সম্পাদকীয়

ধর্মান্ধ মৌলবাদের হাতে আক্রান্ত ইতিহাস

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

ভাষা শহীদদের রক্তে ভেজা পবিত্র মাটিতে আজ ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের বীভৎস উল্লাস৷ ভুলিয়ে দিতে চাইছে বাঙালীর গর্বের ইতিহাস৷ পেঁচা যেমন সূর্যের আলো সহ্য করতে পারে না, তেমনি মানব সমাজেও আছে কিছু দ্বিপদ জীব শোষক রূপে, ধর্মান্ধের বেশে যাদের কালো হাত আজ সমাজের সর্বস্তরে বিস্তৃত৷ সেই কালো হাতের স্পর্শ বিষে জর্জরিত বাঙলার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি, ধর্মনীতি৷

ভাবজড়তা, অন্ধবিশ্বাসে আবদ্ধ জীবনের পরিণতি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মহাকুম্ভের মর্মান্তিক পরিণতি৷ অমৃত লাভের আশায় তথাকথিত ধর্মীয় উন্মাদনার পরিণতিতে কতকগুলো জীবন অসময়ে ঝরে গেল৷ অন্ধবিশ্বাস ও ভাবজড়তায় আচ্ছন্ন জীবনের শেষ পরিণতি কি এভাবেই হয়! আমরা উচ্চকন্ঠে ডিজিটাল ভারতের কথা বলি৷ আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষকে একাত্ম করে তুলতে কত আবেদন নিবেদন, কত বিজ্ঞাপনের বহর৷

পাশাপাশি গোবর গোমুত্র পান থেকে শুরু করে নানা বাস্তব বর্জিত শাস্ত্রীয় বিধান শুনিয়ে মানুষকে তথাকথিত ধর্মমতের হুজুগে মাতিয়ে রাখাও কি ডিজিটাল ভারতের প্রগতি? কোন অমৃতের সন্ধানে মানুষকে মাতিয়ে দিশাহীনভাবে দৌড় করিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়!

কংগ্রেসের নিশানায় আঞ্চলিক দলগুলি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বাংলায় একটি প্রবাদ আছে---‘নামে তালপুকুর ঘটি ডোবে না৷’ কংগ্রেসের অবস্থাও আজ নামে তালপুকুরের মতো৷ কিন্তু মুস্কিল হলো কংগ্রেসের জাতীয়স্তরের নেতারা সেকথা বুঝতেও চায় না, মানতেও চায় না৷ স্বাধীনতার পর ভারতবর্ষে ছিল একচেটিয়া কংগ্রেসের শাসন, রাজ্যে রাজ্যেও ছিল ডবল ইঞ্জিন সরকার৷ কালের অমোঘ নিয়মে কংগ্রেসের সেই স্বর্ণযুগ আজ অস্তাচলে৷ দু-দফা একক গোরিষ্ঠতায় দেশ শাসন করে বিজেপি তৃতীয়বার একক গোরিষ্ঠতা না পেয়ে শরিকদের নিয়ে জোট সরকার চালাচ্ছে৷ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট ৯টি রাজ্যে শাসন ক্ষমতায়, বাকী রাজ্যগুলি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এন.ডি.এ জোটের শাসন৷ বর্তমানে বিরোধী জোটের শাসনে যে ৯টি রাজ্য, তার মধ্যে কংগ্

শুচিত্ব কি কেবল বিচার সর্বস্ব!

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আর জি কর কাণ্ডের বিচারের একটা পর্ব শেষ৷ এরপর উচ্চ আদালত আছে, শীর্ষ আদালত আছে৷ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জঘন্যতম অপরাধীরও ন্যায়বিচার চাওয়ার পাওয়ার অধিকার আছে৷ আরজিকরের অপরাধীরও সে অধিকার আছে৷ তাই নিম্ন আদালতের একটা রায় ঘোষণায় বিচার শেষ হয় না৷ বিচার চলবে, চলতে থাকুক৷

কিন্তু একটা মানবিক প্রশ্ণ যেটা সবাই এড়িয়ে যাচ্ছেন অথবা প্রশ্ণটার কথা ভাবার প্রয়োজনই মনে করেননি৷ এই নয় যে আরজিকরের জঘন্য ঘটনা সমাজে প্রথম ঘটলো৷ মাননীয় বিচারকও রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেছেন---আর জি করের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়৷

অধরা স্বপ্ণ বিকৃত ভাবনা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িক ও ভৌগোলিক বিভাজনের পর ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন উৎপাত---স্বাধীনতার বিভাজন৷ ভাগবতের প্রথম কথাটির মধ্যে কিছু সারবত্তা আছে৷ ১৯৪৭ সালে ভারতবাসী রাজনৈতিক স্বাধীনতাই পেয়েছে৷ কিন্তু সামাজিক অর্থনৈতিক দিকে নতুন করে শোষণ ও অবদমনের শিকার হয়েছে৷ এই শোষণ ও অবদমনের খলনায়করাই ভাগবতদের আর্থিক গুরু৷ তাই ভুলেও কোনদিন ভাগবতরা জনগণের আর্থিক মুক্তির কথা বলেননি৷ তবে ১৯৪৭ সালের রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে তিনি অস্বীকার করেননি৷ অত্যন্ত সচেতন ভাবে ভাগবত রাজনৈতিক স্বাধীনতার কথা স্বীকার করেছেন৷ এই রাজনৈতিক স্বাধীনতার জোরেই ভাগবত সাম্প্রদায়িক স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেছেন৷

অধরা স্বপ্ণ বিকৃত ভাবনা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িক ও ভৌগোলিক বিভাজনের পর ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন উৎপাত---স্বাধীনতার বিভাজন৷ ভাগবতের প্রথম কথাটির মধ্যে কিছু সারবত্তা আছে৷ ১৯৪৭ সালে ভারতবাসী রাজনৈতিক স্বাধীনতাই পেয়েছে৷ কিন্তু সামাজিক অর্থনৈতিক দিকে নতুন করে শোষণ ও অবদমনের শিকার হয়েছে৷ এই শোষণ ও অবদমনের খলনায়করাই ভাগবতদের আর্থিক গুরু৷ তাই ভুলেও কোনদিন ভাগবতরা জনগণের আর্থিক মুক্তির কথা বলেননি৷ তবে ১৯৪৭ সালের রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে তিনি অস্বীকার করেননি৷ অত্যন্ত সচেতন ভাবে ভাগবত রাজনৈতিক স্বাধীনতার কথা স্বীকার করেছেন৷ এই রাজনৈতিক স্বাধীনতার জোরেই ভাগবত সাম্প্রদায়িক স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেছেন৷

নববর্ষের নোতুন ভাবনা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আরও একটা বছর চলে গেল৷ পুরাতন বৎসরের জীর্ণ ক্লান্ত রাত্রি শেষে নতুন প্রভাত বরণ করে নিল ২০২৫-এর প্রথম সূর্র্যেদয়কে নানা আনন্দ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে৷ কিন্তু মাত্র একটা দিন৷ হাতে এখনও ৩৬৪টা দিন পুরাতন বছরের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো নিয়ে আর কোন আক্ষেপ নয়৷ এখন আমাদের ভাবতে হবে সামনের দিনগুলো নিয়ে৷ নোতুন বছরে আমাদের কী করতে হবে তার পরিকল্পনাও করে নেওয়া প্রয়োজন৷ আর সেই পরিকল্পনা করে এগিয়ে চলতে হবে৷ থমকে দাঁড়িয়ে থাকলে চলবে না৷ জীবনের মন্ত্র চরৈবেতি, চরৈবেতি৷

২০২৫ আন্তর্জাতিক নববর্ষের শপথ বিশ্বৈকতাবাদের প্রতিষ্ঠা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কালের মানসিক পরিমাপে যুগের হিসেবে আরও একটা বছর যোগ হল৷ দুর্লভ মানব জীবন থেকে চলে গেল মূল্যবান ৩৬৫টা দিন৷ যা আর ফিরে পাওয়া যাবে না৷ পৃথিবী আজ বড় অশান্ত৷ মানুষের সীমাহীন চাহিদা, স্বার্থলোভ, ক্ষমতার আস্ফালন বিত্তশালীর প্রতাপে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ৷ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের যুদ্ধ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে, গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে, দলে উপদলে সংঘাত বার বার রক্তাক্ত করছে পৃথিবীকে৷ ধর্মের নামাবলী গায়ে মানবতাহীন, বিবেকহীন, ভাবজড়তায় আচ্ছন্ন অধার্মিকদের ব্যভিচার অনাচারে জর্জরিত মানব সমাজ৷

অনেক হয়েছে  আর নয়

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

শেষের পরেও শুরু আছে৷ আজকের সূর্যাস্তের ও কালপ্রাতের সূর্যদয়ের মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই৷ প্রকৃতির  নিয়মের কোন হেরফের নেই৷ আর পাঁচটা দিনের মতই সূর্যটা অস্ত যায়, নববর্ষের প্রথম সূর্র্যেদয় ঠিক আগের দিনের মতই হবে৷ এইভাবেই ৩৬৫ দিন পার করে আর একটা নববর্ষের নবপ্রভাতের অরুণ আলো দুয়ারে এসে পড়বে৷ প্রকৃতির এই নিত্যদিনের আসা-যাওয়ায় কালের মানসিক পরিমানে শুধু সংখ্যার হেরফের হয়৷

চাই প্রকৃত আধ্যাত্মিক শিক্ষা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আর.জি.কর ঘটনা আবার মনে করিয়ে দিল চরম দণ্ড তথা অপরাধীর প্রাণদণ্ড দিলেও সমাজ অপরাধ মুক্ত হয় না৷ তবু অর্বচীনের মানুষ আবারও পথে নামে অপরাধীর চরম দণ্ডের দাবীতে৷ আশ্চর্যের বিষয় অর্বাচীনের মধ্যে  অনেক তথাকথিত সুশীল সমাজের কেউ–কেটারাও আছেন৷ অপরাধের উৎস মূখ বন্ধ করার দায় কিন্তু ওই তথাকথিত  সমাজের৷