January 2023

বাংলা ভাষার অবদমন বন্ধ হোক

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷ ওই হীনম্মন্যতা বোধ ওই জনগোষ্ঠীর মনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়৷ তাই তাদের ভাষায় অবদমিত, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে সবসময় কাজকর্ম করতে হয় তারা ধীরে ধীরে যেমন মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা তাদের নৈতিক উদ্যম ও প্রতিবাদ করার শ

‘চোর’ বলে চোর ধরো

প্রভাত খাঁ

যদি আমাদের জন্মভূমি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করতো  বিদেশী শাসক ইংরেজদের বিতাড়িত করে তাহলে হয়তো আমরা এক সুন্দর পূর্ণ স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশ পেতুম ও তখন এই বিশাল ভারতবর্ষ হতো পূর্ণ স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশ৷ তা কি হয়েছে? হয়নি৷ কিন্তু দেশকে রক্তাক্ত করে খণ্ড খণ্ড করে যে অধিকার পেয়েছি সেটি প্রশ্ণাতীত নয়৷ যাঁরা দেশ শাসনের অধিকার পায় তাঁরা নিজেদের মতো করে দেশের সাধারণ মানুষদের বুঝিয়েছেন!

ধনসঞ্চয়ের স্পৃহা ও সমাজ আন্দোলন

খগেন চন্দ্র দাস

‘‘আনন্দসূত্রম’’ দর্শন গ্রন্থের অন্তর্গত পঞ্চম অধ্যায়ের দ্বাদশ সূত্রে বলা হয়েছে---‘‘সমাজ দেশেন বিনা ধনসঞ্চয়ঃ অকর্তব্য৷’’ এই সূত্রটিকে আর্থ সামাজিক দর্শন ‘‘প্রাউট’’ এর পঞ্চ মৌলিক সিদ্ধান্তের প্রথম সিদ্ধান্ত হিসেবে ধরা হয়৷ অর্থাৎ এই সূত্রের বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে প্রাউট প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়৷ সূত্রটির একটি অতি সংক্ষিপ্ত বিবরণ যা দর্শন স্রষ্টা তুলে ধরেছেন তা একান্ত আবশ্যক বলেই আমরা উদ্ধৃত করছি৷

নাম হোক বাঙালীস্তান

উদয়ভানু গুপ্ত

পশ্চিমবঙ্গের নোতুন নামকরণের প্রশ্ণটি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে৷   এ সম্পর্কে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চিন্তাভাবনাও করছেন৷ সরকারী বিচারে ‘বাংলা’ নামটাই নাকি পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে সবচেয়ে বেশী উপযুক্ত৷

কোন ভূমিখণ্ডের নামকরণের বিষয়টি মুখ্যতঃ পাঁচটি তত্ত্বের ভিত্তিতেই হওয়া উচিত৷ নামকরণের এই পাঁচটি তত্ত্ব হলো--- সংশ্লিষ্ট ভূমিখণ্ডে বসবাসকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর বা জাতির ১) ইতিহাস,২) ভাষা ও সংস্কৃতি,৩) বসবাসের ভৌগোলিক ব্যাপ্তি, ৪) অর্থনীতি ও ৫) নৃতাত্ত্বিক ঐতিহ্যপ্রসূত ভাবপ্রবণতা৷

প্রাকৃতিক পরিবেশ, সাধনা ও মাইক্রোবাইটাম

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

কোন প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের ভাল সাধনা করার পক্ষে অনুকূল বা উপযুক্ত?

আদর্শ নেতৃত্বের প্রয়োজন

রত্নেন্দু দাশ

উনবিংশ শতাব্দীতে মহাসদবিপ্র শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আবির্ভূত হয়েছিলেন জগত থেকে শোষণ, অত্যাচারকে সরিয়ে দিয়ে এক নোতুন পৃথিবী তৈরি করতে, তার সঙ্গে চাই কিছু জনের উপর দায়িত্ব দেওয়া যারা সমাজকে পরিচালিত করবে, যারা হচ্ছে সৎ ও আদর্শবাদী  নেতৃত্ব তাদেরকে প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব দর্শনে বলা হয়েছে সদ্‌বিপ্র, এরা কেমন হবে তার বিশদ ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন তাঁর প্রাউট দর্শনে, সেটা অবশ্যই আমাদের সবাইকে জেনে নেওয়া উচিত, সাথে আমাদেরও চেষ্টা  করে যেতে হবে৷

আনন্দনগরের অখণ্ড কীর্তন

গত ২০শে আগষ্ট,২০২২ আনন্দনগর বাবা স্মৃতি সৌধে মাসিক তিনঘন্টা অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন ঈশ্বর প্রণিধান ও নারায়ণ সেবা সুসম্পন্ন হয়েছে৷

 

পুরুলিয়াতে সেকেণ্ড ডায়োসিস লেভেল সেমিনার

গত ১২,১৩,১৪ই আগষ্ট পুরুলিয়া আনন্দমার্গ আশ্রমে, ঝালদা, বোকারো, ধানবাদ ডিটের শতাধিক মার্গীর উপস্থিতিতে দ্বিতীয় ডায়েসিস সেমিনার সুসম্পন্ন হয়৷ এই সেমিনারে ট্রেনার ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির ও.এস. দাদা আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত৷ তাঁরা সুন্দর করে এবারের যুগোপযোগী আলোচ্য বিষয়গুলি সকলকে বুঝিয়ে দেন৷ সেমিনারে  দ্বিতীয় দিন ১৩ই আগষ্ট বিকাল ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কীর্ত্তন সহযোগে শহর পরিক্রমা করা হয়৷