January 2023

হাঁপানীর কষ্ট নিরাময়ে

পত্রিকা প্রতিনিধি

আর্দ্রক বা আদা কফের শত্রু–কফ বিনাশক৷ তাই আয়ুর্বেদে আদার একটি নাম কফারি৷ কফাশ্রিত বায়ুর প্রভাবে শ্বাসক্রিয়ার কষ্ট বা শ্বাসরোগ বা হাঁপানির সৃষ্টি হয়, তার জন্যে আদার রস, গব্য ঘৃত ও দুধ সহযোগে যে ঔষধ প্রস্তুত করা হয় তা খুবই কার্যকরী৷ পাঁচ তোলা গব্যঘৃত কাঁসার বাটিতে ফুটিয়ে নিতে হয়৷ অন্য একটি পাত্রে আড়াই তোলা আদার রস গরম করে ঘিয়ের পাত্রে ঢ়েলে দিয়ে কাঁসার থালা চাপা দিতে হয়৷ তা থেকে দু’তোলা ঘি আধ পোয়া গরম দুধের সঙ্গে রোগ যন্ত্রণার সময় একটানা পনর দিন ব্যবহার করলে রোগ সম্পূর্ণ সেরে যেতে পারে৷

শুভ বিজয়া

আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত

হে প্রভু মুক্ত কর ষড়রিপু

অষ্টপাশের  জালি,

ক্ষুদ্র অহমিকা যদি থেকে থাকে,

তাও দিনু তোমারে অঞ্জলি৷

ভেদ ভাব কেনই বা জাগে,

কিছু মানুষের মনে?

সৎচিন্তা সদ ভাব জাগে

যেন সব মনে প্রতিক্ষণে৷

সবার মাঝেই তুমিই আছ,

তবু লীলা কর কেন সঙ্গোপনে?

জানি তুমি মিষ্টি হাসো

মিটি মিটি গোপনে৷

পাশবিকতার হোক নাশ আজি,

দৈব ভাব যেন হয় উদয়,

সব আত্মার আত্মীয় তুমি,

স্মরণে আছে তোমার বরাভয়৷

প্রীতি ভালবাসা উজাড়িয়া দিনু,

বিজয়া দশমীর শুভক্ষণে,

তোমারেই যেন পাই মোরা

আমি ঝাড় বাংলার ব্যাটা

মনোতোষ মণ্ডল

হতে পারি নি বাপের ব্যাটা,

তাই হয়েছি মায়ের ব্যাটা৷

হাতে চুড়ি, পরণে শাড়ি,

সিঁথিতে সিন্দুর, মাথায় ঘোমটা৷

ঘরের ভিতর সুখে আছি

নেই জ্বালা যন্ত্রণা৷

খাই দাই, ঘুমিয়ে কাটাই,

দেশের ভাবনা ভাবি না৷

হায় রে বাঙালি, সব খোয়ালি

বেঁচেছে, কেবল ভিটেমাটি

আর বেশি দিন দূরে নাই,

হারিয়ে যাবে বাংলার ঘাঁটি৷

নকশা গেল, পড়চা গেল,

দলিল পত্র বাতিল৷

ঝুমুর বাউল কীর্তন গেল

ভাসানের গান সামিল৷

আর কতোদিন সইবো

মোরা অপমানের জ্বালা

ঘোমটা খুলে বেরিয়ে এসো,

এবার মোদের পালা৷

প্রেতলোক ৰন্ধ

প্রাচীনকালে ৰুদ্ধিজীবীদের ‘কোশস্থ’ বা ‘কায়স্থ’ ৰলা হত৷ এঁরা জ্ঞানের আৰরণের আড়ালে আত্মরক্ষা করার সুযোগ পেতেন৷ অবশ্য কায়স্থদের জন্যে করণ, করণিক, বিদ্যাস্ত্র ও সান্ধি–বিগ্রাহিক শব্দও চলত৷

আনন্দনগরে ফুটবল সিলেকশন ক্যাম্প

গত ৩রা সেপ্ঢেম্বর,২২ এস.এস.এ.সি (স্পিরিচূ্যয়ালিষ্টস স্পোর্টস এণ্ড এডভেঞ্চারস ক্লাব) দুর্গাপুর ও স্থানীয় শুভানুধ্যায়ী অমিতাভ (বুবাই) ঘোষের প্রত্যক্ষ সহায়তায় পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর আলয় ষ্টীল প্লান্ট গ্রাউণ্ডে ১-১-২০১০ এর পর জন্ম নেওয়া ছেলে ফুটবল খেলোয়াড়দের ‘ফুটবল সিলেকশন ট্রায়াল ক্যাম্প’’ অনুষ্ঠিত হয়৷ কলকাতা থেকে নির্বাচকমণ্ডলি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য প্রাক্তন ফুটবল প্লেয়ার, কোচ  যথাক্রমে কবির দাস, মৃদুল হালদার, দেবাশীষ রায়, বিমান বিশ্বাস ও বর্ধমান ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য দেবোপমানন্দ অবধূত৷

আনন্দনগরের পুরুলিয়া জেলার ফুটবল লীগ

গত ৯ই আগষ্ট ,২২ এস.এস.এ.সি (স্পিরিচূ্যয়ালিষ্টস স্পোর্টস এণ্ড এডভেঞ্চারস ক্লাব) আনন্দনগর পুরুলিয়া জেলা ফুটবল লীগ ‘বি’ ডিভিশনের তৃতীয় রাউন্ডে বি-গ্রুপের নারুডি তুফান ক্লাবকে ১-০ গোলে পরাজিত করে জয়ী হয়েছে৷ ঘাসিরাম টুডু গোল করে৷ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে মানভূম স্পোর্টস এসোসিয়েশনের গ্রাউণ্ডে৷

ডঃ অমরনাথ চক্রবর্তী স্মৃতি শীল্ড প্রতিযোগিতা

গত ১১ই সেপ্ঢেম্বর ডঃ অমরনাথ চক্রবর্তী স্মৃতির উদ্দেশ্যেই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন৷ আনন্দ নগর, বাগলতা, ফুটবল মাঠে খেলার আয়োজন করা হয়েছিল৷ উক্ত খেলাতে ৮টি ফুটবল টিম অংশগ্রহণ করেছিল৷ বিজয়ী দল হল পুন্দাগ৷

আনন্দনগরে একদিবসীয় মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতা

গার্লস ভলান্টিয়ার্স আয়োজিত আনন্দ প্রচেতা স্মৃতি একদিবসীয় মহিলা নক-আউট ফুটবল প্রতিযোগিতা ২৪শে সেপ্ঢেম্বর,২২ আনন্দনগরে সম্পন্ন হয়েছে৷ মোট আটটি মহিলা ফুটবল টীম যথাক্রমে ---ধাদিকা, গুঞ্জা, বাঙ্গিডিরি, গুরুকুল, ডামরুঘুটু, আসুনিয়া, লাগদা, খটঙ্গা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে৷

ধাদকা টীম ২-০ গোলে লাগদা টীমকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়৷ লাগদা টীম রানার্স হয়৷ বেষ্ট গোলকিপার হয় চুমকি মাহাত৷ ফাইনাল ম্যাচে শ্রেষ্ঠ হয় নিয়তি হাঁসদা৷ ফাইনাল ম্যাচে প্রথম গোল করে পুষ্পা মাহাত৷ সিরিজে শ্রেষ্ঠ হয় রীনা মাহাত৷

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘তথাকথিত ‘‘রিলিজন’’ এর জন্যে ‘ধর্ম’ শব্দটা প্রায়ই আলগাভাবে ব্যবহার হয়ে’ থাকে৷ তার কারণ প্রায় প্রতিটি রিলিজনের প্রবর্তকেরা নিজেদের মতবাদকে ‘ঈশ্বরের বাণী’ আখ্যা দিয়ে জনসাধারণের কাছে পরিবেশন করে গেছেন৷ তাঁরা কেউই যুক্তিতর্কের পথ মাড়ান নি৷ এর পেছনে তাঁদের উদ্দেশ্য যাই থাকুক না কেন মানুষ তার পরম সম্পদ বিচারশীলতাকে খুইয়ে বসেছিল৷  ‘‘আমি ঈশ্বরের দূত---আমি যা বলছি তা ঈশ্বরেরই ঘোষণা৷’’---এই কথা বলে মধ্যযুগের অনগ্রসর মানুষের মনে ভয়-তরাস সৃষ্টি করে দিয়ে তাদের ঘাড়ে নিজেদের মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার পরিণাম কি মানুষ বা জীবসমাজের কাছে কল্যাণকর হয়েছিল?

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

Q‘‘যাদের হৃদয় শুদ্ধ তারা সকলকেই শুদ্ধ দেখেন৷ কিন্তু যাদের হৃদয় অশুদ্ধ এবং আত্মবিশ্বাসী তাদের কাছে পৃথিবীর কিছুই বিশুদ্ধ নয় কারণ তাদের মন এবং বিবেক, দুটোই নোংরা৷’’

Qযিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী, তিনি সুখী৷

Qঅন্তরে প্রকৃত অর্থেই আনন্দিত হও৷ তোমার জন্য বিস্ময়কর অপার আনন্দ অপেক্ষা করে আছে৷

Qবিবেকবান মানুষদের মুক্তি হলেন স্বয়ং প্রভু তাদের বিপদে তিনিই শক্তি জোগান৷

Qলক্ষ রাখ, প্রার্থনা করো যাতে তুমি প্রলোভনে পা না বাড়াও৷ আত্মা শক্তিমান, কিন্তু দেব দুর্বল৷

                                                   ---বাইবেল