প্রবন্ধ

ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বাঙালীর অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী আমরা বাঙালীর

পত্রিকা প্রিতিনিধি

বাংলাকে ঝাড়খণ্ডের প্রধান রাজভাষা করা ও ১০০ ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বাঙালীদের কর্মসংস্থানের নিশ্চিততার দাবী নিয়ে  ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে খরসোঁওয়া কেন্দ্রে, জুগসলাই কেন্দ্রে ও বোকারো কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে ‘আমরা বাঙালী’ রাজনৈতিক দল৷

ভৌতিক সম্পদ সঞ্চয় প্রসঙ্গে প্রাউটের নীতি

পত্রিকা প্রিতিনিধি

বাংলায় প্রবাদ আছে– ‘জীব দিয়েছেন যিনি–আহার দেবেন তিনি’ সৃষ্টিকর্তা অফুরন্ত সম্পদে ভারে দিয়েছেন প্রাকৃতিকে৷ তাই প্রতিটি মানুষের জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন–অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের অভাব থাকার কথা নয়৷ কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদের যথার্ত উপযোগ গ্রহণ না করা ও এক শ্রেণীর মুনাফাখোর ধনকুবেরদের সীমাহীন সঞ্চয়ের লোভ পৃথিবীতে ধনবৈষম্য সৃষ্টি করেছে৷ তাই একদিকে যেমন আজও অনাহারে অ–চিকিৎসায় মানুষ মারা যাচ্ছে, অপরদিকে মুষ্টিমেয় কিছু ধনকুবের অগাধ সম্পদ সঞ্চয় করে ভোগ–লালসায় উশৃঙ্খল জীবন–যাপন করে ধনবৈষম্য সৃষ্টি করছে ও সমাজকে দুষিত করছে৷

আধুনিক যুগে বাঁচতে হলে সকলকে মানবতাবাদী সেই গোত্রে আশ্রয় নিতে হবে

প্রভাত খাঁ

আজ বার বার মনে পড়ছে সেই মহান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের উক্তি৷’’ ‘‘শক, হুন দল পাঠান মোগল এক দেহে হলো লীন.....এই ভারতের মহামানবের সাগর তীরে৷’’ তাই তো ভারতের সংবিধানে বলা হয়েছে---ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে৷’’ তাই যাঁরা এই দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের শাসনে আসবেন তাঁদের  অবশ্যই উদারপন্থী হতেই হবে৷ ব্যষ্টি জীবনে তাঁরা যে ধর্মমতের বিশ্বাসী হোন না কেন! এই সত্য কথাটিকে  কেউই অস্বীকার করতে পারেন কি বিশেষ করে শাসনে  এসে? যদি সেটা হয় সেটা হবে সংবিধান বিরোধী কাজ   কি নয়? দেখা যাচ্ছে  বর্তমানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই সাধারণ নির্বাচনে নাকি গোঁড়া হিন্দুত্বের সেন্টিমেন্ট নিয়ে তীব্র প্রচার চালাবে!

বৈষম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে নীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

প্রবীর সরকার

সততা, সেবা, নিষ্ঠা, মানবিক মূল্যবোধ সম্বন্ধে যদি সমাজের বুকে বেশকিছু ব্যষ্টির আন্তরিকতা ও আগ্রহ না থাকে তা হলে সমাজের কল্যাণ হয় না আর কল্যাণকামী মানসিকতারও প্রতিফলন সম্ভব নয়৷

ব্রিকস সম্মেলনে মোদিজী মানবতার পূজারী কিন্তু ভারতে ধণতন্ত্রের সেবক

প্রভাত খাঁ

বিশ্বের ইতিবৃত্তের নিরীখেই বলতে বাধ্য হচ্ছি বিরাট জনবহুল দেশ ভারতযুক্তরাষ্ট্রের যেটুকু গুরুত্ব সেইটুকু হলো এই চির গরিব দেশটা আপেক্ষিক জগতে অন্য উন্নত দেশগুলো এই দেশটিকে ব্যবসায় ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়৷ তাই এই দেশের শাসকরা সারা পৃথিবীর অধিকাংশের কাছে কিছুটা গুরত্বপূর্ণ হয়ে গেছেন৷ এই দেশের বাজারটা পেতে এর গুরুত্বটা অনেক বছর আগেই পাওয়া গেছে৷ দুটি কি তিনটি শক্তিশালী দেশ যেমন আমেরিকা, চীন, ও রাশিয়ার নজর এই দেশের দিকে বেশী আছে, আর অতীতের সাম্রাজ্যবাদী দেশ সেই ইংরেজ জাতি বর্তমানে দুর্বল হলেও কূটনীতিতে এই দেশটি খুবই পটু তাই নজরটা আগা গোড়াই আছে এর উপর৷ সেই ইংরেজের দেওয়া স্বাধীন দেশ ভারত যুক

অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন

পথিক বর

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করেছে৷ এর পেছনে রয়েছে বহু বরেণ্য মানুষের অপরিসীম ত্যাগ ও কষ্টবরণ৷ শত শত শহীদের জীবনদানের ফলে এই স্বাধীনতা আমরা লাভ করেছি৷ তাঁদের হূদয়ে ছিল একান্ত বাসনা–‘‘ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে৷/ধর্মে মহান্ হবে,/কর্মে মহান্ হবে,/নব দিনমণি উদিবে আবার পুরাতন এ পূরবে৷’’ এই আশা বুকে নিয়েই তাঁরা হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছেন৷ তাঁদের আত্মত্যাগের মূল্যেই আমরা ব্রিটিশ শাসনের কবল থেকে মুক্তি লাভ করেছি৷

মর্মান্তিক ঘটনা ও পৈশাচিক আন্দোলন

পত্রিকা প্রিতিনিধি

আর.জি.কর হাসপাতালে কর্মরতা মহিলা ডাক্তারের ওপর নৃশংস অত্যাচার ও খুনের প্রতিবাদে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পথে নেমেছিলেন৷ এই নয় যে এইধরণের ঘটনা রাজ্যে বা দেশে এই প্রথম ঘটল৷ গোটা দেশের রাজ্যগুলির বিভিন্ন থানার তথ্য থেকে জানা যায় দেশে বছরে ৩০-৩৫ হাজার ধর্ষনের ঘটনা ঘটে যার সিংহভাগ উত্তরপ্রদেশে৷ তবু আর.জি.কর একটু অন্য মাত্রা পায় কারণ নির্যাতিতা ছিলেন একজন কর্মরতা ডাক্তার৷

বিহার থেকে মুক্ত হয়েও ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বাঙালীরা আজও শোষিত ও বঞ্চিত

তপোময় বিশ্বাস

তপোময় বিশ্বাস সুপ্রাচীনকাল থেকে রাঢ় বাঙলার অংশ বিশেষ, আজ যা ঝাড়খণ্ড নামে পরিচিত৷ সেই ঝাড়খণ্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী তথা ভূমিপুত্র বাঙালী জনগোষ্ঠীর ভাগ্যাকাশে যে কালো ছায়া ঘণীভূত হয়েছে, হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী শোষণের স্ট্রীমরোলারে নিষ্পেষিত হতে হচ্ছে,তা থেকে পরিত্রাণ স্বরুপ ‘প্রাউট’ দর্শনের আলোকে শোষণবিরোধী আন্দোলন সংঘটিত করতে ‘আমরা বাঙালী’ রাজনৈতিক সংঘটনের উদাত্ত আহবান আসন্ন (ঝাড়খণ্ড) বিধানসভা নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন৷

আমরা কোথায় চলেছি তা ভাবতে হবে

সঞ্জীব বিশ্বাস

আজকের স্বাধীন ভারতের নিত্যদিনের ঘটনা দুটি৷ (এক) মহিলা, কিশোরী ও শিশু কন্যাদের ওপর পাশবিক হেনস্তা৷ (দুই) ডোমেষ্টিক ভায়োলেন্স৷ এই উপদ্রবদুটি গোটা দেশব্যাপী এক অপ্রতিরোধ্য শক্তিরূপে অবস্থান করছে৷ শুধু তাই নয়–বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় জ্যামিতিক হারে ওই শক্তিমানরা তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে চলেছে৷ তাই পত্র পত্রিকা ও বৈদ্যুতিন মিডিয়ার স্যুইচ ওপেন করলেই উক্ত খবর দুটি থাকবেই৷ তাই ভাববার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই যে ভারতের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত সমাজ যেন পাগলা ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসেছে৷ এর শেষ কোথায় তা কারও জানা নেই৷