মধুমালঞ্চে অখণ্ড কীর্ত্তন
গত ১০ই অক্টোবর কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে মার্গগুরুদেবের বাসভবন লেকগার্ডেন্সের ‘‘মু মালঞ্চে’’ তিনঘন্টাব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সমবেত সাধনা ও বর্ণার্ঘ্যদান হয়৷
গত ১০ই অক্টোবর কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে মার্গগুরুদেবের বাসভবন লেকগার্ডেন্সের ‘‘মু মালঞ্চে’’ তিনঘন্টাব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সমবেত সাধনা ও বর্ণার্ঘ্যদান হয়৷
গত ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীত দিবস উপলক্ষ্যে শ্রীরামপুরের প্রবীন আনন্দমার্গী শ্রী প্রভাত খাঁর কন্যা সুজাতা দত্ত (রিঙ্কু)র বাসগৃহে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন কীর্ত্তন ও প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়েছিল৷ এই উপলক্ষ্যে স্থানীয় মার্গী ভাইবোন ও প্রতিবেশীরা সুজাতা দত্তের বাসগৃহে সমবেত হয়েছিলেন৷ প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর প্রভাত সঙ্গীত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ৷
গত ২০শে সেপ্ঢেম্বর রঘুনাথ বাড়ি ইয়ূনিটের বিশিষ্ট মার্গী ধনঞ্জয় মিশ্রের একমাত্র পুত্র সৌগতর আকস্মিক প্রয়াণে মার্গীরা সবাই শোকস্তব্ধ৷ গত ২৭শে সেপ্ঢেম্বর সকালে নিজ বাসভবনে তার পারলৌকিক ক্রিয়া মার্গীয় প্রথায় সুসম্পন্ন হয়৷ পৌরোহিত্য করেন আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত৷ সৌগতর শিশুপুত্রটি যাতে ভালভাবে তার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য ভুক্তিপ্রধান আনন্দমার্গ স্কুলের প্রধান শিক্ষককে তীক্ষ্ণ নজর রাখার জন্য অনুরোধ জানালেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক শ্রী সঞ্জিত বাগ৷
গত ২৭শে সেপ্ঢেম্বর গোপালনগর বিহারীলাল বিদ্যাপীঠে H.S) শিক্ষিকা শ্রীমতী সুপ্রিয়া মাইতির উদ্যোগে ছাত্র-ছাত্রা ও শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের নিয়ে ‘‘মনঃসংযোগ’’Concentration of mind) এর উপর একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ অবধূতিকা আনন্দ নবীনা আচার্যা কিভাবে ছাত্র-ছাত্রারা ভালভাবে পড়াশুনা করবে ও চরিত্র ঘটন করতে পারবে তা খুব সুন্দরভাবে উদাহরণ সহকারে বুঝিয়ে দেন৷ সন্ন্যাসিনী দিদি ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য সময় দেওয়ার প্রধান শিক্ষক শ্রীসঞ্জয় মাইতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও মাঝে মাঝে স্কুলে এসে ছাত্রদের নীতিকথা তথা সদুপদেশ প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান৷
গত ১লা আগষ্ট থেকে যে ১০০০ ঘন্টা ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’ অখণ্ড কীর্ত্তন শুরু হয়েছিল তার সমাপ্তি দিবস গত ১১ই সেপ্ঢেম্বর,২২ রানিহাটী আনন্দমার্গ আশ্রমে খুব জাঁকজমকপূর্ণভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মার্গীদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সার্থক হয়ে ওঠে৷ মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন এস.ডি.এম-এর ভূক্তিপ্রধান সুশান্ত শীল৷ জেনারেল ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা প্রমুখ৷
শারদ-উৎসব উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের হাওড়া ভুক্তি বিভিন্ন ইয়ূনিট থেকে দুঃস্থ মানুষের হাতে বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়৷ ১৬ই সেপ্ঢেম্বর বাগনান আনন্দমার্গ স্কুল থেকে ২৫ জন দুঃস্থ মানুষকে বস্ত্র দেওয়া হয়৷ ২২শে সেপ্ঢেম্বর বিরাডিঙ্গী আশ্রম থেকে ১৫জন দুঃস্থ মানুষকে বস্ত্র ও ফল বিতরন করা হয়৷ গত ২৮শে সেপ্ঢেম্বর হাওড়া বাকসীতে বস্ত্র বিতরন করা হয়৷
গত ১৭ই সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিমের পক্ষ থেকে হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর ব্লকের মাজুর চঙঘুরালী বালক সঙ্ঘে একটি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল৷ প্রায় শতাধিক রুগীকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করে ঔষধ দেওয়া হয়েছে৷ চিকিৎসা করেন ডাঃ চাঁদমোহন পাল ও ডাঃ সমীর সাঁতরা ও মহাব্রত দেব ও ওই এলাকার লোকজন তাদের সহযোগিতা করেন৷ উক্ত ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ভুক্তি প্রধান সুব্রত সাহা৷
পশ্চিমবঙ্গের জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জি.আই যুক্ত সামগ্রীর নিরিখের আগামী বছরেই সারা দেশের মধ্যে এক নম্বরে আসতে চলেছে৷ এই মুহূর্তে বাঙলায় ২২টি পণ্য জি.আই স্বীকৃতি প্রাপ্ত৷ আরও ৩০টি পণ্য এই তকমা পাওয়ার দৌড়ে রয়েছে৷ বর্তমানে বাঙলায় জি.আই প্রাপ্ত পণ্যগুলি হল--- দার্জিলিং চা, শান্তিনিকেতনের চামড়ার সামগ্রী, নকশিকাঁথা, হিমসাগর আম, লক্ষণভোগ আম, ফজলি আম,শান্তিপুরী শাড়ী, ধনেখালি শাড়ী,বালুচরী শাড়ী, জয়নগরের মোয়া, বর্ধমানের সীতাভোগ,মিহিদানা, রসগোল্লা, গোবিন্দ ভোগ চাল, তুলাইপঞ্জিচাল, বাঙলার পটচিত্র, ডোকরা শিল্প, মাদুরকাটি, বাঁকুড়ার পাচমুড়ার টেরা কোটা ঘোড়া, পুরুলিয়ার ছৌমুখোশ, কুশমুণ্ডীর কাঠের মুখোশ, ডা
সূর্যের সাতরং ও তার শক্তির ওপর ছবি এঁকে ইতালিতে সম্মানিত হলেন কলিকাতার পণ্ডিতয়া রোডের বাসিন্দা স্বাতী ঘোষ, তাঁর আঁকা ছবির নাম পাওয়ার অফ এনার্জি৷
সম্প্রতি ইতালির মিলান শহরে স্নাই সানসিরো হিপোড্রাম রেসকোর্সের প্রদর্শন শালায় স্বাতীর ওই ছবি প্রদর্শিত হয়৷ স্বাতী একমাত্র ভারতীয় হিসাবে সেখানে সম্মানিত হন ও আট অ্যান্ড ক্যাভালো থ্রোফিও পুরস্কার পান৷
স্বাস্থ্য বলতে সাধারণতঃ মানুষের ধারণা শরীরটা সুস্থ থাকা৷ না, শুধু শরীর সুস্থ থাকলেই তাকে স্বাস্থ্য বলা হয় না৷ ধরা যাক, একজন শারীরিক ভাবে সুস্থ কিন্তু প্রচণ্ড ধরণের মানসিক বিষাদে ভুগছে৷ তাকে কী করে সুস্থ বলতে পারি কিছুদিন পর মানসিক বিষাদ থেকে তার পরিপাক ক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেবে, ও তারপর নানান দৈহিক রোগেরও শিকার হবে৷ তাই বলছি, কেবল শারীরিক সুস্থতাকে স্বাস্থ্য বলে না৷