সংবাদ দর্পণ

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বুলডোজার বিচার শীর্ষ আদালতের তীব্র ভর্ৎসনা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত কয়েক বছরে বুলডোজার বিচারকে সুবিচারের রোল মডেল বানিয়েছিল গণতন্ত্রের ঘাতক উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ আদিত্যনাথকে অনুসরণ করে আরও কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্য বুলডোজারকেই বিচারের মডেল করেছে৷

গত ১৩ই নভেম্বর বেশ কিছু আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিমকোর্ট বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে গণতন্ত্রের পাঠ দিল তীব্র ভর্ৎসনা করে৷ বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সরকার ও প্রশাসনের পার্থক্যটাও বুঝিয়ে দিলেন শীর্ষ আদালতের দুই বিচারক৷ বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে.ভি বিশ্বনাথন বলেন--- সংবিধান সরকার ও প্রশাসনকে বিচার করার অধিকার দেয়নি৷ তাই সরকার কাউকেই দোষী ঘোষনা করতে পারে না৷ সেই অধিকার দেওয়ার আছে বিচার বিভাগের ওপর৷ অপরাধের বিচার করবে বিচার বিভাগ৷ দুই বিচারপতি বলেন--- কোন কাঠামো বুলডোজার দিয়ে সরকার ইচ্ছামত ভাঙতে পারে না৷ বিচারের অনেকগুলি পদ্ধতি আছে৷ সব পদ্ধতি পার হয়ে বুলডোজার ব্যবহার  করা যেতে পারে৷ তাও রাতারাতি কাউকেই গৃহহীন করে দেওয়া যায় না৷ বিচারপতি বিশ্বনাথন বলেন দেখা যাচ্ছে শুধু একটি বিশেষ সম্পত্তি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, অথচ ওই ধরণের অন্য সম্পত্তিতে হাত দেওয়া হয় না৷ তাই শুধু বে-আইনি কাঠামো বলে কারও বাড়ি ভাঙা হয়নে৷ অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে বুলডোজার বিচারের৷ সরকার যদি কাউকে দোষী সাব্যস্ত করেই তার বাড়ি ভেঙে দেয় তবে বুঝতে হবে রাজ্যে আইনের শাসন নেই৷ সরকারী অধিকারিকদেরও সতর্ক করে দেয় সুপ্রিম কোট৷প্রশাসন পুলিশ যে কেউ অবৈধভাবে বুলডোজার বিচারের সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

পুঁজিপতি শোষকের চতুর পরিকল্পনায় দুর্নীতির ঘূর্ণিপাকে ভারতের রাজনীতি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

চারবছর পর আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ জয় নিশ্চিত হতেই তিনি ঘোষণা করেন---যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনব৷ প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---২০১৪ সালে আমরাও শুণেছিলাম ‘আচ্ছা দিন এসে গেছে’৷ গত দশ বছরে সেই আচ্ছা দিন আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি৷ ট্রাম্প বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে৷ শান্তির আশায় এখুনি উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই৷

কিন্তু ভারতবর্ষের মানুষের কাছে সেই আচ্ছা দিন আজও অধরা৷ শ্রীখাঁ বলেন দেশবাসীর মাথার উপর ঋণের বোঝা৷ খাদ্যপণ্যের আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে গৃহিনীরা হেঁসেল সামলাতে গিয়ে হাঁসফাঁস করছে৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধি কমাতে অক্ষম বলে স্বীকার করে নিয়েছে৷

শ্রী খাঁ আরও বলেন--- ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি স্বাধীনতার আগে থেকেই দেশীয় পুঁজিপতিদের নিয়ন্ত্রণে৷ এই পুঁজিপতিরাই রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থ দিয়ে পুতুলের মত নাচায়৷ নির্বাচনী বণ্ড সামনে আসায় পুঁজিপতি রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক বেআবরু হয়ে গেছে৷ আজ রাজনৈতিক নেতারা যে ভ্রষ্টাচার ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে এর পিছনেও আছে ওই বেনিয়াদের চতুর চাল৷ কারণ রাজনৈতিক দলের নেতারা যদি দুর্নীতিতে ডুবে থাকে কর্মী ক্যাডারও যদি ভ্রষ্টাচারে লিপ্ত থাকে তবে শোষণের বিরুদ্ধে রুঁখে দাঁড়াবার ক্ষমতা থাকে না, প্রতিবাদের নৈতিক সাহস থাকে না৷ দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতারাই কম-বেশী দুর্নীতির জালে জড়িয়ে পড়েছে পুঁজিপতিদের কুট কৌশলেই৷ শ্রী খাঁ বলেন--- এইসব রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে আর উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়৷ তাই দেশবাসীকে নূতন আদর্শ নূতন মানুষের সন্ধান করতেই হবে৷

ছ’টি শব্দ দিয়েই ইন্টারনেটে জাল পাতছে হ্যাকারেরা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

‘আর বেঙ্গল ক্যাটস লিগাল ইন অস্ট্রেলিয়া?’ ইংরেজি অক্ষরে এই ছ’টি শব্দ দিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি হচ্ছে৷ যার অর্থ, বাংলার বিড়াল কি অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ? অনেকেরই মনে হবে এই বাক্যের কী এমন মাহাত্ম্য৷ কেন আলাদা করে এই বাক্যের কথা লিখতে হচ্ছে? আসলে সাধারণ মনে হলেও এই ছ’টি শব্দ কিন্তু আদৌ সাধারণ নয়৷ বরং, বিপদের সঙ্কেত৷ এই ছ’টি শব্দ অসাবধানতাবশত সার্চ করে একটি অত্যাধুনিক সাইবার আক্রমণের শিকার হতে পারেন যে কেউ৷ কারণ, এই ছ’টি শব্দ দিয়েই ইন্টারনেটে জাল পাতছে হ্যাকারেরা৷

নিউইয়র্ক পোস্টের মতে, সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ‘সোফোস’ সম্প্রতি একটি সতর্কতা জারি করেছে৷ সংস্থার তরফে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের গুগ্লে এই নির্দিষ্ট বাক্যটি সার্চ না করা করার অনুরোধ করা হয়েছে৷ সোফোস জানিয়েছে, হ্যাক করার এই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া পরিচিত ‘এসইও পয়জনিং’ বা ‘এসইও বিষক্রিয়া’ নামে৷ তাদের দাবি, খুব বুদ্ধি করে এই বাক্যটি গুগ্লে বেশি সার্চ হওয়া বাক্য হিসাবে জায়গা করে দিচ্ছে হ্যাকাররা৷ আর কেউ সেই বাক্য সার্চ করে যে লিঙ্ক দেখা যাবে সেখানে ক্লিক করলেই ওই ব্যবহারকারীর ডিভাইস হ্যাক হয়ে যাচ্ছে৷ বেহাত হয়ে যাচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য৷ ব্যাঙ্ক থেকে হাপিস হয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা৷ সোফোসের মতে, ওই লিঙ্কগুলি অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ ভাবে বিপজ্জনক, এবং সেই জন্যই বাক্যের মধ্যে ‘অস্ট্রেলিয়া’ শব্দটি রাখা হয়েছে৷

তবে এই প্রতারণার জাল থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ও বাতলেছে ওই সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা৷ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কারও যদি মনে হয় যে তিনি এসইও বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছেন, তা হলে অবিলম্বে তাঁর ইমেল এবং নেটব্যাঙ্কিং-সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদলে দেওয়া উচিত৷ ফোন বা কম্পিউটারে ‘অ্যান্টিভাইরাস স্ক্যান’ করা উচিত অবিলম্বে৷ তবে সব থেকে নিরাপদ উপায় ওই নির্দিষ্ট বাক্য দিয়ে গুগ্লে কোনও সার্চ না করা৷

কলকাতার কপালে বরাদ্দ ৪০কোটি টাকা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন খাতে বছরের পর বছর রাজ্যের প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্র নানা অজুহাতে৷ বিরোধীরা যতই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিন্দা করুক কেন্দ্রীয় সরকারেই বিভিন্ন দফতর রাজ্য সরকারের কাজের প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছে৷ এবার কলকাতা পুরসভার ‘অম্রুত’ প্রকল্পে সফলতার জন্য পুরসভাকে ৪০ কোটি টাকা উৎসাহ ভাতা দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ মূলত পানীয় জল সরবরাহ ও নিকাশির কাজে সফলতার বিভাগেই ২০ কোটি করে টাকা দেওয়া হয়৷ পুরসভার পক্ষ থেকে জানান হয় বিভিন্ন রাস্তায় জমা জলের সমস্যা মেটাতে, মাটির নীচের নিকাশি নালার পলি তুলতে ইত্যাদি মোট ১১টি প্রকল্পের কাজ হবে এই টাকায়৷ পুরসভার এক শীর্ষ কর্র্ত জানান---পুরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখার পর কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতা পুরসভাকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে৷

ভারদ্রের কোয়ান্টাম গবেষৰায় অগ্রগতি

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কোয়ান্টাম অভিযানে পা রেখেছে ভারদ্রও৷ দেশের অন্যদ্রম গুরুত্বপূর্ৰ কোয়ান্টাম হাব কলকাতা শহরে ‘এস এন বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস’ (এসএনবিএনসিবিএস) আয়োজিদ্র অনুষ্ঠানে ৱৱে এল সেই কথা৷ ‘বোস-আইনস্টাইন কনৱেনসেশনক্ষ্ম সুপারকন্ডাকটিভিটিক্ সুপারফ্লুইৱিটি অ্যান্ড কোয়ান্টাম ম্যাগনেটিজম’ বিষয়ক আলোচনাসভায় ‘জাদ্রীয় কোয়ান্টাম মিশন’-এর চেয়ারম্যান অজয় চৌধরি বললেনক্ষ্ম ‘‘অনেকেই মনে করছেনক্ষ্ম ভারদ্র কিছুটা পিছিয়ে (কোয়ান্টাম অভিযানে)৷ তা কিন্তু নয়৷’’ আর কোয়ান্টাম অভিযানে ভারদ্রের অগ্রগ তির অন্যদ্রম চাবিকাৱি ‘জোট বেৰধে কাজ’৷

১৯২৪ সালে সদ্র্যেন্দ্রনাথ বসু চিৱি লিখেছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইনকে৷ যে যোগসূত্র পরবর্দ্রী কালে জন্ম দেয় বোস-আইনস্টাইন স্ট্যাটিসটিক্সের৷ সেই সূচনার একশো বছর ৱদ্‌যাপন করছে এসএনবিএনসিবিএস৷ এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অ তিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুত্তিৰ মন্ত্রকের প্র তিমন্ত্রী জিদ্রেন্দ্র সিংহ৷ অন্যান্য অ তিথিদের মধ্যে ছিলেন জাদ্রীয় কোয়ান্টাম মিশনের চেয়ারম্যান অজয় চৌধরিক্ষ্ম আইআইটি মাদ্রাজের অধ্যাপক গৰপতি ভাস্করৰক্ষ্ম হার্ভার্ৱ বিশ্ৰবিদ্যালয়ের অধ্যাপক বার্টান্ড হ্যালপেরিন এবং ওই বিশ্ৰবিদ্যালয়েরই আর এক অধ্যাপক সুবীর সচদেব৷ ভারদ্রের কোয়ান্টাম অভিযান সম্পর্কে প্রদ্র্যেকেরই অভিমদ্রক্ষ্ম সাফল্যের আসল মন্ত্রই ‘কোলাবোরেশন’৷ একশো বছর আগে এ ভাবে জোট বেৰধেই দ্রৈরি হয়েছিল বোস-আইনস্টাইন স্ট্যাটিসটিক্স৷ এ দিনের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জিদ্রেন্দ্র সিংহের (ভার্চুয়াল) বত্তৃৰতায় বার বারই ৱৱে এসেছিল সে কথা৷

গদ্র জানুয়ারি থেকে জোরকদমে শুরু হয়েছে কোয়ান্টাম অভিযান৷ কোয়ান্টাম অভিযানের নেদ্রৃত্বে রয়েছেন যিনিক্ষ্ম সেই অজয় চৌধরি জানানক্ষ্ম সরকারের দ্ররফে বৱ অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে৷ দ্রৈরি করা হয়েছে চারটি হাব৷ প্রতিটি হাবের মধ্যে সমন্বয়কারী ব্যবস্থা রয়েছে কানপুর আইআইটি-দ্রে৷ দেশের বিভি প্রান্তের অন্তদ্র ৬০০ বিজ্ঞানী এই অভিযানে যুত্তৰ রয়েছেন৷

অজয় জানিয়েছেনক্ষ্ম কোয়ান্টাম মিশন ছাৱাও ভারদ্র সরকার প্রতিরক্ষা গবেষৰাক্ষ্ম অ্যাটমিক এনার্জি বিভাগ ও মহাকাশ গবেষৰায় জোর দিচ্ছে৷ এই প্রতিটি ক্ষেত্র আবার একত্রে কাজ করছে৷ যেমনক্ষ্ম যোগাযোগ ব্যবস্থায় ৱন্িদ্রর বিষয়ে কাজ করছে মহাকাশ গবেষৰা ক্ষেত্র৷ কোয়ান্টাম স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম ৱপগ্রহ ৱৎক্ষেপৰের পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷

অজয় জানিয়েছেনক্ষ্ম আপাদ্রদ্র ৮ বছরের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ এই ৮ বছরে কোয়ান্টাম মিশনের লক্ষ্যক্ষ্ম ৫০ থেকে ১০০০ ফিজিক্যাল কিৱবিট কোয়ান্টাম কম্পিৱটার ৱৎপাদন৷ ২০৩১ সালের মধ্যে যা বাস্তবায়িদ্র করা হবে৷ এ ছাৱাক্ষ্ম এই অভিযানের লক্ষ্য দেশে স্যাটেলাইট-নিরাপত্তা বেষ্টিদ্র কোয়ান্টাম যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন৷ এ বছর ইতিমধ্যেই ৬ কিৱবিট কোয়ান্টাম কম্পিৱটার একত্রিদ্র ভাবে দ্রৈরি করেছে টিসিএসক্ষ্ম টিআইএফআর এবং ৱিআরৱিও৷ অজয় জানানক্ষ্ম নেদারল্যান্ডস ও ফিনল্যান্ডের দু’টি স্টার্ট আপ ভারদ্রে এসে কাজ শুরু করেছে৷ তারা দাবি করেছেক্ষ্ম এ বছরের মধ্যে তারা ২০ কিৱবিট কোয়ান্টাম কম্পিৱটার দ্রৈরি করবে৷

এসএনবিএনসিবিএস-এর ৱিরেক্টর দ্রনুশ্রী সাহা দাশগুপ্ত বলেনক্ষ্ম ‘‘বোস স্ট্যাটিসটিক্সের ১০০ বছর ৱদ্‌যাপন করছে আমাদের প্রতিষ্ঠান৷ আজকের আয়োজন তারই অংশ৷ আশা করি এই ৱদ্যোগ নদ্রুন প্রজন্মের মনে কোয়ান্টাম সায়েন্স ও প্রযুত্তিৰর প্রতি ভালবাসা জাগাবে৷ ভারদ্রকে বিশ্ৰমঞ্চে স্থাপন করবে৷

পরলোকে সমীরকৃষ্ণ সিন্‌হা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ঝাড়খণ্ডের টাটানগরের বাসিন্দা বিশিষ্ট আনন্দমার্গী সমীরকৃষ্ণ সিন্‌হা গত ৪ঠা নভেম্বর রাত্রি ৯ ঘটিকায় পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর৷ তিনি একজন একনিষ্ঠ আনন্দমার্গী ছিলেন ও ‘আমরা বাঙালী’ দলের নিষ্ঠাবান কর্মী ছিলেন৷ ১৯৬৫ সালে তিনি আনন্দমার্গের আদর্শে দীক্ষা গ্রহণ করেন৷ দীর্ঘদিন তিনি ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রূপে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন৷ তিনি বলতেন---প্রাউট প্রবক্তা স্বয়ং তাঁকে টাটানগর জামশেদপুর অঞ্চলে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের কাজের দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন৷ তাঁর স্ত্রী ও একপুত্র ও কন্যা বর্তমান৷ গত ৬ই নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার সময় টাটানগর সুবর্ণরেখা শ্মশানে আনন্দমার্গের চর্যাচর্য বিধি মেনে দাহ সংস্কার সম্পন্ন হয়৷ দাহ কার্যের সময় উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের নারী কল্যাণ বিভাগের টাটানগর ডায়োসিস সচিব অবধূতিকা আনন্দ অতীষা আচার্যা, আশীষ নাগচৌধুরী ভুক্তিপ্রধান সুশীল কুমার মাহাতো, শ্রীমতি দীপা সীট প্রমুখ৷

আগামী ৯ই নভেম্বর টাটানগর ঘোড়া বাঁধায় শ্রী সমীর সিনহার বাসভবনে সকাল ১০টার সময় শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে৷

কেশিয়াড়ী সারদা লায়ন্স স্কুলে গল্প বলা প্রতিযোগিতা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

শারদোৎসবের পরে পুনরায় শুরু হ’ল ৫ম বর্ষ গল্প বলা প্রতিযোগিতা৷ ১২ই নভেম্বর, মঙ্গলবার কেশিয়াড়ীর সারদা লায়ন্স স্কুলে অনুষ্ঠিত হল গল্প বলা প্রতিযোগিতা৷ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ৩৬ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে৷ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার এর ‘অনুনাসিকতা’ গল্পটি সুন্দর ভাবে পরিবেশন করে শিক্ষার্থীরা৷ বিচারকদের বিচারে সেরা পাঁচ প্রতিযোগী হল--- অর্কদীপ মান্না, সায়নী দাস, অনুষ্কা আদক, অদ্রীজা মল্লিক ও সৌমিলি দাস৷ প্রতিযোগিতা শুরু হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রীচিত্তরঞ্জন বেরার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে৷ শেষে পাঁচ প্রতিযোগী সহ সকল প্রতিযোগীর হাতে শংসাপত্র ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়৷

আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় আশ্রমে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৩রা নভেম্বর কলিকাতা ভিআইপি নগরে আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় আশ্রমে নারী কল্যাণ বিভাগের কার্র্যলয়ে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে পালিত হয়৷ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷

কীর্ত্তনশেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায়ের পর আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উপলক্ষ্যে তাঁর একটি স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোণান৷ এরপর দিদি অবধূতিকা আনন্দসুমিতা আচার্যা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন৷ অবধূতিকা আনন্দ অভিষা আচার্যা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উপলক্ষ্যে মার্গগুরু দেব রচিত একটি প্রভাত সঙ্গী গেয়ে শোণান৷ এরপর দিদিরা উপস্থিত সকল দাদা ভাইয়ের ফোঁটা দিয়ে সকলের দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করেন৷ প্রীতিভোজের পর অনুষ্ঠান শেষ হয়৷ ভারতবর্ষের বাইরেও বিভিন্ন দেশে আনন্দমার্গের ইয়ূনিটে মহাসমারোহে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠান পালিত হয়৷

পলতা ঃ গত ৩রা নভেম্বর ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে পলতা আনন্দমার্গ ইয়ূনিটে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পর ইয়ূনিটের উপস্থিত বোনেরা ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্র্ঘয়ু কামনা করে৷ মিলিত আহারের পর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷

উত্তর২৪ পরগণার এ্যামার্টের ত্রাণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১লা নভেম্বর উঃ২৪পরগণা জেলার বনগাঁ মহকুমার বেড়ী গোপালপুরে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিম নড়াদা শাখার পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক ঘূর্ণীঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষের হাতে খাদ্যপণ্য শীতবস্ত্র ও পরণের বস্ত্র, বেবিফুড ইত্যাদি দেওয়া হয়৷

রবীন্দ্রসঙ্গীত বিকৃতির প্রতিবাদে আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সম্প্রতি কপিল শর্মা নামক এক হিন্দী অভিনেতা তথা কমেডিয়ানের তথাকথিত কমেডি শো’তে দেখা গেল আমাদের প্রাণের কবি, বিশ্বকবি তথা দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ এই গানটিকে চরমভাবে বিকৃত করা হয়েছে৷ এই ঘটনার চরম নিন্দা জানিয়েছে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন৷ কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন বলিউডিদের স্বাভাবিক প্রবণতা রয়েছে একটা বাঙালীদের হেয়-প্রতিপন্ন করা৷ কপিল শর্মার শো’তে বাঙালীর প্রাণের সঙ্গে জড়িত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীতকে নিয়ে রসিকতা, কদর্যতা অত্যন্ত নিন্দনীয়৷ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্বুদ্ধ করতে কবিগুরু ডাক দিয়েছিলেন ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’ সেই গানের অমর্যাদা বাঙালী জাতি তো বটেই বিশ্বমানবতার ভাবধারার পথিকৃতদের ভাবাবেগে আঘাত করা৷ আসলে এরা বুঝে গেছে বাঙালীকে অপমান, হেয় করাই যায়৷ কারণ বাঙালী স্বজাতির অপমানে নিজেরাই হাসি-তামাশা করতে ভালোবাসে, প্রসঙ্গত বলা ভালো ওই অনুষ্ঠান চলাকালীন এক জন্মসূত্রে বাঙালী অভিনেত্রী বসে ছিলেন, স্বজাতির অপমান- বিশ্বকবির গানের বিকৃতিতে সে অপমানিত না হয়ে সেই অপমান নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে সেটাকে ‘এনজয়’ করেছেন! পারতো অন্য কোনো জাতির মণীষীদের নিয়ে এইরকম তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে হেয় করতে ? অবাক লাগলো বাঙলার মেইনস্ট্রীম মিডিয়া গুলো নীরব থেকেছে, কোন সম্প্রচার নেই! কেন বলুন তো? সবকটা মিডিয়ার মালিক অবাঙালী বেনিয়া৷ বাঙালী ঐক্যবদ্ধ হও, অপমান মুখ বুজে সহ্য করো না৷ আজ বাঙলার রাজধানী কলকাতার অলিতে-গলিতে বাঙালীদের অপমান করা হচ্ছে৷ এসব মুখ বুজে সহ্য করতে করতে নিজভূমে পরবাসী হয়ে উঠেছি আমরা! আর কত? কতদিন মুখ বুজে থাকবো? আজ রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে হাসি তামাশা করছে, কালকে তোমার মা-বোন-দিদি-বউ কে নিয়ে প্রকাশ্য হাসি ঠাট্টা চলবে, রাস্তায় নামিয়ে নিয়ে আসবে৷ বাঙালী ঘরে বসে এসব সহ্য করবে৷

আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে আমাদের দাবী ইচ্ছাকৃত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অপমান তথা বাঙালী জাতিকে চরম ভাবে অপমান করার জন্যে অবিলম্বে ওই কমেডি শো’দের সমস্ত অধিকর্তা সহ অভিনেতাকে ক্ষমা চাইতে হবে৷