সংবাদ দর্পণ

ভাষা দিবসে ‘আমরা বাঙালী’র কর্মসূচী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২১শে ফেব্রুয়ারী অমর ভাষা শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাতে জেলায় জেলায় নান কর্মসূচী নিয়েছে আমরা বাঙালী৷ মূল অনুষ্ঠান হবে আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্যামবাজারে৷ এছাড়া হাওড়ার বাগনানে কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ,উঃ২৪পরগণা পুরুলিয়া, মেদিনীপুর শহীদ দিবস পালন করবে আমরা বাঙালী৷ শ্যামবাজারে মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব তপময় বিশ্বাস, সমতটের সংঘটন সচিব জয়ন্ত দাশ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা৷ পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও ঝাড়খণ্ড, অসম ত্রিপুরায় আমরা বাঙালী কর্মীরা ভাষা দিবস পালন করবে৷ ঝাড়খণ্ডের মূল অনুষ্ঠান হবে টাটানগরে৷ এখানে কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা উপস্থিত থাকবেন৷ ঝাড়খণ্ড ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উড়িষ্যার বাংলাভাষী অঞ্চলের ‘আমরা বাঙালীর কর্মী ও সমর্থকরা টাটানগর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন৷ অসমের শিলচরে ও ত্রিপুরার আগরতলায় আমরা বাঙালী কর্মীরা সাড়ম্বরে ভাষা দিবস পালনের আয়োজন করেছে৷

সুনীতারা পৃথিবীতে ফিরে আসবেন ১৯শে মার্চ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে৷ অবশেষে পৃথিবীতে ফিরছেন মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর৷ মহাকাশ থেকে একটি সাক্ষাৎকারে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ফেরার তারিখ জানিয়েছেন বুচ৷ কী ভাবে, কোন মহাকাশযানে চড়ে তাঁরা ফিরবেন, বিশদে বলেছেন তা-ও৷ দীর্ঘ ন’মাস পর সুনীতা এবং বুচ পৃথিবীতে নামতে চলেছেন আগামী ১৯ মার্চ৷

গত বছরের জুন মাসে মাত্র আট দিনের জন্য মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতারা৷ কিন্তু যে মহাকাশযানে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরার কথা হয়েছিল, তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়৷ এর ফলে সুনীতারা আটকে পড়েন মহাকাশে৷ ক্রমে তাঁদের সফর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে৷ বর্তমানে মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই রয়েছেন দুই নভশ্চর৷

কিছু দিন আগে সুনীতাদের নিয়ে ফেরার মহাকাশযান ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের তারিখ জানিয়েছিল নাসা৷ ১২ মার্চ সুনীতাদের আনতে মহাকাশে পাড়ি দেবে ওই মহাকাশযান৷ তাতে থাকবেন আরও চার জন নভশ্চর৷ নাসার তরফে অ্যান ম্যাক্লেন এবং নিকোল আয়ার্স, জাপানের তরফে তাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার তরফে কিরিল পেসকভ ক্রিউ-১০-এ মহাকাশে যাবেন৷ তাঁরা পৌঁছলে সুনীতারা গবেষণার কাজ তাঁদের বুঝিয়ে দিয়ে পৃথিবীতে ফিরবেন৷

সাক্ষাৎকারে বুচ জানিয়েছেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ভাসমান গবেষণাগারের (ল্যাবরেটরি) ‘কমান্ডার’ সুনীতা৷ ক্রিউ-১০ অভিযানে চার মহাকাশচারী পৌঁছলে তাঁদের মধ্যে এক জনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন তিনি৷ এই হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলবে সাত দিন৷ ১২ মার্চ ক্রিউ-১০ মহাকাশে পৌঁছবে৷ তার পর ১৯ মার্চ আবার সেই মহাকাশযানে চড়বেন সুনীতা এবং বুচ৷ তাঁদের নিয়ে মহাকাশযানটি পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেবে৷

ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের কথা ছিল মার্চের শেষের দিকে৷ সেই তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে৷ ফলে সুনীতাদের ফেরার দিনও এগিয়ে এসেছে৷ সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুনীতাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন স্পেস এক্সের কর্ণধার ইলন মাস্ককে৷ তার পরেই ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের দিন এগিয়ে আনা হয়৷

৩৫ বছর পর ধবংস হবে পৃথিবী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

১৭০৪ সালে লেখা চিঠিতে নিউটন লিখেছিলেন যে, ২০৬০ সালে অর্থাৎ আজ থেকে মাত্র ৩৫ বছর পর পৃথিবী ধবংসস্তূপে পরিণত হতে পারে এক গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষে৷ তবে পরিস্থিতির নিরিখে সেই তারিখে হেরফেরও হতে পারে৷

নিউটন জানিয়েছিলেন, এর আগেও পৃথিবী ধবংসের সম্ভাবনা রয়েছে৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, ওয়াইআর৪ ২০২৪ গ্রহাণু যা ‘সিটি কিলার’ নামে অধিক পরিচিত, তার সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ ঘটে, সে ক্ষেত্রে পৃথিবীর আয়ু আরও তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যেতে পারে৷ জ্যোর্তিবিদদের অধিকাংশের দাবি, ‘সিটি কিলার’-এর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা ১ থেকে ২ শতাংশ৷ ফলে তা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ আজ থেকে মাত্র সাত বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০৩২ সালে ‘সিটি কিলার’-এর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ ঘটতে পারে৷ শুধু পৃথিবী নয়, এই সংঘর্ষের ফলে পুড়তে পারে পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদও৷ আইজ্যাকের লেখা চিঠিটি বর্তমানে জেরুসালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটির সংগ্রহশালায় সুরক্ষিত রয়েছে৷ কিন্তু পৃথিবী কবে ধবংস হতে পারে তা কী ভাবে নির্ধারণ করেছিলেন তিনি?

নিউটন জানিয়েছিলেন, বাইবেলের ‘বুক অফ ড্যানিয়েল’-এ উল্লেখ করা তারিখ এবং সময় গণনা করে তিনি নির্দিষ্ট বছরটি নির্ধারণ করতে সফল হয়েছিলেন৷

নিউটনের মতে, রোমান সাম্রাজ্য পতনের ১২৬০ বছর পর পৃথিবী ধবংসের লীলাখেলায় মেতে উঠতে পারে৷ নিউটন যে সময় এই গণনা করেছিলেন, সেই সময় দাঁড়িয়ে এই সময়কে অনেক মনে হয়েছিল৷ তিনি ভেবেছিলেন যে, কয়েক বছরের মধ্যেই এ সব নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে৷ এই গণনা বাস্তবে ফলবে কি না তা জানা নেই৷ তবে বিজ্ঞানীদের অধিকাংশের দাবি, মহাকাশে যে ধরনের গ্রহাণু ঘুরে বেড়ায় তাদের বেশির ভাগের আকার বড় জোর একটি গাড়ির মতো৷ পৃথিবীর কাছে পৌঁছতে না পৌঁছতেই সেই গ্রহাণুগুলি পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷ নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ১০০ বছর পর পর মাঝারি আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হয়৷ বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এসে তাতে আগুন ধরে যায়৷ খুব কম অংশ জল অথবা স্থলভাগে এসে পড়ে৷ তীব্র গতিবেগে আসার ফলে সেখানকার এলাকায় গ্রহাণুর ওজনের কারণে গর্ত তৈরি হতে পারে৷ বিশালাকার গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম৷ এমনটাই দাবি করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ তাঁদের দাবি, পাঁচ থেকে দশ লক্ষ বছরে এক বার এমন ঘটনা ঘটতে পারে৷

হ্যালিফ্যাক্সের ইউনিভার্সিটি কিংস কলেজের অধ্যাপক স্টিফেন ডি স্নোবেলেনের মতে, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক বিজ্ঞানী নন, নিউটন ছিলেন ‘প্রাকৃতিক দার্শনিক’৷

অধ্যাপকের দাবি, আইজ্যাক ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে কোনও বাধা দেখতে পাননি এবং তিনি সারা জীবন ঈশ্বরের সত্য আবিষ্কারের জন্য পরিশ্রম করেছিলেন৷ বাইবেল এবং সহজ পাটিগণিতের ব্যবহার করেই নাকি গণনা করেছিলেন তিনি৷

তবে নিজের গণনার প্রতি প্রশ্ণও তুলতে পিছপা হননি আইজ্যাক৷ তাড়াহুড়ো করে ভবিষ্যদ্বাণী করা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন তিনি৷ চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘সঠিক সময় কেবল ঈশ্বর জানেন৷’’

বন্যার কবল থেকে বাঁচতে সুন্দরবনে ভাসমান চাষ শুরু করেছে স্থানীয় চাষীরা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

চাষ হবে, কিন্তু লাগবে না জমি৷ জলের উপরে ভেসে থাকা মাচায় হবে আনাজ৷ এমন ভাসমান চাষেই দিশা খুঁজে পেয়েছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ সুন্দরবনের গোসাবার চাষিরা৷

প্রায় প্রতি বছরই নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায়৷ অনেক সময়ই নদী বাঁধ ভেঙে নোনা জলে প্লাবিত হয় গ্রাম৷ চাষের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ জমির নোনা ভাব কাটিয়ে নতুন করে ফসল ফলাতে বেশ কয়েক বছর সময় লেগে যায়৷ এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই উদ্যোগী হয়েছে গোসাবা ব্লকের আমতলি গ্রাম পঞ্চায়েত৷ একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় ওই পঞ্চায়েতের বেশ খানিকটা এলাকায় শুরু হয়েছে ভাসমান চাষ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার খালগুলির কিছুটা অংশে ভাসমান পদ্ধতিতে নানা ধরনের মরসুমি আনাজ চাষ শুরু করেছেন চাষিরা৷ তাঁরা জানান, প্রায় তিন বছর আগে ওই চাষ শুরু হয়েছিল৷ প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে এই চাষ শুরু হলেও ওই পদ্ধতিতে চাষ অনেক চাষির পছন্দ হয়৷ তাই তাঁরা নিজেরাও ওই বেসরকারি সংস্থা ও আমতলি গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে নিজেদের জলাশয়ে ওই পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেছেন৷ স্থানীয় চাষি নির্মল ভক্ত, সুধীর মণ্ডলরা বলেন, ‘‘প্রথমে সাহস পাইনি, আদৌ ফসল ফলবে কি না সন্দেহ ছিল মনে৷ কিন্তু দেখলাম ওই পদ্ধতিতে চাষও খুবই সহজ৷ ঝামেলা অনেক কম৷ তাই গত বছর থেকে চাষ শুরু করেছি৷ বাড়ির পুকুরেই এই চাষ করছি৷’’

মূলত প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে জলের উপর মাচা তৈরি করে চাষ করা হয়৷ এই পদ্ধতিতে চাষে ফলনও বেশ ভাল বলে দাবি চাষিদের৷ আমতলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘‘সুন্দরবন কৃষিপ্রধান অঞ্চল৷ এখানে চাষবাস ছাড়া কিছুই নেই৷ কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে অনেক সময় সেই চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ তাই চাষিদের বিকল্প পদ্ধতিতে চাষের খোঁজ দিতে এই ভাসমান চাষ শুরু করা হয় পরীক্ষামূলক ভাবে৷ এখন অনেকেই এই চাষে উৎসাহিত হয়েছেন৷’’ উদ্যোক্তাদের দাবি, যাঁদের চাষের জমি নেই, কিন্তু বাড়িতে পুকুর রয়েছে তাঁরা এই চাষে যথেষ্ট উৎসাহ দেখিয়েছেন৷ নিজের বাড়ির পুকুরে মাছ চাষের সঙ্গেই আনাজ চাষ শুরু করেছেন অনেকেই৷ উদ্যোক্তাদের অন্যতম নিরুপম সামন্ত বলেন, ‘‘নোনা জমির কারণে যারা চাষ করতে পারেন না, তাঁদেরকে বিকল্প পদ্ধতিতে চাষের খোঁজ দিতেই এই ভাসমান চাষে উৎসাহ দিয়েছিলাম আমরা৷ কিন্তু এখন অনেকেই দেখছি নিজেদের পুকুরেও এই পদ্ধতিতে চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন৷’’

 

থেমে গেল বাঙলার মায়াভরা পথে হাঁটা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

না ফেরার দেশের চলে গেলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়৷ থেমে গেল বাঙলার মায়াভরা পথে হাঁটা৷ তবে কোন দিন থামবে না প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠের সেই গান ‘আমি বাঙলায় গান গাই, আমি বাঙলার গান গাই৷’

১৫ই ফেব্রুয়ারী সকালে এস.এস.কে.এম হাসপাতালে পরলোক গমন করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর৷ তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন৷ তাঁর প্রয়াণে শিল্প সংস্কৃতির জগতের মানুষ শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন৷ দুই বাঙলার সাধারণ মানুষও তাঁর প্রয়াণের খবরে শোক বিহ্বল৷ প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান চেক পোষ্টের বেড়া পেরিয়ে ওপারেও সমান জনপ্রিয়৷

১৯৪২ সালে ২৫শে জুন অবিভক্ত বাঙলার বরিশালে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম৷ এটা ভারত ছাড় আন্দোলনের বছর৷ তাই হয়তো প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের রক্তেও মিশেছিল আন্দোলন৷ তাঁর গানে গানেই ছড়িয়ে পড়েছিল আন্দোলনের সুর৷ সেই সুরে ভেবেছেন ডান-বাম সব দলের অনুগামীরা৷

বাঙালী জাতির চরম সংকটময় সময়ে প্রতুল মুখোপাধ্যায় চলে গেলেন৷ ওপারের অস্থিরতার ঢেউ এপারেও৷ ৭৭ বছরে ধরে দিল্লির বঞ্চনায় স্বাধীনতা পূর্ব ভারতের সব থেকে সমৃদ্ধশালী রাজ্যটি আজ নিঃস্ব, রিক্ত৷ শুধু ধন সম্পদে নয়, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির দিক থেকেও৷ এই সময়ই প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মতো মানুষের বড় প্রয়োজন বাঙলার৷ কিন্তু বয়সতো কোন বাধা মানে না৷ ৮৩ বসন্ত ছুঁয়ে চলা থেমে গেল বাংলার সঙ্গীত জগতের অন্যতম প্রাণপুরুষের৷ গায়ক লেখক প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের চলা থেমে গেলেও বাঙালীকে যেতে হবে অনেকদুর৷ আর সেই চলার সঙ্গী হবে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠে---আমি বাঙলায় গান গাই---এপার ওপার সব পারে৷‘আমরা বাঙালী’ দলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব তপোময় বিশ্বাস রবীন্দ্র সদনে তাঁর শবদেহে পুষ্প স্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷

গঙ্গায় দূষণ বাড়ছে ফিসাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ায় স্নানের অনুপযুক্ত প্রয়াগরাজের গঙ্গা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মানবিক মূল্যবোধহীন অন্ধ আবেগের কাছে হার মানছে মর্মান্তিক মৃত্যু৷ মহাকুম্ভেই পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছে বহু৷ নয়াদিল্লি রেলষ্টেশনে তীর্থযাত্রীদের ভীড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মারা যায় ১৮ জন৷ এখানেও অনেকে আহত৷ তবু অমৃত লাভের আবেগে ভেসে ছুটে যাচ্ছে মানুষ মহাকুম্ভে৷

এদিকে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড আর এক আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে৷ প্রয়াগ রাজে গঙ্গার জল স্নানের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে৷ ১২, ১৩ই জানুয়ারী জল পরীক্ষা করে জানা যায় ওই জল স্নানের অনুপযুক্ত৷ জলে ফিসাল কলিফর্ম ব্যাক্টেরিয়ার মাত্রা নির্দ্ধারন করে জল ব্যবহারের উপযুক্ত কি না৷ ১২,১৩ই জানুয়ারী পরীক্ষার পরও প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ পূর্ণ্যার্থী প্রয়াগ রাজের গঙ্গায় স্নান করছে৷ লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগমে মলমূত্র নিষ্কাসনের ব্যবস্থা থাকলেও গঙ্গার জলেও মিশছে ব্যাক্টেরিয়া বাড়ছে৷ এখনও প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগমে মল মূত্র নিষ্কাসনের ব্যবস্থা থাকলেও গঙ্গার জলেও মিশছে পয়ঃবর্জ৷ তারফলেও জলে ফিসাল কলিফর্ম ব্যাক্টেরিয়া বাড়ছে৷ এখনও প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ স্নান করছে৷ ফলে এই ব্যাক্টেরিয়া আরও বাড়ার সম্ভাবনা৷

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের এই প্রতিবেদনে মোদির নমামি গঙ্গে কর্মসূচী নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে৷ ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদি সরকার এই প্রকল্প ঘোষনা করে৷ গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত ও সংরক্ষণ খাতে প্রতি বাজেটে বিপুল টাকা বরাদ্দ হচ্ছে৷ তারপরেও গঙ্গার এই অবস্থা৷ আর সেটা জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারেরই একটি দপ্তর কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড৷

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের এই প্রতিবেদনে উদ্বিগ্ণ ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনাল৷ আগেও উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কাছে জানতে চেয়েছিল গ্রীণ ট্রাইব্যুনাল---দূষণরোধে কি ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার৷ উত্তর প্রদেশ সরকার প্রতিবেদন জমাও দেন৷ কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় বোর্ডের প্রতিবেদন দেখে গ্রীণ ট্রাইব্যুনাল উত্তর প্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে তলব করেছে গ্রীন ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব৷ গঙ্গা দুষণ নিয়ন্ত্রণে উত্তরপ্রদেশ কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা ট্রাইবুনালের কাছে বিস্তারিত জানাতে হবে৷

যোগীর সাফাই--- উত্তরপ্রদেশ রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রতিবেদন খারিজ করে দিলেন যোগী৷ কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়াগরাজের গঙ্গা স্নানের অনুপযুক্ত৷ গত ১৯শে ফেব্রুয়ারী রাজ্য বিধানসভায় যোগী দাবী করেন সঙ্গমের জলে স্নান করাও যাবে ও এই জল পানেরও যোগ্য৷ সনাতন ধর্ম ও কুম্ভের বদনাম করতে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে৷ যোগীর দাবী ৫৬কোটি ২৫লক্ষ মানুষ প্রয়াগে স্নান করেছেন৷ যোগীর কথায় গঙ্গার জল নয়, ভুল তথ্য প্রচার করে মা গঙ্গাতাঁর দাবীর সমর্থনে রাজ্য দূষন নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রতিবেদন তুলে ধরে৷

তবে যোগীর দাবীকে মানতে নারাজ বিরোধী রাজনৈতিক মহল৷ তাঁদের দাবী জল দূষণের ফলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ ধামা চাপা দিতে যোগী ধর্মীয় আবেগকে হাতিয়ার করছে৷ ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনালের বক্তব্য রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড উপযুক্ত তথ্যই এখনও দিতে পারেনি৷ যোগীর দাবী নিয়ে গ্রীন ট্রাইব্যুনাল কোন কথা না বললেও তাঁদের বক্তব্য কেন্দ্র ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড এখনও পর্যন্ত গঙ্গার জলের গুণগত মান নিয়ে কোন বিস্তারিত রিপোর্ট দেয়নি৷

শিক্ষার অভাবে অন্ধ আবেগে ধর্র্মেন্মাদ মানুষ মৃত্যুর মুখে ছুটে যাচ্ছে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মহাকুম্ভে পর পর দুর্ঘটনায় নারী শিশুসহ অনেকগুলি প্রাণ অকালে ঝরে গেল৷ সরকার দায় এড়াতে চাইছে, বিরোধীরা সরকারের ঘাড়ে দায় চাপাতে চাইছে৷ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই রাজনীতি স্বাভাবিক সে মৃত্যু নিয়ে হোক আর মসনদ নিয়ে হোক৷

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন যে কোন মৃত্যুই দুঃখজনক৷ কিন্তু মহাকুম্ভে যেভাবে এতগুলো মানুষ অকালে চলে গেল, সেই মর্মান্তিক মৃত্যুর দায় সরকার অস্বীকার করতে পারে না৷ তিনি বলেন শুধু মহাকুম্ভের অব্যবস্থাই এর জন্য দায়ী নয়, মানুষের শিক্ষা সমাজচেতনা ও ধর্মবোধের অভাবের সুযোগ নিয়ে চতুর দেশনেতারা মানুষকে অন্ধ আবেগে ভাষিয়ে মহাকুম্ভে ছুটিয়ে নিয়ে গেছে৷ মানুষও শিক্ষা ও সমাজ চেতনার অভাবে অমৃত লাভের অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে ছুটে গেছে৷ পরিণতির কথা ভাবেনি৷ শ্রী খাঁ বলেন--- কিন্তু রাষ্ট্রের তো ভাবা উচিত ছিল৷ প্রয়াগে কত মানুষের পরিসর আছে আর কত মানুষ সমবেত হয়েছে, সেই তথ্য তো সরকারের কাছে থাকা উচিত৷

কিন্তু সরকার ওসব ভাবে না৷ শুধু রাজনৈতিক স্বার্থের চিন্তা করে অজ্ঞ অচেতন মানুষকে অসার উন্মাদনায় ভাসিয়ে দিয়েছে ধর্মের মোড়কে৷ শ্রী খাঁর প্রশ্ণ প্রয়াগ সঙ্গমে ডুব দিয়ে কোন অমৃত লাভ হবে? প্রয়াগ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কর্মভূমি৷ শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা ‘‘আত্মমোক্ষার্থং জগদ্বিতায় চ’’৷ জগতের হিত সাধনই মোক্ষ মুক্তির সোপান৷ আর শ্রী কৃষ্ণের কর্মভূমিতেই মানুষ ছুটে চলেছে মৃত্যুমুখে অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারে আচ্ছন্ন আবেগে৷

সমাজ সচেতনতা ও শিক্ষার অভাবই মানুষকে এই পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রের প্ররোচনায়৷ শ্রী খাঁর কথায় মনে রাখতে হবে শিক্ষার সঙ্গে সমাজের সম্পর্ক গভীর৷ মানবিক মূল্য ধর্মবোধ এসবের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত শিক্ষা, উপযুক্ত শিক্ষাই মানুষকে অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার, ভাবজড়তা ও সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত করে প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলবে৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও সেই উপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা আজও গড়ে উঠল না৷

শ্রী খাঁ আরও অভিযোগ করেন সংকীর্ণ স্বার্থান্বেষী রাজনীতিক ও পুঁজিবাদী শোষক কখনও চায় না মানুষ উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠুক৷ তাই দেশ জুড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে নিদারুণ অব্যবস্থা৷

পরিশেষে শ্রীখাঁ বলেন আনন্দমার্গ দর্শনের প্রণেতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সমাজ সংস্কার করতে গিয়ে আদর্শ সমাজ গড়ার পরিকল্পনা করতে গিয়ে প্রথমেই অনুভব করলেন প্রকৃত শিক্ষার অভাবই মানুষকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে, অন্ধ আবেগে ছুটিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷ তাই তিনি শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে দিলেন নতুন শিক্ষানীতি--- ‘নব্যমানবতা-ভিত্তিক শিক্ষা’ মানুষকে প্রকৃত মানব ধর্মের শিক্ষা দিয়ে উপযুক্ত মানুষ করে তুলতে আনন্দমার্গ শুধু পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতবর্ষ নয়, বিশ্বের দেশে দেশে নব্যমানবতা-ভিত্তিক শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হাজার হাজার স্কুল পরিচালনা করছে৷ এই নব্যমানবতা ভিত্তিক শিক্ষাই মানুষকে বিপথ থেকে ফিরিয়ে আনবে৷

শিপ্রা এক্সপ্রেসে বাঙলার নাট্যকর্মীরা আক্রান্ত প্রতিবাদে সরব আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সম্প্রতি হাওড়াগামী শিপ্রা এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামরায় প্রয়াগরাজে বাঙালী যাত্রীদের ওপর দুর্বৃত্তদের আক্রমন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আর.পি.এফদের নিষ্ক্রিয়তার তীব্র প্রতিবাদ জানালো ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠন৷ অবিলম্বে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবীতে ১৭ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সচিব বকুল চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্বল ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ, শুভজিৎ পাল ও ‘বাঙালী মহিলা সমাজে’র পক্ষে ভারতী কুণ্ডুর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল হাওড়া ডি.আর.এম কার্যালয়ে গিয়ে ডি.আর.এম মহাশয়ের মারফৎ ভারতবর্ষের রেলমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পেশ করেন৷ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন ভারতবর্ষ বিভিন্ন জাতি এবং সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি দেশ৷ ‘ভারতীয় রেল’ তাদের সবার মধ্যে এক সুন্দর সংহতি স্থাপন করেছে, প্রতিটি রাজ্যকে পারস্পরিক বন্ধনে আবদ্ধ করেছে৷ কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করলাম সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের আহ্বানে ইন্দোর গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দমদমের একটি নাট্যসংস্থা৷ তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে পারি, অনুষ্ঠান শেষ করে সেই নাট্যদলের শিল্পীরা ৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রাত ১১.৩০ মিনিট নাগাদ ইন্দোর থেকে হাওড়াগামী শিপ্রা এক্সপ্রেসে ফেরবার উদ্দেশ্যে রওনা হন, পরবর্তীদিনে সকাল ৯.৩০ মিনিট নাগাদ মধ্যপ্রদেশের পাথারিয়া স্টেশনে একদল লোক (পড়ুন দুষৃকতী) হুড়মুড় করে শিপ্রা এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামরায় উঠে বেআইনিভাবে সিট দখলের চেষ্টা করে, তাদের দ্বারা বাঙলার নাট্যকর্মীরা আক্রান্ত হন, চলন্ত ট্রেন থেকে বাঙালী শিল্পীদের ব্যাগ, অনুষ্ঠানের সরঞ্জামগুলো ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় ও লুটতরাজ চলে৷ বিকেল ৪.৩০মিনিট নাগাদ উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়ালে, বাঙালী শিল্পীবৃন্দ সাহায্যের জন্য রেলপুলিশ তথা আর.পি.এফের দ্বারস্থ হন৷ কিন্তু দুঃখের বিষয়, রেলপুলিশের ক্ষেত্রেও ‘বাঙালী’ শুনেই, এককথায় বাঙালী হওয়ার অপরাধেই দুর্ব্যবহার শুরু হয়ে যায়!! অভিযোগ ওঠে আর.পি.এফের আধিকারিকরাও বাঙালী শিল্পীদের বলেন ‘‘আপলোগ বাঙালী হো? থোড়া অ্যাডজাস্ট করো’’! যাত্রী সুরক্ষার দাবী জানালে, বাঙালী শিল্পীদের উপর চড়াও হয়ে মারধোর শুরু করে আর.পি.এফের কর্মীরা৷ তিনজন বাঙালী নাট্যকর্মী আহত হন৷ বাঙালী মহিলাদের শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে জানা যায়৷ সারারাত ধরে রেল কর্ত্তৃপক্ষকে ইমেল করেও কোন সুরাহা মেলেনি৷ সংরক্ষিত কামরা হওয়া সত্ত্বেও এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে কিভাবে ?

এই বাঙলার বুকেও তো শুধু লোকাল ট্রেন নয়, বহু এক্সপ্রেস ট্রেন বাঙলার বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে চলাচল করে, কিন্তু কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার নিদর্শন নেই,তাহলে রেলপুলিশ থাকা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের বুকে এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয় কিভাবে? বিশেষত আর.পি.এফ-এর প্রধান কাজই হল যাত্রী সুরক্ষা দেওয়া, অভিযোগ সেখানে আর.পি.এফের আধিকারিকরাই নাকি যাত্রীদের মারধর করছে! অথচ ভারতীয় রেল তাদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি! কাউকে গ্রেফতারও করেনি কেন? বাঙলার আপামর জনগণ জবাব চায়৷ সাম্প্রতিক অতীতে ভারতীয় রেলের সংরক্ষিত কামরায় একাধিকবার বাঙালী নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে৷ প্রশ্ণ উঠেছে আর.পি.এফের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে৷ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে ভারতবর্ষের মাননীয় রেলমন্ত্রীর কাছে দাবী করা হয়---ভারতীয় রেলের সংরক্ষিত কামরায় বাঙালীদের হেনস্থা বন্ধ করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন৷ এছাড়া উপরিউক্ত ঘটনার তদন্ত এবং জড়িত প্রত্যেকের যথোপযুক্ত শাস্তির দাবী জানাচ্ছি৷

প্রবাসী আনন্দমার্গীর আনন্দনগর পরিভ্রমণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

জন্মসূত্রে ভারতীয়, বর্তমানে আমেরিকাবাসী এক প্রবাসী আনন্দমার্গী স্বল্পকালীন সফরে আনন্দনগর ভ্রমণে আসেন৷ মাত্র দু’দিনের এই সংক্ষিপ্ত যাত্রায় তিনি আনন্দনগরের নানাবিধ উন্নয়নমূলক ও সেবামূলক প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করেন৷ বিশেষত, স্পিরিচ্যুয়ালিষ্টস স্পোর্টস অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার্স ক্লাব পরিচালিত ফুটবল একাডেমি ও স্থানীয় মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এপারেলস ট্রেনিং সেন্টার (পোশাক সেলাই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) পরিদর্শন করে তিনি গভীর অনুপ্রেরণা লাভ করেন৷

প্রশিক্ষণের প্রাথমিক পর্যায়েই এখানকার মহিলারা দক্ষতার সঙ্গে ব্লাউজ, নাইটি, সায়া, কিশোরীদের স্কার্ট ও জামা তৈরির কৌশল রপ্ত করেছেন, যা তাঁদের আত্মনির্ভরতার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ৷ আনন্দনগরের এই উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাগুলি দেখে তিনি মুগ্দ হন ও স্বল্পসময়ের এ ভ্রমণ তাঁর হৃদয়ে এক গভীর ছাপ ফেলে যায়৷

এলাঙ্গী গ্রামে অখন্ডকীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

নদীয়া জেলার অন্তর্গত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তি এলাঙ্গী গ্রামের প্রবীণ আনন্দমার্গী ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস (নদীয়া-ভুক্তিপ্রধান) ও শ্রীমতী কল্পনা বিশ্বাস এর নিজ বাসগৃহে গত ২৬শে জানুয়ারী রবিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত-কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত শ্রীমতী কাজল সরকার শ্রীমতী রাজলক্ষ্মী বণিক, ডাঃবৃন্দাবন বিশ্বাস, শ্রীকৌশিকসরকার,শ্রীমতী কল্পনা বিশ্বাস ও কৃষ্ণনগর ডিট(এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যার পরিচালনায় প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের পরে মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম অখন্ড কীর্তন শুরু হয়

মৃদঙ্গ ও অন্যান্য বাদ্য যন্ত্র সঙ্গতে ছিলেন - শ্রীবিবেক জ্যোতি সরকার শ্রীমনোরঞ্জন মন্ডল, শ্রীকালীপদ মন্ডল প্রমুখ৷ নদীয়া জেলা ও তৎপার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকেও বহু ভক্তজন শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন আবহওয়াকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই কীর্ত্তন অঙ্গনে উপস্থিত হয়ে কীর্ত্তনে অংশ গ্রহন করেন৷ অখন্ড কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা,গুরুপুজার পরে স্বাধ্যায় করেন শ্রীমনোতোষ মজুমদার, অনুষ্ঠানে ‘কীর্ত্তন মহিমা’-র ওপর আলোকপাত করেন---কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত ও কৃষ্ণনগর ডিট (এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যা ও গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য৷  কীর্তনানুষ্ঠান শেষে তিন শতধিক ভক্তকে নারায়ন সেবায় আপ্যায়ীত করেন শ্রীমান ছন্দক বিশ্বাস৷