August 2020

স্বাধীনতার ৭৩ বছরে ভারতীয় হয়ে বাঙালী কী পেল

এইচ এন মাহাত

ভারতের আর একটি স্বাধীনতার দিবস না বলে ক্ষমতা হস্তান্তর দিবস পালিত হলো বলাই ইংরেজ বিদায়ের সঠিক মূল্যায়ন সারা ভারতে করোনা ভাইরাসের জেরে কিছুটা হলেও তেমনভাবে ঢাক-ঢোল না বাজিয়ে নমোনমো করে পালিত হলো দিনটি

যোগ বিষয়ে আলোচনা

গত ১৫ই আগষ্ট আনন্দনগর সংলগ্ণ ডিমডিহা গ্রামে যোগ সাধনা বিষয়ের ওপর এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের ডিমডিহা শাখার পক্ষ থেকে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় সভায় বক্তব্য রাখেন আচার্য সত্যস্বরূপানন্দ অবধূত তিনি বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতিতে যোগ ও সাধনার অনুশীলনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি বলেন  নিয়মিত যোগাভ্যাস  শরীরকে সুস্থ ও মনকে সবল রাখবে, সেইসঙ্গে মানুষকে তার পরমলক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তিনি যোগের বিজ্ঞানসম্মত অনুশীলন ও উপকারিতার ব্যাখ্যা করেন গত ১৯শে আগষ্ট  যোগ সাধনার ওপর আর একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়  রাজুয়ার ডিহি গ্রামে--- এখানে আলোচনা করেন অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা

মার্গীয় পদ্ধতিতে বিবাহ

গত ১০ই আগষ্ট ঝাড়গ্রাম জেলার গোহমী গ্রাম নিবাসী শ্রী নীপেন মন্ডল ও শ্রীমতী অপর্না মন্ডলের পুত্র কল্যাণীয় সুকুমারের সহিত পশ্চিম মেদিনীপুর, পাথর কুমকুম গ্রামের অমিত প্রধান ও মধুমিতা প্রধানের কন্যা পিউ প্রধানের বিবাহ আনন্দমার্গে চর্র্যচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয় এই বিবাহানুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য কল্পনাথানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দ শতদীপা আচার্যা অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীতে ও কীর্তন পরিবেশন করেন সোমা পাত্র সমস্ত অনুষ্ঠানটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শ্রীমতি ইলা পাত্র

 

আনন্দনগরে এ্যামার্টের ত্রাণ বিতরন

গত ১৬ই আগষ্ট আনন্দনগর সংলগ্ণ সুলংলাহার,সারজু মাহাত ও খটঙ্গা গ্রামের কয়েকশো মানুষের হাতে  চাল, আলু ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয় আনন্দমার্গ ইউনিবার্র্সল রিলিফ টিম আনন্দনগর শাখা এই ত্রাণ বিতরনের আয়োজন করেছিলেন আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত ও আচার্য সংশুদ্ধানন্দ অবধূত প্রমুখ

 

ঋষি অরবিন্দ স্মরণে

গত ১৫ই আগষ্ট বিপ্লবী ঋষি শ্রী অরবিন্দ ঘোষের জন্মদিন উপলক্ষ্যে হাওড়া রাণীহাটি আনন্দমার্গ সুকলে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল এই সভা উপলক্ষ্যে কয়েকশো সবজি বিক্রেতা ও স্থানীয় মানুষকে রান্না করা খাবার বিতরন করা হয় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিলেন হাওড়া জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রী সুব্রত সাহা, দীপঙ্কর মন্ডল ও ডায়োসিস সেক্রেটারী অবধূতিকা রূপালীনা আচার্র্য প্রমুখ

 

শিক্ষার বাণিজ্যকরণের সর্বত্র প্রতিবাদ হওয়া উচিত

প্রথমেই বিভিন্ন বোর্ডের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়  সবের্র্বচ্চ নম্বর প্রাপ্ত মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি তাদের প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও আশীর্বাদ ভবিষ্যৎ জীবনে তারা আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে দেশ ও দেশবাসীর  কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করবে এই কামনাই  করি ছাত্রছাত্রীদের নম্বর  দেখে বুঝতে পারছি না এরকম ঢালাও নম্বর দেওয়ার নির্দেশ কী বোর্ডের তরফে ছিল, নাকি, স্বাভাবিকভাবেই ছাত্র বা তাদের মেধার কারণে  পেয়েছে!

আত্মনির্ভর ভারত কতটা ভারত আত্মার

সুকুমার সরকার

কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস শুধু ভারতবর্ষ নয়, সমগ্র বিশ্বের  আর্থ-সামাজিক পরিবেশটাই বদলে দিয়েছে । কিন্তু এই বদল এমনটাও নয় যে, সূর্য পশ্চিমদিক থেকে উঠবে! সূর্য পূর্বদিক থেকেই উঠবে মানুষকে শুধু সেই সূর্যের আলোটাকে প্রতিটি অন্ধকার গুহা-কন্দরে প্রবাহিত করাতে হবে । মানুষকে বলতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত মানুষদেরকে বলছি । কিন্তু কোথায় অন্ধকার গুহা আলো পড়লো? আলো পড়লো তো তাঁদের ঘরে, যাঁদের ঘরে অল্প হলেও আলো ছিল বা আছে।

সরকার ও করনায় আক্রান্ত জনগণ আজ ভাবুন ---তাঁদের প্রকৃত কর্তব্যটা কী !

ভারতে তথা বিশ্বে করোনা বর্তমানে মানুষের সমাজে  এক আলোড়ণ সৃষ্টি করেছে অদ্যাবধি ভৌতিক  বিজ্ঞান তার সঠিক  হদিশ খঁুজে পেয়েছে বলে মনে হয় না তাই লক্ষ লক্ষ হতভাগ্য মানুষ  প্রাণ  হারাচ্ছেন পৃথিবীর বুকে সব দেশের  শাসক বর্গ শুধু কথার জাল বিস্তার করে চলেছেন তাঁদের  কথা বেশী কিন্তু কাজ খুবই কম দেখা যাচ্ছে এদিকে যাঁরা হৃদয়বান মানুষ তাঁরা খুবই সচেতন হয়েছেন,ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে যাঁরা অবহেলিত ও নির্যাতিত তাঁদের প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা প্রায় সব দেশেই তাঁদের পাশে এসে আর্তসেবা সেবা দিয়ে চলেছেন পৃথিবীতে আজ  একদল সেবাব্রতী বুঝেছেন মানুষের পাশে থাকতেই হবে মানুষকে বাঁচাতে

করোনা বাইরাস

বিভাংশু মাইতি

ঔদ্ধ্যতের সিঁড়ি বেয়ে

অহঙ্কারে বুক উঁচিয়ে

আমি চলছিলুম

চলছিলুম ভোগ-সিন্ধুর

শেষ বিন্দুটুকু শুষে নিতে

 

প্রাণী-পশু-উদ্ভিদ

পরিবেশ প্রতিবেশী

কারও দিকে তাকাইনি

সবাইকে শাসন-শোষণ

করেছি সাধ্যমত

আত্মসুখে হয়েছি উন্মত্ত

 

জড়বাদের তীব্র চাবুকে

রক্তাক্ত হয়েছে কত দেহ

মতবাদের অব্যর্থ বুলেটে

লুটিয়ে পড়েছে মানবতা,

প্রেম-প্রীতি আধ্যাত্মিকতা

 

অলখপুরুষ হেসে বলেছিলেন

সামলে চলো বৎস

সবার জন্য এই ধরা

সবাইকে ভালোবেসো

 

চড়াই পাখী

গৃহচটক শব্দের অর্থ হল চড়ুই পাখী চটক> চড> চডাই> চড়াই চটকী> চডহ> চডুই> চড়ুই  । বাঙলায় চটই ও চড়ুই দুটি শব্দই চলে । আমাদের পশ্চিমরাঢ়ের গ্রামের মানুষ অনেকেই চটইবলে থাকে । চটই শব্দটি চটক শব্দ থেকে এসেছে । চড়ই কে বিহারের মগহী ভাষায় বলা হয় গর্বৈয়া, মৈথিলী ভাষায় গর্বৈয়াও চলে ফুদ্দিও চলে । ভোজপুরীতে বলা হয় ফুরগুদ্দি ।অঙ্গিকা ভাষায় টিকটিকিকে বলে টিকটিকিয়া ।

চটক পাখী দুইভাগে বিভক্ত  যারা পাকা বাড়িতে কার্নিশে ঘর বানায়।  তারা হল গৃহচটক বা চড়ুই পাখী । চড়ুই পাখী পায়রার মতো খড়কুটো দিয়ে ভালো ঘর তৈরী করতে পারে না কিন্তু অধিকাংশ পাখী পারে ।