October 2019

প্রভাত সঙ্গীতের ৩৭ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা

কলকাতা ঃ  গত ২২শে সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীতের ৩৭ বর্ষ উৎসব উপলক্ষ্যে কলকাতায়  আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে আয়োজিত প্রভাত সঙ্গীত প্রাক্চূড়ান্ত  ও চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হল৷  প্রায় ৯৫০ জন প্রতিযোগী ও তাদের অভিভাবক-অভিভাবিকা প্রায় আড়াই হাজার সঙ্গীত অনুরাগীর উপস্থিতিতে আশ্রম চত্ত্বর এক বিরাট আনন্দমেলার রূপ নেয়৷ এই প্রতি -যোগিতায় পশ্চিমবাংলা, ত্রিপুরা, অসম, ঝাড়খণ্ড , ওড়িষ্যা রাজ্য ছাড়াও দিল্লী, মুম্বাই, নাগপুর প্রভৃতি স্থানে অনুষ্ঠিত প্রভাত সঙ্গীতের ৮৫টি প্রাথমিক প্রতিযোগিতা কেন্দ্র থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন৷ প্রতিযোগিরা প্রভাত সঙ্গীত , প্রভাত সঙ্

এন আর সি---আতঙ্ক---আত্মহত্যা :  রাজ্যে এন আর সি-র বলি ৯

রাজ্যে এন আর সি-র বলি ৯৷ এন আর সি আতঙ্কে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ এখনও পর্যন্ত রাজ্যে এন আর সি আতঙ্কে মৃতের সংখ্যা ৯ বলে জানা গেছে৷ এন আর সি আতঙ্কে মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক দলগুলির তরজা, দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ৷ মঙ্গলবার ২৪শে সেপ্ঢেম্বর উত্তরবঙ্গে তিন জনের আত্মহত্যার খবর এসেছে৷ প্রতিটি আত্মহত্যাই এন আর সি আতঙ্কে বলেই মনে করা হচ্ছে৷

এন আর সি-র বিরুদ্ধে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ

উত্তর ২৪ পরগণা ঃ ২১শে সেপ্ঢেম্বর মধ্যমগ্রাম ও দমদম ক্যাণ্টনমেণ্টে আমরা বাঙালী দলের কর্মী সমর্থকরা মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে এন আর সি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়৷

এক দেশ---এক ভাষা, এক দল বাস্তববোধহীন চিন্তা

একথা রূঢ় বাস্তব---ভারতবর্ষের অভ্যন্তরেই আজ বিচ্ছিন্নতার সুর৷ তাই রাষ্ট্রের কর্ণধারদের সংহতির কথা চিন্তা করতেই হবে৷ ঐক্যের পথ খুঁজে বের করতেই হবে৷ কিন্তু শুধু রোগ জানলেই হবে না৷রোগের কারণও জানতে হবে৷ নতুবা ভুল ঔষধ প্রয়োগে হিতে বিপরীত হবে৷

ভারতবর্ষ একটি যুক্তরাষ্ট্র৷ এই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় নানা ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠী আছে৷ তাদের আচার-আচরণ, পোষাক-আষাক, চাল-চলনে অনেক পার্থক্য আছে৷ এই পার্থক্যই ভারতবর্ষকে এক নতুন বৈশিষ্ট্য দিয়েছে৷ তাই বলা হয়ে থাকে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য৷ তাই রাষ্ট্র নেতাদের এই বৈচিত্র্যের পৃথক বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেই ঐক্যের পথ খুঁজতে হবে৷ পৃথক বৈশিষ্ট্যের বিনাশ ঘটিয়ে নয়৷

অষ্টকমল

আমাদের শরীরে আটটি চক্র আছে৷ মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত ও বিশুদ্ধ– এই পাঁচ চক্র আর এর ওপর আজ্ঞাচক্র, গুরুচক্র ও সহস্রারচক্র*৷ এই হ’ল অষ্টকমল৷ পরমাত্মার লীলা এই অষ্টকমলকে নিয়ে৷

সাধনায় যখন মানুষ এগিয়ে যায় তখন কী হয়?

‘‘সর্বতঃ পাণিপাদং

তৎ সর্বতোক্ষিশিরোমুখম্৷

সর্বতঃ শ্রুতিমল্লোঁকে সর্বসাবৃত্য তিষ্ঠতি৷৷’’

এই অষ্টকমল যখন ফোটে, তা কেমন করে ফোটে? মানুষ যখন মনের সমস্ত ভাবনা নিয়ে পরমপুরুষেরই উপাসনা করে তখন সমস্ত ভাবনা, সমস্ত আকুতি একের দিকেই ছুটে যায়৷

বৃহত্তর বাঙলা

প্রায় ৫০০০ বছর আগে অষ্ট্রিক, মঙ্গোলিয়ন আর নিগ্রো রক্তের সংমিশ্রণ–জাত বাঙালী জনসমুদায় সৃষ্টি হয়েছিল৷ সেই সময় বাঙলার ভাষা ছিল সংসৃক্ত, তাই বাংলাভাষারও পথনির্দেশক ভাষা হচ্ছে সংসৃক্ত৷ প্রায় ১২০০ বছর আগে বাংলাভাষার এক রূপান্তরণ হয়েছিল৷ সেই সময় বাঙলা বলতে বোঝাত বর্তমানের পশ্চিমবঙ্গ, নেপালের ঝাপা জেলা, বিহারের পূর্বাংশ, সম্পূর্ণ বাঙলাদেশ আর বর্মা, মেঘালয়ের সমতল অংশ, প্রাগজ্যোতিষপুরের কিছু অংশ আর অসমের বরপেটা, কামরূপ ও নগাঁও৷ বৃহত্তর বাঙলার এই ছিল এলাকা৷ আজ বাঙালী বলতে বোঝায় দুই প্রকারের অভিব্যক্তি– ভারতীয় বাঙালী আর বাঙলাদেশী বাঙালী ৷ এই দু’য়ের মধ্যে একটা সংহতিকরণ বা মিশ্রণ অবশ্যই হওয়া উচিত৷

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধুন্ধুমার  কাণ্ড  প্রসঙ্গে

যাদবপুর  বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৯শে সেপ্ঢেম্বর  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী  বাবুল সুপ্রিয়ের কর্মসূচীকে ঘিরে  যে ধুন্ধুমার কাণ্ড  ঘটে গেল তা মোটেই কাম্য নয়৷ একটি শিক্ষাক্ষেত্রে  এধরণের  ঘটনা প্রমাণ  করে আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা কোথায়  দাঁড়িয়েছে ৷  পারস্পরিক সহিষ্ণুতা, নিয়মনীতি, শৃঙ্খলার লেশমাত্র দেখা গেল না৷ কোন্ গোষ্ঠী কোন  দল বা কে  কতখানি  এজন্যে দায়ী বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বিশ্লেষণে পণ্ডশ্রম  না করে, সোজাসুজি বলা চলে দায়ী সংকীর্ণ দলীয়  রাজনীতি৷  যার পুরোধারা  শিক্ষাক্ষেত্রকে নিজেদের  ক্যাডার তৈরীর আখড়া বানিয়ে ফেলেছে৷ আর মাঝখান থেকে শিক্ষাব্যবস্থার সর্বনাশ ডেকে এনেছে৷

‘‘সংগচ্ছধবং সংবদধবং সংবো মনাংসি জানতাম্’’

প্রফুল্ল কুমার মাহাত

নিত্যানন্দ  এক অনাদি  অনন্ত নিরাকার পরমব্রহ্মের  মানস কল্পনা  হলো--- ‘‘এক ঃ অহম্ বহুস্যামি ৷’’ এটাই হল সৃষ্টির  মূল রহস্য৷ এই বহু বিচিত্র সৃষ্টির মধ্যে তিনি অবিরাম লীলা করে চলেছেন৷ এইভাবে লীলানন্দময় রূপে  নিজেকে  বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে  বিকশিত ও প্রতিফলিত করে চলেছেন  প্রতিনিয়ত৷ তারকব্রহ্ম মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দসূত্রম এর পঞ্চম অধ্যায়ের অষ্টম সূত্রে বলেছেন--- ‘‘বৈচিত্রং প্রাকৃতধর্মঃ সমানাং ন ভবিষ্যতি৷’’ অর্থাৎ বৈচিত্রই  প্রকৃতির ধর্ম৷ এই প্রকৃতিই হচ্ছে পরমব্রহ্মের  ক্রিয়াশীল রূপ৷ সৃষ্ট জগতের কোন দুটি বস্তুই হুবুহু এক নয়--- দুটি শরীর এক নয়,  দুটি মন এক নয়, দুটি অণু বা পরমানু  এক

প্রভাত  সঙ্গীত ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি

শ্রীজ্যোতির্ময় পাহাড়ী

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

এক প্রভাত সঙ্গীতে তিনি বলেছেন,---

‘‘বৎসর , নববৎসর, তুমি কল্যাণ এনো চারিদিকে

নূতন ভোরের হাতছানিতে  নূতন ঊষার নবালোকে৷৷

বৃক্ষলতারা সবুজে ভরুক বন্যপশুরা নিরাপদ হোক

পাখীরা কন্ঠে অমিয় ভরিয়া উড়িয়া বেড়াক দিকে দিকে৷৷

মানুষে মানুষে ভেদ দূরে হোক, বুদ্ধির অপচয় রোধ হোক,

শক্তির সর্বনাশা প্রতাপ সংযত হোক সবদিকে৷৷’’

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশে জেলখানাই বাড়বে

প্রবীর সরকার

সংবাদে প্রকাশ বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান মন্ত্রী মিঃ মোদী বলেছেন যে, দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে পোরার ট্রেলার শুরু৷ জনগণের কিন্তু প্রশ্ণটা আরও ব্যাপকতা হ’ল যে দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে৷ সরকার কটি দুর্নীতিগ্রস্তকে জেলে পুড়তে পারবে৷ তাই বলতে হয় সারা দেশটাকে জেলে পরিণত করতে হবে৷