May 2021

অলিম্পিক্সে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন মীরাবাই চানু

মহিলাদের ৪৯ কেজি ক্লিন অ্যাণ্ড জার্ক বিভাগে ১১৯ কেজি তুলে বিশ্বরেকর্ড করলেন চানু৷ আগের বিশ্বরেকর্ড ছিল চিনের জিয়াং হুইহোয়ার৷ তিনি ১১৮ কেজি ওজন তুলেছিলেন৷ এক বছরেরও বেশি সময় পরে আবার কোনও প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন চানু৷ মোট ২০৫ কেজি তুলে ব্যক্তিগত সেরা পারফরম্যান্স করে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি৷ এর আগে  তাঁর সেরা পারফরম্যান্স ছিল ২০৩ কেজি৷ গত বছর ফেব্রুয়ারিতে কলকাতায় জাতীয় চ্যাম্পিয়ানশিপে এই রেকর্ড করেছিলেন তিনি৷ ভারতীয় দলের কোচ জানিয়েছেন এটা একটা সেরা মুহূর্ত তার জীবনে এর আগে আর কোন বিশ্বরেকর্ড করেনি ভারত৷ এরই সাথে একসঙ্গে তিনটি সাফল্য পেলেন মীরাবাই চানু৷

৩০শেএপ্রিল

সেদিন বিজন সেতুর বুকে প্রকাশ্য দিবালোকে

অকস্মাৎ নেমে এসেছিল সূর্যহারা অরণ্যের অন্ধকার

শাসককুলের যত কুলাঙ্গার

ষড়যন্ত্রের নিশ্চিদ্র জালে করেছিল বিস্তার৷

মানব সেবায় নিবেদিত প্রাণ সপ্তদশ

অবধূত অবধূতিকা---

মিথ্যা গুজব অপবাদ তাদের জীবন

গ্রাস করেছিল আগুনের লেলিহান শিখা৷

কি যন্ত্রণা, কি নিষ্ঠুরতা, সাহায্যার্থে

চৌত্রিশ হাতে আকূল আবেদন হ’ল নিষ্ফল৷

পিশাচের অট্টহাসি, নরঘাতকের দল

তখন জড়বাদীদের জমানা,

ওরা ‘ধর্মেন হীনা’ তাই ‘পশুভি সমানা’৷

মনে পড়ে মহাভারতের সেই কলঙ্কিত অধ্যায়?

বিজনসেতু ৩০ এপ্রিল,১৯৮২–জড়বাদী মূঢ়তার উন্মত্ততম প্রকাশ

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল৷ তখন সবেমাত্র আকাশ আলো করে পূর্ব দিগন্তে উঁকি দিচ্ছে সূর্য, আনন্দমার্গের আসা–যাওয়ার পথের ধারে ওৎ পেতে বসেছিল সিপিএমের হিংস্র হার্মাদ বাহিনী, ঠিক যেন হিংস্র হায়নার দল৷ আনন্দমার্গের বেশ কিছু সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী কয়েকটি ট্যাক্সিতে করে হাওড়া থেকে তিলজলা আশ্রমে যাচ্ছিলেন৷ বণ্ডেল গেট ও বালিগঞ্জের বিজন সেতু দিয়েই তিলজলা আশ্রমে যাওয়ার রাস্তা৷ ওই এলাকায় যেই ট্যাক্সিগুলো পৌঁছলো অমনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্যাক্সি থেকে এক এক করে সন্ন্যাসীদের টেনে হিঁচড়ে বের করে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে, ছোরা দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে, গায়ে এ্যাসিড ও পেট্রোল ঢ়েলে পুড়িয়ে মেরেছিল ১৭ জন সন্ন্যাসী–সন্ন্যাস

দীক্ষা ও যোগসাধনা

...ব্রহ্মাস্মি বিজ্ঞান যদি কেবল শাব্দিক স্তরে সীমিত থাকে, তাতেও কোন কাজ হবে না৷ এ জন্যে ‘সোহং’ মন্ত্রের পরিচ্ছেদহীন ভাবনা নিতে হবে৷ এই যে অ–পরিচ্ছিন্ন ভাবনা, এ ভাবনা বাচনিক জপে সম্ভব নয়৷ মানস তথা অধ্যাত্মসাধনার এই যে সূক্ষ্মবিজ্ঞান, এটা তন্ত্রেরই আবিষ্কার ঙ্মতন্ত্র ও যোগের মধ্যে মূলতঃ কোন পার্থক্য নেই৷ তন্ত্রেরই সূক্ষ্মতর সাধনার নাম যোগমার্গৰ৷ সাধনামার্গে জপক্রিয়া ও ধ্যানক্রিয়া মহাকৌলেরই ব্যবস্থা৷ কেবল জপেও কোন কাজ হবে না, যদি মন্ত্রের গতিধারার সঙ্গে মনের গতিধারা সমান তালে না চলে৷ মনে মনে জপও করছি, আবার তার সঙ্গে অন্যের ক্ষতির চিন্তাও করছি–এ ধরনের জপ নিষ্ফল৷ জপক্রিয়ায় সাফল্য লাভ করতে গেলে স

প্রদমন, অবদমন ও দমন

কম্যুনিষ্ট রাষ্ট্রগুলিতে তোমরা প্রদমন, অবদমন ও দমনের একটা ত্রিভুজ পুরোপুরি কার্যকরী দেখতে পাবে৷ এই তিনটি ত্রুটির ওপর কম্যুনিজম আধারিত৷ কিন্তু এই তিনটি ত্রুটির মধ্যে সব চাইতে বেশি ঘটেছে দমন, তারপর ঘটেছে অবদমন ও সব চাইতে কম ঘটেছে প্রদমন৷ এই প্রদমন, অবদমন ও দমনের ফলে সৃষ্ট শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে জনসাধারণকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে৷ এই তিনটি মানসিক পীড়ন মানুষের মনকে ভেঙ্গে চুরে তছনছ করে দিয়েছে৷

আনন্দমার্গের বিজয়রথ এগিয়ে চলেছে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল৷ গত কয়েক শতাব্দীর ইতিহাসে বোধকরি সবচেয়ে পৈশাচিকতম ঘটনা ঘটে গেল আজকের সভ্যতার পীঠভূমি কলকাতার বিজন সেতু ও বণ্ডেল গেটের মত জনাকীর্ণ এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে৷ আনন্দমার্গের ১৬জন সন্ন্যাসী ও ১জন সন্ন্যাসিনীকে বর্ণনার অতীত নৃশংসতম ভাবে খুন করল তৎকালীন শাসকদল সিপিএম’এর গুণ্ডাবাহিনী৷ পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল৷ স্পষ্টই বোঝা যায় এই হত্যার ষড়যন্ত্র একেবারে ওপর মহল থেকেই করা হয়েছিল৷

বুলি সর্বস্ব সোনার বাঙলা নয়

এইচ এন মাহাতো

পুরানে আছে সোনার হরিণ রুপী ছদ্মবেশী মারীচকে দেখে সীতা রামের  কাছে গোঁ ধরে ছিলো সোনার হরিণ চাই৷ সীতাকে  সেই সোনার হরিণ উপঢৌকন দিতে গেলে পরিণামে রাবণ কুল ধবংস হলো৷

সীতা সোনার হরিণ না পেলেও ১৪ বছর বনবাসের পর অগ্ণি পরীক্ষা দিয়েও জনসাধারণের  মুখ রক্ষা করতে গর্র্ভবস্থায় আবার বনবাসে যেতে হয়েছিলো৷ রাম ভগবান হয়েও সেই দিন স্ত্রীর সন্মান রক্ষা করেন নি৷

নেতাদের ভাষা সংযত হওয়া উচিত

প্রভাত খাঁ

ভারতযুক্ত রাষ্ট্রটি বহুভাষাভাষী ও বহু ধর্মমতের আশ্রিত বিভিন্ন মানুষের দেশ৷ এই দেশ শুধু হিন্দু আর মুসলমান দেশ নয়৷ কিন্তু শাসকগুলো বর্ত্তমানে সবটাই বিভিন্ন নামকেওয়াস্ত জাতীয় রাজনৈতিক দলের ভিন্ন ভিন্ন নামে আঞ্চলিক দল হিসাবে সারা ভারতে রাজ্যগুলিতে ও কেন্দ্রে শাসন করে চলেছে৷ যেমন আজকের কংগ্রেস এটা হলো ইন্দিরা কংগ্রেসের দল৷ বিজেপি দলটি জনতা দল ভেঙ্গে আর এস.এস এর নিয়ন্ত্রণে গড়ে উঠেছে৷ কমিউনিষ্ট দল ভেঙ্গে গড়ে উঠেছে সিপিআই (এম), তৃণমূল কংগ্রেস দলটি গড়ে উঠেছে ইন্দিরা কংগ্রেস ভেঙ্গে ৷ ঠিক তেমনই দক্ষিন ভারতে আঞ্চলিক  দল ডি.এম.কে ভেঙ্গে এ আই.

মীরজাফরদের চীনে  নিতে বাঙলা কি ভুলই করে যাবে?

হরিগোপাল দেবনাথ

মানবজাতির ইতিহাস সাক্ষ্য বহন করে চলেছে যে, আমাদের পৃথিবীর বুকে, যে কয়েকটি স্থানকে ঘিরে প্রথমে মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল,তাদের মধ্যে রাঢ়ভূমিতে সর্বপ্রথম মানব সন্তান ভূমিষ্ট হয়েছিল৷ প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা মহান দার্শনিক এ প্রসঙ্গে আলোচনায় উল্ল্যেখ করেছেন যে, রাঢ়ের পূর্বে পৃথিবীর অন্যকোথাও মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল বলে এখনও অব্দি এমন কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ দ্বিতীয়ত প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার, তাঁর রচিত ‘সভ্যতার আদি বিন্দু রাঢ়’ বইতে প্রামাণ্য তথ্য-প্রমাণাদি সহই সুষ্পষ্টভাষাকে উল্ল্যেখ করেছেন যে, রাঢ়ের লালমাটিতেই পৃথিবীতে মানব-সভ্যতারও সূত্রপাত ঘটেছিল৷ এর কিছু প্রমাণ অবশ্য আম