প্রবন্ধ

গোর্খাল্যাণ্ড প্রসঙ্গে

গোর্খাল্যাণ্ড আন্দোলন যা পশ্চিমক্ষঙ্গের উত্তরাংশের কয়েকটি জেলা দাবী করছে, তা আজ  এক চরম অবস্থায় পৌঁছেছে৷ গোর্খা, যারা রাজ্যের বাইরে থেকে এসেছে, তারা ভারতের নাগরিকত্বের সুযোগ নিয়ে এখন একটি পৃথক রাজ্য দাবী করছে৷ তারা নিয়মিতভাবে আন্দোলন করছে, হরতাল ডাকছে, জাতীয় সম্পদকে লুণ্ঠন করছে ও জ্বালিয়ে দিচ্ছে, মানুষকে হত্যা করছে, আর এইভাবে তারা সেখানকার আইন–শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে অচল অবস্থায় নিয়ে এসেছে৷ আসলে ‘চোখের বদলে চোখ’ এই পৈশাচিক আহ্বানে আজ দেশের ওই স্থান রাজনৈতিক শ্লোগানে মুখরিত৷ তাই পশ্চিমক্ষঙ্গের দার্জিলিং জেলায় আইনের শাসনের প্রায় কোনো অস্তিত্বই  নেই৷

কেন্দ্রের নোতুন জিএসটি  বিল  রাজ্যের অধিকার খর্ব  যেন না করে

প্রভাত খাঁ

আগামী মাসের গোড়া থেকে ভারতে নাকি জি এস টি চালু  হতে চলেছে৷ কেন্দ্রের দাবী সব জট কেটে গেছে৷ কিন্তু এতে প:বঙ্গ রাজ্য সরকারের কোন মতামত নাকি গ্রহণ করা  হয়নি৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য  এতো তাড়াতাড়ি করে কেন্দ্রের অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর চালু করা সঠিক হচ্ছে না৷ তিনি তাঁর বিস্তারিত বক্তব্য কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরে পেশ করবেন৷

বাংলাদেশে গোঁড়া ইসলাম পন্থীরা আওয়ামী লীগে ঢুকছে যেটা জোটের বামেরা মানতে পারছে না

মুশাফির

এই  প্রতিবেদনটি লিখতে গিয়ে প্রথমেই মুসাফিরের স্মরণে এলো মহান বিপ্লবী ও বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক নেতাজী সুভাষচন্দ্রের ধর্মমত ও রাজনীতি সম্বন্ধে মতামত৷ তিনি জাপানে পাড়ি দেবার সময় একজন মুসলমান সঙ্গীকে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন যে, ধর্মমতকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলাটা ঠিক নয়৷

সদগুরুর শক্তি সম্পাত ও মাইক্রোবাইটাম

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

আজকের প্রবন্ধের আলোচনার বিষয় হ’ল---সদগুরু কীভাবে মানুষের শরীরে মাইক্রোবাইটামের সাহায্যে শক্তি সম্পাত করেন৷

পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম প্রয়োগ করেন পরমপুরুষ (সদগুরু) কিন্তু নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম সাধারণতঃ প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারাই ছড়ায়৷ সৎসঙ্গের মাধ্যমেও পজেটিভ মাইক্রোবাইটার উপস্থিতি ঘটে৷ পরমপুরুষ তথা সদগুরুর বিশেষ কৃপায় মানুষের শুভবুদ্ধির বা বৃত্তির ক্রিয়াশীলতা ক্রমশঃ বাড়ানো যায় অথবা ক’মে যাওয়া শুভবৃত্তিগুলোর ক্রিয়াশীলতাকে বাড়ানো যেতে পারে৷

ধর্ম মহাসম্মেলনের পুরোধা প্রমুখের সংক্ষিপ্ত প্রবচন

আচার্য মােহনানন্দ অবধূত

 আধ্যাত্মিক সাধনার ক্ষেত্রে মানুষের মনে যে ধরণের জিজ্ঞাসা আসে তাদের বলা হয় পরিপ্রশ্ণ৷ অধ্যাত্ম জীবনের পরিপ্রশ্ণগুলির মধ্যে বিশেষ পরিপ্রশ্ণ হলো যে পরমপুরুষ  কাছেই আছেন  অথচ তাকে পাচ্ছি না কেন? আর তাকে পেতে গেলে সাধনাটাই কিরূপ ভাবে করতে হবে?

শোষিত বাঙলা - বঞ্চিত বাংলা ও বাঙালী

তারাপদ বিশ্বাস

বাঙলায় জলবায়ু পৃথিবীর বিস্ময়৷ প্রকৃতির অফুরন্ত দানে বাঙলা কৃষিজ-খনিজ-বনজ-জলজ সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ, জীবনের আবির্ভাব ও বিকাশের জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয় অত্যুর্বর মাটি, পর্যাপ্ত মিষ্টি জলভান্ডার, সূর্যালোক, তাপমাত্রা, হাওয়া, বৃষ্টিপাতের প্রাচুর্যের কারণে বাঙলা সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এক সোনার দেশ৷ সোনার বাঙলার অফুরন্ত সম্পদ ভান্ডার ছিল, বিশ্বাবাসীর ঈর্ষার বিষয়৷ ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, সেই সম্পদের লোভে খ্রী: পূ: ৩২৭ অব্দে ম্যাসিডোনিয়া সম্রাট আলেকজান্ডার দি গ্রেট বাঙলা অভিযানের সংকল্প নিয়ে অগ্রসর হয়েছিলেন কিন্তু বাঙলার গঙ্গারীডি রাজার অপরাজেয়, অমিতবিক্রম বাহিনীর সামনে দাঁড়

ধর্মের নামে ধর্মমতের উদ্বাহু নৃত্য বন্ধ হোক

সুকুমার সরকার

ধর্ম(Dharma) আর ধর্মমত (Religion) এক না হলেও এখনো পর্যন্ত সমাজ, রাষ্ট্রের হোতারা ধর্মমতকেই ধর্ম বলে চালিয়ে যাচ্ছেন৷ আর ধর্মের নামে ধর্মমতকে নিয়েই রাজনীতি করছেন৷ যদিও তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা বলছেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নয় তথাপি ভারতবর্ষের রাজনীতির গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ধর্মের নামেই৷ কোথাও প্রত্যক্ষভাবে কোথাও পরোক্ষভাবে৷ আর সমস্যার বীজ রোপিত হচ্ছে সেখানেই৷ যে বীজ উপযুক্ত পরিবেশ পরিস্থিতি পেলে মহীরুহে পরিণত হয়ে সমাজরাষ্ট্রের কাঠামোতে ফাটল ধরিয়ে দিচ্ছে৷ ধবংস করছে সমাজ-সৌধের দৃঢ় ভিত্তিটাকে৷

আর নয় দেশের জনগণ এবার আরো সজাগও সচেতন হোক

প্রভাত খাঁ

১৯০৫ সালে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ (স্যারেন্ডার নট) এর মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ নেতারা স্বদেশী আন্দোলন করে ও সঙ্গে সঙ্গে অরবিন্দ-বারিন্দ্র-ক্ষুদিরাম-প্রফুল্ল চাকীরা সহিংস আন্দোলন সংঘটিত করে ব্রিটিশের বাংলাভাগের চক্রান্তকে রুখে দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট আমরা যে স্বাধীনতা পেলুম সেটা যে কতখানি অভিশপ্ত সেটা বোঝার মতো কি একটাও নেতা ছিল না। চিরকালের মতো আমাদের অখন্ড বাংলা ভাগ হলো। আর লক্ষ লক্ষ বাঙালী হিন্দু ভাই বোন উদ্বাস্তু হয়ে এদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আজও অনেকেরই বরাত ফেরেনি। দীনহীন হয়ে ভাগ্যের বিড়ম্বনা সহ্য করতে হচ্ছে। একে কি স্বাধীনতা বলে?

বর্ত্তমান যুগে বহুবিবাহ ও তিন তালাক নারী সমাজের চরম অবমাননা!

প্রবীর সরকার

বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী ও সমাজসেবী শাবানা আজমি গত ২১শে মে লুধিয়ানায় পিটিআইয়ের প্রতিনিধিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন যে, তিন-তালাক অমানবিক। এমনকি কোরাণে এর উল্লেখ নেই। এতে মেয়েদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে। তিনি দাবী করেন সরকারের উচিত তিন-তালাক নিয়ম তুলে দেওয়া। এ বিষয়ে কোন দ্বিমত থাকতে পারে না।