷ আর বলা বাহুল্য, তারও গোড়ায় থেকে গেল মুনাফালুন্ঠন নীতি৷ প্রফিট মোটিব্‌৷ কনজামসন মোটিব্‌ নয়৷ ফলে দেশের সমস্ত জেলায় সমস্ত ব্লকে কৃষিশিল্পের উন্নতি ঘটানোর নীতি গৃহীত হ’ল না৷  আর তা না করার জন্যে দেশের কোনো কোনো এলাকা  ‘ঘাটতি শ্রম’ এলাকা থেকে গেল, কোনো কোনো এলাকা ‘উদ্‌বৃত্ত শ্রম’ এলাকা থেকে গেল৷ ফলে বেকার সমস্যাটাও জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকল৷ চাকরীর জন্যে সর্বত্র যুবক ছেলে মেয়েরা উদ্‌ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াতে থাকল৷ গত বছর করোনা লক্‌ডাউনের আবহে ‘পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা’ নামক যে জটিল সমস্যা দেখা দিল তার উৎস কিন্তু ভারতের এই ত্রুটিপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নীতি দেশে ব্লকভিত্তিক পরিকল্পনা নীতি গৃহীত থাকলে এই ধরণের সমস্যার উদ্ভব হ’ত না৷ প্রতিটি ব্লকে ওই ব্লকভিত্তিক পরিকল্পনা নীতি গৃহীত থাকলে এই ধরণের  সমস্যার উদ্ভব হ’ত না৷ প্রতিটি ব্লকে ওই ব্লকের বেকারদের কর্মসংস্থানের  সুযোগ সৃষ্টি হ’ত৷ ভারতীয় সংবিধানে বলা হয়েছে, এদেশে সংবিধান ও আইনের  চোখে  কোনো জাত -পাত সম্প্রদায়ের  বিভেদ দেখা হবে না৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সর্বত্র জাত-পাত-সম্প্রদায় নিয়ে ঘৃণা-বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্বের আবহ৷ ‘মানুষ মানুষ ভাই ভাই, সকল মানুষের  সম অধিকার’ ---এটা যুগের নীতি৷ কিন্তু ভারতের সংবিধানের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে আজ সর্বত্র সাম্প্রদায়িক লড়াইয়ের কুচকাওয়াজ  শুরু হয়ে গেছে৷ এর পরিণতি যে অতি ভয়ঙ্কর তা অনুমান করতে  মোটেই অসুবিধা হয় না৷আজ দেশের তথা বিশ্বের  সামনে এই যে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তা ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে৷ এক ভয়ঙ্কর বিষ্ফোরণ সামনে অপেক্ষা করছে৷ এর থেকে বাঁচবার একমাত্র রাস্তা মহান্‌ দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘প্রাউট’ প্রবর্তিত ‘নোতুন নীতি’ নোতুন নেতা’ তত্ত্ব--- প্রাউটের  প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র, অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ ও ‘আঞ্চলিক শ্রীবৃদ্ধির পথ ধরে বিশ্বৈকতাবাদের  প্রতিষ্ঠা’র  নোতুন নীতি৷ দেশের বিদগ্দজনকে তথা ছাত্রও  যুব সমাজকে  তাই এই সংকট মূহূর্তে ‘প্রাউটে’র প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের অতি প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় বনগাঁ কলেজ-পাড়া নিবাসী শ্রী গৌরীশঙ্কর বিশ্বাস মহাশয় ইংরেজী ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী গত ৮ই এপ্রিল ভোর রাত ২-৪৫ ঘটিকায় পরলোক গমন করেছেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ (ছিয়াশী) বৎসর৷ তিনি আনন্দমার্গের একনিষ্ঠ সাধক ছিলেন৷ তিনি ১৯৬৮-৬৯ সাল নাগাদ সাধনা শেখেন৷ তিনি ২০১৭ সালে বাবার জীবনীমূলক গ্রন্থ ‘তারকব্রহ্ম শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ও বিশ্বায়ন’ শিরোনামে রচনা করেছেন৷ পুস্তকখানি কবিতায় লেখা ও এখানে বাবার জীবনী সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে৷ তাঁর নশ্বর দেহ মার্গীয় বিধিতে সৎকার করা হয়েছে বনগাঁ মহাশ্মশানে৷ তাঁর অন্তেষ্টি অনুষ্ঠানে বনগাঁ ও পার্শবর্তী ইউনিটের বিশিষ্ট মার্গী দাদা-দিদি ও আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁর আত্মার উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি৷ তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে নিজস্ব বাস ভবনে (কলেজপাড়া) আগামী শনিবার (১৩/০৪/২০২৪) সকাল দশটায়৷ সকলের উপস্থিতি কাম্য৷ 

 নাতনিদের জব্দ করতে পাঁচকোটির সম্পত্তি থেকে মাত্র পাঁচহাজার টাকার সম্পত্তি দিলেন এক বৃদ্ধ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

পাঁচ কোটির বেশি মূল্যের সম্পত্তির মালিক ছিলেন বৃদ্ধ৷ সঙ্গে আরও প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার বাড়ি ছিল তাঁর নামে৷ তাঁর মৃত্যুর পর সন্তানদেরই সে সম্পত্তি পাওয়ার কথা৷ কিন্তু মৃত্যুর আগে উইল করে সম্পত্তি লিখে দিয়ে গেলেন বৃদ্ধ৷ বঞ্চিত করলেন পাঁচ নাতনিকে৷ অভিযোগ, শেষ জীবনে ওই নাতনিরা তাঁকে দেখতে যাননি৷

ফিরেও তাকাননি তাঁর দিকে৷ তাই পাঁচ কোটির সম্পত্তি থেকে তাঁদের মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে গিয়েছেন বৃদ্ধ৷ঘটনাটি ব্রিটেনের৷ দাদুর এই ‘বঞ্চনা’র বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই নাতনিরা৷ তবে তাতে বিশেষ সুরাহা হয়নি৷ বিচারক বৃদ্ধের সিদ্ধান্তেই সম্মতি দিয়েছেন৷

জানিয়েছেন, বৃদ্ধ যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, ওই নাতনিরা তাঁকে দেখতে যাননি৷ তাই তিনি বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন৷ সম্পত্তি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে তাই বৃদ্ধের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত৷ তিন বার তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন৷

অভিযোগ, সে সময়ে এই পাঁচ নাতনি তাঁকে এক বারের জন্যেও দেখতে যাননি৷ বৃদ্ধের তিন পুত্রের পাঁচ কন্যাকেই সম্পত্তি থেকে ‘বঞ্চিত’ করেছেন তিনি৷ পাঁচ জনকে দিয়েছেন ৫০ পাউন্ড করে৷ ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে যার মূল্য পাঁচ হাজার টাকা৷ সম্পত্তির বাকি অংশ ও বাড়িটি তিনি বাকি দুই পুত্রের নামে লিখে দিয়ে গিয়েছেন৷

বৃদ্ধের এমন আচরণে হয়তো তাঁদের নাতনিদের অসুবিধা হয়েছে অনেকটাই৷ সেই বৃদ্ধ এখন ইহ জগতেও নেই৷ কিন্তু তিনি যে কাজটা করে গেছেন তা সত্যিই একটা মনুষ্যতত্বের কাজ৷ কারণ প্রতিটি মানুষের বোঝা উচিত যে মানুষ বৃদ্ধ হলেই তাঁর সব কিছু শেষ হয়ে যায় না৷ প্রতিটি বৃদ্ধের দরকার একটু যত্ন সে তাঁর কাছে পয়সা থাক বা না থাক৷ মা-বাবা দাদু-দিদিমাকে কোন দিন তাচ্ছিল্য করা উচিত হয়৷ সম্পত্তির ভাগ পাবার জন্য নয় মানুষ হিসেবে তাদের পাশে থাকা উচিত৷ কারণ নাতি নাতনিরাই তো তাদের ভবিষ্যত, তাদের কষ্টের উপার্জন৷ টাকা পয়সা তাদের ভবিষ্যৎ নয়৷