December 2017

ঝালদায় আমরা বাঙালীর জেলা সম্মেলন

ঝালদা, ১৭ ই অক্টোবর ঃ গত ১৭ই অক্টোবর মঙ্গলবার ঝালদায় আমরা বাঙালীর জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল থেকেই আমরা বাঙালীর বিভিন্ন ব্লক থেকে  কর্মীরা আসতে শুরু করেন৷  সম্মেলনের শুরুতে ‘বাঙলা আমার দেশ’ প্রভাত সঙ্গীতটি সমবতে কন্ঠে পরিবেশিত হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট শ্রী রতন মাহাত মহাশয়৷ তাছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সর্বক্ষণের কর্মী বিভূতি দত্ত মহাশয়৷ তিনি সমস্ত কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন বাংলার এই চরম সংকটের দিনে  বাংলা ও বাঙালীর সার্থে ‘আমরা বাঙালী’র আদর্শকে যে ভাবে হোক সমাজে রূপ দেবার জন্য প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে উদাত্ত আহ্বান জানান৷  সকল সদস্য

আমরা বাঙালী উত্তর ২৪ পরগণা শাখার পক্ষ থেকে অমিতাভ মালিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ

গত ১৮ই অক্টোবর সন্ধ্যায় আমরা বাঙালী উত্তর ২৪ পরগণা শাখার পক্ষ থেকে দেশদ্রোহী গুরুং বাহিনীর হাতে নিহত পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা বাঙালী সমর্থকরা বারাসত ও মধ্যমগ্রাম ষ্টেশনে মোমবাতি জানায়৷ আমরা বাঙালীর নেতা জয়ন্ত দাশ ও উজ্জ্বল ঘোষ অমিতাভ মালিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন৷ তাঁরা বলেন---বাঙলার অখণ্ডতা রক্ষা করতে গিয়ে বিদেশী গোর্খাদের হাতে তরুণ পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিক জীবন দিয়ে শহীদ হয়েছে৷ আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে তাঁর অমর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়৷ আমরা বাঙালী নেতারা তাঁদের বক্তব্যে বাঙলাকে ভাগ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ষড়যন্ত্রেরও তীব্র প্রতিবাদ জানান৷<

ব্যথা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

অনুচ্চারিত সঙ্গীতের মত তোমার অস্তিত্ব

টের পাই মন্ত্র মথিত গোপন গভীর

সাত্ত্বিক সত্তায়৷

দ্বিধা থর থর কেটে যায়

বিলম্বিত বন্ধ্যা সময়

সময় কখনো হয় না ফলপ্রসূ

তুমি চলে গেলে, কাঁপিয়ে দিয়ে গেলে

মনন-ক্রিয়ায় সংস্থাপিত বিন্দু৷

যাওয়ার আগে কেন দিয়ে গেলে না

তোমার সত্য পরিচয়---

যা ছিল রহস্যময়,

যা ছিল আভাসে-ইঙ্গিতে, আচার্য-কথিত৷

তুমি চলে গেলে, দিয়ে গেলে শুধু

অনুভূতির জঠরে একরত্তি ব্যথা৷

তবু ভালো লাগে ব্যথা সইতে

সৃষ্টিশীল অন্তঃসত্ত্বা নারীর মতো৷

ডাকছে সে

সাধনা সরকার

নীড় হারা

জ্যোতিবিকাশ সিনহা

আমি নীড় হারা এক পাখী

অনন্ত নীলিমায় ভাসি দিবারাতি

পৃথিবীর কোন বাঁধনে নেইকো আমি বাঁধা

দূর আকাশে চাঁদের দেশে

আমার যাওয়া-আসা

গোধুলি বেলার রক্তরাগ প্রতিদিন মাখি

আমি নীড় হারা এক পাখী৷৷

তারাগুলো শোণায় যত অজানার কথা

জমিয়ে রাখি সব অচিন দেশের গাঁথা

হাওয়ার দোলায় মেঘের ভেলায়

দোলে আমার কান্না-হাসি

আমি নীড় হারা এক পাখী৷

বিশ্বজুড়ে কত ভাঙ্গা-গড়ার খেলা

দূর আকাশে ভেসে দেখে যাই একেলা

কোথাও শোষণ, কোথাও তোষণ

আপন আপন গরিমা ঘোষণ

আমি সবার পাওয়া হারাবার

বিশ্বকাপ

ভবেশ কুমার বসাক

বিশ্বকাপের খেলা হয়ে গেল শেষ

কত ভাল খেলা হ’ল লাগল যে বেশ,

ফুটবলে আমরা অনেকটা পিছিয়ে

একদিন ঠিক মোরা যাব দেখো এগিয়ে৷

ভূবনেশ্বর, বুমরাহ ব্যাটসম্যানদের ত্রাস হয়ে উঠেছে

ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা মনে করেন ভারতের দুই ওপেনিং পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও যশপ্রীত বুমরাহকে খেলতে বিশ্বের অনেক ব্যাটসম্যানই এখন দিশেহারা৷ সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোর ফলের পরিসংখ্যানই একথার প্রমাণ দেবে৷ তিনি ভারতের এই দুই বোলারকে ‘ডেথ বোলার’ বলে উল্লেখ করেছেন৷ রোহিত বলেন গত অষ্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় ক্রিকেট দলের যে সাফল্য এসেছে তার জন্যে ভুবি ও বুমরাহের অবদান অনস্বীকার্য৷ মূলত তাদের আগুনে পেসে বল শট খেলতে পারেনি অষ্ট্রেলিয়ান ব্যাটস্ ম্যানেরা৷ ফলে স্পিনাররা যথেষ্ট সুবিধা পেয়ে গেছে৷ বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা চাপে পড়েছে বারবার৷

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ২৮ তম মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে ছয় দিন ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ২১শে অক্টোবর মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পার্থিব দেহের মহাপ্রয়াণ দিবস৷ ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার সময় কলকাতাস্থিত মার্গগুরুভবন ‘মধুকোরকে’ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীরা শোক বিহ্বল হয়ে পড়েন৷ সব দেশ থেকেই আনন্দমার্গীরা তাঁদের পরমারাধ্য গুরুকে দেখার জন্যে ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার জন্যে কলকাতা আসতে থাকেন৷ তখন সারা বিশ্বের আনন্দমার্গের অনুগামীদের কথা ভেবে আশ্রম কর্তৃপক্ষ মার্গগুরুদেবের পাঞ্চভৌতিক দেহকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত সংরক্ষিত করে রাখেন৷ আর এই কয়দিন ধরেই সমবেত আনন্দমার্গীরা অবিরাম ‘বাবানাম কেবলম্’ সিদ্ধ মহামন্ত্র কীর্ত্তন করতে

সাধনার মন্থন

দুধের মধ্যে যে রকম ঘি ব্যাপ্ত হয়ে থাকে আর মন্থন করলে সেটা ওপরে উঠে আসে, ঠিক সেই রকম তোমার মধ্যে পরমপুরুষ ব্যাপ্ত আছেন  সাধনারূপী মন্থনের দ্বারা তুমি তাঁকে পেয়ে যাবে৷ মন্থন করলে যে মাখন বেরিয়ে আসে, সেটাই পরমপুরুষ৷ তিনি তোমার ভিতরে আছেন  ঘরের মধ্যে কোনো দেবতাকে তুমি বাহ্যিক পূজা করে, বহিরঙ্গিক সাধনার দ্বারা তাঁকে পাবে না৷ বরং সেটার দ্বারা তুমি তাঁর থেকে আরো দূরে সরে যাবে৷

শোষণের ছলা–কলা

শিরোনামে লিখিত বিষয়ের ওপর প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর বিভিন্ন পুস্তকে যা বলেছেন, সেগুলিকে সংকলিত করে’ তুলে ধরেছেন বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট আচার্য ত্র্যম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত৷

বুদ্ধির অপব্যবহার করে’ শোষণ নানা যুগে নানা ভাবে হয়েছে৷ বর্তমান যুগে কীভাবে হচ্ছে তার কয়েকটা চিত্র এঁকেছেন দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার৷

প্রাউট–প্রবক্তা প্রভাতরঞ্জনের সাহিত্য চেতনা

ডঃ গোবিন্দ সরকার,  প্রাক্তন অধ্যাপক, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক মহাবিদ্যালয়

‘এ গান থামিবে নাক এ দাবী দমিবে না

পথ বেঁধে দিল আলোকোজ্জ্বল প্রাউটের প্রেষণা’৷

গানটি শুনেই প্রথম প্রশ্ণ জাগে ‘প্রাউট’ কী? মানব দরদী প্রভাতরঞ্জন ‘প্রাউট’ বলতে বুঝিয়েছেন–‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব’৷ Progressive Utilisation Theory üÑËŽÂËÂó PROUT. এই জীবনবাদ তত্ত্বে একদিকে যেমন ব্যষ্টি জীবনের চাহিদার সঙ্গে সামূহিক জীবনের প্রয়োজনের  এক মধুর সমন্বয় সাধন করেছে, অন্যদিকে বস্তু জগতের সঙ্গে অধ্যাত্ম–জগতের দ্বন্দ্বের সমাধান করেছে৷