সংবাদ দর্পণ

সাম্প্রদায়িক ভৌগোলিক বিভাজনের পর স্বাধীনতায় বিভাজন--- ১৫ই আগষ্ট রাজনৈতিক স্বাধীনতা, প্রকৃত স্বাধীনতা ২২শে জানুয়ারী - প্রাউটিষ্টদের দাবী অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বুদ্ধির মুক্তি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারত রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছিল৷ কিন্তু ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে ২০২৪ সালের ২২শে জানুয়ারী রামমন্দির প্রতিষ্ঠার দিন৷ এমনটাই দাবী করলেন সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত৷

সবকা সাথ সবকা বিকাশ কি তাহলে হিন্দুত্বের সাথে হিন্দুত্বের বিকাশে পরিণত হলো৷ বিরোধী নেতারা এমনটাই মনে করছে৷ এক দেশ এক নির্বাচন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, দেবত্ব সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণে হিন্দু বোর্ড হিন্দু রাষ্ট্রের রূপায়নে কদম কদম এগিয়ে চলেছে মোদি সরকার৷

এদিকে ভাগবতের মন্তব্যকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে মন্তব্য করেন বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী৷ আসলে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে আর.এস.এসের কোন অবদান নেই৷ বরং তারা ব্রিটিশের দালালী করেছিল৷ তাই যে স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের কোন অবদান নেই, কলঙ্কের ইতিহাস আছে, তা মুছে ফেলতেই তৎপর আর.এস.এস৷

বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন--- ১৫ই আগষ্ট ভারত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করেছে ঠিকই কিন্তু ২২শে জানুয়ারী আবার কিসের স্বাধীনতা! মন্দির প্রতিষ্ঠা কোন স্বাধীনতা নয়, সেটা কোন একটা সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর উৎসব হতে পারে, কিন্তু ভারতবর্ষ তো কোন একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের দেশ নয়, যে তার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিন স্বাধীনতা দিবস হবে৷

শ্রী খাঁ বলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট যে স্বাধীনতা ভারতবর্ষ লাভ করেছে তা রাজনৈতিক স্বাধীনতা হলেও বহু মানুষের ত্যাগ তিতিক্ষা ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে এসেছে৷ তাই ১৫ই আগষ্ট অস্বীকার না করেও বলি দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা সেদিন হবে যেদিন দেশের কোটি কোটি নিরন্ন মানুষ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করবে৷ ভারতবর্ষের প্রতিটি জনগোষ্ঠী তার প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা রচনা করবে, অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেবে৷ সুভাষচন্দ্র স্বপ্ণ দেখেছিলেন অর্থনৈতিক স্বাধীনতার৷ প্রাউট প্রবক্তা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের রূপরেখা তৈরী করে দিয়েছেন৷ জনগণের সামনে এখন একটাই পথ সবরকম কুসংস্কার ভাবজড়তা দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে, রাজনৈতিক ভণ্ডামীকে পদদলিত করে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া৷ সারা ভারতবর্ষকে ভৌগোলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক পরিবেশ, জলবায়ু, নদ-নদীর অবস্থান, মাটির প্রকৃতি, জনগোষ্ঠীর ভাষা-কৃষ্টি-সংস্কৃতির ঐতিহ্য পোষাক পরিচ্ছদ আহার ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয় ইত্যাদি বিচার করে, এক একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে৷ সেই অঞ্চলে কৃষিজ খনিজ সম্পদের ওপর নির্ভর করে সেখানে কৃষি শিল্পের সমন্বয়ে ব্লকভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে তুলবে স্থানীয় মানুষরাই৷ লক্ষ্য থাকবে প্রতিটি মানুষের কর্মসংস্থান ও জীবনধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন---অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রয়ক্ষমতা অর্জনের৷

পাশাপাশি দেখতে হবে মানুষের বুদ্ধির বিকাশ যাতে ঘটে৷ কারণ শোষক কোনদিনই চাইবে না সাধারণ মানুষ সচেতন হয়ে উঠুক সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বিষয়ে৷ ধর্মান্ধ ভাবজড়তায় আচ্ছন্ন সুবিধাবাদী মানুষ চায়না মানুষের সামগ্রিক বুদ্ধি সমগ্র মানবজাতির তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের কাজে প্রযুক্ত হোক৷ তাই তারা মানুষকে নানা জাত পাত সম্প্রদায় বিভক্ত রেখে, জড়বুদ্ধি করে শোষণের ষ্টীম রোলার চালায়৷ তাই প্রাউটিষ্টদের সবরকম ভাবজড়তার বিরুদ্ধে নীরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে মানুষের বুদ্ধির মুক্তি ঘটিয়ে মনের দরজা খুলে দিতে হবে৷

তবেই সুভাষচন্দ্রের অধরা স্বপ্ণ সার্থক হবে, স্বাধীনতা দিবসের বিকৃত ভাবনা দূর হবে, জনগণ প্রকৃত স্বাধীনতা ফিরে পাবে৷3

মোদির বিকাশীল ভারতকে আশঙ্কার কথা শোণাল আই.এম.এফ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (ইন্টার ন্যাশনাল মনিটারি ফাণ্ড) ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিষ্টালিনা জর্জিয়েভা ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন---২০২৫ সালে ভারতের অর্থনীতি দুর্বল থাকবে৷ তাঁর কথায় আমেরিকা অর্থনীতিতে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করছে৷ তবে আগামী ২০শে জানুয়ারী ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন বাণিজ্য নীতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী এক অনিশ্চয়তা দেখা দেবে৷ ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি জানার জন্যে অপেক্ষা করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা৷ তবে ভারতের অর্থনীতি দুর্বল থাকার কোন কারণ জানায়নি জর্জিয়েভা৷

বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন পুঁজিবাদী ছেঁদো অর্থনীতির সঙ্গে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই৷ তারা যে তিমিরে আছে সেই তিমিরেই পড়ে থাকবে৷ তিনি বলেন আই এম এফ যা বলেছে তার সঙ্গে ধনকুবেরদের লাভ লোকসানের সম্পর্ক আছে৷ জনগণ শোষিত হতেই থাকবে৷ পুঁজিবাদী অর্থনীতির হাল যত খারাপ হবে শোষিত জনগণের ওপর শোষণ আরও তীব্র হবে৷ যতদিন না প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্বের ভিত্তিতে বিকেন্দ্রিত পথে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠছে ততদিন জনগণের আর্থিক শোষনের হাত থেকে মুক্তি নেই৷

তিনি বলেন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে উঠবে ভৌগোলিক অবস্থান, জল হাওয়া, প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের ভাষা-কৃষ্টি-সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি নৃতাত্ত্বিক পরিচরকে ভিত্তি করে৷ লক্ষ্য থাকবে প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতা তুলে দেওয়া যাতে তার সুস্থ জীবন ধারণের সব উপকরণ সংগ্রহ করতে পারে৷

ফ্যাসিষ্ট পুঁজিপতি শোষকের লক্ষ্য থাকে ভৌতিক সম্পদ লুণ্ঠনের সাথে সাথে স্থানীয় ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতিকে ধবংস করে সেখানে হীন রুচির নিম্নমানের সঙ্গীত চলচিত্র ইত্যাদি প্রবেশ করিয়ে ছাত্র যুব সমাজকে মানসিক দিক দিয়ে পঙ্গু করে দেওয়া যাতে তারা শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারে৷

সারা বিশ্বেই আজ ফ্যাসিষ্ট পুঁজিপতি শোষকরা এইভাবেই শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে৷ এর একমাত্র প্রতিষেধক প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনীতির বাস্তবায়ন৷

শ্রী খাঁ বলেন জর্জিয়েভার কথায় স্পষ্ট শুধু ভারতের অর্থনীতিই নয়, পুঁজিবাদেরও বিনাশকাল ঘনিয়ে আসছে মানুষকে প্রাউটবরণ করে নেবার জন্যে তৈরী হতে হবে৷

নিউব্যারাকপুরে মার্গগুরু দেবের পদার্পণ দিবস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৯৭৯ সালের ১৪ই জানুয়ারী আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী উঃ২৪পরগণা জেলার নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন৷

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি তাঁর পার্থিব দেহত্যাগ করার পর থেকে প্রতিবছর ১৪ই জানুয়ারী নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুলে মার্গগুরুদেবের পদার্পণ দিবস পালন করা হয়৷

এই উপলক্ষ্যে নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুলে এই দিন সকাল ৯টা থেকে দ্বিপ্রহর ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর স্বাধ্যায় পাঠ করেন জেলার ভুক্তি প্রধান শ্রী সন্তোষ বিশ্বাস, এরপর মার্গগুরুদেবেপ পদার্পণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ ব্যারাকপুর ডায়োসিস সচিব আচার্য উদ্ভাষানন্দ অবধূত সাংঘটনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন৷ এছাড়া ভুক্তিপ্রধান সন্তোষ বিশ্বাস, আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন৷

ক্যালিফর্নিয়ার আল্টাডেনায় দাবানল

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

লস অ্যাঞ্জেলসের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি৷ তার সঙ্গে হাওয়ার গতিবেগ বেশী থাকায় আগুন হু হু করে ছড়াচ্ছে৷ স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ৪০ হাজার একেররও বেশি এলাকা পুড়ে গিয়েছে৷ আগুনের গ্রাসে পুরোপুরি ভস্মীভূত ১২ হাজারর বাড়ি৷ ভিটোমাটিছাড়া এক লক্ষেরও বেশি মানুষ৷

কয়েকটি জায়গায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও আরও ছ’টি জায়গায় আগুন জ্বলছে৷ তার মধ্যে রয়েছে পালিসেডস, ইটন, কেনেথ, লিডিয়া, হার্স এবং আর্চার৷ পালিসেডে আরও ১০০০ একরে নতুন করে দাবানলের আগুন ছড়িয়েছে৷ সেখানে ২২ হাজার একরেরও বেশি এলাকা পুড়ে গিয়েছে৷ পাঁচ হাজার বাড়ি ভস্মীভূত৷

পালিসেড প্রশাসন জানিয়েছে, ১১ শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে৷ তবে হাওয়া চলতে থাকায় অন্য এলাকায় দাবানল ছড়াচ্ছে৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে৷ ৫৭ হাজারের বেশি নির্মাণ বিপদের মধ্যে রয়েছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে এ বার কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে দমকল এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের নানা সরঞ্জাম আনা হচ্ছে৷

গত পাঁচ দিনের অগ্ণিকাণ্ডে লস অ্যাঞ্জেলেসের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে৷ দূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে৷ খারাপ বাতাসের জন্য স্কুল-কলেজগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন৷ বাসিন্দাদের মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ আমেরিকার জাতীয় আবহাওয়া দফতর আগামী সপ্তাহের জন্যেও লস অ্যাঞ্জেলেস ও সংলগ্ণ এলাকায় অগ্ণিকাণ্ডের সতর্কতা জারি করেছে৷ হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন এই এলাকায় আর্দতা কম থাকবে৷ শুষ্ক ও উষ্ণ হাওয়া বইবে৷ বাতাসের সর্র্বেচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার৷

কর্মীদের মনের জোর ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আগুন গিলে খাওয়ার নিদান দিল চিনের সংস্থা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন দৃঢ় করার একটি অংশ হিসাবে এই অদ্ভুত নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি৷ সংস্থারই এক কর্মী এই তথ্যটি ফাঁস করে দেওয়ার ফলে সমাজমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ কর্মীর দাবি, সংস্থাটি কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এবং ভয়কে জয় করার পদ্ধতি হিসাবে আগুন খেতে বাধ্য করেছে৷ ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, রংরং নামের এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এই আজব নির্দেশের কথা জানিয়েছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, কর্মীদের মুখে একটি জ্বলন্ত তুলোর টুকরো ফেলার নির্দেশ দেয় ওই সংস্থা৷

অনেকের মতো চাকরি হারানোর ভয়ে তিনিও এই বিপজ্জনক প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন বলে জানান রংরং৷ সংস্থার কর্তাদের কাছে নিজেদের দৃঢ় মনোভাব বজায় রাখার জন্য দাঁতে দাঁত চেপে এই নির্দেশ মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন কর্মীরা৷ তিনি পুরো কার‌্যকলাপটিকে ‘অপমানজনক’ বলে সমাজমাধ্যমে উল্লেখ করেছেন৷ সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, একমাত্র প্রশিক্ষিত পেশাদাররাই নিরাপদে আগুন গিলে নেওয়ার মতো কাজটি করতে পারেন৷ এর জন্য শ্বাস নিয়ন্ত্রণের বিশেষ কৌশল রপ্ত করতে হয়৷

দৃঢ়তার অনুশীলনের সময় কর্মীদের সঙ্গে কঠোর আচরণের নজির চিনে এই প্রথম নয়৷ একাধিক সংস্থায় কর্মীদের বিভিন্ন অদ্ভুত আচরণ করতে বাধ্য করা হয়৷ সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে পূর্ব চিনের একটি সংস্থা মুখে আগুন নিয়ে তা গিলে ফেলার প্রশিক্ষণ দেয়৷ রীতিমতো আগুন নেভানোর যন্ত্রপাতি নিয়ে এই বিপজ্জনক খেলা শেখেন সংস্থার কর্মীরা৷ এই ঘটনার কথা জানার পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা৷ এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘‘শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য এখনও অনেক পথ যেতে হবে৷’’ অন্য এক জন ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁকেও এই ধরনের কঠিন পরীক্ষার মধ্যে যেতে হয়েছিল৷ দু’মিটার উঁচু থেকে চোখ বন্ধ করে ঝাঁপ দিতে বলা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি৷

ডিজিটাল হ্যাকারদের নতুন ফাঁদ জাম্পড ডিপোজিট স্ক্যাম

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

দেশ জুড়ে বাড়ছে ডিজিটাল লেনদেন৷ সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য৷ নিস্তার পাচ্ছেন না ইউনিফায়েড পেমেন্টসইন্টারফেস বা ইউপিআই অ্যাকাউন্টের গ্রাহকরাও৷ সাইবার অপরাধীদের হাতে পড়ে হতে হচ্ছে সর্বসান্ত৷ ইউপিআইয়ের হ্যাকার হামলাকে বলা হচ্ছে ‘জাম্পড ডিপোজিট স্ক্যাম’৷ ইতিমধ্যেই এই নিয়ে গ্রাহকদের সতর্ক করেছে সরকার৷

কী ভাবে ‘জাম্পড ডিপোজিট স্ক্যামে’র ফাঁদে পড়ছেন ইউপিআই ব্যবহারকারীরা? পুলিশ সূত্রে খবর, এর জন্য একটি অভিনব রাস্তা অবলম্বন করছে হ্যাকারদের দল৷ প্রথমেই তাঁরা একজন ইউপিআই ব্যবহারকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছোট অঙ্কের টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন৷ দ্বিতীয় ধাপে গ্রাহকের মোবাইল ফোনে আসছে নোটিফিকেশন৷ সেখানে তাঁকে অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে৷

গ্রাহক নোটিফিকেশন পেয়েই সেখানে ক্লিক করছেন৷ নোটিফিকেশনে ‘কালেক্ট মানি’ শব্দবদ্ধ লেখা থাকছে৷ ফলে কোনও রকমের সন্দেহ না করে ইউপিআই ব্যবহারকারী পিন লিখে দিচ্ছেন সেখান৷ আর সঙ্গে সঙ্গে সেটি চলে যাচ্ছে গ্রাহকদের হাতে৷ এর পর ওই পিনের সাহায্যেই তাঁর অ্যাকাউন্ট খালি করে অন্যত্র চম্পট দিচ্ছে হ্যাকারদের দল৷

সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে তামিলনাড়ু পুলিশ৷ বিষয়টি ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে নথিবদ্ধ করেছেন তাঁরা৷ পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে গ্রাহকদের ইউপিআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে৷

প্রথমত, কোনও নোটিফেকেশন এলে তা সঙ্গে সঙ্গে খোলার থেকে বিরত থাকতে বলেছে পুলিশ৷ অন্তত ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা৷ এ ছাড়া অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স পরীক্ষার সময়ে প্রথমে একটি ভুল পিন দিতে বলছে পুলিশ৷ সে ক্ষেত্রে ভুল নম্বর পাবে হ্যাকারদের দল৷ সেটি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করতে পারবেন না তাঁরা৷

ছাত্ররা স্কুলে এসে ‘ফেসিয়াল স্ক্যানিং’ করলেই ছাত্রদের স্কুলে পৌঁছোনোর খবর পাবেন অভিভাবকরা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

স্কুলের নাম করে আর অন্যত্র ঘুরে বেড়ানো যাবে না৷ স্কুলে ঢোকার সময়েই তথ্য পৌঁছে যাবে অভিভাবকের কাছে৷ প্রযুক্তির ব্যবহার করে পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে পদক্ষেপ করল সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল৷ পড়ুয়াদের উপস্থিতির উপরে নজরদারি চালাতে ‘ফেসিয়াল স্ক্যানিং’ এবং গুগল প্লে-স্টোরের মাধ্যমে অ্যাপ চালু করতে চলেছে নারায়ণ দাস বাঙুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুল৷

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, ‘‘আমাদের কাছে বিভিন্ন সময়ে বহু অভিযোগ এসেছে অভিভাবকদের কাছ থেকে৷ বেশ কিছু ছাত্র স্কুলের নামে ঘর থেকে বেরোলেও পরে স্কুলে এসে উপস্থিত হয়নি৷ এ ছাড়াও অকারণে ছুটি নেওয়া প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছিল৷ সব দিক বিচার করে ডিজিটাল নজরদারির উপর জোর দিতে এই ব্যবস্থা স্কুলের৷ সম্পূর্ণ স্কুলের উদ্যোগে এই কাজ করা হয়েছে৷’’

স্কুলের তরফ থেকে বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ অ্যাপ৷ যা গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে স্কুলের নাম টাইপ করলেই ডাউনলোড করতে পারবেন অভিভাবক থেকে পড়ুয়ারা৷ এই অ্যাপে দু’টি বিভাগ করা হয়েছে৷ একটি হল, অ্যাকাডেমিক বিভাগ এবং অপরটি হল নন অ্যাকাডেমিক বিভাগ৷

ইতিমধ্যেই অবশ্য বেশ কয়েকটি স্কুল পড়ুয়াদের ‘বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স’ চালু করেছে৷ নারায়ণ দাস বাঙুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুলের এক প্রবীণ শিক্ষকের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনেক সময়ে বহু পড়ুয়া সেই বায়োমেট্রিক কার্ডের অপব্যবহার করছে৷ অন্য কাউকে সেই কার্ড দিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ এমন চেষ্টা বানচাল করতে ‘ফেসিয়াল স্ক্যানিংয়ের’ ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ছাত্ররা স্কুলে এসে ফেসিয়াল স্ক্যানিং করলেই তার সমস্ত তথ্য চলে যাবে অভিভাবকের মোবাইলে ডাউনলোড করা অ্যাপে৷ সে কোন সময়ে স্কুলে এসেছে এবং স্কুল থেকে কোন সময়ে বেরিয়ে গিয়েছে, তা জানতে পারবেন অভিভাবক৷

তবে স্কুলের তৈরি করা এই অ্যাপ শুধু উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য নয়৷ এই অ্যাপের মাধ্যমেই ছুটির আবেদন করতে হবে পড়ুয়াদের৷ ক্লাসের কোনও সমস্যা হলে সেটাও সরাসরি অভিযোগ নথিভুক্ত করা যাবে৷ এমনকি ভিডিও আপলোড ও ডাউনলোড করার সুযোগও থাকছে৷ এ ছাড়া, রেজাল্টও এই অ্যাপের মাধ্যমে দেখতে পাবে অভিভাবকেরা৷

এই অ্যাপের আর একটি বিশেষত্ব হল পড়াশোনার পাশাপাশি এতে ছাত্র-ছাত্রীদের গান, বাজনা এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ স্পোকেন ইংলিশ, রবীন্দ্র সঙ্গীত, আধুনিক গান-সহ নানা ভিডিও আপলোড করা থাকবে এতে, যা পড়ুয়ারা চাইলে দেখতে পারবে৷

স্কুলের তরফ থেকে উপস্থিতির জন্য তিনটি সময় ধার‌্য করা হয়েছে৷ ১০.৪০ মিনিটে যারা স্কুলে প্রবেশ করবে, তাদের উপস্থিত ধরা হবে৷ এগারোটার মধ্যে স্কুলে এলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে লেট বলে গণ্য করা হবে৷ ১১ টা বেজে পাঁচ হয়ে গেলে তাকে অনুপস্থিত বলে দেখানো হবে৷

কবে এই নতুন পদ্ধতি চালু হবে তা এখনও স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করেনি৷ তবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু হবে পড়ুয়াদের ‘ফেসিয়াল স্ক্যানিং’-এর প্রক্রিয়া৷ এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই দ্রুত এই নয়া উপস্থিতির পদ্ধতি চালু করা হবে বলে জানাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ তবে এই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে একটি মাত্র ফোন নম্বরে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে৷ একাধিক ব্যক্তি এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না৷ প্রথমে এই ’’ফেসিয়াল স্ক্যানিং’’- এর মাধ্যমে পড়ুয়াদের উপস্থিতি নথিভুক্ত করা হলেও, আগামী দিনে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উপস্থিতিও এই ‘ফেসিয়াল স্ক্যানিং’- এর মাধ্যমে করা হবে বলে জানাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ৷

এ আইয়ের জন্যে দু’হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাসের রহস্য উন্মোচিত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না নিকোলার্ডি৷ এও কী সম্ভব! এআইয়ের কল্যাণে দু’হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাসের রহস্য আজ উন্মোচিত৷

ইটালির নেপল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ‘প্যাপিরোলজিস্ট’ ফেডেরিকা নিকোলার্ডি৷ প্যাপিরাসে প্রাচীন লিখনের পাঠোদ্ধার তাঁর কাজ৷ সেই সূত্রে জানতে পারেন ‘ভিসুভিয়াস চ্যালেঞ্জ’-এর কথা৷ ৭৯ খ্রিস্টাব্দের প্রাচীন একটি গোটানো প্যাপিরাসের টুকরো৷ মাউন্ট ভিসুভিয়াসের অগ্ণ্যুৎপাতে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া, প্রায় ভঙ্গুর টুকরোটি অষ্টাদশ শতাব্দীতে উদ্ধার হয় ইটালির পম্পেই থেকে৷ বছরের পর বছর চেষ্টা চলেছে৷ কিন্তু সেটির পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি৷ শেষমেশ এআইয়ের শরণাপন্ন হওয়া৷ তাতেই কেল্লা ফতে৷ ‘কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি’, ত্রিমাত্রিক ম্যাপিং আর এআই-নির্ভর ‘মেশিন লার্নিং’-এর দৌলতে গোটা প্যাপিরাসের লেখা এখন পাঠযোগ্য৷ পাঁচ কলামে ছড়ানো আগাগোড়া গ্রিক অক্ষরে লেখা লাইনগুলি পড়তে পড়তে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারছিলেন না নিকোলার্ডি‘‘অবিশ্বাস্য৷ দু’হাজার বছর আগের ইতিহাস হাতের নাগালে৷ প্যাপিরোলজির জগতে এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত৷’’

শুধু কি তাই! প্রাচীন গ্রিক ও লাতিন লিখন, ষাঁড়ের হাড় বা কচ্ছপের খোলসে খোদিত চিনের ‘অরাকল বোন স্ক্রিপ্ঢ’, সব কিছুর পাঠোদ্ধারে এআই নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে৷ উদ্ধার হওয়া প্রাচীন নানা শিলালিপির অর্থ বুঝতে, হারিয়ে যাওয়া লিপি বা ভাষার হদিস দিতে আশা জাগাচ্ছে৷ কী ভাবে হচ্ছে কাজ? ‘ডিজিটাইজ’ করে প্রাচীন লিখনের তথ্য বিশ্লেষণ আগেই করেছে কম্পিউটার৷ তবে ‘নিউরাল নেটওয়ার্ক’-এর মাধ্যমে বিরাট তফাৎ গড়েছে এআই৷ মানুষের মস্তিষ্ক যে ভাবে কাজ করে, অনেকটা সেই পথে এই পদ্ধতিতে এআই কম্পিউটারকে তথ্য বিশ্লেষণ করতে নির্দেশ দেয়৷ উদ্ধার হওয়া প্রাচীন লিখন, শিলালিপির তথ্য ‘ডিজিটাইজ’ করে, তার ভিত্তিতে অজানা লিখন বা লিপির অচেনা, না থাকা ‘ক্যারেকটার’ সম্পর্কে ধারণা মিলছে৷ একটি উদাহরণে বিষয়টি বোঝা যাক৷ ধরুন, প্রকৃতি বিষয়ক একশোটি কবিতা আপনাকে পড়তে দেওয়া হল৷ সেগুলির তথ্য মাথায় রেখে একই ধরনের অচেনা কোনও কবিতার অনুপস্থিত শব্দগুলি সম্পর্কে অনুমান করা যায়৷ সেই কাজই করছে এআই-নির্ভর প্রযুক্তি৷ সম্প্রতি ‘নিউরাল নেটওয়ার্ক’-নির্ভর ‘পিথিয়া’ নামের একটি মডেল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে লন্ডনে৷ খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দী ও পঞ্চম খ্রিস্টাব্দের মধ্যে লেখা দশ হাজার গ্রিক শিলালিপির তথ্য মডেল নেটওয়ার্কে দেওয়া হয়েছিল৷ দেখা গিয়েছে, তা থেকে অজানা শিলালিপি, যার একাধিক অক্ষর বা প্রতীক অনুপস্থিত, সফল ভাবে তার ধারণা দিতে পারছে প্রযুক্তি৷ প্রযুক্তির বড় সুবিধা হল, তা জটিল, বিপুল পরিমাণ তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে৷ তা সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণেও দড়৷ কোনও মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়, জানাচ্ছিলেন নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস গবেষক থিয়া সমারসিল্ড৷ থিয়ার কথায়, ‘‘২০২২-র পরে নতুন যে ‘ইথাকা’ মডেল নিয়ে আমরা কাজ করছি, তা অজানা লিপির লেখার সময় ও জায়গা সম্পর্কেও ধারণা দিচ্ছে৷ তা ছাড়া, এখন মেশিন লার্নিংয়ের ট্রান্সফর্মার মডেলও এসেছে৷ প্রাচীন লিখনের জটিল ভাষাগত ধরন অনুধাবনের পথও তাতে খুলবে বলে আশা করা যায়৷’’

হিন্দি হাঙরের মুখে বহু জনগোষ্ঠী প্রাউটের পথে সমাজ আন্দোলনই সমস্যার সমাধান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 স্বাধীনতার পর থেকেই স্বদেশী সাম্রাজ্যবাদী শোষকের শোষণের স্বীকার ভারতের বিশেষ করে পূর্ব ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের জনগোষ্ঠীগুলি৷ শোষনের প্রাথমিক কৌশল ছিল হিন্দিভাষাকে অবলম্বন করে অন্যান্ন ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতিকে অবদমিত করে রাখা৷ বাংলা ছাড়া ভোজপুরী, মগহী, অঙ্গিকা, মৈথিলী, বুন্দেলি, বাঘেলী সহ বেশ কিছু ভাষার ক্ষেত্রে শোষকরা অনেকটাই সফল৷ বাংলাকেও অবদমিত করে রাখার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছে৷ তবে বাংলার উন্নত ভাষা ,সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে পেরে উঠছে না৷ বিহারের জনগোষ্ঠীগুলোকে তাদের মাতৃভাষা ভুলিয়েই দিয়েছে৷

সাম্রাজ্যবাদী ফ্যাসিষ্ট শোষকদের উদ্দেশ্যই হলো কোন জনগোষ্ঠীকে মানসিক অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল করতে তার ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি ধবংস করে সেখানে নিম্নমানের হীনরুচির সাহিত্য, সঙ্গীত চলচিত্রের প্রসার৷ এইভাবে ছাত্র যুব সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া ও মানসিক দিক দিয়ে পঙ্গু করে অবাধে শোষণ চালিয়ে যাওয়া৷ ভারতে একশ্রেণীর পুঁজিপতি তাদের অর্থে পালিত রাজনৈতিক দলের সাহায্যে হিন্দি ভাষার মাধ্যমে সেই কাজটাই করছে৷ বাঙলাতেও আজ নির্দয়ভাবে ফ্যাসিষ্ট শোষণ চলছে, এ কথা অস্বীকার করা যাবে না৷ ফ্যাসিষ্ট শোষকরা একদিকে বাঙলার ব্যবসা বাণিজ্য দখল করে বাঙলার প্রাকৃতিক সম্পদ লুন্ঠন করছে৷ অপর দিকে হিন্দি নিম্নমানের চলচিত্র গানের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে সংস্কৃতিকে অবদমিত করছে ও যুব সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে

 ও তাদের মানসিকভাবে দুর্বল করছে৷

এই নির্দয় শোষণের অবসান ঘটাতে প্রাউট সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনের বিধান দিয়েছে৷ এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করা যা স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও অধরা৷ প্রাথমিকভাবে প্রতিটি মানুষের হাতে দিতে হবে ক্রয়ক্ষমতা জীবনধারণের নূন্যতম প্রয়োজনপূর্ত্তির জন্যে৷ ধাপে ধাপে প্রতিটি মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া৷ শুধু বাঙলা ভারত নয় বিশ্বের প্রতিটি জনগোষ্ঠীই সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করবে৷ এইভাবে সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে প্রাউট সর্বশ্রেণীর মানুষের সার্বিক কল্যাণ সুনিশ্চিত করবে৷

অসমকে বাঙালীমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু বাঙলার মাটি থেকে বাঙালী উচ্ছেদের চক্রান্ত

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অসম আমরা বাঙালীর রাজ্যসচিব ও অসমের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির কো-চেয়ারম্যান সাধনপুরকায়স্থ অভিযোগ করেন---অসমিয়া আধিপত্যবাদীদের দৌরাত্মে ব্রহ্মপুত্র ও বরাকভ্যালির ১৫ থেকে ২০লক্ষ বাঙালী অসম ছেড়ে স্থায়ীভাবে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্য রাজ্যে চলে গেছেন তিনি বলেন এখনও যদি বাঙালীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে না দাঁড়ায় তাহলে অসমে বাঙালী শূন্য হয়ে যাবে৷ বাঙালী হিন্দু-মুসলমান মিলিতভাবে লড়াই না করলে বাঙলার নিজস্ব জমি বরাকভ্যালিতেও বাঙালী থাকতে পারবে না৷ শ্রীপুরকায়স্থ মনে করেন---বাঙালীর সামনে আরও বড় বিপদ আছে৷

ইতিমধ্যে অসমকে বাঙালী মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে অসম সরকার৷ সম্প্রতি লাহোরিঘাট এডুকেশন ব্লকের উলুবাড়ি এমই এম স্কুলের আবদুর রশিদ ও ঠেংশালি খণ্ডপুকুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খাইরুল ইসলাম নামের দুই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ বর্ডার পুলিশ দুজনের বিরুদ্ধে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে নালিশ করে৷ ট্রাইব্যুনাল দুজনকে বিদেশী নাগরিক বলে ঘোষনা করে৷ শ্রীপুরকায়স্থ বলেন--- দুজনেই বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ নিয়ে গৌহাটি হাইকোর্টে আবেদন করেছেন, উচ্চ আদালত তাদের আবেদন গ্রহণ করেছে৷ বিষয়টি বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও গত ২৪শে ডিসেম্বর দুজনকেই বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়৷ অসমে অনেককেই বিদেশী তকমা দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়৷ ডিটেনশন ক্যাম্পে অনেকে মারাও গেছেন৷ আবার অনেকে বৈধ নথিপত্র দেখিয়ে আদালতের রায়ে ডিটেনশনক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এসেছেন৷

অসমে বাঙালী নির্যাতন নতুন কোন ঘটনা নয়, স্বাধীনতার পর থেকেই গোপীনাথ বরদৌলি মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই অসম থেকে বাঙালীকে বিতাড়ণের চক্রান্ত চলছে৷ দিল্লীতে শাসক পরিবর্তন হলেও দিল্লির শাসকের বাঙালী বিদ্বেষী চরিত্রের কোন পরিবর্তন হয়নি৷ নীতিগতভাবে কংগ্রেস বিজেপির মধ্যে যতই ফারাক থাক, বাঙালী বিদ্বেষী নীতিতে নেহেরু থেকে মোদি কোন ফারাক নেই৷ এমনকি বিজেপির হিন্দুত্ববাদ বাঙালীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি৷ বাঙালী আর কবে এদের চরিত্র চিনবে৷

ভৌগোলিক ঐতিহাসিক বিচারে অসমের সিংহভাগ অঞ্চলই বাঙলার অংশ৷ দেশভাগের বলি হয়ে ওপার থেকে অনেক বাঙালী অসমে এসে স্থিত হয়েছে একথা অস্বীকার না করেও বলা যায় অসমের প্রকৃত ভূমিপুত্রও বাঙালী,আজকের অসমিয়ারা সাবেক ব্রহ্মদেশের নাগরিক৷ এরা ব্রহ্মদেশ থেকে এসে প্রাগ জ্যোতিষপুর (আজকের অসম) আশ্রয় নেয়৷