বৈষম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে নীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে
সততা, সেবা, নিষ্ঠা, মানবিক মূল্যবোধ সম্বন্ধে যদি সমাজের বুকে বেশকিছু ব্যষ্টির আন্তরিকতা ও আগ্রহ না থাকে তা হলে সমাজের কল্যাণ হয় না আর কল্যাণকামী মানসিকতারও প্রতিফলন সম্ভব নয়৷
সততা, সেবা, নিষ্ঠা, মানবিক মূল্যবোধ সম্বন্ধে যদি সমাজের বুকে বেশকিছু ব্যষ্টির আন্তরিকতা ও আগ্রহ না থাকে তা হলে সমাজের কল্যাণ হয় না আর কল্যাণকামী মানসিকতারও প্রতিফলন সম্ভব নয়৷
বিশ্বের ইতিবৃত্তের নিরীখেই বলতে বাধ্য হচ্ছি বিরাট জনবহুল দেশ ভারতযুক্তরাষ্ট্রের যেটুকু গুরুত্ব সেইটুকু হলো এই চির গরিব দেশটা আপেক্ষিক জগতে অন্য উন্নত দেশগুলো এই দেশটিকে ব্যবসায় ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়৷ তাই এই দেশের শাসকরা সারা পৃথিবীর অধিকাংশের কাছে কিছুটা গুরত্বপূর্ণ হয়ে গেছেন৷ এই দেশের বাজারটা পেতে এর গুরুত্বটা অনেক বছর আগেই পাওয়া গেছে৷ দুটি কি তিনটি শক্তিশালী দেশ যেমন আমেরিকা, চীন, ও রাশিয়ার নজর এই দেশের দিকে বেশী আছে, আর অতীতের সাম্রাজ্যবাদী দেশ সেই ইংরেজ জাতি বর্তমানে দুর্বল হলেও কূটনীতিতে এই দেশটি খুবই পটু তাই নজরটা আগা গোড়াই আছে এর উপর৷ সেই ইংরেজের দেওয়া স্বাধীন দেশ ভারত যুক
১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করেছে৷ এর পেছনে রয়েছে বহু বরেণ্য মানুষের অপরিসীম ত্যাগ ও কষ্টবরণ৷ শত শত শহীদের জীবনদানের ফলে এই স্বাধীনতা আমরা লাভ করেছি৷ তাঁদের হূদয়ে ছিল একান্ত বাসনা–‘‘ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে৷/ধর্মে মহান্ হবে,/কর্মে মহান্ হবে,/নব দিনমণি উদিবে আবার পুরাতন এ পূরবে৷’’ এই আশা বুকে নিয়েই তাঁরা হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছেন৷ তাঁদের আত্মত্যাগের মূল্যেই আমরা ব্রিটিশ শাসনের কবল থেকে মুক্তি লাভ করেছি৷
আর.জি.কর হাসপাতালে কর্মরতা মহিলা ডাক্তারের ওপর নৃশংস অত্যাচার ও খুনের প্রতিবাদে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পথে নেমেছিলেন৷ এই নয় যে এইধরণের ঘটনা রাজ্যে বা দেশে এই প্রথম ঘটল৷ গোটা দেশের রাজ্যগুলির বিভিন্ন থানার তথ্য থেকে জানা যায় দেশে বছরে ৩০-৩৫ হাজার ধর্ষনের ঘটনা ঘটে যার সিংহভাগ উত্তরপ্রদেশে৷ তবু আর.জি.কর একটু অন্য মাত্রা পায় কারণ নির্যাতিতা ছিলেন একজন কর্মরতা ডাক্তার৷
বাংলাকে ঝাড়খণ্ডের প্রধান রাজভাষা করা ও ১০০ ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বাঙালীদের কর্মসংস্থানের নিশ্চিততার দাবী নিয়ে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে খরসোঁওয়া কেন্দ্রে, জুগসলাই কেন্দ্রে ও বোকারো কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে ‘আমরা বাঙালী’ রাজনৈতিক দল৷
বাংলায় প্রবাদ আছে– ‘জীব দিয়েছেন যিনি–আহার দেবেন তিনি’ সৃষ্টিকর্তা অফুরন্ত সম্পদে ভারে দিয়েছেন প্রাকৃতিকে৷ তাই প্রতিটি মানুষের জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন–অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের অভাব থাকার কথা নয়৷ কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদের যথার্ত উপযোগ গ্রহণ না করা ও এক শ্রেণীর মুনাফাখোর ধনকুবেরদের সীমাহীন সঞ্চয়ের লোভ পৃথিবীতে ধনবৈষম্য সৃষ্টি করেছে৷ তাই একদিকে যেমন আজও অনাহারে অ–চিকিৎসায় মানুষ মারা যাচ্ছে, অপরদিকে মুষ্টিমেয় কিছু ধনকুবের অগাধ সম্পদ সঞ্চয় করে ভোগ–লালসায় উশৃঙ্খল জীবন–যাপন করে ধনবৈষম্য সৃষ্টি করছে ও সমাজকে দুষিত করছে৷
আজ বার বার মনে পড়ছে সেই মহান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের উক্তি৷’’ ‘‘শক, হুন দল পাঠান মোগল এক দেহে হলো লীন.....এই ভারতের মহামানবের সাগর তীরে৷’’ তাই তো ভারতের সংবিধানে বলা হয়েছে---ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে৷’’ তাই যাঁরা এই দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের শাসনে আসবেন তাঁদের অবশ্যই উদারপন্থী হতেই হবে৷ ব্যষ্টি জীবনে তাঁরা যে ধর্মমতের বিশ্বাসী হোন না কেন! এই সত্য কথাটিকে কেউই অস্বীকার করতে পারেন কি বিশেষ করে শাসনে এসে? যদি সেটা হয় সেটা হবে সংবিধান বিরোধী কাজ কি নয়? দেখা যাচ্ছে বর্তমানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই সাধারণ নির্বাচনে নাকি গোঁড়া হিন্দুত্বের সেন্টিমেন্ট নিয়ে তীব্র প্রচার চালাবে!
ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক শোষণই হ’ল সব ব্যর্থতার মূল কারণ৷ মনে রাখতে হবে সাধারণ মানুষ কোন মতাদর্শের ধার ধারে না৷ তারা দু’মুঠো খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে চায়৷ সেই স্থানে যদি শোষণ ও বঞ্চনা হয় তাহলে তারা অবশ্যই রুখে দাঁড়ায়৷ দেশে দেশে শোষণের ছলাকলার পরিবর্ত্তন ঘটিয়ে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিশ্ব কব্জা করেছে৷ এমনকি যারা ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সময়ে বড় বড় কথা বলে জনগণকে নিজেদের দিকে টেনে এনেছিল, শেষে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা তাদের ওই ধনতন্ত্রের অক্টোপাশের বন্ধনেই আবদ্ধ করে ফেলে৷ তাই রাশিয়া ও চীন সেই ধনতন্ত্রেরই পায়ে ফুল দেয়৷ আর চীন মিথ্যাচারিতা করে কমিউনি
বর্তমান সমাজে যে সার্বিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে তাকে মোকাবিলা করতে হবে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবেই৷ তা না করে যদি কেবল পৃথক পৃথক ভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে প্রতিবাদ ও মিছিল করা হয় তাতে কাজের কাজ হবে না৷ গোটা দেশে বিদেশী ইংরেজের শোষণের বিরুদ্ধে যে ঐক্যবদ্ধ তীব্র আন্দোলন হয়েছিল সেই আন্দোলনের ফলে ইংরেজ শোষক বুঝে নেয় যে তাদের শোষণ আর চলবে না৷ তারা চিন্তা করতে থাকে কি ভাবে প্রতিবাদী শক্তিকে প্রতিহত করবে৷ কিন্তু এমনই একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ফলে যাতে ইংরেজ বাধ্য হয় এদেশ ছেড়ে যেতে৷ কিন্তু তারা রেখে যায় তাদের এজেন্টদের৷ সেই এজেন্টরাই আজ দীর্ঘ ৭৭ বছর দেশ স্বাধ
কালচক্রের বিধানে আর একটা ২১শে অক্টোবর পেরিয়ে গেল৷ এই দিনটি আনন্দমার্গীদের কাছে অতীব দুঃখের! পরমারাধ্য ৰাৰা এই দিন আমাদের ছেড়ে চলে যান তাঁর ইহলীলা ত্যাগ করে! তিনি এক মহান কর্মযোগী৷ তাই তিনি কাউকে না জানিয়েই চলে যায়৷
তিনি রেখে যান তাঁর বিশ্ব জোড়া সংঘটন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ আর সারা পৃথিবীর ১৮২টি দেশে লক্ষ লক্ষ ভক্ত যাঁরা মহান কর্মযজ্ঞে যুক্ত৷ তাঁর আবির্ভাব সেই মহা পবিত্র বিহারের জামালপুরে ২১শে মে ১৯২১শে আর তিরোধান সেই ১৯৯০ এর ২১শে অক্টোবর সেই কলকাতার তিলজলার আনন্দমার্গ আশ্রমে৷