স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

লবণের প্রয়োজন

‘লবণ’ শব্দের অর্থ হ’ল যে সৌন্দর্য বা লাবণ্য আনায়৷ প্রয়োজন মত লবণ শরীরে গৃহীত না হলে শরীরের সৌকুমার্য ও কমনীয়তা নষ্ট হয়ে যায়৷ এই অর্থেই লবণ শব্দটি তৈরী হয়েছে৷ ‘লবণ’ মানে লক্তপ্রাণ (রক্তপ্রাণ)৷

গরমে রোগ–ব্যাধি ও নানা সমস্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি

বসন্ত ঋতু বিদায় নিয়ে এই বাঙলায় গ্রীষ্ম আসছে৷ গ্রীষ্মকাল মানেই গরমকাল৷ গরমে শারীরিক অস্বস্তি ও নানান রোগ–ব্যাধি দেখা দেয়৷ বলতে গেলে ছয় ঋতুর প্রভাব এই পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায়৷ আর প্রতিটি ঋতুর আগমনই আমাদের কাছে আনন্দদায়ক৷ তবে প্রতিটি ঋতুর মত গ্রীষ্মেরও ভাল ও মন্দ দু’দিক রয়েছে৷ একটু সচেতন থাকলে গ্রীষ্মের এই মন্দ অর্থাৎ রোগ–ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে চিকিৎসকদের অভিমত৷ এই গরমে চলতে ফিরতে সকলের অসুবিধা হয় ও আমরা সবাই কম বেশী শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি৷ সময়মত সচেতন না হলে অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সাধারণত অতিরিক্ত গরমে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলির কারণ ও প্রতি

কৃশতা

কারণ ঃ শারীরিক কৃশতার কারণ নানাবিধ ঃ

১) দুর্বল বা অসুবস্থ পুং বা স্ত্রীবীজ থেকে যে সকল শিশুর দেহ সৃষ্টি হয়েছে, তারা স্বভাবতই শক্তিহীন ও কৃশকায় হয়ে থাকে৷

২) শিশু যদি যথেষ্ট পরিমাণে মাতৃস্তন্য না পায় সেক্ষেত্রেও সে সাধারণতঃ কৃশকায় হয়ে থাকে৷

৩) দারিদ্র্য নিবন্ধন যে সকল পিতা–মাতা সন্তান–সন্ততিদের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে দুগ্ধের ব্যবস্থা করতে পারেন না ও অল্প বয়স থেকে তদের জন্যে ভাত, ডাল বা সাবু–বার্লি দেওয়া হয়, তাদের যকৃৎ ও পরিপাক যন্ত্রগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা কৃশকায় হয়ে পড়ে৷

হৃদরোগ ও স্ট্রোক ঃ মহিলারা কতটুকু নিরাপদ?

এন এন এস৷

সারা বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে হৃদরোগ ও স্ট্রোক৷ আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, হৃদরোগ ও স্ট্রোকজনিত মৃত্যু হার মহিলাদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় বেশি ও তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ মাহিলাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগ ও স্ট্রোক বহুল আলোচিত স্তন ক্যান্সারের তুলনায় আটগুণ বেশি৷ তাই বিশ্ব হার্ট দিবস ২০১১ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ঃ হৃদরোগ, স্ট্রোক ও নারী৷ হূৎপিন্ড ও মস্তিষ্কের রক্তনালীতে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা বা এথেরোক্লোরোসিসই করোনারি হৃদরোগ ও স্ট্রোকের জন্যে দায়ী৷ রক্তপ্রবাহের এই প্রতিবন্ধকতা যখন গুরুতর ও জটিল আকার ধারণ করে তখন দেখা দেয় হার্ট্যাটাক ও স্ট্রোক৷ এ প্রক্রিয়ায় জড়িত রয়েছে রক্তের

সঙ্গীতের মাধ্যমে রোগারোগ্য Music therapy

(সঙ্গীতের আবাজ) কাণের মধ্যে দিয়ে স্নায়ুকোষে brain পৌঁছায়৷ সেখান থেকে এই তরঙ্গ vibration শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ও বিশেষ চক্রকে প্রাণবন্ত activise করে দেয় (এর ফলে রোগ দূরীকরণে সহায়তা হয়)৷ প্রভাত সঙ্গীতের মাধ্যমে নিম্নলিখিত রোগগুলির উপশম হয় ঃ–

পাতিনেৰু  ও তার উপকারিতা

আমরা যাকে ‘পাতিনেৰু’ [Citrus medica] বলি সেটি ৰাংলার সাবেকী নেৰু৷ কিন্তু ‘পাতিনেৰু’ শব্দটি পাতে খাবার নেৰু এই অর্থে আসেনি৷ ‘পাতি’ মানে দেশী অর্থাৎ যা বিদেশ থেকে আসেনি৷ পাতিনেৰু, পাতিহাঁস সাবেকী ৰাংলার জিনিস৷ পাতিনেৰু গোল আকারের নেৰু..... রসে টইটম্বুর, গুণে জগৎজোড়া নাম, হজমে সহায়ক৷ আর পাতিহাঁস রাঢ়–ৰাংলায় তো বটেই, গোটা ৰাংলাতেই একটি সুপরিচিত পাখী৷ রাঢ়ের প্রতিটি গৃহস্থ বাড়ীতেই একটি করে ছোট রকমের হাঁসের ঘর থাকে৷ পাতিহাঁস একেবারেই পাতি অর্থাৎ দেশী৷

অম্ল রোগ ও তার নিরাময়

চিকিৎসা ঃ (আসন ও মুদ্রা)

প্রাতে ঃ উৎক্ষেপ মুদ্রা, ময়ূরাসন, পদহস্তাসন, উড্ডয়ন, অগ্ণিসার, আগ্ণেয়ী মুদ্রা বা আগ্ণেয়ী প্রাণায়াম৷

সন্ধ্যায় ঃ অগ্ণিসার, পশ্চিমোত্তানাসন, সর্বাঙ্গাসন, আগ্ণেয়ী মুদ্রা বা আগ্ণেয়ী প্রাণায়াম৷

পথ্য ঃ অম্লরোগে পুরাতন চালের ভাত, শাক–সব্জীর ঝোল (ভাজা, পোড়া বা অধিক পরিমাণ শাক–সব্জী নয়), রসাল টক বা মিষ্টি ফল বা ঘোল বিশেষ উপকারী৷ অম্লরোগীর পক্ষে দধি বিশেষ হিতকারী নয়৷

চশমা কেন প্রয়োজন

ডাঃ আলমগির

কোন কারণে দৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে যদি কম হয়, কিন্তু দৃশ্যমান কোনও গঠনগত পরিবর্তন বা কোনও রোগ যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে চশমা দিয়ে সে দৃষ্টির উন্নয়ন সম্ভব৷ তখন একে রিফ্রাকটিভ এরর বা পাওয়ার জনিত দৃষ্টি স্বল্পতা বলা হয়৷ এটি সাধারণত চার ধরনের হয়৷

গরল ও কাউর (একজিমা)

লক্ষণ ঃ ক্ষত থেকে রসস্রবণ, চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও দপদপানির ভাব, প্রতি বৎসরই রোগের পুনরুদয়, রোগজনিত শারীরিক দুর্বলতা ও মধ্যে মধ্যে জ্বর, সময় সময় রোগের অতি প্রকোপের ফলে দেহের অস্থি পর্যন্ত বেরিয়ে আসা এই রোগের লক্ষণ৷

কয়েকটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ ও পাতার ব্যবহার

গাঁদাল পাতা–Paederia foetida Linn. Ðঃ

পরিচয় ঃ গাঁদাল পাতার সংস্কৃত নাম খরগন্ধা/খরগন্ধিকা/খরগন্ধনিভা৷ তিনটে শব্দেরই অর্থ গাঁদাল পাতা৷ খর মানে ....... পায়খানার দুর্গন্ধ৷ যে পাতায় কতকটা ওই ধরণের গন্ধ রয়েছে তা খরগন্ধা৷ গাঁদাল পাতার অন্য সংস্কৃত নাম হচ্ছে–কৃষ্ণপল্লবি/কৃষ্ণপল্লবী/কৃষ্ণপল্লবিনী৷ [লৌকিক সংস্কৃতে ৰলা হয় গন্ধভাদালী ]৷ গাঁদাল একটি লতানে উদ্ভিদ৷