স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

জলের বিশুদ্ধতা

জলম্, নীরম, তোয়ম্, উদকম, কম্বলম, পানীয়াম–জলের এই ক’টি হল পর্যায়বাচক শব্দ৷ জল শব্দটিকে তৎসম রূপেই ৰাংলায় ব্যবহার করি৷ যার মানে–any kind of water (যে কোন প্রকারের জল)৷ ‘নীর’ মানে সেই জল যা অন্যকে দেওয়া যায় ‘তোয়’ মানে যে জল উপচে পড়ে ‘উদক’ মানে যে জল খুঁড়ে পাওয়া যায় ‘কম্বল’ মানে যে জল ওপর থেকে পড়ে ‘পানীয়’ মানে যে জল পান করবার যোগ্য, খাল–বিল–নালার জল নয়৷ ৰাংলা ভাষায় ‘জল’ ও ‘পানী’ দুটো শব্দই চলে৷ জল শব্দটি তৎসম, আর পানী শব্দ ‘পানীয়ম’–এর তদ্ভব রূপ৷ ‘জল’ মানে যে কোন জল–ড্রেনের জল, পুকুরের জল, ফিল্টার করা কলের জল–সবই৷ তবে drinking water বললে তার জন্যে ৰাংলা হবে পানীয় জল বা পানী৷ মনে রাখবে, যে কোন জল

কুষ্ঠ

লক্ষণ ঃ সংস্কৃত ভাষায় ‘কুষ্ঠ’ শব্দের অর্থ চর্মরোগ৷ সে বিচারে ঘামাচিও কুষ্ঠ৷ কিন্তু সাধারণতঃ আমরা কুষ্ঠ বলতে যা’ বুঝি সংস্কৃত ভাষায় তাকে বলা হয় বাতরক্ত রোগ৷ এই রোগটি সপ্তধাতুর বিকৃতির ফলে সৃষ্টি হয় অর্থাৎ যে ক্ষেত্রে রস, রক্ত, মাংস, মেদ, অস্থি, মজ্জা ও শুক্র এই সপ্ত ধাতু দোষযুক্ত হয়ে পড়ে কেবল সেই ক্ষেত্রেই এই বাতরক্ত ব্যাধি প্রকট হয়ে ওঠে৷

বকফুল

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বকফুল (গাছের) অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ তবে মুখ্যতঃ দু’টি প্রজাতি নজরে পড়ে৷ একটিকে বলতে পারি কিছুটা হ্রস্ব, অপরটি হচ্ছে দীর্ঘ৷ হ্রস্ব প্রজাতির বকফুল (মোটামুটি) উঁচু হয় আর দীর্ঘ প্রজাতিটি আট মানুষের চেয়েও বেশী উঁচু হয়৷ হ্রস্ব–দীর্ঘ নির্বিশেষে বকফুল গাছ ৰাড়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে৷ ফুলের আকার ও আকৃতির বিচারে বকফুল শাদা, গোলাপী, লাল ও পঞ্চমুখী জাতের হয়ে থাকে৷

স্নিগ্ধতা আনা ও ৰুদ্ধিবৃত্তির সহায়ক তেঁতুল

নোতুন তেঁতুলের চেয়ে পুরণো তেঁতুলের গুণ অনেক বেশী৷ যে সকল গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গ্রীষ্মকালে শরীর শুকিয়ে যায় সে সকল দেশে তেঁতুলের ব্যবহার বিশেষ মূল্যবহ৷ শুকনো দেশে বা টানের সময় তেঁতুল না খেলে শরীর দুর্বল হতে পারে৷ পোস্ত, ৰিরি কলায়ের ডাল ও তেঁতুল বিশুষ্কতা রোগের প্রতিষেধক৷ অতি গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে এই খাদ্যগুলি রোগ নিরাময় করে থাকে৷

তেঁতুল একটি সাত্ত্বিক ফল৷ মস্তিষ্ক রচনায় এর যথেষ্ট ভূমিকা আছে৷

তুলসী ঃ শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত ও অন্যান্য রোগ নিরাময়ে এর উপকারিতা

বিশ্বে এক শতাধিক প্রজাতির তুলসী বা চ্ত্রব্দন্প্ত বর্গীয় গাছ রয়েছে৷ সমগ্র তুলসী বর্গীয় গাছের একটা নিজস্ব বর্ণ–গন্ধ আছে৷ যদিও সকল রকম স্বভাবের তুলসীর ৰীজ অনেকটা এক ধরনের ও তুলসী বর্গের মূল গন্ধ সবাইতে আছে, তবুও সবাইকারই স্বকীয় বৈশিষ্ট্য হিসেবে নিজস্ব গন্ধও আছে৷ যে কয়েক প্রজাতির তুলসী ৰাংলার একেবারে স্থানীয় অর্থাৎ ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়, তাদের মধ্যে রাধাতুলসী ও বাবুইতুলসী অন্যতম৷ কৃষ্ণতুলসী এসেছে উত্তর ভারত থেকে৷ যে তুলসীর পাতা সবুজ ও একটু বড় আকারের কিন্তু গাছও খুব ৰড় হয় না, তাকে রাধাতুলসী বলে৷ রাধাতুলসী মুখ্যতঃ দু’টি প্রজাতির হয়, তাদের গন্ধেরও তারতম্য আছে৷ পাতার আকার প্রকারেও অল্পসল্প ভেদ আছে৷

বধিরতার নিরাময়

লক্ষণ ঃ এই রোগে আক্রান্ত হবার প্রথমের দিকে রোগী কাণে ভোঁ–ভোঁ শব্দ শোণে ও ক্রমশঃ অনান্য সমস্ত শব্দই রোগীর কাছে অস্পষ্ট হয়ে যেতে থাকে৷

কারণ ঃ জন্মগত কারণ ব্যতিরেকে বধিরতা নিজে কোন রোগ নয়–অন্য রোগের প্রতিক্রিয়া মাত্র৷ তাই এ রোগের অজস্র কারণ থাকতে পারে৷

১) অতিরিক্ত কুইনাইন বা অন্য কোন বিষ ঔষধ রূপে দীর্ঘকাল ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত হয় বা স্তম্ভিত হয়ে যায়৷

২) পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে পৌঢ়ত্বে বা বার্দ্ধক্যে অনেক লোকের শ্রবণযন্ত্রের স্নায়ুপুঞ্জ দুর্বল হয়ে পড়ে ও তার ফলে বধিরতা দেখা দেয়৷

হূদরোগ ও স্ট্রোক ঃ মহিলারা কতটুকু নিরাপদ

এন এন এস

সারা বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে হূদরোগ ও স্ট্রোক৷ আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, হূদরোগ ও স্ট্রোকজনিত মৃত্যু হার মহিলাদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় বেশি ও তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ মাহিলাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হূদরোগ ও স্ট্রোক বহুল আলোচিত স্তন ক্যান্সারের তুলনায় আটগুণ বেশি৷ তাই বিশ্ব হার্ট দিবস ২০১১ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ঃ হূদরোগ, স্ট্রোক ও নারী৷ হূৎপিন্ড ও মস্তিষ্কের রক্তনালীতে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা বা এথেরোক্লোরোসিসই করোনারি হূদরোগ ও স্ট্রোকের জন্যে দায়ী৷ রক্তপ্রবাহের এই প্রতিবন্ধকতা যখন গুরুতর ও জটিল আকার ধারণ করে তখন দেখা দেয় হার্ট্যাটাক ও স্ট্রোক৷ এ প্রক্রিয়ায় জড়িত রয়েছে রক্তের

মনের স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী

ডাঃ আলমগির

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী৷ দিনে পাঁচ মিনিটের জন্যে হলেও সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত মাঠে বা পার্কে যান ও হাল্কা শরীর চর্চার মাধ্যমে আপনার মনকে সতেজ করে তুলুন৷ সবল করে তুলুন মানসিক স্বাস্থ্যকে৷ সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য জানা গেছে৷ সবুজ ঘাসের ওপর পাঁচ মিনিট হাঁটা বা শরীরচর্চা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি বিধানে সহায়তা করে৷ সেইসঙ্গে বাড়িয়ে তোলে ব্যষ্টি আত্মমর্যাদাবোধও৷ সমীক্ষায় বলা হয়েছে নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে, পার্ক বা ময়দানে বেশী সময় কাটানোর জন্যে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা৷ আলেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন যে, প্রতিদিন নিয়ম করে একটু হাঁটা, বাগান করা,

নবজাতকদের জন্যে বাড়তি সর্তকতা

পত্রিকা প্রতিনিধি

নবজাতকের জন্যে বাড়তি সর্তকতার প্রয়োজন৷ এমনিতে নবজাতকের জন্যে অনেক আয়োজন থাকে৷ সে থাকলেও তার জন্যে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন৷ প্রথমতঃ নবজাতককে নিয়ে বাইরে বেশী ঘোরাঘুরি করা উচিত নয়৷ এই ঋতু পরিবর্তনের সময় বেশী ঘোরাঘুরি করলে নবজাতক ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হতে পারে৷ তা থেকে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে৷ তাই নবজাতকের জন্যে কি ধরনের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন সে সম্বন্ধে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যা বলে থাকেন সে সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করা হ’ল–

শিশুদের সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের করণীয়

ডাঃ আলমগী

শীত চলে যাচ্ছে, বসন্ত ঋতু আসছে৷ ঋতু পরিবর্ত্তনের সময়৷ কখনও ঠাণ্ডা কখনও গরম৷ বিশেষ করে দিনে সূর্যে তাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের তাপ বেশ বৃদ্ধি পায়৷ কিন্তু, সন্ধ্যা হতে আবার সবকিছু ঠাণ্ডা হতে থাকে৷ বিশেষ করে ভোর রাতে বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হয়৷ এই রকম ঠাণ্ডা–গরম আবহাওয়ায় শিশুরা সহজেই সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে৷ তাই এই সময় শিশুদের সুস্থ রাখতে বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার৷ এবিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকাও প্রায়োজন৷ সুতরাং এই ধরনের আবহাওয়ায় শিশুদের কি কি অসুবিধা হতে পারে ও সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হলে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা অভিভাবকদের জানা দরকার৷