সংবাদ দর্পণ

আগরতলা ও টাটানগর ডায়োসিসে সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৪,২৫ ও ২৬শে জানুয়ারী,২০২৫ কলকাতা সার্কেলে টাটা ডায়োসিসে চাকুলিয়া আনন্দমার্গ স্কুলে ও শিলং সার্কেলে আগরতলা ডায়োসিসে তেলিয়ামুড়া আনন্দমার্গ হাইস্কুলে তিনদিনের একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত আলোচনাসভায় আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয়৷ বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় মানুষের কাছে আনন্দমার্গ জীবনাদর্শের গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বাড়ছে৷ তাই সাংঘটনিক বিষয়ে আলোচনায় মানুষের কাছে আনন্দমার্গের জীবনাদর্শ পৌঁছে দিতে পরবর্তী পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত আলোচনা সভার কর্মসূচী নেওয়া হয়৷ তিন দিনের এই আলোচনা সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল তন্ত্র ও সাধনা চতুবর্গ ও ভক্তি, প্রাউটের অর্থনীতি ব্যবস্থার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য, আমাদের সমাজ শাস্ত্র৷

তিনদিনের এই আলোচনা সভায় আগরতলা ডায়োসিসের সমস্ত মার্গী ভাইবোনেরা তেলিয়ামুড়া হাইস্কুলের সেমিনারে অংশ গ্রহণ করেন৷ এখানে প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য দীপাঞ্জনানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ রসপ্রজ্ঞা আচার্যা৷ সেমিনারের আয়োজন করেন আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত, আগরতলা ডায়োসিস সচিব আচার্য কৃতাত্মানন্দ অবধূত, খোয়াই ভুক্তিপ্রধান মনোরঞ্জন গোপ৷ তাদের সহযোগিতা করেন তেলিয়ামুড়া স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ ও স্থানীয় মার্গী ভাইবোনেরা৷ গত ২৫শে জানুয়ারী অপরাহ্ণে তেলিয়ামুড়া শহরে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে মাস্টার দা সূর্যসেন মোড়ে সমবেত হয়৷ সেখানে এক সভায় বক্তব্য রাখেন আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত, আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীন আনন্দমার্গী দানীশ পাল৷

টাটানগর ডায়োসিসে সেমিনারে প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত৷ সেমিনার সংঘঠিত করেন টাটানগর ডায়োসিস সচিব আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত৷ সহযোগিতায় ছিলেন ডায়োসিসের কর্মীবৃন্দ৷ টাটানগর, মুরি, মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া ডায়োসিসের মার্গী ভাই বোনেরা অংশগ্রহণ করেন৷ তিনদিনের সেমিনারে তৃতীয় দিন ২৬শে জানুয়ারী চাকুলিয়া শহরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমা করে৷ শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ট্যাবলোর মাধ্যমে আনন্দমার্গ দর্শনে সামাজিক, অর্থনৈতিক, আধ্যাত্মিক, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয়গুলি তুলে ধরে প্রচার করা হয়৷ আলোচনা সভায় আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গ দর্শনের উল্লিখিত বিষয়ের ওপর মনোজ্ঞ আলোচনা করেন৷ শেষ দিনে পরবর্তী স্তরের সেমিনার ও সাংঘটনিক কাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়৷

অশান্ত বাংলাদেশ --- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে হাসিনার বিদায়ের পর ছাত্রদের দাবী মেনেই মহম্মদ ইয়ূনুসকে তত্ত্বাবোধায়ক সরকারের প্রধান করা হয়৷ তিনি প্রবাসী থেকে ফিরে এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ নোবেল জয়ী ইউনুসের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ অনেক আশা ভরসা করেছিলেন৷ কিন্তু হাসিনা পরবর্তী অশান্ত বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত বড় কোন সফলতা ইয়ূনুস সরকার দেখাতে পারেনি৷ সংখ্যালঘু অত্যাচার বন্ধ করতে ব্যর্থ৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে৷ বেকারত্ব, করবৃদ্ধি প্রভৃতি ইস্যুতে জনরোষ বাড়ছে৷ এই জনরোষ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন দপ্তরে৷

গত ২৮শে জানুয়ারী থেকে জনরোষের শিকার রেলপরিষেবা৷ সেদিন সকাল থেকে রেল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ৷ রেল কর্মচারীদের দাবী তাদের বেতন ও অন্যান্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে৷ দেশের বিভিন্ন বড় বড় ষ্টেশনে যাত্রী ভর্ত্তী ট্রেন রেখে কেবিন ছেড়ে চলে যায় চালকরা৷ রেল কর্মচারীদের সঙ্গে যোগ দেয় ট্যানারি শ্রমিকরা৷ জ্বালানি তেল বাহক ট্যাঙ্কারের চালক ও খালাসিরাও ধর্মঘটে নেমেছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন কলেজে ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল৷ ইউনুসের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগের ফেসবুক পেজে এক অডিও বার্র্তয় শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায় একজন সুদ খোরের ক্ষমতালিপ্সার কারণেই বাংলাদেশ জ্বলছে৷ যদিও তিনি কোন নাম বলেন নি৷ তবে অডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি৷

শুরু হলো ৪৮তম কলকাতা বইমেলা উদ্বোধনেই জনজোয়ার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৮শে জানুয়ারী,২০২৫ শুরু হয় কলিকাতা বইমেলা৷ অপরাহ্ণে বইমেলা উদ্বোধনের পরই সন্ধ্যে থেকে স্টলে স্টলে ভিড় জমতে শুরু হয়৷ আনন্দমার্গের স্টলেও বহু মানুষ বই দেখতে ও কিনতে আসে৷ কলিকাতা বইমেলায় আনন্দমার্গের স্টল নম্বর ১৫৪৷

এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন বই বৃক্ষ সম৷ বই পড়ুন, বই কিনুন৷ বই গৃহের শোভা বাড়ায়৷ তিনি বলেন গতবার বইমেলায় ২৭ লক্ষ পাঠক এসেছিলেন৷ আমার অনুমান এবার ৫০ লক্ষ বা তারও বেশী পাঠক আসতে পারে৷

কলিকাতা বইমেলায় আনন্দমার্গ প্রকাশনের স্টল নম্বর ১৫৪

আনন্দমার্গ প্রকাশনের নীতি শাস্ত্র, ধর্মশাস্ত্র, দর্শন শাস্ত্র সমাজ শাস্ত্র, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, ইতিহাস, অর্থনীতি, সমাজনীতি, বিজ্ঞান, নব্যমানবতাবাদ, শিক্ষা, কৃষি পরিবেশ, নারীর অধিকার, ভাষাবিজ্ঞান সঙ্গীত, শিশু সাহিত্য, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে আনন্দমার্গের চিন্তাধারা নতুন ও সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র৷ আনন্দমার্গের উদার অসাম্প্রদায়িক ও বাস্তবধর্মী চিন্তাধারার সঙ্গে পরিচিত হতে ও জীবনে প্রতিফলিত করতে আসুন কলিকাতা বইমেলায় আনন্দমার্গ প্রকাশনের স্টলে৷

সূর্য থেকে ধেয়ে আসছে হানাদারের দল!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রায় সাড়ে ন’কোটি মাইল দূরের সূর‌্য থেকে ছুটে এসে পৃথিবীর উপর হামলা চালায় ভয়ঙ্কর শক্তিশালী হানাদারেরা৷ সৌরপদার্থবিজ্ঞানের পরিভাষায় এই হানাদারদের নাম ‘সৌরঝলক’ (‘সোলার ফ্লেয়ার’)৷ এর মাধ্যমে সূর‌্যের অন্দর থেকে বিপুল পরিমাণে শক্তি বেরিয়ে আসে, ছড়িয়ে পড়ে মহাকাশে৷ প্রলয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর সূর‌্যের শরীর থেকে বেরিয়ে আসে অত্যন্ত বিপজ্জনক ও শক্তিশালী প্রচুর কণা৷ আমরা যাকে সৌরঝড় বলে জানি, তার অন্যতম কারণ এই সৌরঝলক৷ সূর্য থেকে প্রতি দিনই একটি বা দু’টি ঝোড়ো আগুনের ঝাপটা ছিটকে আসে পৃথিবী ও পড়শি গ্রহের দিকে৷ সেই সৌরঝড়ের প্রভাব পড়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেও৷ আচমকা সূর্যের বুকে বিস্ফোরণ এবং তার পরে আয়নিত কণার স্রোত, প্রবল শক্তি-সহ ছড়িয়ে পড়ে সৌরসংসারে৷ পৃথিবীর চৌম্বক শক্তির আচ্ছাদন আমাদের এই হানাদারকে প্রায় হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়৷ পৃথিবীর কাছাকাছি এলে উত্তর মেরুতে থাকা শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র তাকে দূরে হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে৷ আর তখনই চৌম্বক ক্ষেত্রের কণাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে উত্তর মেরুতে শক্তিশালী উজ্জ্বল মেরুজ্যোতি তৈরি হয়৷ জন্মকাল থেকে প্রতিনিয়ত সৌর হানাদারদের হামলা ঠেকিয়ে আসছে পৃথিবী৷ চলতি বছরে যে হানাদারের দল পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে তার শক্তির তীব্রতা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা৷

মহাকাশ বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সে রকম ভয়ঙ্কর কিছু হলে সেই তাণ্ডবে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়তে পারে ইন্টারনেট পরিষেবা৷ সৌরশিখার দাপট বেশি হলে প্রভাব পড়তে পারে ডিজিটাল দুনিয়া ও আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায়৷ উপগ্রহগুলি ভেঙে গিয়ে নিজের কক্ষপথ ছেড়ে প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে৷ সেগুলি পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে বড় ক্ষতি হতে পারে৷ ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ‘বিপদবার্তা’৷ ভুয়ো খবর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছে নাসার গবেষকেরা৷ গুজব আটকানোয় জোর দিয়েছে সংস্থাটি৷ একটি আমেরিকান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ১৮৫৯ সালের পুরনো একটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে৷ তার নাম ‘ক্যারিংটন ইভেন্ট’৷ সে বার টেলিগ্রাফের তারে আগুন ধরে গিয়েছিল৷ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান অনেকে৷ সৌরঝড়ের জেরে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা৷

ম্যানহোলে মানুষ নামিয়ে সাফাইয়ের কাজ নিষিদ্ধ করলো সুপ্রিম কোর্ট

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ম্যানহোলে মানুষ নামিয়ে সাফাইয়ের কাজ নিষিদ্ধ, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল৷ সেখানেই আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছয় শহরের প্রধান নির্বাহী কর্তাদের এ সংক্রান্ত হলফনামা জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি৷ রিপোর্টে বিশদ জানাতে হবে, কী ভাবে এবং কখন ‘ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং’ বন্ধ করা হয়েছে৷ ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে৷ তার এক সপ্তাহ আগেই বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে৷

অতীতে বহুবার ম্যানহোলে সাফাইয়ের কাজ করতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসের কবলে একাধিক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে৷ ২০১৩ সালে দেশে আইন তৈরি হয়েছিল এই ব্যবস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে৷ সেই আইন বলছে, ম্যানহোল সাফাই, মলমূত্র সাফাই কিংবা বয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ কোনও মানুষকে দিয়ে করানো যাবে না৷ বিশেষ পরিস্থিতিতে কাউকে ম্যানহোলে নামানো হলেও সংশ্লিষ্ট সাফাইকর্মীর জীবন এবং স্বাস্থ্যের সব রকমের নিরাপত্তা দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে৷ এই ধরনের বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতির জন্যও সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে৷ অথচ আইনের ফাঁক গলে এখনও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কোনও সুরক্ষা ছাড়াই ম্যানহোলে মানুষ নামানোর মতো ব্যবস্থা চালু রয়ে গিয়েছে৷ শেষমেশ ২০২৩ সালে কেন্দ্রকে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে এ সংক্রান্ত খতিয়ান তৈরির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত৷ এ নিয়ে কেন্দ্রের সাম্প্রতিক হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, দেশের ৭৭৫ টি জেলার মধ্যে ৪৫৬টি থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে গিয়েছে ম্যানহোল কিংবা নর্দমায় নেমে সাফাইয়ের কাজ৷ যদিও অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, ওই হলফনামায় বেশ কিছু অসম্পূর্ণতা রয়ে গিয়েছে৷ দেশের বড় শহরগুলিতে এখনও এই নিষিদ্ধ পদ্ধতিতে সাফাইয়ের কাজ চলে কি না, তা হলফনামায় স্পষ্ট উল্লেখ করা নেই৷ এর পরেই নতুন করে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷      

খোঁজ মিলল পৃথিবীর ভূগর্ভের থাকা দুই পর্বতের

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

থিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতও এদের কাছে বামন! উচ্চতায় এভারেস্টের থেকে ১০০ গুণ উঁচু৷ এই পৃথিবীর বুকেই রয়েছে তাদের অস্তিত্ব৷ যদিও তা ভূপৃষ্ঠের উপরে নয়৷ মাটির গভীরে, আফ্রিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগরের সীমানায় অবস্থিত এই জোড়া পর্বত৷ ৮,৮৪৮ মিটার৷ পৃথিবীর স্থলভাগে সবচেয়ে উঁচু স্থানের উচ্চতা আপাতত এটাই৷ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ার চেয়ে উঁচু কোনও অংশ এখনও আবিষৃকত হয়নি পৃথিবীতে৷ সেই তকমা কি তবে হারাতে চলেছে এভারেস্ট? মাউন্ট এভারেস্টের দুই ‘দাদা’র খোঁজ মিলেছে পৃথিবীতেই৷ পৃথিবীর কেন্দ্রমণ্ডল ও গুরুমণ্ডলের সীমানায় ভূত্বকের নীচে অর্ধ-কঠিন অঞ্চলে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে দু’টি দানবীয় আকৃতির পাহাড়ের৷ এই জোড়া পাহাড় প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার উঁচু এবং পৃথিবীর গভীরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷

সম্প্রতি এই আবিষ্কারের কথা নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে৷ সুবিশাল দুই পর্বতমালার হদিসও পেয়েছেন ভূবিজ্ঞানীরা৷ এই আবিষ্কার নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তাঁরা৷ বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই পর্বতগুলো অন্তত ৫০ কোটি বছর পুরনো৷ বিজ্ঞানীরা এ-ও অনুমান করছেন, সম্ভবত ৪০০ কোটি বছর আগে পৃথিবী গঠনের সময় থেকেই এগুলি এখানে অবস্থান করছে৷ সেগুলির অবস্থান সাময়িক হতে পারে, এমন ধারণাও উড়িয়ে দেননি গবেষকেরা৷

এই প্রক্রিয়ায় টেকটনিক প্লেটগুলো পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার গভীরে পৌঁছে যায়৷ এই এলাকাগুলিকে ‘লার্জ লো সেসমিক ভেলোসিটি’ অঞ্চল নামে অভিহিত করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ কারণ এই অঞ্চলে এলেই পৃথিবীতে ভূমিকম্পের ফলে তৈরি হওয়া তরঙ্গগুলি ধীর গতিপ্রাপ্ত হয়৷ কম্পনের গতি দেখেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন এই অঞ্চলে এমন কিছু বাধা রয়েছে যার ফলে গতি বাধা পাচ্ছে৷ গভীরে প্রবেশ করে তখন তাদের শক্তিক্ষয় হয়৷ এ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ‘লার্জ লো সেসমিক ভেলোসিটি’ অঞ্চলে প্রবেশ করার পর কম্পনের তরঙ্গগুলি শক্তি হারানোর পরিমাণ অনেক কম৷ বরং সেখানকার শব্দ ছিল বেশ তীক্ষ্ন৷ পর্বতগুলিকে বেষ্টন করে থাকা আশপাশের টেকটনিক প্লেটের তাপমাত্রা অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি গরম বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা৷

সুজানিয়া জানিয়েছেন, গবেষকদের ধারণা ছিল গরম এলাকার টেকটনিক প্লেটে তরঙ্গ বেশি দুর্বল হবে৷ তবে এখানে তাঁরা তেমন কিছু দেখেননি৷ বরং তুলনামূলক ভাবে ঠান্ডা অঞ্চলে টেকটনিক প্লেটের তরঙ্গের অনেক বেশি শক্তিক্ষয় হয়েছে৷ এই আচরণটি গবেষকদের কাছে খানিকটা অপ্রত্যাশিত ছিল৷ গবেষকদের ধারণা, পৃথিবীর গভীরে নিমজ্জিত দানবাকৃতির পর্বতগুলি আশপাশের প্লেটের চেয়ে অনেক বেশি প্রাচীন৷ বিশাল আকার এবং খনিজের দানা অনেক বড় হওয়ার কারণে তরঙ্গের শক্তি শোষণ করতে এরা কম সক্ষম৷ সুজানিয়া বলেন, ‘‘খনিজগুলির দানা বড় হওয়ার অর্থ হল এই পাহাড়ের জন্ম এক দিনে হয়নি৷ এটি প্রমাণ করে যে ‘লার্জ লো সেসমিক ভেলোসিটি’ অঞ্চলের এলাকা আশপাশের টেকটনিক প্লেটের চেয়ে অনেক পুরনো৷’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পর্বতগুলোর গঠন এবং বয়স সম্পর্কে আরও গবেষণা প্রয়োজন৷ আরও ভাল ভাবে নিরীক্ষণ করলে পৃথিবীর গভীরের অনেক অজানা রহস্য উন্মোচিত হবে৷ পৃথিবীর ইতিহাস এবং ভূতাত্ত্বিক গঠনের এই বিশাল অংশ সম্পর্কে নতুন ধারণা পাওয়ার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা৷

অন্ধবিশ্বাস ভাবজড়তা---ধর্মীয় আবেগ---প্রশাসনিক অব্যবস্থা অমৃতের সন্ধানে গিয়ে পদপিষ্ট বহু মানুষ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

২৮শে জানুয়ারী মধ্যরাত পার হয়ে গেছে৷ ইংরেজী ক্যালেণ্ডারে ২৯শে জানুয়ারী রাত্রি ১২টা ৩০ মিনিট৷ মাইকে প্রচার শুরু হলো---যে ঘুমোয় সে হেরে যায়৷ অমৃত পেতে হলে শুয়ে না থেকে স্নান করে নিন৷

শুরু হলো পুন্যসঞ্চয়ের হুড়োহুড়ি৷ প্রশাসনিক মতে তখন মহাকুম্ভে ৪কোটি পুন্যার্থীর সমাগম হয়েছে৷ জনস্রোত ধেয়ে গেল ত্রিবেণী সঙ্গমের দিকে৷ কে আগে যাবে তারই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়৷ সেই জনস্রোতের ঢেউ না সামলাতে পেরে ভূপতিত হলো বহু মানুষ৷ তাকেই মাড়িয়ে চললো জনস্রোত, পদপিষ্ট হয়ে হতাহত হলো বহু মানুষ৷ এই ধরণের পরিচয়হীন জনস্রোতে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা কেউ দিতে পারে না৷ প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রশ্ণ তো উঠবেই৷ হতাহতের সংখ্যা নিয়েও বিতর্ক থাকবে৷

কিন্তু আসল প্রশ্ণ সবাই এড়িয়ে গেছে৷ অমৃতের সন্ধানে এসে যারা না ফেরার দেশে চলে গেল তারা কোন পূণ্য সঞ্চয় করে নিয়ে গেল, আত্মীয় পরিজন হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়ে যারা ঘরে ফিরলো তাদের ধর্মের ভাণ্ডারে কতটা পুন্য সঞ্চয় হলো৷ নিন্দুকেরা বলতে শুরু করেছে, ধর্মব্যবসায়ীও রাষ্ট্রের পরিচালকদের এসব নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই৷ তাদের ধর্মের খাতা আর্থিক লাভ লোকসানের হিসেবে ভরা৷ উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে যতটা অপটু, বিপর্যয়ের প্রমান লোপাটে ততটাই পটু৷ রাতে বিপর্যয়ের পর শাহি স্নান স্থগিত হয়ে যায়৷ শুরু সকাল ৭টায়৷ তার আগে অবশ্য ঘটনাস্থল নিপুন হাতের তুলিতে (ঝাড়ুতে) পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ বিপর্যয়ের কোন চিহ্ণ আর ঘটনাস্থলে নেই৷ উত্তরপ্রদেশের সরকার সকাল থেকে ঘটনার কথা স্বীকার করতে চাইছিলো না৷ সরকারের দাবী পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল কিন্তু পরিস্থিতি সামলে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু ডিজিটাল যুগে সমাজ মাধ্যম, সংবাদ মাধ্যম রাত থেকেই প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে শুরু করে৷ সরকারও বাধ্য হয়ে ঘটনার কথা স্বীকার করে৷ ততক্ষণে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে গেছে ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার৷ রাজনীতির চাপান-উতর শুরু হয়েছে৷ কিন্তু তথাকথিত ধর্মের নামে এই দানবীয় উন্মাদনা আর কতদিন চলবে?

 

চরমদণ্ড সমাধান নয়, মানবিক নয় অপরাধের উৎস খুঁজে আঘাত দিতে হবে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত ২০শে জানুয়ারী বহু চর্চিত আর.জি.করের বর্বরচিত ঘটনায় অপরাধী সঞ্জয় রাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা ঘোষনা করেন শিয়ালদহ কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস৷ ওই দিন শিয়ালদহ কোর্ট চত্তরে উপস্থিত অনেকেই অপরাধীর ফাঁসির আদেশ শুণতে চেয়েছিলো৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও চাইছিলেন অপরাধীর চরমদণ্ড হোক৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন--- ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা, ঘৃণ্যতম অপরাধ৷ এক্ষেত্রে একমাত্র মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত৷

‘অপরাধীর ফাঁসির পক্ষেই জনমত ছিল৷ সিবিআই এর আইনজীবী পার্থসারথি দত্ত মৃত্যুদণ্ডের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন৷ কিন্তু বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন---আমি দুঃখিত, ঘটনাটি বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়৷ তাই এই মামলায় অপরাধীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল৷

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন--- প্রাউটিষ্টরা চরমদণ্ডের পক্ষে নয়৷ অপরাধীকে চরমদণ্ড দিলেই সমাজে সুস্থতা ফিরে আসবে না৷ তিনি বলেন---রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ, প্রশাসন, আইন আদালতের প্রয়োজন আছে৷ তবে বিচার সব সময় ঠিক নাও হতে পারে৷ বিচারের মাপকাঠি নির্দ্ধারণেও ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে৷ প্রাউটের দৃষ্টিতে তার জন্যে বিচার ব্যবস্থাকে তুলে দেওয়া যায় না৷ তিনি বলেন প্রাউটের দৃষ্টিতে দেখতে হবে- প্রকৃত অপরাধী যদি বিচার ব্যবস্থার ফাঁক দিয়ে পালিয়েও যায়, একজনও নিরীহ ব্যষ্টি যেন সাজা না পায়৷

শ্রী খাঁ আরও বলেন সমাজকে এই চরম অবক্ষয় থেকে ফিরিয়ে এনে সমাজের সুস্থতা রক্ষা করা বিচারকের কাজ নয়৷ প্রাউটের দৃষ্টিতে বিচারকের কাজ হবে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্ণিত করে সাজা ঘোষনা করা অপরাধীকে সংশোধন করার জন্যে, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নয়৷ পুলিশ প্রশাসনের আযোগ্যতায় অপরাধী ধরা না পড়লে সমাজের ক্ষতি, কিন্তু তার চেয়ে বেশী ক্ষতি হবে বিচার পদ্ধতির দোষে নিরীহ ব্যষ্টি সাজা পেলে৷ তবে সমাজের সুস্থতা রক্ষা করার দায়ীত্ব শুধু পুলিশ প্রশাসন আইন আদালতের নয়৷

যারা কবি সাহিত্যিক শিল্পী সমাজের সুস্থতা রক্ষা করার বড় দায় তাদেরও আছে৷ আজকের অনেক কবি সাহিত্যিক শিল্পী নন্দন বিজ্ঞানের অপব্যবহার করে নিম্নমানের হীনরুচির চলচিত্র, সঙ্গীত সাহিত্য, রচনা করে মানুষের পশুবৃত্তিকে উৎসাহিত করছে৷ তারই পরিণতিতে সমাজের সুস্থতা বিঘ্নিত হচ্ছে৷ তাই সমাজের সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে কবি সাহিত্যিক শিল্পদেরও বড় ভূমিকা নিতে হবে৷ শুধু বিচার ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না৷

শুধু অপরাধীকে শাস্তি দিলেই সমাজে সুস্থতা ফিরে আসবে না৷ অপরাধের উৎসে আঘাত দিতে হবে৷ অর্থাৎ অসংস্কৃতিমূলক অশ্লীল নাচা গানা যৌন আবেদন মার্কা হীনরুচির সাহিত্য চলচিত্র বন্ধ করতে হবে৷ শ্রী খাঁ বলেন--- শিল্পীর স্বাধীনতার বিরোধী নয় প্রাউটিষ্টরা৷ কিন্তু মনে রাখতে হবে শিল্প সাহিত্যের উদ্দেশ্য হলো সেবা ও কল্যাণ৷

কলকাতা সহ জেলায় জেলায় ‘আমরা বাঙালী’র নেতাজীর জন্মদিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৩শে জানুয়ারী ঃ বাঙালী বাহিনীর পক্ষ থেকে আজ কলকাতার হাজরা মোড় থেকে একটি সুশৃঙ্খল মিছিল কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ও আশুতোষ মুখার্জী রোড দিয়ে মার্চ করে’ এলগিন রোডে নেতাজীর বাসভবনে গিয়ে নেতাজীর মূর্তিতে মাল্যদান করে’ মহান্ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন৷ ইয়ূনিফর্ম পরিহিত বাঙালী বাহিনীর কয়েকশত যুবক ও বাঙালী নারী মুক্তি বাহিনীর এই মিছিল দেখতে রাস্তার দু’দিকে ভীড় জমে যায়৷ মিছিলটি হাজরা মোড় থেকে ভবানীপুর, জগুবাজার হয়ে সর্বশেষে নেতাজী বাসভবনে পৌঁছায়৷ সেখানে নেতাজীর মূর্ত্তিতে মাল্যদান করেন বাঙালী বাহিনীর কেন্দ্রীয় সচিব হিতাংশু বন্দোপাধ্যায়, আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিন্হা, সাংঘটনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস, উজ্জ্বল ঘোষ, জয়ন্ত দাস, সুবীর ব্যানার্জী, সুশীল জানা, ও কলকাতা জেলা সচিব সুদীপ বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷ সামনে বাঙালী বাহিনীর পক্ষ থেকে পথসভাও হয়৷

মিছিল থেকে দাবী ওঠে ২৩শে জানুয়ারী জাতীয় ছুটি ঘোষনা করতে হবে, নেতাজীর জন্মদিনেদেশপ্রেম দিবস হিসেবে পালন করতে হবে, নেতাজীর সমস্ত গোপন ফাইল প্রকাশ করতে হবে ও নেতাজীর অন্তর্ধান সম্পর্কে সত্য উদ্ঘাটন করতে হবে৷ কেন্দ্রীয় সচিব শ্রীজ্যোতিবিকাশ সিনহা বলেন নেতাজীর জন্মদিবস সেইদিনই সার্থক হবে যেদিন ‘আমরা বাঙালী’ নেতাজীর স্বপ্ণের সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে প্রাউটের পথে৷ নেতাজী শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, তিনি অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথাও প্রকাশ্যে বলেছিলেন৷ ‘আমরা বাঙালী’ প্রাউট দর্শনের বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে চায় ও প্রতিটি মানুষের হাতে নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির ক্রয়ক্ষমতা দিতে চায়৷

এইদিন পুরুলিয়া জেলার বাঘমুণ্ডি ব্লকে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ১২৭তম জন্মদিন পালন করা হয়৷ জেলার নেতৃবৃন্দ সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ও নেতাজীর স্বপ্ণ পূরণে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজ আন্দোলনের ডাক দেন৷

বহুতল বিপর্যয়---টেকনিক্যাল ভুল, কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নেই---মেয়র

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বাঘা যতীনের পর এবার কামারহাটি,ট্যাংরা একের পর এক বহুতল হেলে পড়ছে৷ বাঘাযতীনের প্রমোটার ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে৷ তার মধ্যেই আরও বাড়ি হেলে পড়লো কামারহাটির পূর্ব ধুবিয়াবাসান এলাকায়৷ ঘটনাটি ঘটে গত ২১শে জানুয়ারী৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ জলাশয় ভরাট করে বাড়িটি তৈরী করা হচ্ছিল৷ কোনরকম মাটি পরীক্ষা না করেই৷ নির্মীয়মান পাঁচতলা ভবনের পাশেই আছে একটি সরকারী স্কুল৷ বাড়িটি হেলে পড়ায় স্কুলের ছাত্র অভিভাবকরা আতঙ্কের মধ্যে আছে৷

কামারহাটির পুরপ্রধান গোপাল সাহা এলাকা পরিদর্শন করে বলেন এই বাড়ি নির্মাণে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি৷ পুরসভা আইন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন৷ স্থানীয় মানুষদের প্রশ্ণ এলাকার কাউন্সিলরদের কি কোন দায়িত্ব নেই৷ পুরসভার অনুমতি না নিয়ে কিভাবে জলাজমি ভরাট করে বাড়ী তৈরী হয়!

এরই মধ্যে ট্যাংরায় আরও একটি বাড়ি হেলে পড়ে ২২শে জানুয়ারী সকালে৷ বাড়িটি পাশের একটি বাড়ির দিকে প্রায় কাছাকাছি চলে যায়৷ এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়৷মেয়র ফিরাজ হাকিম বলেন কলিকাতায় এরকম হেলে পড়া বাড়ির সংখ্যা ৩০টি৷ এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই৷ ট্যাংরার এটি রাজনীতির বিষয় নয়৷ বরং এটা একটা টেকনিক্যাল ভুল৷ কর্র্পেরেশনের আইনানুযায়ী এতে কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নেই৷