August 2021

প্রাথমিক স্কুল খোলার সময় এসেছে

কোভিড পরিস্থিতির কারণে দেড়বছর স্কুল বন্ধ৷ শিশুরা গৃহবন্দি৷ অনলাইন ক্লাসে শিশুদের গৃহবন্দি দশা ঘোচে না৷ নয়া দিল্লির এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলোরিয়া প্রাথমিক স্কুল খোলার পক্ষে মত দেন৷ তবে তিনি বলেন যে সব এলাকায় কোভিড পজিটিভিটির হার পাঁচ শতাংশের কম সেখানে স্কুল খোলার সময় হয়েছে৷ গুলোরিয়া বলেন শিশুদের মধ্যে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বেশী তাই শিশুদের সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক কম৷ তাই শিশুদের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে ও  সার্বিক উন্নয়নের জন্যেই স্কুল খোলা আবশ্যিক৷ তবে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনেই স্কুল খুলতে হবে৷ আই সি এম আয়ের সেরো সমীক্ষার প্রতিবেদনও স্কুল খোলার পক্ষে৷

১০০ দিনের কাজে সবার আগে বাঙলা

২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১০০দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষস্থানে৷ এই কাজ বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ,  উত্তরপ্রদেশ, মোদির গুজরাট পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক পিছিয়ে৷ সংসদে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ১০০ দিনের কাজের তালিকায় দেখা যায় শীর্ষে আছে পশ্চিমবঙ্গ৷ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে ৬৫.৬২ লক্ষ পুরুষ ও ৫২.৬৬ লক্ষ মহিলা কাজ পেয়েছে৷ চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত ৫১.৫৪ লক্ষ মানুষ কাজ পেয়েছে৷

সম্পদের অভাব নয়, পরিকল্পনার ত্রুটি দারিদ্রতার কারণ - প্রাউটই চিরস্থায়ী সমাধানের পথ

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত কলিকাতায় এক আলোচনা সভায় বলেন--- সার পৃথিবীতে আজও কোটি কোটি নিরন্ন মানুষের হাহাকার৷ অপুষ্টির শিকার পৃথিবীর দারিদ্র্য-অধ্যুষিত অঞ্চলের মানুষ৷ পৃথিবীতে সম্পদের অভাব নেই৷ সম্পদের অবপব্যবহার , ত্রুটিপূর্ণ পরিকল্পনা ও ধন বৈষম্য এই দুরাবস্থার কারণ৷ একদিকে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে উপচে পড়া ধন-সম্পদ, অপরদিকে দারিদ্র্যের কবলে পড়ে আছে কোটি কোটি মানুষ৷ সামাজিক-আর্থিক-সাংস্কৃতিক জীবনের সর্বক্ষেত্রেই আজ পুঁজিবাদী দানবের দাপট৷

নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির শহীদ স্মরণ

শিলচর থেকে  হিল্লোল ভট্টাচার্য ঃ নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি, অসম এর পক্ষ থেকে আজ ১৯৮৬ সালে সেবা সার্কুলার প্রত্যাহার করার দাবীতে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে শহীদ জগন্ময় দেব, দিব্যেন্দু দাস ও ২০১০ সালে বরপেটায় ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চক্রান্তকে রুখে দিতে এন.আর.সি,র তথাকথিত পাইলট প্রজেক্ট বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে শহিদ মাজম আলি, মাইদুল ইসলাম মোল্লা, সিরাজুল হক ও মতলেব আলিকে শ্রদ্ধার  সঙ্গে  স্মরণ করে৷ সংঘটনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তথা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য এক প্রেস বার্তায় জানান যে তাঁদের  মৃত্যু গোটা রাজ্যের ভাষিক ও ধর্ম

শ্যামনগরে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ

ত্রিপুরায় বাঙালীর অস্তিত্ব ধবংসকারী গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড বিল ও পশ্চিমবঙ্গের অসাংবিধানিক গোর্র্খল্যাণ্ড টোরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্টেশন বা সংক্ষেপে  জিটিএ বাতিলের দাবীতে গত ২০ জুলাই ২০২১, শ্যামনগর রেলস্টেশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল ‘‘আমরা বাঙালী’’ সংগঠন৷ উপস্থিত ছিলেন---কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, কেন্দ্রীয় ছাত্র সচিব তপোময় বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অরূপ মজুমদার, মোহন অধিকারী, শেখর সাহা, সাগরিকা পাল সব জনা ২৫ কর্মী সমর্থকবৃন্দ৷ বিক্ষোভ সভায় জয়ন্ত দাশ বলেন বাঙালীর অস্তিত্ব ধবংস করতেই হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের এই চক্রান্ত৷ সকল স্তরের বাঙালীদের কাছে আহ্বান রাখছি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আ

অমৃতলোকে  অমিতাভ সেনগুপ্ত

amitabha Sengupta

বিশিষ্ট সমাজসেবী ও নিষ্ঠাবান আনন্দমার্গী শ্রী অমিতাভ সেনগুপ্ত গত ১৮ই জুলাই ভোরে পরলোক গমন করেন৷ তিনি ১৯৪২ সালের বুদ্ধপূর্ণিমায় জন্মগ্রহণ করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর৷ তিনি বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া শহরের প্রতাপ বাগানের বাসিন্দা ছিলেন৷ বাঁকুড়া পাঁচমুড়া কলেজে সংস্কৃতের অধ্যাপক ছিলেন৷ ওই কলেজ থেকেই তিনি চাকুরী জীবনের অবসর নেন৷ শ্রী অমিতাভ সেনগুপ্ত আনন্দমার্গের একজন আদর্

কবে বাঙালীর জীবন থেকে কালরাত্রির অবসান হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

এন আর সি-র কালো ধোঁয়া, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের অন্ধগলি, রাষ্ট্রহীনতার আশঙ্কা, রাজনৈতিক তঞ্চকতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক সাম্প্রদয়িক বিভেদ, সাংস্কৃতিক অবক্ষয়, শিক্ষার পবিত্র অঙ্গণে উচ্ছৃঙ্খলতা, সাহিত্যের নামে অশ্লীলতা, ধর্মের নামে বেলেল্লাপনা, সোনার বাঙলার স্বপ্ণ দেখিয়ে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদীর অনুপ্রবেশ, আদর্শহীন ভোট সর্বস্ব রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় পররাজ্যবাসীদের তোষণ--- বাঙালীর জীবনে সূর্যোদয়ের সকালটাও কালো অন্ধকারে ঢেকে দেয়৷

প্রগতির আধার

এই পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব হয়েছে আজ থেকে প্রায় দশ লাখ বছর আগে৷ তখন থেকেই মানুষের মনে সুখপ্রাপ্তির এষণা ছিল, আজও আছে, সর্বদা থাকবে৷ এই সুখপ্রাপ্তির এষণার দ্বারা অর্থাৎ একটা মানসিক অভীপ্সার দ্বারা–যার পূর্ত্তির জন্যে মানুষ চেষ্টাশীল হয়–প্রেষিত হয়ে সুদূর অতীতে ধর্ম জীবনে পদার্পণ করেছিল৷ এই এষণা কেবল মানুষের মধ্যেই রয়েছে, জন্তু–জানোয়ারের মধ্যে নেই ৷  তবে হ্যাঁ, যে সব জন্তু–জানোয়ার মানুষের সংস্পর্শে বাস করে, মানুষের সঙ্গে যাদের একটা বোঝাপড়া হয়েছে তাদের মধ্যেও অল্প পরিমাণে এই এষণা রয়েছে৷ কিন্তু স্ফুটতরভাবে রয়েছে কেবল মানুষের মধ্যে৷ এই এষণা মানুষের মধ্যে রয়েছে বলেই তার নাম মানুষ৷ ‘মানুষ’ শব্দের

গণ-অর্থনীতি ও মানস-অর্থনীতি

আজকের অধিকাংশ অর্থনীতিবিদই মানস-অর্থনীতি আর গণ-অর্থনীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ অপরিচিত–আর তাই তাঁদের বর্ত্তমান অর্থনৈতিক ধ্যান–ধারণায় অর্থনীতির এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ শাখাই কোন স্থান পায়নি৷

কোনো অর্থনীতিকে উন্নত অর্থনীতি (Developed Economy) অভিধায় অভিহিত করতে গেলে তাতে থাকবে চারটি মুখ্য ধারা–

প্ত গণ-অর্থনীতি (People’s Economy)

প্ত সাধারণ অর্থনীতি (General Economy)

প্ত মানসভৌম-অর্থনীতি (Psycho-Economy)

প্ত বাণিজ্যিক-অর্থনীতি (Commercial Economy)

নেতা নির্বাচনে সচেতন হতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকুল সমান দুই ভাগে বিভক্ত৷ এককচারী ও যূথবদ্ধ৷ অতি পরিচিতদের মধ্যে  ছাগল, মুরগী জাতীয় কয়েকটি প্রাণী এককচারী৷ আবার হাতী, ভেড়ার মত কিছু প্রাণী আছে তারা যূথবদ্ধ৷ এককচারী জীবেরা সাধারণতঃ আত্মস্বার্থ কেন্দ্রিক হয়৷ সব সময় নিজের স্বার্থ রক্ষার্থেই ব্যস্ত থাকে৷ অন্য কারোর দিকে ফিরেও চায় না৷ পাশে কেউ বিপদে পড়লেও তাদের কোন ভ্রূক্ষেপ থাকে না৷ এই ধরণের জীবকে গৃহে পোষ মানাতে গেলেও তারা কখনোই পালক প্রভুর অনুগত হয় না৷ যেখানেই থাকুক যাই করুক,নিজের স্বার্থটাই  কেবল তার কাছে প্রাধান্য পায়৷